জাতীয়
রাজস্ব প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের তাগিদ
বাংলাদেশ কাস্টমসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অর্থপাচার প্রতিরোধসহ রাজস্ব প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, পেশাগত দক্ষতা, ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা ও যৌক্তিক সংস্কার বাস্তবায়নের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি, মজবুত অর্থনীতির ভিত গঠন, অপবাণিজ্য রোধ, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন প্রতিরোধ, অর্থপাচার প্রতিরোধসহ রাজস্ব প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) ‘আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ কাস্টমসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অংশীজনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। দিবসটির এবারের মূল প্রতিপাদ্য ‘মিলে নবীন-পুরনো অংশীজন, কাস্টমস করবে লক্ষ্য অর্জন’- সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সাল থেকে একাধারে সরকার গঠন করে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয়ে এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্ব অর্থনীতির এই সংকটময় মুহূর্তেও দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে আমাদের সরকার সফল হয়েছে। পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেলের স্বপ্ন জয় করেছি আমরা, মেট্রোরেলের যুগে প্রবেশ করেছে দেশ।
তিনি বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র, এলএনজি টার্মিনাল ও গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের কাজ অচিরেই সম্পন্ন হওয়ার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের অক্সিজেন হলো রাজস্ব। ন্যায়ানুগভাবে রাজস্ব আহরণ করার লক্ষ্যে আধুনিক রাজস্বনীতি প্রণয়ন, ডিজিটাল কাস্টমস সেবা, উন্নত তথ্য ভাণ্ডার নির্মাণ, ওয়ানস্টপ সার্ভিস প্রদান, অংশীজনদের সঙ্গে আস্থা ও সহযোগী অংশীদারত্ব গঠনসহ উত্তম পেশাদারত্বের নানান উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ কাস্টমস।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও কলকারখানা জাতীয়করণের মাধ্যমে এসবের ওপর জনগণের অংশীদারত্ব নিশ্চিত করেন। অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীলতা গঠনের পাশাপাশি অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত করার লক্ষ্যে তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গঠন করেন। ফলে দেশে রাজস্ব আদায়ের বহুমুখী খাত তৈরি হয় এবং সম্ভাবনা বাড়ে। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিলো ৯১ মার্কিন ডলার। বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছরে তা বাড়িয়ে ২৭৭ মার্কিন ডলারে উন্নীত করেন। জাতির পিতার আমলে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৯ শতাংশ অতিক্রম করে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে রাজস্ব সৈনিকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এসব কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় আমাদের লক্ষ্য হলো ২০৪১ সালের মধ্যে ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়ন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। প্রধানমন্ত্রী এসময় আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস ২০২৪ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
প্রতিবন্ধকতা কাটিয়েই অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

সব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর যে অর্পিত দায়িত্ব আছে তা পালন করতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (২৪ মে) একনেক সভার পর উপদেষ্টা পরিষদের অনির্ধারিত রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে প্রধান উপদেষ্টার কথা তুলে ধরেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ।
প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তো চলে যাবেন বলেননি। তিনি (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) বলেছেন আমরা যে কাজ করছি, আমাদের সামনে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। দায়িত্ব পালনে অনেক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। সব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়েই অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে। এই দায়িত্বের ওপর নির্ভর করবে দেশের বহু বছরের ভবিষ্যৎ। এই দায়িত্ব ছেড়ে তো আমরা যেতে পারবো না।
এর আগে, আজ দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে উপদেষ্টা পরিষদের এই বৈঠক শুরু হয়ে বেলা ২টা ২০ মিনিটে শেষ হয়।
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে ১৯ জন উপদেষ্টা অংশ নেন। এর বাইরে আর কাউকে রাখা হয়নি।
তার আগে, এনইসি সম্মেলনকক্ষে আজ বেলা ১১টায় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শুরু হয়, যা শেষ হয় দুপুর সোয়া ১২টার দিকে। বৈঠকে ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।
