জাতীয়
২০২৩ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে দুই হাজার নারী-শিশু

গত বছর সারাদেশে ৬ হাজার ৯১১টি সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা গেটেছে। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৬ হাজার ৫২৪ জন। নিহতের মধ্যে ৯৭৪ জন নারী ও শিশু রয়েছে ১ হাজার ১২৮ জন। আর আহত হয়েছেন অন্তত আরো ১১ হাজার ৪০৭ জন। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত দুর্ঘটনা সংক্রান্ত বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম এবং সংস্থার নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, ‘দেশের যানবাহন ও সড়ক—দুটির কোনোটিই শিশুবান্ধব নয়। অনেক স্থানে বাড়ি, স্কুলের একদম ধারেই সড়ক দেখা যায়। সড়ক থেকে নিরাপদ দূরত্বে মেনে এসব তৈরি হয় না। আবার অনেক স্থানে স্কুলের পাশে কোনো সড়ক প্রতিবন্ধকতা বা ওভারপাস থাকে না। তাই এক অপূরণীয় ক্ষতি আমাদের হচ্ছে দিনের পর দিন।’
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের হিসাব অনুযায়ী, দেশে গত বছর সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৬ হাজার ৯১১টি। এতে ৬ হাজার ৫২৪ জন নিহত হয়, আহত হয় ১১ হাজার ৪০৭ জন। মোট নিহতের ১৭ শতাংশের বেশি শিশু। গত বছর দেশে দুর্ঘটনার সংখ্যা এর আগের (২০২২) বছরের চেয়ে বাড়লেও কমেছে মৃত্যুর সংখ্যা। দুর্ঘটনায় শিশুমৃত্যুর সংখ্যাও আগের বছরের তুলনায় সামান্য কমেছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ৪০ শতাংশের বেশি শিশু মারা গেছে যাত্রী বা পণ্যবাহী বাস, ট্রাক ও প্রাইভেট কারের ধাক্কায়। এরপর আঞ্চলিক বা গ্রামীণ সড়কের যানবাহন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইকের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু হয়েছে। প্রায় ১৬ শতাংশ শিশুর প্রাণ গেছে বেপরোয়া মোটরসাইকেলের ধাক্কায়। স্থানীয়ভাবে তৈরি নছিমন, ভটভটি বা মাহিন্দ্র কেড়েছে প্রায় ৭ শতাংশ শিশুর প্রাণ।
এদিকে বর্তমানে জাতীয় ও আঞ্চলিক সড়কের দৈর্ঘ্য ২২ হাজার কিলোমিটারের বেশি। গ্রামীণ সড়ক ৩ লাখ কিলোমিটারের বেশি। দুর্ঘটনায় শিশু নিহত হওয়া সড়কের ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি ৩৭ শতাংশ শিশুর মৃত্যু হয়েছে আঞ্চলিক সড়কে। এরপরই আছে মহাসড়ক, গ্রামীণ সড়ক ও শহরের সড়ক।
রোড সেফটির বিশ্লেষণে দেখা যায়, গ্রামীণ সড়কে আগের বছরের (২০২২) চেয়ে গত বছরে শিশুমৃত্যু কমেছে। কিন্তু বেড়েছে আঞ্চলিক সড়কে। যেসব দুর্ঘটনার কবলে পড়ে শিশুদের মৃত্যু হয়, এর এক-তৃতীয়াংশের বেশি ঘটে দুপুরের দিকে। তবে সকাল ও বিকেলের দিকেও অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় নিহত শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪৩ শতাংশেরই বয়স ৬ থেকে ১২ বছরের মধ্যে। এরপরই আছে ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশু। নিহত শিশুদের মধ্যে ৩৭ শতাংশ এই বয়সী।
দুর্ঘটনায় শিশু নিহত হওয়া সড়কের ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি ৩৭ শতাংশ শিশুর মৃত্যু হয়েছে আঞ্চলিক সড়কে। এরপরই আছে মহাসড়ক, গ্রামীণ সড়ক ও শহরের সড়ক।
এছাড়া প্রতিবেদনে জানা গেছে, নিহতের মধ্যে ৯৭৪ জন নারী ও শিশু রয়েছে ১ হাজার ১২৮ জন। মোট ২ হাজার ৫৩২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ হাজার ৪৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা মোট নিহতের ৩৮.১২ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৬.৬৩ শতাংশ।
এ ছাড়া দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৪৫২ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২২.২৫ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৯৪২ জন, অর্থাৎ ১৪.৪৩ শতাংশ।
এই সময়ে ১০৭টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১৪৮ জন নিহত, ৭২ জন আহত এবং ৪৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ২৮৭টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ৩১৮ জন নিহত এবং ২৯৬ জন আহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বাস যাত্রী ২৭৪ জন, ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান-ট্রাক্টর ট্রলি-লরি আরোহী ৩৮৪ জন, প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স-জীপ যাত্রী ২২৯ জন, তিন চাকার যানের যাত্রী ১ হাজার ২০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ২ হাজার ৩৭৩টি জাতীয় মহাসড়কে, ২ হাজার ৮৮৭টি আঞ্চলিক সড়কে, ৯৯৪ টি গ্রামীণ সড়কে, ৫৮৩ টি শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৭৪ টি সংঘটিত হয়েছে।
দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১ হাজার ২৯১টি মুখোমুখি সংঘর্ষ, ৩ হাজার ১৪৯টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১ হাজার ৪৪৬টি পথচারীকে চাপা/ধাকা দেয়া, ৮১৭টি যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ২০৮ টি অন্যান্য কারণে ঘটেছে।
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা ১১ হাজার ৩৬৬টি। এর মধ্যে বাস ১ হাজার ৫০৩, ট্রাক ১ হাজার ৮০৬, কাভার্ডভ্যান ২৮৩, পিকআপ ৪৩২, ট্রলি ১৭৮ ও লরি ১১৪টি অন্যতম। দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভোরে ৩২১টি, সকালে ১ হাজার ৯৪৬টি দুপুরে ১ হাজার ৫৭১টি, বিকেলে ১ হাজার ১১৩টি, সন্ধ্যায় ৬১৮টি এবং রাতে ১ হাজার ৩৪২টি
দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ১ হাজার ৯৬৭টি দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৬৯৪ জন নিহত হয়েছেন। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ৩৪৭টি দুর্ঘটনায় ৩৮৮ জন নিহত হয়েছে। রাজধানীতে ২৯৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৪৩ জন নিহত এবং ৩৩৬ জন আহত হয়েছেন।
অর্থসংবাদ/এমআই

