খেলাধুলা
যে সমীকরণে সেমিফাইনাল খেলতে পারে বাংলাদেশ
দক্ষিণ আফ্রিকায় চলমান অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সুপার সিক্সে বাংলাদেশ ম্যাচ পেয়েছে দুটি। এর মধ্যে প্রথম ম্যাচে নেপালকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে যুবা টাইগাররা। তবে নেপালকে উড়িয়ে দিয়েও বাংলাদেশের যুবাদের নির্ভার থাকার কোনো সুযোগ নেই। শনিবার শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশকে শুধু জয় পেলেই হবে না, মিলাতে হবে নানা সমীকরণও। যুব বিশ্বকাপের নতুন নিয়মের কারণে সুপার সিক্সের শেষ ম্যাচে আরও বড় ব্যবধানের জয় প্রয়োজন বাংলাদেশের।
সুপার সিক্স পর্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তার অন্যতম কারণ নেট রানরেট। নেপালকে হারিয়ে এই মুহূর্তে ১ দশমিক ০৬৪ নেট রানরেট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে আছে টাইগার যুবারা। তাই পাকিস্তানের সঙ্গে জয়ের পাশাপাশি নেট রানরেটের দিকেও নজর দিতে হবে বাংলাদেশের। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ আগে ব্যাটিং করে ২৫০ রান বা এর কম রান করলে জয়ের ব্যবধান অবশ্যই কমপক্ষে ৫০ রান হতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাট করে ২৫০ রান করলে লাল-সবুজের জার্সিধারীদের অবশ্যই ২০০ রানের মধ্যে অলআউট করতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের রানরেট ০ দশমিক ০০১ বেশি থাকবে।
তবে ২৫০-এর বেশি যেকোনো ব্যবধানে বাংলাদেশকে কমপক্ষে ৫১ রানে জয় পেতে হবে। অর্থাৎ বাংলাদেশ ২৭০ রান করলে ২১৯ রানের মধ্যে পাকিস্তানকে অলআউট করতে হবে। আর ৩০০ রান করলে ২৪৯ রানের মধ্যে পাকিস্তানকে আটকে দিতে হবে।
অন্যদিকে, পাকিস্তান যদি আগে ব্যাটিং করে তাহলে বাংলাদেশকে ম্যাচ জিততে হবে ৩৮ থেকে ৪০ ওভারের মধ্যে। ৩০০ রান টার্গেট থাকলে ৩৯.৩ ওভার পর্যন্ত খেলার সুযোগ পাবে টাইগাররা। ২৫০ রান করলে ৩৯ ওভার এবং ২০০ রানের ক্ষেত্রে ৩৮.৪ ওভার সময় পাবে বাংলাদেশ।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
আক্ষেপ রয়ে গেছে মোস্তাফিজের
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রায় এক দশক কাটিয়ে দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। দেশের হয়ে তিন ফরম্যাটের জার্সিই গায়ে চাপিয়েছেন। তবে একটি আক্ষেপ রয়ে গেছে মোস্তাফিজের। জাতীয় দলের হয়ে বড় ট্রফি এখনও জিততে পারেননি। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল খেলেছিল, ওই দলে ছিলেন মোস্তাফিজ। কিন্তু কখনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের শিরোপা জেতা হয়নি।
এ নিয়ে রবিবার বিসিবির প্রকাশিত এক ভিডিওতে মোস্তাফিজ বলেন, ভালো করার তো শেষ নাই। চেষ্টা করব আগে যা করেছি, সেটা থেকে আরও ভালো করার। আমার মনে হয় বড় প্লেয়াররা বড় ট্রফি জেতে। তাদের বড় প্লেয়ার বলা হয়। এই আক্ষেপ তো সবসময় রয়ে গেছে।
এখন অবধি জাতীয় দলের হয়ে ১৫ টেস্টে ৩১, ১০৪ ওয়ানডেতে ১৬৪ ও ৯৩ টি-টোয়েন্টিতে ১১০ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ। এতে গৌরব আছে তার। কোন ফরম্যাটটা বেশি প্রিয়? টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে বলেছেন এই ফরম্যাটের কথাই।
তিনি বলেন, দেশের হয়ে খেলাটা গৌরবের বিষয়। আমি সবসময় উপভোগ করি দেশের হয়ে খেলাটা। ভালো লাগার কথা বললে আমি টি-টোয়েন্টিটা খুব উপভোগ করি। এই ফরম্যাটটা বেশ চাপের। এ কারণেই মনে হয় ভালো লাগে আমার। চাপ নিয়ে খেলতে অনেক উপভোগ করি। আমাদের যে বোলাররা আছে তাসকিন, শরিফুল, সাইফউদ্দিন, হাসান- আমি যতটুকু শিখেছি ওদের সাথে শেয়ার করি যদি আমাদের আরেকটু উন্নতি হয়।
মোস্তাফিজের নামেও এখন কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। ধারাভাষ্যকার, সতীর্থরা তাকে ডাকেন ‘দ্য ফিজ নামে। কীভাবে এমন নাম পেলেন তিনি?
মোস্তাফিজ বলেন, বোলিং বোর্ড বা ফিল্ডিং বোর্ডে আমার নাম ধরত না, তাই সংক্ষেপে ফিজ লিখত, আমি জিজ্ঞেস করলাম এটা কে। আমাকে বলল এটা তুমি। ওই সময়ে আমি আইপিএল খেলতে গেলাম, ওখানেও নামটা ছড়িয়ে যায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
মুস্তাফিজকে মিস করেছে চেন্নাই
১৮ রানের কম ব্যবধানেই হারলে প্লে-অফ নিশ্চিত হয়ে যেত চেন্নাই সুপার কিংসের। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে এর চেয়ে বেশি ব্যবধানে হেরে আসর থেকেই ছিটকে গেল তারা। রানরেটের ব্যবধানে তাদের টপকে প্লে-অফ নিশ্চিত করে বেঙ্গালুরু।
আসরের শুরু থেকে চোটসমস্যা বেশ ভুগিয়েছে চেন্নাইকে। ওপেনার ডেভন কনওয়ে চোটের কারণে খেলতে পারেননি। শুরু থেকে খেলা হয়নি লঙ্কান পেসার মাথিশা পাথিরানারও। মুস্তাফিজ বেশ ভালো করতে থাকলেও আইপিএলের মাঝপথে দেশে ফিরতে হয়েছে তাকে। পরে চোটের কারণে দেশে ফিরে যান পাথিরানাও। সব মিলিয়ে চলমান আইপিএলে বেশ ঝামেলার মধ্যেই ছিল চেন্নাই।
দেশে ফিরে আসার আগে ৯ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়েছিলেন মুস্তাফিজ। এর মাঝে শীর্ষ উইকেট শিকারী হিসেবে পার্পল ক্যাপও পেয়েছিলেন তিনি। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে চেন্নাই অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড় মোস্তাফিজকে মিস করেছেন সে কথা অকপটে স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ভালো উইকেট ছিল। বিশেষ করে স্পিনারদের জন্য। টার্গেট দেখে খুশি হয়েছিলাম। আমাদের ইনজুরি সমস্যা ছিল বেশি। ডেভন কনওয়ে খেলতে পারছেন না। মাথিশা পাতিরানাও ইনজুরির কারণে চলে যান। একই সঙ্গে ফিজকেও (মুস্তাফিজ) অনেক বেশি মিস করেছি এই ম্যাচে। আপনি যখন ইনজুরি সমস্যায় থাকবেন, তখন একটি ব্যালান্স দল তৈরি করা কঠিন হয়ে যায়।’
এই জয়ে ১৪ ম্যাচ শেষে বেঙ্গালুরুর পয়েন্ট ১৪। রানরেট ০.৪৫৯। আর সমান পয়েন্ট হলেও চেন্নাইয়ের রান রেট ০.৩৯২। আগামী ২২মে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বর দলের বিপক্ষে এলিমিনেটর ম্যাচে খেলবে কোহলিরা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
বিশ্বকাপ জার্সি উন্মোচন নিয়ে যা বললেন জালাল ইউনুস
কথা ছিল বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করার দিনেই দেখা যাবে বাংলাদেশের নতুন জার্সি। কিন্তু অফিসিয়াল ফটোশ্যুট শেষ করে বাংলাদেশের স্কোয়াড বিশ্বকাপের ভেন্যু যুক্তরাষ্ট্রে উড়াল দিয়েছে অনেক আগেই। সেখানে বাংলাদেশ অপেক্ষায় আছে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের সিরিজের জন্য।
তবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জার্সির দেখা মেলেনি। বৈশ্বিক আসরের বড় এক আকর্ষণ এই জার্সি। ওয়ানডে বিশ্বকাপে এই জার্সি উন্মোচনের মাধ্যমেই দল ঘোষণার প্রক্রিয়া শেষ করেছিল বিসিবি। অথচ এবারেই দেখা যাচ্ছে ধীরগতি।
জার্সি উন্মোচন নিয়ে আজ শনিবার মিরপুরে গণমাধ্যমে বিসিবির ক্রিকেট অপরারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের আগে জার্সি উন্মোচন করতে। অন্যান্য দেশের নিজস্ব প্ল্যান থাকে তাই তারা দিয়েছে। আমাদেরও নিজস্ব একটা প্ল্যান ছিল। সেজন্য আমরা ওয়েট করছিলাম আশা করি কিছুদিনের মধ্যেই আপনারা দেখতে পাবেন।’
