আন্তর্জাতিক
করমুক্ত দুবাই আকর্ষণ বাড়াচ্ছে বিদেশিদের

চলতি বছর বিদেশীদের করমুক্ত সুযোগ-সুবিধা দেয়ার দিক থেকে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হল ইউএই। বিশেষ করে দুবাই বৈশ্বিক ফাইন্যান্সিয়াল হাব হিসেবে এখন বিদেশীদের কাছে ক্রমেই আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। তাতে বছরগুলোয় সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) জনবহুল শহর দুবাই বিদেশীদের কাছে করস্বর্গ হয়ে উঠেছে। খবর খালিজ টাইমস।
উড়োজাহাজে ভ্রমণ, বাড়ি ভাড়া ও পরিষেবা বিলসহ বিভিন্ন খাত বিবেচনায় এ তালিকা প্রকাশ করেছে উইলিয়াম রাসেল। সেখানে বলা হয়, ইউএইতে গড় মাসিক নেট বেতন ১৩ হাজার ১৫ দিরহাম ও গড় খরচ ৩ হাজার ৫৯০ দিরহাম। উভয় ক্ষেত্রে জিরো ট্যাক্স সুবিধা দেয় এমন সব দেশকে ছাড়িয়ে গেছে ইউএই।
১২ দেশ বিষয়ে উইলিয়াম রাসেলের তালিকায় বিদেশীদের জন্য সবচেয়ে সাশ্রয়ী কর-মুক্ত দেশের প্রথম স্থানে রয়েছে ওমান। রিলোকেশন স্কোরে ১০-এর মধ্যে পেয়েছে ৭ দশমিক ৯২। জায়গাটি মাসিক জীবনযাত্রা ব্যয়ের দিক থেকে সর্বনিম্ন ও পরিষেবা বিলের দিক থেকে তৃতীয় সস্তা দেশ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে কুয়েত ও বাহরাইন।
ইউএইয়ের পর এ তালিকায় রয়েছে ব্রুনাই দারুসসালাম, মালদ্বীপ, কাতার, বাহামা, মোনাকো, কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ, বারমুদা ও ভানুয়াতু। এ তালিকার অধিকাংশ দেশ সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বিশ্বব্যাপী অফশোর কোম্পানির আড়ালে অর্থপাচারের গন্তব্যস্থল হিসেবে বারবার আলোচনায় এসেছে।
উইলিয়াম রাসেলের এ প্রতিবেদনে ফ্লাইট খরচ, ভাড়া ও পরিষেবা খরচসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করা হয়েছে। এতে চতুর্থ স্থান নিশ্চিত করতে এক কোটি জনসংখ্যার দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত ১০-এর মধ্যে স্কোর করেছে ৫ দশমিক ৮৪। লন্ডন-আবুধাবি একমুখী ইকোনমি টিকিটের জন্য প্রবাসীদের এখানে প্রায় ১৫৪ ডলার খরচ করতে হয়। আর নিউইয়র্ক রুটে খরচ হয় ৫৩০ ডলার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরব আমিরাতে অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিতে প্রতি মাসে প্রায় ১ হাজার ১৬ ডলার খরচ হয়। প্রবাসীরা প্রতি মাসে গড়ে পরিষেবা বিল হিসেবে দেন ১৬৯ ডলার ও তাদের মাসিক খরচ প্রায় ৯৫৯ ডলার। অন্যদিকে অ্যাপার্টমেন্ট কেনা বা ভাড়ার জন্য সবচেয়ে সস্তা দেশ ওমান।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সর্বমোট শুল্ক ১৪৫ শতাংশ: হোয়াইট হাউজ

যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা চীনা পণ্যের ওপর মোট শুল্ক এখন ১৪৫ শতাংশ। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউজ।
বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, তিনি চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করছেন। তবে তার প্রশাসনের সাম্প্রতিক ব্যাখ্যায় জানা যায়, এই ১২৫ শতাংশের সঙ্গে আগে থেকে আরোপিত ২০ শতাংশ শুল্কও যুক্ত থাকছে। ফলে মোট শুল্ক দাঁড়াচ্ছে ১৪৫ শতাংশে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই অতিরিক্ত শুল্কের প্রভাব পড়তে পারে বহুল ব্যবহৃত প্রযুক্তিপণ্যের ওপর। গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রির জন্য তৈরি প্রায় ৮০ শতাংশ অ্যাপল পণ্যই উৎপাদিত হয় চীনে।
এর ফলে, যদি শুল্কজনিত খরচ ভোক্তার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয় তাহলে একটি আইফোনের দামই কয়েকশ ডলার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।
শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, ডলারের মূল্য ওঠানামার কারণে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপসহ অন্য দেশগুলোতেও আইফোনের দাম বেড়ে যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের একতরফা শুল্ক বৃদ্ধিকে ‘গুন্ডামি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে চীন। সেই সঙ্গে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগও দায়ের করেছে বেইজিং।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ একটি ভুলের ওপর আরেকটি ভুল, যা যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা দমনমূলক আচরণকেই প্রতিফলিত করে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেন, আমরা পেছাবো না। চীন উসকানিকে ভয় পাই না। তিনি কোরিয়ান যুদ্ধের সময় চীনা নেতা মাও সেতুংয়ের একটি ভিডিও শেয়ার করেন, যেখানে বলা হয়, এই যুদ্ধ যত দীর্ঘই হোক, আমরা কখনো আত্মসমর্পণ করবো না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা শুল্ক স্থগিত করলো ইইউ

শুল্কনীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আকস্মিক অবস্থান পরিবর্তনের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ) তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ইইউ ঘোষণা দিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর পরিকল্পিত পাল্টা শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত আপাতত ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করছে।
গত মাস থেকে ইউরোপের ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করে ট্রাম্প প্রশাসন। এর জবাবেই মূলত যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর একই হারে শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করে ইইউ। তবে নতুন শুল্কের আওতা থেকে বাদ রাখা হয় যুক্তরাষ্ট্রের বোরবন হুইস্কিকে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন বলেন, আমাদের সদস্য দেশগুলোর দৃঢ় সমর্থনের ভিত্তিতে ইইউ যে পাল্টা শুল্ক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিয়েছিল, তা আমরা এখন ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখছি। আলোচনার জন্য আমরা এই সময়টুকু দিচ্ছি।
তিনি আরও জানান, যদি আলোচনার ফল সন্তোষজনক না হয়, তবে আমাদের পাল্টা পদক্ষেপ কার্যকর করা হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইইউয়ের এই সিদ্ধান্ত কূটনৈতিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনা কমানোর একটি কৌশল হতে পারে, তবে তারা নিজেদের অবস্থান থেকেও সরছে না।
এই শুল্ক ইস্যু নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্ক সাম্প্রতিক সময়ে বেশ উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় দেশগুলোর কিছু পণ্যের ওপর উচ্চহারে শুল্ক আরোপের হুমকি দিলে ইইউও পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেয়। আর তাতেই পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠতে শুরু করে।
বাণিজ্য যুদ্ধ ও পাল্টা শুল্কের কারণে ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন ও শিল্প প্রতিষ্ঠান এমন উত্তেজনার ফলে আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে ফ্রান্স। হতে পারে আগামী জুন মাসেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে। এসব বলেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ।
স্থানীয় সময় বুধবার (৯ এপ্রিল) ফ্রান্স ফাইভ টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাখোঁ জানান, ফ্রান্স কয়েক মাসের মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। জুন মাসে নিউইয়র্কে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাত নিরসনে জাতিসংঘের সম্মেলন হবে। সেখানে এই পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
মাখোঁ বলেন, আমাদের অবশ্যই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির পথে হাঁটতে হবে। তাই আগামী কয়েক মাসে আমরা এটাই করব।
প্রেসিডেন্ট মিশর সফর থেকে ফেরার সময় তিনি এমন মন্তব্য করলেন। এ সফরে তিনি গাজা সীমান্ত পরিদর্শন করেন।
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স
জুনে ফ্রান্স ও সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের বিষয়ে জাতিসংঘের সম্মেলন হবে। মাখোঁ বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো জুনে সৌদি আরবের সাথে যৌথভাবে এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করা। যেখানে আমরা বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে পারি। বিনিময়ে ওই সম্মেলনে অংশ নেওয়া অন্য দেশের থেকে ইসরায়েল রাষ্ট্রের স্বীকৃতি আদায় করারও প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত ছিল মাখোঁর কণ্ঠে।
এদিকে ফ্রান্সের এমন সিদ্ধান্তে চটেছে ইসরায়েল। দখলদারদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সা’আর এই ধারণাটিকে সন্ত্রাসবাদের প্রতিদান বলে নিন্দা করেছেন।
তিনি বলেন, যেকোনো রাষ্ট্র কর্তৃক একটি কাল্পনিক ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের একতরফা স্বীকৃতি সন্ত্রাসবাদের প্রতিদান এবং হামাসকে শক্তিশালী করা ছাড়া আর কিছুই হবে না। এই ধরনের কাজ আমাদের অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা আনবে না, বরং বিপরীতভাবে পরিস্থিতি আরও খারাপ করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ট্রাম্পের নতুন শুল্ক ৯০ দিন স্থগিত

