শিল্প-বাণিজ্য
ঢাকায় আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা শুরু ১ ফেব্রুয়ারি
দ্বাদশ বিমান বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএফ) ২০২৪ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১ থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে হবে এ মেলা।
আন্তর্জাতিক এই মেলার আয়োজন করছে দেশের পর্যটন শিল্পের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্য সংগঠন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)। এবারের আসরের টাইটেল স্পন্সর হিসেবে যুক্ত হয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে টোয়াব ও বিমান। চুক্তিতে সই করেন টোয়াবের সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশী এবং বিমানের বিপণন ও বিক্রয় পরিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন টোয়াব সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশী। টোয়াবের পরিচালক (বাণিজ্য ও মেলা) মো. আনোয়ার হোসেন মেলার প্রেক্ষাপট ও সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে বর্ণনা করেন এবং সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন।
বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের পরিচালক জামিল আহমেদ, ঢাকা রিজিয়ন ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি মো. নাইমুল হক, মেলার কো-স্পন্সর সৌদি ট্যুরিজম অথরিটির স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার সাইমন হলিডেজের সিইও আফসিয়া জান্নাত সালেহ্, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সহকারী পরিচালক মো. বোরহান উদ্দিন, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার মার্কেটিং ডাইরেক্টর সাদমান সালাউদ্দিন, আটাবের মহাপরিচালক আব্দুস সালাম আরেফ, টোয়াবের সদ্যসাবেক সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান ও এটিজেএফবির মহাসচিব জিয়াউল হক সবুজ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপাস্থিত ছিলেন টোয়াবের প্রথম সহ-সভাপতি মো. এ. রউফ, পরিচালক (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক) মো. মনসুর আলম পারভেজ, মো. সজীবুল-আল-রাজীব, মো. ইব্রাহীম খলিল নোমান, মো. সাইফুল ইসলাম, বিটিটিএফ স্টিয়ারিং কমিটির কনেভনার ও সদস্য এবং টোয়াবের সদস্য ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এবারের মেলায় দেশি-বিদেশি প্রায় ১০০টি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান ১৫০টি বুথ এবং প্যাভিলিয়নে তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে। মেলা চলাকালে অংশগ্রহণকারী সব সংস্থা দর্শনাথীদের জন্য বিভিন্ন আকর্ষণীয় ট্যুর প্যাকেজ ও বিশেষ ছাড়ে বিমানের টিকিট কেনার সুযোগ থাকবে। মেলায় ভারত, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও ভিয়েতনামের ট্যুরিজম প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
পোশাকখাতে ইইউর সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান বিজিএমইএর
পোশাক খাতের উন্নয়নে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
রবিবার (১৯ মে) সংগঠনটির সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ডেনমার্ক, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, স্পেন এবং ইতালির রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) এই আহ্বান জানান।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের প্রধান ও রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিকস-মোলার, জার্মানির রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার, ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দো, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে, নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের চার্জ ডি’ অ্যাফেয়ার্স থিজস ওয়াউডস্ট্রা, ইউ ডেলিগেশনের উপপ্রধান (ডেপুটি হেড অব মিশন) ড. বার্ন্ড স্প্যানিয়ার, স্প্যানিশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল অ্যাটাশে এসথার পেরেজ তাহোসেস এবং বাংলাদেশে ইইউ প্রতিনিধি দলের বাণিজ্য উপদেষ্টা আবু সৈয়দ বেলাল। বৈঠকে বিজিএমইএ এর সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আরশাদ জামাল (দীপু), সহ-সভাপতি (অর্থ) মো. নাসির উদ্দিনসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বিভিন্ন দিকগুলো বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা এবং শ্রমিকদের কল্যাণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে শিল্পের অর্জনগুলো তুলে ধরেন। তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে সহযোগিতা অব্যাহত রাখা, বিশেষ করে চলমান ইবিএ স্কিম থেকে জিএসপি প্লাস এ উত্তোরণের সময়কাল বৃদ্ধি করে বাংলাদেশকে সহযোগিতা দেওয়ার অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) ক্যাটাগরি থেকে উত্তোরণের পরও বাংলাদেশ যাতে করে তার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পারে, তা নিশ্চিত করার জন্য এই সম্প্রসারণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডিউ ডিলিজেন্স ডিটেকটিভ ও অন্যান্য আসন্ন প্রটোকলগুলো অনুসরণ করার ক্ষেত্রে শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য ইইউ এর সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
সবচেয়ে বড় বাণিজ্য ও উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে ইইউ-এর সহযোগিতা বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বিজিএমইএ সভাপতি বাংলাদেশের পাশে থাকার জন্য ইইউ এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে তিনি পণ্যের ন্যায্য মূল্য এবং এথিক্যাল সোর্সিং নিশ্চিত করতে ইউরোপীয় ক্রেতাদের আহ্বান জানানোর জন্য রাষ্ট্রদূতদের অনুরোধ করেন। বিজিএমইএ নেতারা অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে ইইউর সাথে অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
ব্যাংকগুলো ছোট ব্যবসায়ীদের ঋণ দেয় না: এফবিসিসিআই সভাপতি
দেশের ব্যাংকগুলো ছোট ব্যবসায়ীদের ঋণ দেয় না, বড় ব্যবসায়ীদের দেয় বলে অভিযোগ করেছেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম।
আজ রবিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১১তম জাতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) পণ্য মেলা ২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ অভিযোগ করেন তিনি।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, করোনার সময় ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়েছিলেন। তখন ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি তখন প্রণোদনা না দিলে ব্যবসায়ীরা ঘুরে দাঁড়াতে পারতেন না।
এসএমইকে দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখাতে কাজ করে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের মানুষ। বিশেষ করে নারীরা। এখাতে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তবে দেশের ব্যাংকগুলো গ্রামপর্যায়ের অনগ্রসর, অবহেলিত জনগোষ্ঠীকে ঋণ প্রদানে এগিয়ে আসলে এসএমই খাত আরও দ্রুত সমৃদ্ধ হবে বলেও জানান মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, কিন্তু দেশের বেশিরভাগ ব্যাংকই ছোট ব্যবসায়ীদের ঋণ দিতে চায় না। তারা ঋণ দেয় বড় বড় করপোরেট গ্রুপকে।
তিনি আরও বলেন, ব্যাংক বড় ব্যবসায়ীদের ঋণ দেয়, তাতে সমস্যা নেই। তবে ছোট ব্যবসায়ীদেরও দিতে হবে। কারণ এসএমই সমৃদ্ধ হলে দেশ এগিয়ে যাবে।
এসময় দেশকে এগিয়ে নিতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে। নিজে চাকরির পেছনে না ছুটে তরুণদের উদ্যোক্তা হয়ে অন্যকে চাকরি দিতে হবে। নারীদের আরও উদ্যোক্তা হতে হবে। নারীদের গৃহস্থালি কাজের পাশাপাশি উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
স্মার্ট অর্থনীতি-রপ্তানি বাড়াতে ইএসজির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে
বাংলাদেশে বেসরকারিখাতের পাশাপাশি সরকারি সংস্থাগুলোতে ইএসজি (এনভায়রনমেন্টাল, সোশ্যাল এবং গভর্নেন্স) রিপোর্টিংয়ের ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা ক্রমাগত বাড়ছে, যা ইতিবাচক বিষয়। স্মার্ট অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সম্প্রসারণে ইএসজি কমপ্লায়েন্স রিপোর্টিংয়ের স্ট্যান্ডার্ড থাকা জরুরি। তাই স্মার্ট অর্থনীতি-রপ্তানি বাড়াতে ইএসজির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