অবশ্য বাংলাদেশের জার্সি আগেই তৈরি হয়েছে বলে জানালেন ক্রিকেট বোর্ডের এই কর্তা, ‘আমাদের জার্সি অনেক আগেই প্রস্তুত হয়ে গেছে। আমরা প্ল্যানটা করেছিলাম এইভাবে যে, যেহেতু আমাদের অনেক খেলা ছিল। আপনারা জানেন যে, জিম্বাবুয়ে সিরিজ চলছিল। জার্সিত কিছু শুভেচ্ছা বাণী থাকবে যেটা আমি এখনি বলতে পারছি না।’
উল্লেখ্য, আগামী ২ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ যৌথভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন করবে। ২০ দলের এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের অভিযান শুরু হবে ৭ জুন থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে শান্তর দল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করবে। ১০ জুন বাংলাদেশ লড়বে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। পরবর্তীতে ১৩ জুন নেদারল্যান্ডস এবং ১৭ জুন নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে গ্রুপপর্ব শেষ করবে বাংলাদেশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
শাহরুখের দলে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএলে বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের দলকে দুই বার চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিলেন বিশ্বসেরা বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। কয়েক আসর কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলা এই অলরাউন্ডার এবার ভিন্ন লিগে ফ্র্যাঞ্চাজিটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। আমেরিকার মেজর লিগ ক্রিকেটে (এমএলসি) শাহরুখের দলটি খেলে লস অ্যাঞ্জেলস নাইট রাইডার্স নামে। তাদের হয়ে ২০২৪ আসরে সাকিবের খেলার কথা রয়েছে।
আজ (শুক্রবার) নিজেদের সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে এই তথ্য জানিয়েছে লস অ্যাঞ্জেলস নাইট রাইডার্স। সেখানে তারা লিখেছে, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে সাকিব আল হাসান এলএ নাইট রাইডার্সের সঙ্গে ২০২৪ মেজর লিগ ক্রিকেটের জন্য যুক্ত হচ্ছেন। শীঘ্রই দেখা হচ্ছে, সাকিব।’
এক বিবৃতিতে নাইট রাইডার্স গ্রুপ জানিয়েছে, ‘নাইট রাইডার্স পরিবারের সঙ্গে সাকিবের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের, তিনি কেকেআরকে বিভিন্ন মঞ্চে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে আমাদের দুটি চ্যাম্পিয়নশিপ, ২০১২ ও ২০১৪ আইপিএল চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য তিনি।
নাইট রাইডার্সের অধীনে আইপিএলে কেকেআর, ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স ও আইএল টি-টোয়েন্টিতে আবুধাবি নাইট রাইডার্স খেলে আসছে। মেজর লিগ ক্রিকেটের ২০২৩ আসরে একেবারের শেষে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করেছিল শাহরুখের দলটি। আসন্ন আসরে সেই বিপর্যয় কাটানোর লক্ষ্যে তারা আটঘাট বেঁধে নামছে। তারই একটি নমুনা পরিবারের পুরোনো সদস্য সাকিবকে নতুন করে দলে ভেড়ানো।