এর মধ্যে রয়েছে- সমবায়ের মাধ্যমে নারীদের দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা সৃজন, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একাডেমিক ভবন নির্মাণ, ১৫টি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সক্ষমতা বৃদ্ধি, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে নির্বাচিত বেসরকারি কলেজ সমূহের উন্নয়ন প্রকল্প (৩য় সংশোধিত), নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ উন্নয়নে মসজিদভিত্তিক শিক্ষা ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৮ম পর্যায়), রিকভারি অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব ইনফর্মাল সেক্টর এমপ্লয়মেন্ট: রি ইন্টিগ্রেশন অব রিটার্নিং মাইগ্রেন্টস(১ম সংশোধিত) প্রকল্প।
এ ছাড়াও গ্রিড পাওয়ার ইভাকচুয়েশন সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট ফর ওজোপাডিকো, পাওয়ার ট্রান্সমিশন ট্রেনিং অ্যান্ড ইন্টিগ্রেশন অব রিনিউয়েবল এনার্জি, আরবান ক্লাইমেট রিসাইলান্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রজেক্ট (ইউসিআরআইপি) ও প্রবৃদ্ধি: লোকাল ইকনোমিক ডেভেলপমেন্ট (এলইডি) (১ম সংশোধিত) প্রকল্প নিয়ে সভায় আলোচনা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ড. ইউনূস পদত্যাগ করছেন না: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যাচ্ছেন না, তিনি চলে যাবেন বলেননি, তিনি অবশ্যই থাকছেন। আমাদের অর্পিত দায়িত্ব বড় দায়িত্ব, এই দায়িত্ব ছেড়ে আমরা যেতে পারবো না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ।
শনিবার (২৪ মে) একনেক সভার পর উপদেষ্টা পরিষদের অনির্ধারিত রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের অন্য উপদেষ্টারা উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টারা ছাড়া রুদ্ধদ্বার বৈঠকে কাউকে রাখা হয়নি। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে বৈঠকে ১৯ জন উপদেষ্টা উপস্থিত রয়েছেন।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, আজ একনেক সভা পরবর্তী ব্রিফ হবে না। একনেক সভার পরে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শুরু হয়েছে একই সভা কক্ষে। আপনাদের পরবর্তী সময়ে একনেক সভার সারসংক্ষেপ মেইল করে পাঠানো হবে।
সভাসূত্রে জানা যায়, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উপদেষ্টাদের বাইরে আর কাউকে রাখা হয়নি। একনেক বৈঠক শেষে একে একে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, পরিকল্পনা সচিবসহ সব সরকারি কর্মকর্তাকে এনইসি কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে দেখা গেছে। চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় উপদেষ্টা পরিষদের এই বৈঠককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হচ্ছে।
এর আগে, এনইসি সম্মেলন কক্ষে বেলা ১১টায় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শুরু হয়। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে একনেক সভা শেষ হয়। বৈঠকে দশটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।
এরমধ্যে রয়েছে- সমবায়ের মাধ্যমে নারীদের দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা সৃজন, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একাডেমিক ভবন নির্মাণ, ১৫টি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সক্ষমতা বৃদ্ধি, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে নির্বাচিত বেসরকারি কলেজ সমূহের উন্নয়ন প্রকল্প (৩য় সংশোধিত), নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ উন্নয়নে মসজিদভিত্তিক শিক্ষা ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৮ম পর্যায়), রিকভারি অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব ইনফর্মাল সেক্টর এমপ্লয়মেন্ট: রি ইন্টিগ্রেশন অব রিটার্নিং মাইগ্রেন্টস(১ম সংশোধিত) প্রকল্প।
এ ছাড়াও গ্রিড পাওয়ার ইভাকচুয়েশন সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট ফর ওজোপাডিকো, পাওয়ার ট্রান্সমিশন ট্রেনিং অ্যান্ড ইন্টিগ্রেশন অব রিনিউয়েবল এনার্জি, আরবান ক্লাইমেট রিসাইলান্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রজেক্ট (ইউসিআরআইপি) ও প্রবৃদ্ধি: লোকাল ইকনোমিক ডেভেলপমেন্ট (এলইডি) (১ম সংশোধিত) প্রকল্প নিয়ে সভায় আলোচনা হয়।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিন ধরেই রাজনীতিতে চরম অস্থিরতা চলছে। এর প্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করতে চান বলে খবর বের হয়। তবে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করছেন না।
এদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ চায় না বিএনপি। তবে তিনি থাকতে না চাইলে বিকল্প বেছে নেবে জনগণ।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক জরুরি বৈঠক থেকে দলটির আমির জরুরি সর্বদলীয় বৈঠক ডাকতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে শুক্রবার রাতে জানানো হয়, বিএনপি ও জামায়াত দুই দলের সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা। শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় বিএনপি এবং রাত ৮টায় জামায়াতের সঙ্গে বৈঠক হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শত কোটি টাকা লোপাট: উপদেষ্টা আসিফের এপিএসের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও তার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্লক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ শনিবার দুদকের কার্যালয় থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জানিয়েছে, মোয়াজ্জেম হোসেন তার দায়িত্ব পালনকালে প্রভাব খাটিয়ে তদবির ও টেন্ডার সংক্রান্ত নানা অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থসম্পদ গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে যার পরিমাণ শত কোটি টাকারও বেশি।