শনিবার (১৮ মে) ঢাকা চেম্বার অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে ইএসজি কমপ্লায়েন্সের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন বক্তারা। এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের (বিএবি) মহাপরিচালক আনোয়ারুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্যে ডিসিসিআইর সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে বেসরকারিখাতের পাশাপাশি সরকারি সংস্থাগুলোতে ইএসজি রিপোর্টিংয়ের ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা ক্রমাগত বাড়ছে, যা ইতিবাচক বিষয়। তাই ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সম্প্রসারণে ইএসজি কমপ্লায়েন্স রিপোটিং স্ট্যান্ডার্ড থাকা জরুরি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ‘এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড সোশ্যাল রিস্ক ম্যানেজমেন্ট (ইএসআরএম)’ বিষয়ক গাইডলাইন প্রকাশ করেছে এবং বাংলাদেশ সিকিরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন লিস্টেড কম্পানিগুলোর জন্য তাদের বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদনে ‘ইএসজি রিপোটিং’-এর অন্তর্ভূক্তিবাধ্যতামূলক করেছে।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক নামি প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিদেশি বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে ইএসজির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে থাকে, তাই বিশেষকরে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে আমাদের এর ব্যবহার বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ইএসজি বাস্তবায়নে একটি স্ট্যান্ডার্ড ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করতে হবে এবং শিল্পনীতি ও এসএমই নীতিমালায় ইএসজি কমপ্লায়েন্স বিষয়টি অন্তর্ভুক্তিরও প্রস্তাব করেন তিনি।
পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান বলেন, প্রতিটি খাতেই কমপ্লায়েন্স অত্যন্ত জরুরি, বিশেষকরে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কমপ্লায়েন্স বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে থাকে।
তিনি বলেন, ২০১৬-২০২২ সাল পর্যন্ত মোট ১৭টি পণ্যের জিআই দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ হতে এ পর্যন্ত ১৪টি পণ্যের জিআই দেওয়া হয়েছে। এমনকি ৩০টি পণ্যের জিআই দেওয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
বিএবি মহাপরিচালক আনোয়ারুল আলম বলেন, বাংলাদেশে স্মার্ট অর্থনীতির রূপান্তর করতে হলে রপ্তানি বাড়াতে হবে। ইএসজি’র ওপর আরও গুরুত্ব দিতে হবে।
আলোচনা সভায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থার (ইউনিডো) আবাসিক প্রতিনিধি জাকি উজ্জ জামান। তিনি বলেন, ৯০-দশকে বৈশ্বিকভাবে ইএসজির বিষয়টি চালু হয়েছে। যেটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে বাস্তবায়নের মাধ্যমে কোম্পানির ঝুঁকি হ্রাস ও মুনাফা অনেকাংশে বাড়ানো সম্ভব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যেহেতু এলডিসি উত্তরণের পথে রয়েছে। এমতাবস্থায় ইএসজি বাস্তবায়নে পিছিয়ে থাকার কোনো সুযোগ নেই। তবে এরই মধ্যে কিছু বাংলাদেশি কোম্পানি ইএসইজ কমপ্লায়েন্স রিপোটিং বাস্তবায়ন করেছে। ইএসজি বাস্তবায়নে পরিবেশগত তথ্যাদি সংরক্ষণের ওপর তিনি জোরারোপ করেন।
আলোচনায় এসজিএস বাংলাদেশ লিমিটেডের বিজনেস ম্যানেজার ইয়াসমিন আক্তার, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. সলিম উল্লাহ, ইকোটেক্স লিমিটেডের পরিচালক মোহাম্মদ বিন কাসেম এবং যুক্তরাজ্যের লিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং অধ্যাপক ড. এম নিয়াজ আসাদুল্লাহ প্রমুখ অংশ নেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
সাত দিনের জাতীয় এসএমই মেলা শুরু রবিবার
১১তম জাতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প পণ্য (এসএমই) মেলা শুরু হচ্ছে আগামী রবিবার (১৯ মে)। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের ‘হল অব ফেম’-এ সাতদিনব্যাপী মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১৫ মে) মেলা উপলক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মাসুদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, শিল্প মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আগামী ১৯ থেকে ২৫ মে শতভাগ দেশি পণ্য নিয়ে এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশের এসএমই উদ্যোক্তাদের পুরস্কার প্রদান করা হবে। এতে সাতজন ক্ষুদ্র, মাঝারি ও স্টার্ট-আপ উদ্যোক্তার হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এবারের মেলায় অংশ নেবে সাড়ে তিনশোরও বেশি প্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশই নারী-উদ্যোক্তা।