সাকিব ছাড়াও আগে থেকেই লস অ্যাঞ্জেলস স্কোয়াডে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা অলরাউন্ডার সুনীল নারিন, আন্দ্রে রাসেল, জেসন রয়, স্পেন্সার জনসনের মতো বিদেশি তারকারা। এ ছাড়া ভারতের স্থানীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে উন্মুক্ত চাঁদ, আলী খান, সাইফ বদর, নিতীশ কুমার আছেন স্কোয়াডে। গত ২১ মার্চ এমএলসির প্লেয়ার্স ড্রাফট অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তবে ১৬ জুন পর্যন্ত ক্রিকেটার দলে যুক্ত করার অতিরিক্ত ড্রাফট খোলা রয়েছে।
বিশ্বকাপের পর ৫ জুলাই থেকে শুরু হবে মেজর লিগ ক্রিকেটের দ্বিতীয় মৌসুম। প্রথম মৌসুমে লস অ্যাঞ্জেলস ছিল পয়েন্ট তালিকায় ৬ নম্বরে, সবার নিচে। আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ফ্র্যাঞ্চাইজির এমআই নিউইয়র্ক ও সিয়েটল ওরকাস মুখোমুখি হবে। গত আসরে তারা চ্যাম্পিয়ন-রানার্স আপ হয়েছিল। পরবর্তীতে এমএলসি টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে ২৯ জুলাই।
উল্লেখ্য, কলকাতার হয়েই আইপিএলে অভিষেক হয়েছিল সাকিবের। এরপর সাবেক এই টাইগার অধিনায়ক ২০১১ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএল দাপিয়েছেন। কলকাতার দুই শিরোপাতেই ছিল তার অবদান। ২০১৮ ও ২০১৯ মৌসুমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলেন সাকিব। এরপর ২০২১ সালেও খেলেন কলকাতার হয়ে। সেই মৌসুমের পর আর আইপিএলে দেখা যায়নি সাকিবকে। এমনকি আর ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলবেন না বলে গত বছর কয়েকটি টুর্নামেন্ট থেকেও তিনি নাম প্রত্যাহার করে নেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
নারী বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজন করবে ব্রাজিল
২০২৭ সালের নারী বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজকের দৌড় থেকে কদিন আগেই সরে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। এরপর ফিফা কংগ্রেসে ভোটাভুটি শেষে আসন্ন দশম নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে দেশ ব্রাজিল।
শুক্রবার (১৭ মে) ব্যাংককে ফিফা কংগ্রেসে ভোটাভুটিতে ১১৯টি ভোট পায় ব্রাজিল। অন্যদিকে, যৌথভাবে আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া বেলজিয়াম-নেদারল্যান্ডস-জার্মানির ভাগে পড়ে ৭৮টি ভোট। অবশ্য চূড়ান্ত ভোটাভুটির আগে ব্রাজিলের দিকেই পাল্লা ভারী ছিল। ফিফা টেকনিক্যাল কমিটির মূল্যায়নে লাতিন দেশটি আয়োজক হওয়ার দৌড়ে কিছুটা এগিয়ে ছিল।
ব্রাজিলকে ভোট দেওয়ার বড় কারণ হলো- সেখানে অনেকগুলো স্টেডিয়াম আছে। প্রায় ১০টি স্টেডিয়াম। এসব স্টেডিয়ামে ২০১৪ সালের পুরুষ বিশ্বকাপ সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার অভিজ্ঞতা আছে তাদের। অপরদিকে ইউরোপের তিন দেশ আয়োজক হলে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর জন্য কঠিন হয়ে যায়। কারণ, একটি স্টেডিয়াম থেকে আরেকটি স্টেডিয়ামের দূরত্ব অনেক বেশি।
ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সভাপতি এডনাল্ডো রদ্রিগেজ বলেছেন, ‘আমরা জানতাম যে দক্ষিণ আমেরিকার নারী ফুটবল এবং নারীদের জন্য বিজয় উদযাপন করব। আপনি নিশ্চিত হতে পারেন, কোনো ঝামেলা ছাড়াই আমরা নারীদের জন্য সেরা বিশ্বকাপ আয়োজন সম্পন্ন করবো।’
ফিফা প্রেসিডেন্ট গিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেছেন, ‘ব্রাজিলের টুর্নামেন্ট হবে এ যাবৎকালের সেরা নারী বিশ্বকাপ।’
You must be logged in to post a comment Login