কর্পোরেট সংবাদ
মোস্ট লাভড পার্সোনাল কেয়ার ক্যাটাগরিতে প্রথম হলো প্যারাসুট অ্যাডভান্সড

বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত ‘বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ডস’-এর ১৫তম আসরে মোস্ট লাভড পার্সোনাল কেয়ার ব্র্যান্ড ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে প্যারাসুট অ্যাডভান্সড। এ নিয়ে টানা ১৪ বারের মতো মোস্ট লাভড হেয়ার অয়েল ব্র্যান্ডের প্রথম পুরস্কার জিতেছে ব্র্যান্ডটি। এছাড়া, সকল ক্যাটাগরিতে ব্র্যান্ডটি অষ্টম স্থান অর্জন করেছে৷
বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম এনসার্চের সহযোগিতায় একটি গ্লোবাল মডেলের (উইনিং ব্র্যান্ডস) উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশে ‘বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছে। দেশব্যাপী দশ হাজার গ্রাহকের মতামত ও সমীক্ষার উপর ভিত্তি করে ৪০টি আলাদা ক্যাটাগরিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলোকে বেছে নেয়া হয় এবং সকল ক্যাটাগরির মধ্যে ১৫টি শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডকে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
গত কয়েক বছরে প্যারাসুট অ্যাডভান্সড বাংলাদেশের এফএমসিজি ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে। গ্রাহকের ভিন্ন ভিন্ন চাহিদা মেটাতে প্যারাসুট অ্যাডভান্সড বছরের পর বছর ধরে হেয়ার অয়েল ক্যাটাগরিতে একাধিক পণ্য বাজারে নিয়ে এসেছে, যার মধ্যে রয়েছে; প্যারাসুট অ্যাডভান্সড বেলিফুল, প্যারাসুট অ্যাডভান্সড অ্যালোভেরা অয়েল, প্যারাসুট অ্যাডভান্সড এক্সট্রা কেয়ার এবং প্যারাসুট অ্যাডভান্সড অনিয়ন হেয়ার গ্রোথ অয়েল অন্যতম।
গত কয়েক বছরে গ্রাহকদের নিত্যনতুন চাহিদা মেটাতে নানা ধরণের পণ্য এনেছে প্যারাসুট অ্যাডভান্সড। শ্যাম্পু ক্যাটাগরিতে প্যারাসুট ন্যাচারেল শ্যাম্পু। বেবি কেয়ার ক্যাটাগরিতে নিয়ে এসেছে প্যারাসুট জাস্ট ফর বেবি- যার মধ্যে রয়েছে বেবি লোশন, বেবি পাউডার এবং বেবি ফেসক্রিম। স্কিন কেয়ার ক্যাটাগরিতে নিয়ে এসেছে প্যারাসুট স্কিনপিউর, যার মধ্যে রয়েছে বডি লোশন, পেট্রোলিয়াম জেলি, অ্যালোভেরা জেল এবং ফেস ওয়াশ।
অনুষ্ঠানে ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের কান্ট্রি হেড সুমিতাভা বসু বলেন, “আমি দেশের সকল ভোক্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই যাদের অকৃত্তিম ভালবাসায় এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। প্যারাসুট অ্যাডভান্সড দৈনন্দিন পার্সোনাল কেয়ারের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ, আর তাই দেশের বেস্ট লাভড ব্র্যান্ড হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া প্যারাসুট অ্যাডভান্সডের জন্য সত্যিকার অর্থেই একটি বিশাল মাইলফলক। এই অর্জনকে পুঁজি করে আগামীতেও ভোক্তাদের প্রতি প্রতিশ্রুতি বজায় রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। এই অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং আমাদের স্বীকৃতি প্রদানের জন্য বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামকে আন্তরিক ধন্যবাদ।”
অর্থসংবাদ/এমআই

কর্পোরেট সংবাদ
সেরা নারী চিফ টেকনোলজি অফিসার অ্যাওয়ার্ড জিতলেন ব্র্যাক ব্যাংকের নুরুন নাহার

যুক্তরাজ্যের খ্যাতনামা ম্যাগাজিন ‘উইমেন’স ট্যাবলয়েড পাবলিকেশনস ইউকে’ ব্র্যাক ব্যাংকের চিফ টেকনোলজি অফিসার (সিটিও) নুরুন নাহার বেগমকে ‘বেস্ট ওম্যান সিটিও’ অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে। লন্ডনভিত্তিক এই জনপ্রিয় ম্যাগাজিনটি বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে, বিশেষ করে প্রযুক্তি খাতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এ পুরস্কার প্রদান করেছে।
