টেলিকম ও প্রযুক্তি
ফেসবুকে ব্লু ব্যাজ পেতে যা করবেন
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ফেসবুক। যেখানে প্রতি মুহূর্তে কয়েকশ কোটি মানুষ লগইন করছেন। ফেসবুক ব্যবহারে খুব বেশি নিয়ম নীতি নেই। অর্থাৎ যে কেউ চাইলেই যে কারও নামে বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বা পেজ খুলে ফেলতে পারেন।
যেহেতু অ্যাকাউন্ট খুলতে কোনো নথির দরকার হয় না, তাই যে কেউ কাজটি করতে পারেন। তবে এসবের কারণে প্রতারণা অনেক বেড়েছে। তাই সবাই আসল পেজ বা অ্যাকাউন্ট খোঁজেন। আসল অ্যাকাউন্ট বা পেজ বোঝার একটি উপায় তা হচ্ছে নামের পাশের ব্লু ব্যাজ।
ফেসবুকে প্রায়ই খেয়াল করবেন অনেকের অ্যাকাউন্টের পাশে নীল একটি টিক চিহ্ন দেখা যায়। বিশেষ করে বিশিষ্ট কোনো ব্যক্তি, কোনো ব্যাবসায়িক পেজ বা কোম্পানির অ্যাকাউন্টে। তারকাখ্যাতি-সম্পন্ন ব্যক্তি, সেলিব্রিটি, সাংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান ও ব্র্যান্ডের অ্যাকাউন্ট বা পেজেও এটি খেয়াল করবেন।
অ্যাকাউন্টের নামের পাশে নীল বা হালকা কালো রঙের একটি টিক চিহ্ন থাকে। ফেসবুকে নীল বৃত্তাকারে সাদা এ টিক চিহ্নকে বলা হয় ব্লু-ব্যাজ। যা সহজেই বুঝিয়ে দেয় যে, পেজ বা অ্যাকাউন্টটি ভেরিফায়েড। অর্থাৎ ভুয়া কোনো পেজ নয় এটি। ফেসবুক স্বীকৃত একটি ফ্যানপেজ।
খুব বেশি ঝামেলা ছাড়াই আপনার অ্যাকাউন্টটি ভেরিফায়েড করতে পারেন। তার আগে জেনে নিন ব্লু ব্যাজ পেতে কী কী নথির প্রয়োজন হয়-
>> প্রথমত অ্যাকাউন্টটি আসল এবং সক্রিয় হতে হবে।
>> অ্যাকাউন্টের নাম এবং প্রোফাইল পিকচার সঠিক হওয়া প্রয়োজন।
>> অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানটি কোনো নামি এবং স্বীকৃত কোম্পানি হতে হবে।
>> অ্যাকাউন্টের একটি বৈধ নথি থাকতে হবে, যা তার পরিচয় এবং ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের বৈধতা প্রকাশ করবে।
>> ব্লু টিকের জন্য আবেদন করতে, অ্যাকাউন্টের মালিককে ফেসবুকে একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য আপলোড করতে হবে।
জেনে নিন কীভাবে কাজটি করবেন-
>> প্রথমে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে যান এবং সেটিংসে যান।
>> সেখান থেকে অ্যাবাউটে যান।
>> সেখান থেকে অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশনে যান।
>> এবার রিকোয়েস্ট ভেরিফিকেশন অপশনটি দেখতে পাবেন, তাতে ক্লিক করুন।
>> এবার আপনাকে একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে, যাতে আপনার নাম, ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের নাম, ওয়েবসাইট, যোগাযোগের তথ্য এবং অন্যান্য বিশদ দিতে হবে।
>> আপনাকে অবশ্যই একটি বৈধ নথি আপলোড করতে হবে, যা আপনার পরিচয় এবং আপনার ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের প্রমাণপত্র। ফেসবুক আপনার আবেদন পর্যালোচনা করবে এবং আপনি যোগ্য হলে আপনাকে একটি ব্লু টিক দেওয়া হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