জাতীয়
সাত জনের মরদেহ শনাক্তে লাগবে ডিএনএ টেস্ট

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। এদের মধ্যে ৭ জন শিশুর লাশ শনাক্ত এখনও করা যায়নি। এসব লাশের পরিচয় শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষা করতে হবে।
সোমবার (২১ জুলাই) রাতে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান।।
তিনি বলেন, যে ১৭ জন নিহত হওয়ার তথ্য পেয়েছি, তারা সবাই শিশু। এর মধ্যে ৭ জনের লাশ শনাক্ত করা যায়নি। তাদের পরিচয় শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষা লাগবে।
তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র ইনফেকশনের কারণে অনেকে মারা যেতে পারে। তাই হাসপাতালের ভেতরে সবাই প্রবেশ না করার অনুরোধ করছি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের মধ্যে প্রাথমিক মূল্যায়নে ২৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ সময় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন বলেন, আগামীকাল রক্তের প্রয়োজন হবে। তাই আজ আর কারও কাছ থেকে রক্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে না।
সায়েদুর রহমান ১৭ জন নিহতের কথা বললেও দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাইলটসহ ২০ জনের প্রাণহানি ও ১৭১ জন আহতের তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ (আইএসপিআর)
বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আহতদের সংখ্যাও জানিয়েছে আইএসপিআর।
১. কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল: আহত ৮ জন, নিহত নেই
২. জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট: আহত ৭০ জন, নিহত ২
৩. ঢাকা মেডিকেল: আহত: ৩, নিহত ১
৪. সিএমএইচ-ঢাকা: আহত ১৭, নিহত ১২
৫. কুর্মিটোলা জেনারেল হসপিটাল: আহত ১, নিহত ২
৬. লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টার, উত্তরা: আহত:-১১ নিহত: ২
৭. উত্তরা আধুনিক হসপিটাল: আহত ৬০, নিহত ১
৮. উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতাল: আহত: ১, নিহত নেই।
এই ৮ হাসপাতালে মোট আহত হয়ে চিকিৎসাধীন ১৭১ জন।
কাফি
জাতীয়
নিহতের মা-বাবাকে আমরা কী জবাব দেব: প্রধান উপদেষ্টা

