পুঁজিবাজার
ইউসিবি পারপেচুয়াল বন্ডের সাবস্ক্রিপশন শেষ আজ
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) পিএলসির সেকেন্ড পারপেচুয়াল বন্ডের সাবস্ক্রিপশন আজ বিকাল সাড়ে ৪টায় শেষ হবে। যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের জন্য এ সাবস্ক্রিপশন ১৪ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত বছরের ২৬ জুন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৮৭৩তম সভায় ইউসিবির ৩০০ কোটি টাকার সেকেন্ড পারপেচুয়াল বন্ডের অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। গত মাসে বন্ড ইস্যুর সম্মতি দেয় সংস্থাটি।
তথ্যানুসারে, ইউসিবি সেকেন্ড পারপেচুয়াল বন্ডের ন্যূনতম সাবস্ক্রিপশনের পরিমাণ ৫ হাজার টাকা বা এর গুণিতক। এতে সর্বোচ্চ কোনো সীমা রাখা হয়নি।
বন্ডটি আনসিকিউরড, কনটিনজেন্ট-কনভার্টিবল, ফুললি পেইড-আপ নন-কিউমুলেটিভ। এর মধ্যে ২৭০ কোটি টাকা প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ও ৩০ কোটি টাকা পাবলিক অফারের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। বন্ডটির কুপন হার ৬-১০ শতাংশ। বন্ডটির প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ৫ হাজার টাকা।
বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থে ইউসিবি টায়ার-১ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করবে। এ বন্ডের ট্রাস্টির দায়িত্বে রয়েছে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও অ্যারেঞ্জারের দায়িত্ব পালন করছে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। এর ইস্যু ব্যবস্থাপনা ও অবলেখনের দায়িত্বে রয়েছে যথাক্রমে প্রাইম ফাইন্যান্স ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড ও সোনালী ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। বন্ডটি অলটারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে।
২০২৩ হিসাব বছরের তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) পিএলসির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২০ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৩২ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ৭১ পয়সায়, আগের হিসাব বছরের একই সময় শেষে যা ছিল ২৭ টাকা ৪৬ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)।
সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরের জন্য মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে পর্ষদ।
এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৩৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৭৮ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ শেষে ব্যাংকটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ৫৭ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ২৬ টাকা ৫৯ পয়সা।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে ইউসিবি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে ইউসিবি। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। ২০১৯ হিসাব বছরের জন্যও শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল ব্যাংকটি।
ডিএসইতে গতকাল ইউসিবির শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ১২ টাকা ৪০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ১২ টাকা ৪০ পয়সা ও ১৩ টাকা।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
চেয়ারম্যানের মায়ের মৃত্যুতে ডিএসইর শোক
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলামের মা রহিমা খাতুনের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে ডিএসই। রোববার (২৪ নভেম্বর) ডিএসইর ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত একটি শোক র্বাতা প্রকাশ করা হয়।
জানা যায়, ডিএসইর চেয়ারম্যানের মা বার্ধক্যজনিত কারণে গত শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিলো ৮৪ বছর। পরবর্তী ওইদিন জুমার নামাজ শেষে ঝিনাইদহ জেলা কবরস্থানে তাকে সমাধি করা হয়।
মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনার জন্য সকল ট্রেকহোল্ডার এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রার্থনার অনুরোধ জানিয়েছে ডিএসই।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
গত ৩০ সেপ্টেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই’২৪-সেপ্টেম্বর’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৩০ পয়সা আয় হয়েছে। গত বছর একই সময়ে ৩৪ পয়সা আয় হয়েছিল।
হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৯ মাসে (জানুয়ারি’২৩-সেপ্টেম্বর’২৩) শেয়ার প্রতি কোম্পানিটির ৯৫ পয়সা আয় হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৯৪ পয়সা।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর,২০২৪ তারিখ কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৪ টাকা ১৯ পয়সা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
