জাতীয়
ফাইল আটকে রাখার অভিযোগে ছাড় দেওয়া হবে না: দীপু মনি

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সেবা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মূল কাজ। কিন্তু তৃণমূল মানুষের এ কাজ করতে গিয়ে কোনো অভিযোগ যেন না শুনি। কোথাও ফাইল আটকে রাখার খবর যেন না শুনি। এ ধরনের কোনো অভিযোগ বরদাস্ত করা হবে না।
রোববার (২১ জানুয়ারি) শেরেবাংলা নগরে সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরে ৫৩তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
দীপু মনি বলেন, তৃণমূল সাধারণ মানুষের সেবা, সুরক্ষা, কর্মসংস্থানসহ নানাবিধ সুবিধা সমাজসেবা অধিদপ্তর কাজ করে থাকে। এ কাজ করতে গিয়ে কোথাও যেন কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনতে না পাই। আমি রাজনীতির মানুষ। আমি সারা দেশ চষে বেড়ানোর মানুষ। আমি জেলা উপজেলা এমনকি গ্রামে পর্যন্ত ঘুরে বেড়াব। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে যেন শুনতে না পাই আপনারা অমুক কর্মকর্তা সাধারণ মানুষকে সেবা দিতে হয়রানি করেন। ফাইল আটকে রাখেন। এ ধরনের অভিযোগ ছাড় দেওয়া হবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ বয়সেও দিনে ১৬-১৭ ঘণ্টা কাজ করতে পারেন। আপনাদের দিনে যে কর্মঘণ্টা তা যথাযথভাবে পালন করবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা থাকবে।
সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু সালেহ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব খায়রুল আলম শেখ। অনুষ্ঠানে প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
পুলিশের চাকরি ছাড়লেন পাঁচ এএসপি

চাকরি ছেড়েছেন বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ৪১তম ব্যাচের পাঁচজন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি)।
মঙ্গলবার (২০ মে) প্রকাশিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমানের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে এতে পাঁচ কর্মকর্তার চাকরি ছাড়ার কোনো কারণ জানানো হয়নি।
সূত্র বলছে, পুলিশ ক্যাডারে নিয়োগ পাওয়া এসব কর্মকর্তা পুলিশে চাকরি করতে চান না। তারা সরকারের অন্য একাধিক বিভাগে চাকরির সুযোগ পেয়েছেন। এ কারণে তারা পুলিশের চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৪১তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চাকরি থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
চাকরি ছাড়লেন যারা—
৪১তম বিসিএসের রবিউল রায়হান, মো. সুজনুর ইসলাম সুজন, শানিরুল ইসলাম শাওন, মো. মাসুদ রানা ও কৌশিক ভদ্র। চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন তারা।
যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করা হলো বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আমাদের পাওনা পরিশোধ না হলে যমুনা ছাড়বো না

বেতন ও বোনাসের দাবিতে গাজীপুরের টিএনজেড গ্রুপের কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবনের দিকে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যান। কাকরাইল মসজিদের সামনের মোড়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তাঁরা। সেখানেই তাঁরা অবস্থান করছেন।
মঙ্গলবার (২০ মে) বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনের সামনে থেকে শ্রমিকেরা মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে মিছিল নিয়ে যান। তাঁরা বেতনের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন।
এসময় এক পোশাকশ্রমিকরা বলেন, আমাদের পাওনা পরিশোধ না হলে যমুনা ছাড়বো না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করলে বরদাশত করা হবে না

আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করলে তা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
মঙ্গলবার (২০ মে) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গতকাল রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় সংবাদ আসে যে, ধানমন্ডি ৪ নম্বর সড়কের একটি বাড়িতে কতিপয় ব্যক্তি গেট ভেঙে জোরপূর্বক প্রবেশের চেষ্টা করছে। এরপর ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে ১৫ থেকে ২০ জন লোক অবস্থান করছিল এবং তারা বাড়িতে জোরপূর্বক প্রবেশের চেষ্টা করছিল। এ সময় পুলিশ তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে, আর তারা উত্তেজিত ও মারমুখী আচরণ করে। তারা মো. গোলাম মোস্তফা নামক এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের ওপর চাপ প্রয়োগ করে। একপর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তী সময়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনাক্রমে ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো বেআইনি কর্মকাণ্ডে জড়িত না হওয়ার শর্তে তাদেরকে বিকেল সাড়ে ৩টায় মুচলেকা গ্রহণপূর্বক ছেড়ে দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে পুলিশকে দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে পুনরায় অনুরোধ করা হলো। এ ছাড়া কোনো ব্যক্তি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাউকে অহেতুক হয়রানি করলে বা আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার চেষ্টা করলে বিষয়টি তাৎক্ষণিক জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ অথবা নিকটস্থ থানায় অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো। ভবিষ্যতে কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কোনো নৈরাজ্য পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে তা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বৃষ্টিতে ভিজে আন্তঃক্যাডারদের মানববন্ধন

প্রশাসন ক্যাডার কর্তৃক বৈষম্যমূলকভাবে বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত ও বিভাগীয় মামলার প্রতিবাদে এবং কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা, ডিএস পুলের কোটা বাতিল ও সকল ক্যাডারের সমতা বিধানের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে সিভিল সার্ভিসের ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার (২০ মে) আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের আহ্বানে ঢাকায় কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার চত্বরে পরিষদের অন্তর্ভুক্ত ২৫ ক্যাডারের সদস্যরা এই কর্মসূচি পালন করেন।
এ সময় জানানো হয়, সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখির জন্য ২৫ ক্যাডারের ১২জন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে বিষয়টি সমাধানের জন্য আশ্বস্ত করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টিকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। অথচ, প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অত্যন্ত আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন, সরকারি বিধি-বিধান ভঙ্গ করে মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরে মারামারি করেছেন, মিছিল করেছেন। তারপরও তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
কয়েকদিন আগে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন উপসচিব পুলে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০% কোটা রেখে অন্যান্য ২৫টি ক্যাডারের জন্য ৫০% পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগের সুপারিশ করে। ‘আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ’ এর সাথে কোনো রকম আলোচনা ছাড়া এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
কর্মকর্তারা বলেন, একটি নির্দিষ্ট ক্যাডারের গোষ্ঠী-স্বার্থে উদ্দেশ্যমূলকভাবে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিসংখ্যান, ডাক, পরিবার-পরিকল্পনা, কাস্টমস ও ট্যাক্স ক্যাডারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি করা হয়েছে। এ সময় আরও বলা হয়, পক্ষপাত দুষ্ট জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ‘আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ’ এর সাথে কোন রকম আলোচনা ছাড়া একটি ক্যাডারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে। এ বিষয়ে সরকারের উপদেষ্টাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তারা জানিয়েছিলেন যে, “এটাই চূড়ান্ত নয়, ঐকমত্য কমিশনে দাবি জানাবেন।”
অন্যদিকে ঐকমত্য কমিশন নিজেরা কিছু না করে, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের উপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত করার চেষ্টা করছেন। জবাবদিহিমূলক জনবান্ধব সিভিল সার্ভিসের দাবিকে অগ্রাহ্য করে, একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর স্বার্থে ৫৫ হাজার ক্যাডার কর্মকর্তার দাবিকে উপেক্ষা করা হলে, তা প্রত্যাখ্যান করবে পরিষদ। এসময় পরিষদের পক্ষ থেকে কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় (ক্যাডার যার, মন্ত্রণালয় তার) বাস্তবায়ন, উপসচিব পদে কোটাপদ্ধতি বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ , সকল ক্যাডারের সমতা বিধান ও বিভিন্ন ক্যাডারে সৃষ্ট জটিলতা দ্রুত নিরসনের আহ্বান জানানো হয়।
তারা বলেন, ডিএস পুলের কোটাকে কোনভাবেই মেনে নেবে না পরিষদ। এটা জুলাই বিপ্লবের সাথে সাংঘর্ষিক। কোটা বজায় রাখার জন্য এদেশের এত ছাত্র-জনতা জীবন দেন নাই। জুলাই পরবর্তী সকল কোটার অবসান হয়েছে, ডিএস পুলের কোটাও বাতিল করতে হবে। জবাবদিহিমূলক জনবান্ধব সিভিল প্রশাসনের দাবিতে পরিষদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে কর্মকর্তারা দৃঢ়তা প্রকাশ করেন। আগামী ২৬ মে তারিখের মধ্যে সাময়িক বরখাস্ত ও বিভাগীয় মামলা প্রত্যাহার করা না হলে আগামী ২৭ ও ২৮ মে তারিখে অর্ধদিবস (সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত) কলমবিরতি কর্মসূচী পালন করা হবে বলে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, পরিষদের পক্ষ থেকে একই দাবিতে গত ২ মার্চ তারিখে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করা হয়। এছাড়াও, গতবছর ২৪ ডিসেম্বর তারিখে সারাদেশে ১ ঘন্টার কলম বিরতি কর্মসূচি ও ২৬ ডিসেম্বরে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দেশে স্টারলিংকের যাত্রা শুরু হওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