‘উইমেন’স ট্যাবলয়েড অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫’ অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ব্যাংকের সিটিও-কে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।
ম্যাগাজিনটির এমন আয়োজনের লক্ষ্য হলো, ঊর্ধ্বতন ও সিএক্সও পর্যায়ের অসাধারণ নারী নেতৃত্ব, নারী উদ্যোক্তা এবং নারীকেন্দ্রিক উদ্যোগে প্রতিশ্রুতিশীল প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বীকৃতি ও সম্মাননা জানানো।
ব্র্যাক ব্যাংকের হোমগ্রোন ট্যালেন্ট নুরুন নাহার বেগম বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতের শীর্ষস্থানীয় নারীদের একজন। বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে প্রথম ও একমাত্র নারী সিটিও হিসেবে তিনি প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং বিপ্লবের পথিকৃৎ। আর্থিক প্রযুক্তি খাতে ২৫ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নুরুন নাহার বেগম শুধু সিনিয়র লিডার হিসেবেই নয়, বরং দেশের প্রযুক্তি খাতে নারীদের জন্য জাতীয় অনুপ্রেরণার প্রতীক হিসেবেও তিনি সুপরিচিত।
বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতে পুরুষ আধিপত্য লক্ষণীয়। এমন একটি খাতে বাধা-বিপত্তি ভেঙে তিনি ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে গিয়েছেন এবং তৈরি করেছেন এমন এক স্ট্যান্ডার্ড, যা নতুন ক্ষেত্র তৈরি করার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে। তাঁর কাজ শুধু ব্র্যাক ব্যাংককে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের শীর্ষেই নেয়নি, বরং বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নারীরা কী কী করতে পারে, সেটিও নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করেছে।
নুরুন নাহার বেগমের এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রসঙ্গে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, নাহার ব্র্যাক ব্যাংকের ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি। ব্যাংকের শুরুর যাত্রা থেকেই তিনি শক্তিশালী প্রযুক্তি অবকাঠামো গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। গ্রাহকদের জন্য দ্রুত, সহজ, সুবিধাজনক ও নিরাপদ ব্যাংকিং নিশ্চিত করতে তাঁর অভিজ্ঞতা অসংখ্য ডিজিটাল প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা করেছে। এই অর্জন ব্র্যাক ব্যাংক পরিবারের জন্য এক গৌরবময় মুহূর্ত। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সম্মাননা বাংলাদেশের অন্যান্য কর্পোরেট পেশাজীবীদের তাঁদের ক্যারিয়ারে উৎকর্ষতা সাধনে অনুপ্রাণিত করবে।
প্রযুক্তি ক্ষেত্র ছাড়াও নুরুন নাহার বেগম নারী ক্ষমতায়নে এক অগ্রণী কণ্ঠস্বর। তিনি ব্র্যাক ব্যাংকের ইন্টার্নাল উইমেন ফোরাম ‘তারা ফোরাম’-এর নেতৃত্ব দিয়েছেন। উল্লেখ্য, এই ফোরামটি ব্র্যাক ব্যাংককে দেশের অন্যতম নারীবান্ধব প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে।
কর্পোরেট সংবাদ
ব্রিটিশ কাউন্সিলের উদ্যোগে টেকসই স্থাপত্য নিয়ে গবেষণা

বাংলাদেশের টেকসই স্থাপত্য নিয়ে একটি গবেষণাধর্মী উদ্যোগ নিয়েছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। ব্রিটিশ কাউন্সিলের অর্থায়নে পরিচালিত এই গবেষণাটি পরিচালনার জন্য এই বছরের মার্চ মাসে বেঙ্গল ইনস্টিটিউট ফর আর্কিটেকচার একটি প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত হয়।