এবারের মেলায় তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৫টি প্রতিষ্ঠান। এছাড়া পাটজাত পণ্যের ৪২টি, হস্ত ও কারুশিল্পের ৩৮টি, চামড়াজাত পণ্যের ৩২টি, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৭টি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ২৩টি, খাদ্যপণ্যের ১৪টি, তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের ১৩টি, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের এসএমই ক্লাস্টারের উদ্যোক্তাদের ১২টি, হারবাল/ভেষজ শিল্পের ৫টি, জুয়েলারি শিল্পের ৫টি, প্লাস্টিক পণ্যের ৪টি, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স খাতের ৩টি, ফার্নিচার খাতের ৩টি এবং বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ১৯টি টল থাকবে মেলায়।
এছাড়া ৩০টি ব্যাংক, ১৫টি সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ক্লাবসহ আরও প্রায় ৫০টি উদ্যোক্তাদের সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নেবে।
মেলায় এসএমই ঋণ বিতরণকারী প্রায় ২৫টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। এছাড়া মেলায় প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী আগ্রহী উদ্যোক্তাদের নিবন্ধন করা হবে। এসএমই ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে ঢাকা ও চট্টগ্রামে পরিচালিত বিজনেস ইনকিউবিশন সেন্টার সম্পর্কে ধারণা প্রদানের পাশাপাশি ইনকিউবিশন সেন্টার ব্যবহারের জন্য আগ্রহী স্টার্ট-আপ/নতুন উদ্যোক্তাদের প্রাথমিক নিবন্ধন করা হবে।
মেলা শেষে মেলায় স্টল ডেকোরেশনসহ প্রচলিত ও বহুমুখী পণ্য বিচারে শ্রেষ্ঠ স্টলকে পুরস্কার দেওয়া হবে। মেলায় সন্ধানীর সহযোগিতায় একটি রক্তদান কেন্দ্র থাকবে। যে কোনো ব্যক্তি এখানে রক্তদান করতে পারবেন।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গণ দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। সাতদিনের মেলার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের উইন্ডি টাউন হলে ২০-২৩ মে ক্রেতা-দর্শনার্থী এবং এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, নারী-উদ্যোক্তা, প্রযুক্তি, আইসিটি ও ক্লাস্টার উন্নয়নের ওপর আয়োজন করা হবে ৬টি সেমিনার।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, এর আগে এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ১০টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ২ হাজার ৩৩০ জন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা প্রায় ৪৩ দশমিক ৬২ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৭২ দশমিক ৮৫ কোটি টাকার অর্ডার গ্রহণ করেন। এছাড়া এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সারাদেশের ৫০টি জেলায় ৮৬টি আঞ্চলিক-বিভাগীয় এসএমই পণ্য মেলায় অংশ নেন ৪ হাজার ৭২ জন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
দীর্ঘ প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভারত থেকে পেঁয়াজবোঝাই একটি ট্রাক হিলি বন্দরে প্রবেশের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়। মেসার্স আরএসবি ট্রেডার্স এসব পেঁয়াজ আমদানি করেছে। প্রথমদিন একটি ট্রাকে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
আমদানি শুরু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে পাইকার ও সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা থাকায় দীর্ঘ প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। তবে সেই নিষেধাজ্ঞা গেল ৪ মে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরও ৪০ শতাংশ শুল্ক থাকায় নানা জল্পনাকল্পনা শেষে ১১ দিন পর আজ থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।
আমদানি স্বাভাবিক থাকলে পেঁয়াজের দাম কোরবানি ঈদে বাড়বে না বলেও জানান তিনি।