রাজধানীতে ইয়্যুথ টেক সামিট ২২ মে
রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ইয়্যুথ টেক সামিটের আয়োজন করেছে উদ্যোক্তারা। বুধবার (২২ মে) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অগ্রাধিকারে (এআই) সবশেষ তথ্যপ্রযুক্তির বহুমাত্রিক দিক উপস্থাপন করতে সামিটে অংশে নেবেন বিশেষজ্ঞরা। দিনব্যাপী সম্মেলনে থাকছে তিনটি বিশেষ সেমিনার। থাকবে কারিগরি প্রেজেনটেশন।
ইয়্যুথ টেক সম্মেলনে অংশ নেবেন এআই ও আইসিটি খাতের উদীয়মান ৩০ জন উদ্যোক্তা। সম্মেলনে এআই ও উদ্ভাবনী অভিনব প্রযুক্তির সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে পরিকল্পনা ও কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করবেন তরুণ ও সফল প্রযুক্তি উদ্যোক্তারা।
সম্মেলনে বিশেষজ্ঞ বক্তারা তুলে ধরবেন বিশ্বে এখন এআই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে কী ধরনের দক্ষতা প্রয়োজন, প্রশিক্ষণ, ল্যাব, গবেষণা বা সরকারি-বেসরকারি যৌথ অংশীদারিত্বে করণীয় নীতিমালা প্রণয়ন ও অগ্রাধিকারভিত্তিক উদ্যোগ গ্রহণে বিশদ আলোচনায় অংশ নেবেন বক্তারা।
সামিটে যুক্ত আছে বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম, জেসিআই বাংলাদেশ, নিজের বলার মতো একটি গল্প ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ), ইয়্যুথ ইন টেক, রাইজ অ্যাবাভ অল, বিওয়াইএলসি, জিইএন, ড্যাফোডিল নেটওয়ার্ক, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ভিসিপিয়াব) ও বিডিঅ্যাপস।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
গুগল স্টোরেজ খালি করবেন যেভাবে
সারা বিশ্বে কয়েক কোটি মানুষ জিমেইল ব্যবহার করেন। গুগল দেয় এই জিমেইল পরিষেবা। এতে গুগল তাদের ব্যবহারকারীদের জন্য ১৫ জিবি স্টোরেজ ফ্রি দেয়। এরপর স্টোরেজ বেশি লাগলে কিনে নিতে হয়। যারা কিনতে চান না তারা ফ্রি স্টোরেজ ভরে গেলে কিভাবে ফাকা করবেন সহজ নিয়ম জেনে নিন।
এই ভাবে ফাঁকা করুন গুগল স্টোরেজ: গুগলের ক্লাইড স্টোরেজ পরিষেবার মধ্যে পড়ে গুগল ড্রাইভ। যার মাসিক অ্যাক্টিভ ইউজার ২০০ কোটি। হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন। তবে প্রতি অ্যাকাউন্টে ১৫ জিবি স্টোরেজ ফ্রি দেয় গুগল। আপনার যদি তিনটি জিমেইল অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে ৪৫ জিবি স্টোরেজ ফ্রি পাওয়া যায়। বাড়তি স্টোরেজ পাওয়ার ক্ষেত্রে এটিও একটি উপায়। তবে আজ প্রাইমারি অ্যাকাউন্টের স্টোরেজ কী ভাবে খালি করবেন সেই পদ্ধতি আলোচনা করা হল।
গুগল ড্রাইভে বড় ফাইলগুলো আগে ডিলিট করুন: প্রথমে গুগল ড্রাইভে লগ ইন করুন। তারপর উপরে থ্রি লাইন ডটে ক্লিক করে, স্টোরেজ অপশনে ক্লিক করুন। এবার এখানে Free Up Space নামে একটি অপশন থাকবে সেখানে ট্যাপ করুন। এই পেজে এলেই দেখতে পাবেন কোথায় কত স্টোরেজ ব্যবহার হয়েছে। তারপর Storage Manager এর অধীনে যেখান থেকে স্টোরেজ খালি করতে চান ক্লিক করুন। এবার একে একে সেগুলো ক্লিয়ার করলেই অনেকটা জায়গা বেঁচে যাবে। এই উপায়ের সুবিধা হল আপনাকে আলাদা আলাদা করে জিমেইল, গুগল ফটোস, ড্রাইভ ইত্যাদি অ্যাপ ওপেন করতে হবে না। একটা জায়গাতেই সব পেয়ে যাবেন।