গবেষণায় নিযুক্ত দলটি এখন মাঠ পর্যায়ে দেশজুড়ে বিদ্যমান টেকসই এবং জলবায়ু-সহনশীল স্থাপত্যচর্চা ও এ সংক্রান্ত পদ্ধতিগুলোর নথিভুক্তকরণ এবং সংক্ষিপ্ত বিবরণ প্রস্তুত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। এই উদ্দেশ্যে এসকল প্রকল্পগুলোর স্থপতি, স্থাপত্য তত্ত্বাবধায়ক এবং ব্যবহারকারীদের সাক্ষাৎকার ভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণ করে, স্থাপত্যচর্চার অন্তর্নিহিত বৃহত্তর প্রেক্ষাপট তুলে ধরার মাধ্যমে চর্চাগুলোর প্রায়োগিক ব্যবহারবিধি উপস্থাপন করা হবে।
বাংলাদেশে টেকসই স্থাপত্য বিষয়ক গবেষণার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর প্রোগ্রামস ডেভিড নক্স বলেছেন, পরিবেশ এবং অর্থনীতির জন্য টেকসই স্থাপত্য বর্তমানে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে, কারণ এটি সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন এবং ব্যবহারিক রূপরেখার এক অসাধারণ সমন্বয়। এটি জলবায়ু সহনশীলতাকে সমর্থন করতে পারে, সেই সাথে ব্যবসা ও কর্মসংস্থানের জন্য নতুন অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি করতে পারে।
বেঙ্গল ইন্সটিটিউট ফর আর্কিটেকচার, ল্যান্ডস্কেপস এন্ড সেটেলমেন্টসের মহাপরিচালক অধ্যাপক কাজী খালিদ আশরাফ আরও বলেন, বাংলাদেশে টেকসই স্থাপত্যচর্চা একসময় আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ ছিল। কিন্তু সময়ের পরিবর্তন আর পরিবেশগত চ্যালেঞ্জের কারণে সেই চর্চাগুলোকে আবার নতুনভাবে ভাবা এবং পুনরুজ্জীবিত করা জরুরি হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি, কমিউনিটিভিত্তিক উদ্যোগ আর পেশাদার পর্যায়ে যে সব নতুন উদ্ভাবন হচ্ছে, সেগুলো চিহ্নিতকরণও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
অধ্যাপক কাজী খালিদ আশরাফের নেতৃত্বে এই উদ্যোগের নকশা ও নির্দেশনা প্রদানকারী গবেষণা দলে রয়েছেন- বেঙ্গল ইনস্টিটিউট ফর আর্কিটেকচার, ল্যান্ডস্কেপস অ্যান্ড সেটেলমেন্টসের পরিচালক স্থপতি নুসরাত সুমাইয়া; যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েস্টমিনস্টারের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো অধ্যাপক রিপিন কালরা; ঢাকার সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক ড. আতিকুর রহমান; এবং ঝিনাইদহ এবং ঢাকার স্থপতি এবং ল্যান্ডস্কেপ বিষয়ক স্থপতি খোন্দকার হাসিবুল কবির।
কর্পোরেট সংবাদ
পুলিশ ও বিকাশের উদ্যোগে দুই জেলায় সমন্বয় কর্মশালা

মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মতো গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় সেবাকে আরও সুরক্ষিত করতে এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে এর ব্যবহার প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে পৃথক দুটি কর্মশালার আয়োজন করেছে ময়মনসিংহ ও বান্দরবান জেলা পুলিশ এবং বিকাশ।
সম্প্রতি, ময়মনসিংহ ও বান্দরবান জেলা পুলিশ-এর স্ব স্ব পুলিশলাইন্স ড্রিলশেডে ‘মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের অপব্যবহার তদন্ত ও প্রতিরোধ’ শীর্ষক পৃথক দুটি দিনব্যাপী কর্মশালায় জেলা পুলিশ দুটির ১৩০ জন তদন্ত কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ-এর সঙ্গে কর্মশালায় ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম এবং বান্দরবান জেলা পুলিশ এর সঙ্গে কর্মশালায় বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ কাওছার জেলা দুটির পক্ষ থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিকাশ-এর পক্ষ থেকে উভয় কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন বিকাশ-এর ইভিপি ও হেড অব এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স মেজর এ কে এম মনিরুল করিম (অব.)।
