খেলাধুলা
ছক্কার রেকর্ড গড়লেন পাকিস্তান উইকেটরক্ষক
বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর একের পর এক হারের মুখে পাকিস্তান। বিশ্বকাপের পর প্রথমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্টে ধবলধোলাই হয়েছিল। এবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে হেরেছে পাকিস্তান।
রোববার হ্যামিল্টনে হারের ম্যাচে অবশ্য মোহাম্মদ রিজওয়ানও রান পাননি। ৫ বলে মাত্র ৭ রানে বিদায় নেন তিনি। তবে এদিন হাঁকানো একমাত্র ছয় দিয়ে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান পাকিস্তানের হয়ে রেকর্ড গড়েছেন। দলটির হয়ে টি-টোয়েন্টিতে এখন সর্বোচ্চ ৭৭টি ছয় রিজওয়ানের।
এই কীর্তি গড়তে তিনি ৮৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। তবে টানা দুই ম্যাচেই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি রিজওয়ান। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে তিনি করেছিলেন ২৫ রান। তবে ছয়ের রেকর্ডে তিনি আজ পেছনে ফেলেছেন পাকিস্তানের সাবেক তারকা ব্যাটসম্যান ও বর্তমানে প্রধান কোচ এবং টিম ডিরেক্টরের ভূমিকায় থাকা মোহাম্মদ হাফিজকে। সাবেক ডানহাতি ব্যাটার ১১৯ ম্যাচে মেরেছেন ৭৬টি ছয়
পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ছয় মারার তালিকায় তিনে আছেন শহীদ আফ্রিদি। তিনি ৯৮ ম্যাচ হাঁকিয়েছেন ৭৩ ছক্কা। শোয়েব মালিক ১২৩ ম্যাচে ৬৯ ছক্কা নিয়ে আছেন চারে। পাঁচে অবস্থান করা বাবর আজমের ১০৬ ম্যাচে রয়েছে ৫৭ ছয়।
তবে ছয়ের রেকর্ডে বেশ পেছনেই আছেন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। দলটির সর্বোচ্চ ছয় হাঁকানো রিজওয়ান সবমিলিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৩২ নম্বরে আছেন। একইসঙ্গে বর্তমানে খেলা ক্রিকেটারদের মধ্যে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান আছেন একুশে। সংক্ষিপ্ত সংস্করণে সবমিলিয়ে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মার। ১৫০ টি-টোয়েন্টিতে তিনি এখন পর্যন্ত ১৮২টি ছয় মেরেছেন।
ছয় মারার দিক থেকে দুইয়ে অবস্থান নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিলের। ১২২ ম্যাচে তিনি মেরেছেন ১৭৩টি ছয়। এছাড়া অ্যারন ফিঞ্চ ১২২ ম্যাচে ১২৫, ক্রিস গেইল ৭৯ ম্যাচে ১২৪ এবং সূর্যকুমার যাদব ৬০ ম্যাচে ১২৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
পেসারদের তোপে ভাঙল ৭২ বছরের পুরনো রেকর্ড!
পার্থের পেসবান্ধব উইকেটে পেসাররা রাজত্ব করবেন এমনটা প্রত্যাশিতই ছিল। তবে চলমান টেস্টের প্রথম দিনটাতে বেশ বাড়াবাড়ি রকমই নাটাই ঘোরালেন দুই দলের পেসাররা। তাতে চোখে ‘সর্ষে ফুল’ দেখলেন যেন ব্যাটাররা।
হ্যাজলউড-স্টার্কদের তোপে নিজেদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৫০ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়াকেও আষ্ঠেপৃষ্টে বেধে ফেলেছে ভারত। বুমরাহদের আগুনে বোলিংয়ে এরই মধ্যে স্কোরবোর্ডে মাত্র ৬৭ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে স্বাগতিকরা। প্রথম দিনের খেলা শেষে ভারতের চেয়ে এখনো ৮৩ রান পিছিয়ে আছেন প্যাট কামিন্সরা।
পার্থ টেস্টের প্রথম দিনেই উইকেটের পতন হয়েছে ১৭টি। ১৯৫২ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্টের প্রথম দিনে সর্বোচ্চ উইকেট পতনের রেকর্ডও এটি।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে হোয়াইটওয়াশের লজ্জার পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছিল ভারতের জন্য। বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজকে সামনে রেখে প্রতিপক্ষের খোঁচা টিপ্পনীতো ছিলই, এর মধ্যে নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত শর্মাও দলের বাইরে। নতুন অধিনায়ক জসপ্রীত বুমরাহ নামলেন পার্থের বাইশগজে টসের জন্য। কয়েন ভাগ্য ভারতীয় অধিনায়কের পক্ষেই থাকে এদিন।
টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বুমরাহ। এদিন অস্ট্রেলিয়ার পেস ব্যাটারির সামনে কোনো জবাব ছিল না ভারতীয় ব্যাটারদের। নিজেদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৫০ রানে গুটিয়ে গেছে ভারত। তাদের ইনিংসের স্থায়িত্ব ছিল কেবল ৪৯ ওভার ৪ বল।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন অভিষিক্ত নীতিশ কুমার রেড্ডি। এ ছাড়া রিশাভ পান্ত ৭৮ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন। এ দুই ব্যাটারের ৮৫ বলে ৪৮ রানের জুটিটাই ভারতের রান দেড়শো পর্যন্ত নিয়ে গেছে শেষ পর্যন্ত।