জিমেইলে ১০ এমবির বেশি ফাইল ডিলিট করার উপায়: জিমেইলে এমন অনেক মেইল আছে যেখানে ১০ এমবি তার বেশি স্টোরেজের ফাইল রয়েছে। সেগুলো আগে ডিলিট করা দরকার। তবে আপনাকে ম্যানুয়ালি একটা একটা করে খুঁজে খুঁজে করতে হবে না। একটি ট্রিক রয়েছে এর জন্য। গুগল জিমেইল ওপেন করুন। সার্চ বারে টাইপ করুন – has:attachment larger:10MB তারপর যে ইমেইলে 10 এমবির বেশি অ্যাটাচমেন্ট থাকবে সেগুলো চলে আসবে। তারপর আপনি যেগুলো দরকার সেগুলো রেখে বাকি ডিলিট করে দিতে পারেন।
গুগল ড্রাইভে স্টোরেজ খালি করার জন্য আরও কয়েকটি বিষয় রয়েছে যা আপনাকে করতে হবে: জিমেইল স্প্যামে গিয়ে সমস্ত মেইল ও ফাইল ডিলিট করুন। গুগল ট্র্যাশ ফোল্ডারে গিয়ে সমস্ত ফাইল স্থায়ী ভাবে মুছে ফেলুন। গুগল ফটোসে অপ্রয়োজনীয় ছবি ডিলিট করে দিন। গুগল ফাইলস অ্যাপে গিয়ে ক্যাশে ক্লিয়ার করুন। যে সমস্ত মেইল দরকার নেই সেগুলো আনসাবস্ক্রাইব করে দিন। তাহলে সেই প্রমোশনাল ইমেইল আর আসবে না আপনার কাছে। গুগল ফটোসে থাকা ছবিগুলো ফোনের ইন্টার্নাল স্টোরেজে সেভ করে নিন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
২৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে বিটিসিএলের কল সেন্টার
গ্রাহকদের অভিযোগ গ্রহণ ও বিভিন্ন সেবা দিতে ব্যবহৃত কেন্দ্রীয় কল সেন্টারের সেবা কার্যক্রম স্থানান্তর করা হচ্ছে। এ কারণে সোমবার (২০ মে) বিকেল ৩টা থেকে থেকে কল সেন্টারের জরুরি নম্বর নম্বর ‘১৬৪০২’ ২৪ ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে।
আজ রোববার টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (জনসংযোগ ও প্রকাশনা) মীর মোহাম্মদ মোরশেদের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বিটিসিএল কল সেন্টার ‘১৬৪০১’ নম্বরের মাধ্যমে অভিযোগ গ্রহণ, তথ্য প্রদানসহ যাবতীয় সেবা প্রদান করা হয়। কল সেন্টারটিতে কারিগরি সমস্যা দেখা দেওয়ায় সম্মানিত গ্রাহকরা মাঝে মাঝে কল সেন্টারের সার্ভিস গ্রহণ করতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এ কারণে কল সেন্টারের মূল প্ল্যাটফরমটি বিটিসিএল প্রধান কার্যালয় থেকে শের-ই-বংলানগর এনেক্স ভবনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
স্থানান্তরজনিত কারণে আগামী ২০ মে বিকেল ৩টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার গ্রাহকসেবার কার্যক্রম স্থানান্তর করা হবে। এ সময়ে সেবা বিঘ্নিত হবে। সাময়িক এ অসুবিধার জন্য বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারে গুনতে হবে বাড়তি টাকা
মোবাইল ব্যবহারে খরচের বোঝা চাপছে গ্রাহকের কাঁধে। আসছে বাজেটে হ্যান্ডসেট উৎপাদনে ৫ শতাংশ ভ্যাট বাড়াতে চায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এতে প্রতিটি হ্যান্ডসেটে দাম বাড়তে পারে এক হাজার টাকা। সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ করার প্রস্তাবে টকটাইম ও ইন্টারনেট ব্যবহারে ১০০ টাকায় বাড়তি গুনতে হবে প্রায় ৬ টাকা।