অপরাধী চক্র সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্য কীভাবে কাজে লাগিয়ে তাদের শনাক্ত করা ও আইনের আওতায় আনা যায়, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এই কর্মশালাগুলোতে। এতে প্রযুক্তির ব্যবহার করে তদন্ত কর্মকর্তারা গ্রাহকের হারানো টাকা অনুসন্ধানের কৌশল, ডিজিটাল লেনদেন মনিটরিংয়ের মাধ্যমে অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধের উপায় এবং তদন্তের প্রয়োজনে বিকাশ-এর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কীভাবে খুব সহজেই যোগাযোগ করা যায় – এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এছাড়া, কোনো অপরাধমূলক ঘটনা সংঘটিত হওয়াকালীন তৎক্ষণাৎ কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, তা নিয়েও কর্মশালাগুলোতে আলোকপাত করা হয়।
উল্লেখ্য, ডিজিটাল লেনদেনে প্রতিটি লেনদেন মনিটর ও ট্র্যাক করা যায়। ফলে পুলিশ, ডিবি, সিআইডি, পিবিআই সহ সকল তদন্ত কর্মকর্তাদের অনুসন্ধান প্রক্রিয়া অনেক নির্ভুল, সহজ ও দ্রুত হয়। এ বিষয়ে বিকাশ ২০১৭ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে ‘মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস এর অপব্যবহার তদন্ত ও প্রতিরোধ’ শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করে আসছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় অনুষ্ঠিত বিকাশ-এর নিয়মিত এই আয়োজনে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ৪,৫০০ তদন্ত কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেছেন।
কর্পোরেট সংবাদ
রোটারি ক্লাব অব ঢাকা নর্থ ওয়েস্টের ৫০তম ইনস্টলেশন ও সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন

বাংলাদেশের অগ্রগামী রোটারি ক্লাবগুলোর অন্যতম রোটারি ক্লাব অব ঢাকা নর্থ ওয়েস্ট তাদের ৫০তম ইনস্টলেশন অনুষ্ঠান এবং সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছে।
গত শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা ক্লাবে জাঁকজমকপূর্ণভাবে এটি উদযাপন করা হয়। এ আয়োজনের মাধ্যমে ক্লাবটির ১৯৭৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠা এবং একই বছরের ৩০ জুন চার্টারপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে দীর্ঘ সেবাযাত্রা ও নেতৃত্বের সাফল্যকে স্মরণ করা হয়। তৎকালীন জেলা গভর্নর ইফতেখারুল আলম, পিএইচএফ-এর দিকনির্দেশনায় এবং রোটারি ক্লাব অব ঢাকা নর্থের স্পন্সরে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ছিল বাংলাদেশের ১৩তম ও ঢাকার ৪র্থ রোটারি ক্লাব।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাস্ট প্রেসিডেন্ট লায়লা রোজী, আর কো-কনভেনার ও উপস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রোটারিয়ান মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল। এসময় রোটারিয়ান, অতিথি, অংশীদার ও শুভানুধ্যায়ীদের উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে আরও বর্ণময় করে তোলে, যেখানে অর্ধশতকব্যাপী ক্লাবটির “সার্ভিস এবোভ সেলফ”-এর উত্তরাধিকারকে সম্মান জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে নতুন বোর্ড অব ডিরেক্টরসের দায়িত্বভার গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। রোটারিয়ান ইঞ্জি. আব্দুর রহিম চৌধুরী ২০২৫–২৬ রোটারি বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সঙ্গে ছিলেন সেক্রেটারি শহীদ সাদ উল্লাহ এবং নতুন বোর্ড সদস্যবৃন্দ। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট আইপিপি অরজুদা রহমান এবং বিদায়ী সেক্রেটারি রোটারিয়ান শারমিন রহমান-কে তাদের অসাধারণ সেবা ও অবদানের জন্য বিশেষভাবে সম্মাননা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট সদস্য ও অবদানকারীদের বিশেষ স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। নতুন সদস্যদের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে ক্লাবের সেবার পরিধি আরও সম্প্রসারিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ প্রফেসর আবদুল্লাহ আবু সাঈদ এবং অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