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় শোক জানিয়ে ভিডিওবার্তা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ‘প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে শিশুদের ওপর পড়ল। আগুনে পুড়ে মারা গেল, তাদের মা-বাবাদের আমরা কী জবাব দেব?’
সোমবার (২১ জুলাই) রাত ৯টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তার এ ভিডিওবার্তাটি পোস্ট করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার বলার কোনো ভাষা নেই। কীভাবে শুরু করব? সেটাও বুঝতে পারছি না। আমার মতো সারা দেশের লোক আজকে হতবাক। ’
‘এ রকম একটা কাণ্ড ঘটতে পারে। আমরা কেউ কল্পনা করিনি। কারোরই ধারণার মধ্যে ছিল না। কিন্তু এই অবিশ্বাস্য জিনিস আমাদের হঠাৎ করে গ্রহণ করতে হয়েছে। ’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে কচি শিশুদের ওপরে পড়ল। আগুনে পুড়ে মারা গেল, মা-বাবাদের আমরা কী জবাব দেব? কী বলব তাদের? আমরা নিজেদের তো জবাব দিতে পারছি না। অজানা শিশুদের মুখ সবার চোখে ভেসে উঠছে। ’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘সারা জাতি হতভম্ব, শোকাহত। শোকাহত বললে খুব কম বলা হবে। এই দুর্ঘটনার রেশ এখনো কাটেনি, এখনো লাশ আসছে হাসপাতালে, এখনো হাসপাতালে মারা যাচ্ছে, মা-বাবা এখনো খোঁজ নিচ্ছেন সন্তান কোথায়। ’
‘তাকে আর কোনো দিন চেনা যাবে কি না? যাদের লাশ দেখছি, তার মধ্যে আমার সন্তান আছে কি না। পৃথক করার তো কোনো উপায় নেই। এরা আমাদের সবারই সন্তান। হঠাৎ করে চিরদিনের জন্য চলে গেল। ’
নিহতদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে। আমরা অবশ্যই তদন্ত করব। আমরা সবাই আপনাদের পাশে আছি। ’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা হাসপাতালে ভিড় করবেন না। যারা আহত তাদের জন্য এটা ভালো না। তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধের শক্তি নেই। আমরা ভিড় করলে তাদের মধ্যে কী রোগ ছড়িয়ে পড়বে, তা বলা মুশকিল। কাজেই দূরে থেকে দোয়া করুন সবাই। ’
আইএসপিআরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিধ্বস্ত হওয়া প্রশিক্ষণ বিমানের পাইলটসহ ২০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৭১ জন।
কাফি
জাতীয়
উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ২০, চিকিৎসাধীন ১৭১ জন

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে। একই সঙ্গে দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৭১ জন।
সোমবার (২১ জুলাই) রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছে।
আইএসপিআর জানিয়েছে, আহত ও নিহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ঢাকার আটটি হাসপাতালে। হাসপাতালভিত্তিক বিস্তারিত তথ্য নিচে তুলে ধরা হলো:
১. কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল: আহত ৮ জন, নিহত নেই
২. জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট: আহত ৭০ জন, নিহত ২
৩. ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল: আহত ৩ জন, নিহত ১
৪. সিএমএইচ-ঢাকা: আহত ১৭ জন, নিহত ১২
৫. কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল: আহত ১ জন, নিহত ২
৬. লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টার (উত্তরা): আহত ১১ জন, নিহত ২
৭. উত্তরা আধুনিক হাসপাতাল: আহত ৬০ জন, নিহত ১
৮. উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতাল: আহত ১ জন, নিহত নেই
সব মিলিয়ে ১৭১ জন আহত রোগী বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন এবং দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২০ জন।
এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার এবং আহতদের পাশে দাঁড়াতে উদ্ধার ও চিকিৎসা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।
কাফি
জাতীয়
বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা করাবে সরকার

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত সকলের চিকিৎসা সরকারি খরচে নিশ্চিত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
সোমবার (২১ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মঈনুল আহসান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সকল বেসরকারি হাসপাতালকে এই দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যে কোনো জটিলতা বা অপারগতা দেখা দিলে রোগীদের জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট অথবা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০ জন হয়েছে। এ ঘটনায় আহতদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭১ জন। সোমবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যায় আইএসপিআর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে, সোমবার দুপুর ১টা ১৮ মিনিটের দিকে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ী এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই মডেলের একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। আছড়ে পড়ার পরপরই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। বিমানে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির উপস্থিত ছিলেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করেছিল এবং মাত্র ১২ মিনিট পর এটি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মাইলস্টোন ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়।
এদিকে রাজধানীর দিয়াবাড়ি এলাকায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শোক বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, রাজধানীর দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে আজ বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফ-৭ বিজেআই প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি।
ড. ইউনূস বলেন, এই দুর্ঘটনায় বিমানসেনা ও মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক-কর্মচারীসহ অন্যদের যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। জাতির জন্য এটি একটি গভীর বেদনার ক্ষণ। আমি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি এবং সংশ্লিষ্ট হাসপাতালসহ সব কর্তৃপক্ষকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলার নির্দেশ প্রদান করছি।
তিনি আরও বলেন, সরকার দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করবে।
কাফি
জাতীয়
রক্তদাতাদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠাতে বিমান বাহিনীর জরুরি সেল

রাজধানীর উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার সুবিধার্থে রক্তদাতাদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠাতে বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে সমন্বয় সেল খোলা হয়েছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার (২১ জুলাই) জানানো হয়েছে, বিভিন্ন হাসপাতালে রক্তদাতাদের পাঠাতে প্রয়োজনীয় সমন্বয়ের জন্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর রেকর্ড অফিসে একটি সার্বক্ষণিক জরুরি সেল খোলা হয়েছে।
এই সেলের মোবাইল-০১৭৬৯৯৯৩৫৫৮ (হোয়াটসঅ্যাপ) নাম্বারে যোগাযোগের জন্য রক্তদাতাদের অনুরোধ করা হয়েছে।
কাফি