একাই চার উইকেট তুলে নিয়ে ভারতের টপ এবং মিডল অর্ডারে বড় ধাক্কা দেন জশ হ্যাজেলউড। দুটি করে উইকেট যায় বাকি তিন অজি পেসারের ঝুলিতে। সবমিলিয়ে, পার্থের গতি আর বাউন্সে ভারতকে ধরাশায়ী করার পরিকল্পনায় সফল হয় অজিরা।
অস্ট্রেলিয়ার অস্ত্রেই স্বাগতিকদের বেকায়দায় ফেলল ভারত। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন নেতা জশপ্রীত বুমরাহ। অধিনায়কের সঙ্গে দুরন্ত বোলিং করলেন মোহাম্মদ সিরাজ এবং ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট খেলতে নামা হর্ষিত রানা। তিনজন মিলে ২৭ ওভার বল করেন। তাতেই তুলে নিয়েছেন বিপক্ষের সাত উইকেট। ২০ রানও টপকাতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার কোনো ব্যাটার।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
৮ ক্রিকেটারকে নিষিদ্ধ করল বিসিবি
আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ঢাকা তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগে আট খেলোয়াড়সহ নয়জনকে নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এরমধ্যে ৮ ক্রিকেটার ও একজন টিম অফিশিয়াল রয়েছেন। সবাইকে ১ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে বিসিবি। আজ শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে বিসিবি।
ঘটনা ঘটেছিল গেল ১৮ নভেম্বর, পিকেএসফের ১ নম্বর মাঠে সুপার লিগের ম্যাচে। যেখানে মুখোমুখি হয়েছিল তেজগাঁও ক্রিকেট একাডেমি ও স্যাফায়ার স্পোর্টিং ক্লাব। মাঠের মাঝখানে দুই পক্ষের খেলোয়াড়রা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া শুরু করেন। পরে আচরণবিধির ২.১৯ এর অধীনে লেভেল ৪ অপরাধে দোষী ঘোষণা করা হয়।
শাস্তি পাওয়া ক্রিকেটাররা হলেন- তেজগাঁও ক্রিকেট একাডেমির ইয়াসিন আরাফাত, রিফাত আল ইমন (অনিক), তাসিন আহমেদ রনবি, রাব্বি হাসান, পারভেজ আহমেদ জয়, তেজগাঁওয়ের টিম অফিশিয়াল রবিন এবং স্যাফায়ার স্পোর্টিংয়ের রানা খান, সাইফুল ইসলাম শাওন ও মোহাম্মদ হৃদয়।
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ে বলেন, ‘বিসিবি ঘরোয়া প্রতিযোগিতার কোনও স্তরে শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়ে নমনীয় হবে না। এটি সব খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তাদের কাছে একটি বার্তা হোক যে বোর্ড কঠোরভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘন মোকাবেলা করে।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
বিপিএল মাতাতে আসছেন রাহাত ফতেহ আলী খাঁন
অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স (টুইটার)-এ সেই ছবি পোস্ট দেন।
টুইটে হাইকমিশনার লিখেন, বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ হয়েছে। এ সময় বিপিএলের (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পাকিস্তানি কিংবদন্তি গায়ক রাহাত ফতেহ আলী খানের পারফরম্যান্সসহ পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়গুলো আলোচনায় উঠে এসেছে।
তাতে বিষয়টি একপ্রকার নিশ্চিত, পাকিস্তানি কিংবদন্তী গায়ক রাহাত ফতেহ আলী এবার বিপিএল আসর মাতাতে ঢাকায় আসছেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
প্রতি উপজেলায় স্টেডিয়াম তৈরি করা হবে: ক্রীড়া উপদেষ্টা
দেশের প্রতিটি উপজেলায় স্টেডিয়াম তৈরি করা হবে। এসব স্টেডিয়ামের নাম সেই উপজেলার জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের নামে নামকরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের পশ্চিম পাশে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য ‘শহীদ ফারহান ফাইয়াজ খেলার মাঠ’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশে আরো সময় লাগবে। এখনো গণকবরের সন্ধান মিলছে। জুলাই-আগস্টের গণবিপ্লবের ইতিহাস ছড়িয়ে দিতে পাঠ্য পুস্তকে একটি অধ্যায় যুক্ত করা হবে।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, এই মাঠের নামকরণ করা হয়েছে শহীদ ফারহান খেলার মাঠ। কুষ্টিয়া জেলা স্টেডিয়ামের নাম করেছি শহীদ আবরার ফাহাদ স্টেডিয়াম। টাঙ্গাইলের জেলা স্টেডিয়ামের নাম করা হয়েছে পুলিশের গুলিতে শহীদ হওয়া মারুফের নামে। ২২০টির অধিক উপজেলা স্টেডিয়াম হবে। আমরা নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই ২২০টি স্টেডিয়ামের নাম সেই উপজেলার শহীদের নামে নামকরণ করা হবে।
শহীদের ত্যাগ এবং রক্তের মূল্য কখনও পরিশোধ করা সম্ভব হবে না মন্তব্য করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, কিন্তু আমাদের সাধ্যের মধ্যে যতটা সম্মান প্রদর্শনের সুযোগ আছে, সেটা আমরা করার চেষ্টা করছি।