পূর্বতন ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ, স্পন্সর, পার্টনার এবং সমর্থকদের অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়। অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘটে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ নৈশভোজের মাধ্যমে।
এসময় প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান ইঞ্জি. আব্দুর রহিম চৌধুরী বলেন, এই ঐতিহ্যবাহী ক্লাবকে নেতৃত্ব দেওয়া আমার জন্য যেমন গৌরবের, তেমনি একটি বড় দায়িত্বও। আমরা রোটারির মূল মূল্যবোধ ধারণ করে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করে যাব।
১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত রোটারি ক্লাব অব ঢাকা নর্থ ওয়েস্ট বাংলাদেশে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট, যুবশক্তি উন্নয়ন ও মানবিক কর্মকাণ্ডে অবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। রোটারি ইন্টারন্যাশনালের অংশ হিসেবে—যার রয়েছে বিশ্বব্যাপী ১.৪ মিলিয়ন সদস্য—ক্লাবটি শান্তি প্রতিষ্ঠা, রোগ প্রতিরোধ, শিক্ষা সহায়তা, স্থানীয় অর্থনীতি বিকাশ এবং পরিবেশ সুরক্ষার জন্য কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
কর্পোরেট সংবাদ
আইএফআইসি ব্যাংকে বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মকর্তাদের পদোন্নতি প্রদান

পেশাগত কর্মদক্ষতা ও টেকসই প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরুপ আইএফআইসি ব্যাংকের ১১৫ জন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন পদে পদোন্নতি প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আইএফআইসি টাওয়ারে আয়োজন করা হয় ‘সেলিব্রেটিং ক্যারিয়ার প্রগ্রেশন’ শীর্ষক পদোন্নতি প্রদান অনুষ্ঠান। হাইব্রিড মডেলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা ও সিনিয়র ম্যানেজম্যান্ট টিমের সদস্যরা ৪১ জন কর্মকর্তার কাছে সরাসরি পদোন্নতি পত্র হস্তান্তর করেন।
এসময় বিভিন্ন শাখা-উপাশাখা থেকে পদোন্নতিপ্রাপ্ত আরো ৭৪ জন কর্মকর্তার কাছে ভার্চুয়ালী পদোন্নতি পত্র প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে সৈয়দ মনসুর মোস্তফা পদোন্নতি প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আইএফআইসি ব্যাংকের অগ্রগতির মূল চালিকাশক্তি আমাদের নিষ্ঠাবান, দক্ষ ও প্রতিশ্রুতিশীল কর্মীবৃন্দ। তাঁদের নিরলস পরিশ্রম ও অঙ্গীকারের ফলেই প্রতিষ্ঠান আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছে। মেধা ও সাফল্যের স্বীকৃতি কেবল ব্যক্তিগত অর্জনের অনুভূতি সৃষ্টি করে না, বরং এটি প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে একটি সহযোগিতামূলক, অনুপ্রেরণামূলক এবং ইতিবাচক পরিবেশ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, যা ভবিষ্যতের পথচলাকে আরও সুসংহত ও দৃঢ় করে তোলে।
উল্লেখ্য, পেশাগত উন্নয়নের ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে চলতি বছরে আইএফআইসি ব্যাংক ৭৭৭ জন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন পদে পদোন্নতি প্রদান করেছে।