গত বৃহস্পতিবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আরও তদন্ত ও প্রমাণ যাচাই করার স্বার্থে তার বিদেশে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি তার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সাময়িকভাবে অকার্যকর করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির খবর প্রকাশিত হওয়ার পর তাকে এপিএস পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঈদযাত্রায় ট্রেনের ৩ জুনের টিকিট বিক্রি শুরু

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের টিকিট অগ্রিম বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ঘরমুখো মানুষের এই যাত্রায় চতুর্থ দিনের (৩ জুন) ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে আজ। যাত্রীদের সুবিধার্থে অনলাইনের মাধ্যমে শতভাগ আসনের টিকিট বিক্রি করা হবে।
শনিবার (২৪ মে) সকাল ৮টায় বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলে চলাচল করা ট্রেনগুলোর আসনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। এ ছাড়া দুপুর ২টায় বিক্রি শুরু হবে পূর্বাঞ্চলে চলাচল করা ট্রেনগুলোর আসনের টিকিট।
এবার শুধু ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর মোট আসন সংখ্যা থাকছে ৩৩ হাজার ৩১৫টি। ঈদ উপলক্ষে রেলওয়ের নেওয়া কর্মপরিকল্পনা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কর্মপরিকল্পনার তথ্যমতে, ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৩১ মের আসন বিক্রি হয়েছে ২১ মে, ১ জুনের আসন বিক্রি হয়েছে ২২ মে, ২ জুনের আসন বিক্রি হয়েছে ২৩ মে, ৪ জুনের আসন বিক্রি হবে ২৫ মে, ৫ জুনের আসন বিক্রি হবে ২৬ মে এবং ৬ জুনের আসন বিক্রি হবে ২৭ মে।
রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঈদের আগে ৭ দিনের ট্রেনের আসনের টিকিট বিশেষ ব্যবস্থায় অগ্রিম হিসেবে বিক্রি করবে। এ সময় কেনা টিকিটগুলো যাত্রীরা রেলওয়েকে ফেরত দিতে পারবেন না। প্রতিজন টিকিটপ্রত্যাশী ৪টি আসনের টিকিট একবার একসঙ্গে সংগ্রহ করতে পারবেন।
ঈদ পরবর্তী ফেরত যাত্রায় ৯ জুনের অগ্রিম টিকিট ৩০ মে পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ১০ জুনের টিকিট ৩১ মে, ১১ জুনের টিকিট ১ জুন, ১২ জুনের টিকিট ২ জুন, ১৩ জুনের টিকিট ৩ জুন, ১৪ জুনের টিকিট ৪ জুন এবং ১৫ জুনের অগ্রিম টিকিট ৫ জুন পাওয়া যাবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক আজ

চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বৈঠকে বসছেন। আজ শনিবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর উপদেষ্টা ভবনে এই দুই দলের সঙ্গে পৃথক বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী দুই দলই শুক্রবার পৃথকভাবে প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। নির্দিষ্ট সূত্র জানায়, আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিএনপির প্রতিনিধিদের সঙ্গে এবং রাত ৮টায় জামায়াতে ইসলামী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা।
তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য শুক্রবার রাতে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বৈঠকে অংশগ্রহণের বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, পরে জানানো হবে।
এর আগে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের সময় চাওয়া হয়। এরপরই উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে মৌখিকভাবে শনিবার রাতে বৈঠকের সময় জানানো হয় বলে নিশ্চিত করেছেন দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।
তিনি বলেন, “চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলাপের জন্য আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি, এ ধরনের সংলাপ সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুলে দিতে পারে।”
জানা গেছে, বৈঠকে নির্বাচন, বিচারব্যবস্থা, প্রশাসনিক সংস্কার এবং সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরাজমান টানাপড়েনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে। বিশেষ করে বিরোধী জোটভুক্ত দলগুলোর মধ্যে ঐক্য ফিরিয়ে আনার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।
এদিকে, জামায়াতের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, দলটি মনে করে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ কোনো সমাধান নয়। বরং তারা চান, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বেই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।
এর আগে, জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান এক বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টাকে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি সর্বদলীয় বৈঠকের আহ্বান জানান।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমান উত্তপ্ত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে প্রধান উপদেষ্টার এই উদ্যোগ পরিস্থিতি শান্ত করার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। তবে আলোচনার ফলাফল এবং দলগুলোর প্রতিক্রিয়া পরিস্থিতির গতিপথ নির্ধারণ করবে।
কাফি