বাংলাদেশে স্টারলিংকের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ মঙ্গলবার (২০ মে) প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা জানান।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, স্টারলিংক বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে। আজ সকালে এক্স হ্যান্ডেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
স্টারলিংক বাংলাদেশে প্রাথমিকভাবে দুটি ইন্টারনেট প্যাকেজ চালু করেছে- রেসিডেন্স এবং রেসিডেন্স লাইট। এই প্যাকেজগুলোর মাসিক মূল্য যথাক্রমে ৬ হাজার টাকা ও ৪ হাজার ২০০ টাকা।
সংযোগ গ্রহণের জন্য গ্রাহকদের এককালীন ৪৭ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি হার্ডওয়্যার কিট কিনতে হবে, যেখানে থাকবে স্যাটেলাইট ডিশ, ওয়াইফাই রাউটার, মাউন্টিং ট্রাইপড এবং প্রয়োজনীয় ক্যাবল।
এই প্যাকেজগুলোতে কোনো নির্ধারিত ডেটা সীমা নেই এবং ব্যবহারকারীরা ব্যক্তিগত পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৩০০ এমবিপিএস গতিতে ইন্টারনেট সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। স্টারলিংকের এই সেবা দেশের প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকাগুলোতেও উচ্চগতির ইন্টারনেট নিশ্চিত করবে।
এদিকে খরচ কিছুটা বেশি হলেও স্টারলিংক প্রিমিয়াম গ্রাহকদের জন্য একটি উচ্চমান ও উচ্চগতির টেকসই ইন্টারনেট সেবার বিকল্প হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বিশেষ করে, যেসব অঞ্চলে এখনো ফাইবার অপটিক বা দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছায়নি, সেখানে এই সেবা নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। এতে কোম্পানিগুলো ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ পাবে। এ ছাড়াও এনজিও, ফ্রিল্যান্সার ও উদ্যোক্তারা সারা বছর ধরে নিরবিচ্ছিন্ন, নির্ভরযোগ্য উচ্চগতির সংযোগ ব্যবহার করতে পারবেন- যা তাদের কর্মদক্ষতা ও কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এদিকে স্টারলিংকের প্রতিটি ডিভাইসের ওপর ট্যাক্স আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। এই দিনে দেশে নতুন টেলিগ্রাম সেবা যুক্ত হয়েছে। প্রথমবারের মতো স্যাটেলাইট ইন্টারনেটে প্রবেশ করলাম আমরা। স্টারলিংকের ডেটার লিমিট থাকবে না। আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহক।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
কাফি