পুঁজিবাজার
পাঁচ বছরে লোকসান কাটেনি খুলনা প্রিন্টিংয়ের, শেয়ারদর বাড়ছেই

লোকসানের কারণে গত কয়েক বছর ধরে লভ্যাংশ পাচ্ছে না পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের বিনিয়োগকারীরা। অথচ তালিকাভুক্ত এ কোম্পানিটির শেয়ার দর ছুটছে লাগামহীন। সর্বশেষ গত এক সপ্তাহে কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ৬০ শতাংশের বেশি। শেয়ার দরের এমন অস্বাভাবিক বৃদ্ধির পেছনে কারসাজি চক্রের ইন্ধন রয়েছে বলে মনে করছে বাজার সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্র মতে, গত ২৯ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারদর এমন অস্বাভাবিক বৃদ্ধির প্রকৃত কারণ জানতে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসই চিঠি পাঠায়। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি কোম্পানিটি। পুঁজিবাজার বিশ্লেষকদের দাবি, এতে কোম্পানিটিতে বিনিয়োগকারীদের মাঝে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।
ডিএসইর বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত এক মাসে কোম্পানির শেয়ার দর ৯২ শতাংশের বেশি বেড়েছে। গত ২ জানুয়ারি শেয়ারটির দর ছিলো ২৬ টাকা। আর গত ০১ ফেব্রুয়ারি শেয়ার দর বেড়ে দাড়িয়েছে ৫০ টাকায়। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে দর বেড়েছে ২৪ টাকা বা ৯২ দশমিক ৩০ শতাংশ।
এছাড়া, গত সপ্তাহেজুড়ে (২৮ জানুয়ারি-০১ ফেব্রুয়ারি) প্রধান শেয়ারবাজারে ৩৯৭ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে খুলনা প্রিন্টিংয়ের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। সাপ্তাহিক টপটেন গেইনার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কোম্পানিটি। এক সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৬০ দশমিক ২৬ শতাংশ।
ডিএসইর তথ্য মতে, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন করছে। কোম্পানিটির মোট ৭ কোটি ৩০ লাখ ৪০ হাজার শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ শেয়ার। আর প্রাতিষ্ঠানিক ১ দশমিক ১১ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৫৯ দশমিক ১৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
গত পাঁচ বছর ধরেই ‘বি’ ক্যাটাগরির খুলনা প্রিন্টিংয়ের লোকসান অব্যাহত রয়েছে। লোকসানে থাকায় গত ৩০ জুন,২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি। এসময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিলো ৩ টাকা ১০ পয়সা। আর শেয়ার প্রতি সম্পদের মূল্য ছিল ঋণাত্মক (নেগেটিভ) ১ টাকা ৮৬ পয়সা। লোকসানের কারণে ২০২১ সাল থেকে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি। এর আগে ২০২০ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ০ দশমিক ২৫ শতাংশ নামমাত্র নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিলো।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে ১.৫৪ শতাংশ

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ৯ দশমিক ৫৮ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও ০ দশমিক ১৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ কমেছে।
এর আগের সপ্তাহের (৬ থেকে ১০ এপ্রিল) শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯.৭৪ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ৯.৭৩ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও ০.০১ পয়েন্ট বা ০.১০ শতাংশ কমেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষে বিডি ফাইন্যান্স

বিদায়ী সপ্তাহে (১৩ এপ্রিল-১৭ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দরপতনের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেড।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
সূত্র মতে, সপ্তাহজুড়ে কোম্পানির দর কমেছে ১৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ১০ দশমিক ০০ টাকা। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউনিয়ন ক্যাপিটালের শেয়ার দর কমেছে ১৫ দশমিক ৫২ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৪ দশমিক ৯০ টাকা।
তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা সোনারগাঁও টেক্সটাইলের শেয়ার দর কমেছে ১৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৩২ দশমিক ৯০ টাকা।
তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রাইম ব্যাংকের ১৩ দশমিক ৪১ শতাংশ, এস আলমের ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ, সাইনপুকুর সিরামিকসের ১৩ দশমিক ১৮ শতাংশ, ফার্স্ট জনতা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১২ দশমিক ৮২ শতাংশ, এস এস স্টীলের ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ১১ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং আইএফআইসি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১১ দশমিক ৯০ শতাংশ দর কমেছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির শীর্ষে দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক শেয়ার দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র অনুযায়ী, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২৪ দশমিক ৪১ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৩১.৬০ টাকা। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা মিডল্যান্ড ব্যাংকের শেয়ারদর বেড়েছে ২০ দশমিক ৪১ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ১৭.৭০ টাকা।
তালিকায় তৃতীয় স্থানে রেইনউইন যজ্ঞেশরের শেয়ারদর বেড়েছে ১৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৭৩০.৫০ টাকা।
তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে শাহজিবাজার পাওয়ারের ১৩.৯৯ শতাংশ, ফারইস্ট ফাইন্যান্সের ১১.৭৬ শতাংশ, প্রিমিয়ার সিমেন্টের ৮.৭০ শতাংশ, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের ৭.৭২ শতাংশ, এশিয়া প্যাসিফিকের ৭.৫৩ শতাংশ, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের ৬.৮৩ শতাংশ এবং এনআরবি ব্যাংকের ৬.৩৫ শতাংশ দর বেড়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ২১ কোটি ৩১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৫.৩৪ শতাংশ। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিচ হ্যাচারির ১৭ কোটি ১২ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ২.৭৭ শতাংশ।
লেনদেনে তৃতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকো ফার্মার ১১ কোটি ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৩.৫৩ শতাংশ।
লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- উত্তরা ব্যাংকের ১০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, এসিআই লিমিটেডের ৯ কোটি ২৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা, শাইনপুকুর সিরামিকের ৮ কোটি ৫৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টের ৮ কোটি ৪১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, এবিবি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের ৭ কোটি ৬৪ লাখ ২০ হাজার টাকা, ম্যারিকোর ৬ কোটি ৮৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং মিডল্যান্ড ব্যাংকের ৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সপ্তাহজুড়ে পতন, কমেছে লেনদেন ও বাজার মূলধন

বিদায়ী সপ্তাহে (১৩ এপ্রিল তেকে ১৭ এপ্রিল) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের বড় পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেনের সঙ্গে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১ হাজার ১০৭ কোটি টাকা।
পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭০ হাজার ৫৩৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১ হাজার ১০৭ কোটি টাকা বা ০ দশমিক ১৬ শতাংশ।
চলতি সপ্তাহে কমেছে ডিএসইর সব কয়টি সূচক। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০৭ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ০৭ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৫২ দশমিক ৫১ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৭২ শতাংশ। আর ডিএসইএস সূচক কমেছে ২৯ দশমিক ২৫ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
সূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৫৯৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৪৩৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ৮৪০ কোটি ২১ লাখ টাকা।
সমাপ্ত সপ্তাহে ডিএসইতে প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৮৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা বা ১৮ দশমিক ১১ শতাংশ। চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৯৯ কোটি ৪ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৪৮৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৭টি কোম্পানির, কমেছে ২৯৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এসএম
You must be logged in to post a comment Login