বুধবার থেকে বিশ্বব্যাপী কার্যকর হতে যাওয়া রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীন ছাড়া বাকি সব দেশ এই সুবিধা পাবে।
এ সংক্রান্ত ঘোষণা দিয়ে বুধবার (৯ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক ১০৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করার কথা জানান।
এর আগে চীনা পণ্যের ওপর মার্কিন প্রশাসন ১০৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে ৮৪ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করে চীন। বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির এই পাল্টা-পাল্টি পদক্ষেপে বাণিজ্যযুদ্ধ আরও তীব্র হয়েছে।
চীনা পণ্যে নতুন করে শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, বিশ্ব বাজারের প্রতি চীন যে অসম্মান দেখিয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে আমি তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করার ঘোষণা দিচ্ছি। এটি এখন থেকেই কার্যকর হবে। অদূর ভবিষ্যতে চীন হয়তো এটা বুঝতে সক্ষম হবে যে, তাদের অন্য দেশগুলো ও আমেরিকার ক্ষতি করার দিন শেষ হয়ে এসেছে।
তবে ট্রাম্প আরও বাণিজ্যের ব্যাপারে আগ্রহী এবং প্রশাসনও আলোচনার জন্য প্রস্তুত বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট।
তিনি এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক দুজনই চীনের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ট্রাম্পের ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট দেওয়ার সময় প্রেসিডেন্টের সঙ্গেই ছিলেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সিএনএন।
এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে লুটনিক বলেন, আমি এবং বেসেন্ট প্রেসিডেন্টের সঙ্গেই ছিলাম যখন তিনি অসাধারণ এই পোস্টটি করেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশ্ব বাণিজ্য ঠিক করার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত, আর চীন বিপরীত পথে হাঁটছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
সৌদিতে ১৪টি নতুন তেল-গ্যাস খনির সন্ধান

দেশে ১৪টি নতুন তেল ও গ্যাসের খনির সন্ধান পেয়েছে সৌদি আরব। সৌদির জ্বালানিমন্ত্রী প্রিন্স আবদুলাজিজ বিন সালমান বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন এ তথ্য।
জ্বালানিমন্ত্রী বলেন, নতুন এই খনিগুলোর অবস্থান দেশটি পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণাঞলীয় বিস্তীর্ণ মরুভূমি রাব আল খালি এলাকায়।
খনিগুলোতে কী পরিমাণ তেল ও গ্যাস থাকতে পারে, সে সম্পর্কিত কোনো তথ্য দেননি আবদুলাজিজ বিন সালমান জানিয়েছেন, নতুন খনিগুলোর আবিষ্কারের ফলে সৌদি আরবের জ্বালানি নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সৌদি আরব বিশ্বের সর্ববৃহৎ জ্বালানি তেল রপ্তানিকারী দেশ। দেশটির খনিগুলোতে মজুত তেলের মোট পরিমাণ ২৬ হাজার ৭০০ কোটি ব্যারেল (১ ব্যারেল=১৫৯), যা বিশ্বের মোট তেলের মজুতের ১৭ শতাংশ। প্রতিদিন ৫০ লাখ ব্যারেল তেল উত্তোলন করে সৌদি আরব।
সম্প্রতি এশীয় ক্রেতাদের জন্য প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেলে ২ দশমিক ৩০ ডলার মূল্যছাড় দিয়েছে সৌদি।
You must be logged in to post a comment Login