কাট্টালি টেক্সটাইলের ক্যাটাগরি পরিবর্তন
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কাট্টালি টেক্সটাইল লিমিটেডের ক্যাটাগরির অবনতি হয়েছে। কোম্পানিটিকে ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য দশমিক ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করেছে। ফলে কোম্পানিটিকে ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আজ রোববার (২৪ নভেম্বর) থেকে কোম্পানিটি ‘বি’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
৩২৫ কোটি টাকার প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যু করবে রেনাটা
প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি রেনাটা পিএলসি। কোম্পানিটি এই শেয়ার ইস্যু করে বাজার থেকে ৩২৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত রেনাটার পরিচালনা পর্ষদের ২৩১তম বৈঠকে প্রেফারেন্স ইস্যু করার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচিত প্রেফারেন্স শেয়ার হবে নন-পার্টিসিপেটিভ। অর্থাৎ এই শেয়ারের মালিকরা কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) অংশ নিতে পারবেন না, তাদের কোনো ভোটাধিকার থাকবে না। এই প্রেফারেন্স শেয়ার মেয়াদ শেষে সম্পূর্ণ অবসায়িত হতে পারে, আবার এটি সম্পূর্ণভাবে সাধারণ শেয়ারে রূপান্তর করার সুযোগও থাকতে পারে। বিষয়টির এখতিয়ার থাকবে কোম্পানির উপর। প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ কোম্পানিটির বিদ্যমান ঋণ পরিশোধে ব্যবহার করা হবে।
প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যুর বিষয়ে শেযারহোল্ডারদের মতামত জানতে বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) করবে রেনাটা। আগামী ১২ জানুয়ারি বেলা ১২টায় এই ইজিএম অনুষ্ঠিত হবে। ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে এই ইজিএম অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ ডিসেম্বর।
আসন্ন ইজিএমে শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতি এবং পরবর্তীতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন পেলে বন্ড ইস্যু করার এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
অলটেক্সের সম্পদ-ব্যবসার সত্যতা যাচাইয়ে বিএসইসির তদন্ত কমিটি
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সম্পদ, ব্যবসা ও আর্থিক সক্ষমতাসহ সার্বিক বিষয় খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ বিষয়ে গঠিত ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটিকে দুই মাসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম সংবাদ মাধ্যমকে।
তদন্তের বিষয়টি অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অবহিত করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএসইসির যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল হক, সহকারী পরিচালক মাহমুদুর রহমান ও মো. মাহমুদুল হাসান।
বিএসইসি থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজার ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বৃহত্তর স্বার্থে অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সার্বিক বিষয় তদন্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করে বিএসইসি। তাই, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯ এর ধারা ২১ এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কমিশন কোম্পানিটির সার্বিক বিষয়ে তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিএসইসির যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল হক, সহকারী পরিচালক মাহমুদুর রহমান এবং মো. মাহমুদুল হাসানকে তদন্ত কমিটিতে রাখ হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তাদের এ আদেশ জারির তারিখ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। এ সংক্রান্ত একটি তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হলো।
চিঠিতে আরও বলা হয়- তদন্ত কমিটি অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সম্পদ, কারখানা এবং সরঞ্জাম যাচাই করবে। মজুদ পণ্য এবং বিক্রিত পণ্যের খরচ যাচাই করবে তদন্ত কমিটি। সেই সঙ্গে এর সত্যতা নিশ্চিত করবে। কারখানা নির্মাণে পণ্যসামগ্রী কেনার জন্য অগ্রিম টাকা পরিশোধ করা এবং পণ্য বিক্রি করে যে আয় হয়েছে, তা যাচাই করবে। জমি ও কারখানার সরঞ্জামের পুনর্মূল্যায়ন সঠিকভাবে হয়েছে কি না এবং বিলম্বিত কর (ডেফার্ড ট্যাক্স) ইস্যুর সত্যতা যাচাই করবে।
এছাড়া, দীর্ঘ মেয়াদী ও স্বল্প মেয়াদী ঋণ এবং তা পরিশোধের সক্ষমতা যাচাই করবে। একইসঙ্গে সহযোগী কোম্পানির মধ্যে অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড যেসব লেনদেন করেছে, তার সত্যতা যাচাই করবে। ভবিষ্যতে কোম্পানিটি ব্যবসায় টিকে থাকতে পারবে কি না, তা যাচাই করবে।
কাফি