পাঠ্য বইয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থান অন্তর্ভুক্তি নিয়ে এই উপদেষ্টা বলেন, আমাদের পরিকল্পনা আছে পরবর্তী বছরের পাঠ্যপুস্তকে যেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম পড়তে পারে সেই জন্য শহীদদের গল্পগুলো তুলে ধরতে পারি, সেই প্রচেষ্টা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নিচ্ছে। তবে ২০২৫ সালের যে পাঠ্যপুস্তক আসছে, সময় স্বল্পতার কারণে অন্তর্ভুক্তিটা হয়তো ততটা দৃশ্যমান করা সম্ভব হয়নি। একটা চ্যাপ্টার আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে থাকবে এবং সেইখানে আমাদের শহীদদের স্মৃতি কথা লেখা থাকবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত শহীদ ফারহান ফাইয়াজের বাবা শহীদুল ইসলাম জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদের আত্মত্যাগ যেন হারিয়ে না যায়। সে চেষ্টা অব্যাহত রাখার তাগিদ দেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, ঢাকায় আসবে ডিসেম্বরে
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির অনিশ্চয়তা যেন কাটছেই না। কোথায় হবে, কখন হবে, সব দল অংশ নিবে কি-না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। পাশাপাশি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান চালিয়ে যাচ্ছে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়। অতীতে পাকিস্তান বারবার ভারতের চাওয়া, চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে সমঝোতায় অংশ নিলেও এবার বেঁকে বসেছে। ভারতও তাদের কথায় অনড়। এতসব অনিশ্চয়তার মাঝে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির অফিশিয়াল ট্যুর শুরু করে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। গতকাল (১৪ নভেম্বর) পাকিস্তানের ইসলামাবাদে পৌঁছেছে ট্রফিটি।
আগামী ১৬ থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানে থাকবে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ খ্যাত আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। দশদিনের সফরে ট্রফিটি পাকিস্তানের মুরি, হুনজা, মুজাফফরাবাদ এবং স্কারদুতে নিয়ে যাওয়া হবে। সফরের অংশ হিসেবে আরোহণ করবে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উচুঁ পাহাড় ‘কেটু’। তবে টুর্নামেন্টের সম্ভাব্য ভেন্যু হতে যাওয়া লাহোর, করাচি এবং রাওয়ালপিন্ডিতে যাচ্ছে না ট্রফিটি। বায়ুদূষণের মুখ্য কারণের পাশাপাশি অন্য শহরগুলোকে পর্যটনমুখী করতে এমন চাল চেলেছে পিসিবি এবং পাকিস্তান সরকার।
টুর্নামেন্টে অংশ নিতে যাওয়া সব দেশেই পর্যায়ক্রমে প্রদর্শিত হবে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। বাংলাদেশে আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ট্রফির প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকার শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম এবং কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বিসিবি আশা করছে, ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য এই অভিজ্ঞতা হবে অনন্য এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশি ক্রিকেটভক্তদের উচ্ছ্বাস বাড়বে।
তবে ট্রফির ভ্রমণ শুরু হয়ে গেলেও টুর্নামেন্টের সূচি নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। পাকিস্তানের রাজনৈতিক গলার কাঁটা হয়ে ওঠা ভারতই এর মূল কারণ। নিরাপত্তার অজুহাতে ভারত এখনো পাকিস্তানে খেলতে রাজি হয়নি। অন্যদিকে ভারতের প্রস্তাবিত হাইব্রিড মডেলও প্রত্যাখান করেছে পাকিস্তান। এমনকি এবারের পুরো আসর শেষমেশ পাকিস্তানে আয়োজিত না হলে বয়কটের হুমকিও দিয়ে রেখেছে দেশটি। তবে অনিশ্চয়তার দোলাচলে বল এখন আইসিসির কোর্টে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে সমঝোতায় মনযোগী ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এদিকে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ আইসিসির মুনাফার বড় একটা অংশ। নিজেদের কোর্টের বল কোনভাবে গতিপথ মিস করলে সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হবে আইসিসির। আবার উভয় দল সমঝোতায় না ফিরলে ভেন্যু পাল্টে দক্ষিণ আফ্রিকায় নেওয়ারও গুঞ্জন উঠেছে। অবশ্য এতসব গুঞ্জনের সূত্র উভয় দেশের গণমাধ্যম। তাতে কড়া বাক্য বিনিময় হলেও এখনো আনুষ্ঠানিক কোন দাবি জানায়নি ভারত। তবে শেষ পর্যন্ত যদি আনুষ্ঠানিকভাবে চুপ থাকে ভারত, তবে নিয়মিত সূচি আর ভেন্যুতেই অনুষ্ঠিত হবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির এবারের আসর।
এমআই