ফেসবুক ব্রাউজিং থেকে পড়াশোনা, কেনাকাটা, দাফতরিক কার্জকম- সব ক্ষেত্রেই বেড়েছে ইন্টারনেট ব্যবহার। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) বলছে, ১৯ কোটি ২২ লাখ সিমকার্ডধারীর মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন ১২ কোটির বেশি গ্রাহক।
বর্তমানে মোবাইলে কথা বলায় ১০০ টাকার রিচার্জে ৩৩ টাকার বেশি কর দেন গ্রাহকরা। একই পরিমাণ কর দিতে হয় ইন্টারনেটেও। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আসছে বাজেটে উভয় ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এতে অতিরিক্ত ৫ দশমিক ৭৫ টাকা কর বাড়বে। ফলে ১০০ টাকার মোবাইল সেবায় সর্বমোট কর দিতে হবে ৩৯ টাকা, যা হবে দক্ষিণ এশিয়ায় সবোর্চ্চ।
গ্রাহকরা বলছেন, এভাবে ভ্যাট বাড়াতে থাকলে মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহার করা একটু কষ্ট হয়ে যায়। তাই সরকারের কাছে আবেদন, যাতে ভ্যাট না বাড়ায়।
মোবাইল অপারেটররা বলছে, সম্পূরক শুল্ক পাঁচ শতাংশ বাড়িয়ে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা রাজস্ব মিলবে। করের পরিবর্তে ডাটা ব্যবহার বাড়িয়ে এই রাজস্ব আদায় সম্ভব। দেশে একজন গ্রাহক মাসে গড়ে সাড়ে ৬ জিবি ডাটা ব্যবহার করেন; ভারতে যার পরিমাণ সাড়ে ১৭ জিবি।
স্বস্তির খবর নেই মোবাইল ফোনেও। বর্তমানে হ্যান্ডসেট উৎপাদনে তিন থেকে সাড়ে সাত শতাংশ পর্যন্ত ভ্যাট দিতে হয় ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে। বিক্রয় পর্যায়ে রয়েছে ৫ শতাংশ ভ্যাট। আসছে বাজেটে এখাতে ভ্যাট বাড়তে পারে আরও ৫ শতাংশ। এতে ৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব পাবে সরকার। তবে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা ফোন বিক্রি বন্ধ হলে এখাত থেকে বছরে রাজস্ব মিলবে প্রায় এক হাজার ২০০ কোটি টাকা।
মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহসভাপতি রেজোয়ানুল হক বলেন, ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছি।
যদিও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলছেন, মোবাইল সেবায় এবং হ্যান্ডসেট সংযোজনে কর ভার কমাতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব দিয়েছেন।
পলক বলেন, ইন্টারনেটের দাম এবং ভ্যাট কমানোর ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং এনবিআরের চেয়ারম্যানের কাছে জমা দিয়েছি।
বর্তমানে ব্রডব্যান্ড সেবায় পাঁচ শতাংশ করে তিন স্তরে ১৫ শতাংশ ভ্যাটের বোঝা বহন করতে হচ্ছে এক কোটি ৩৪ লাখ গ্রাহককে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো এক্স ডটকম
বর্তমানে অনলাইন জগতে সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)। শুধু এলিট শ্রেণির মানুষেরাই নন সাধারণ মানুষেরাও এখন ব্যবহার করছেন এই মাধ্যম। বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশেই রয়েছে এর ব্যবহারকারী। দিন দিন বাড়ছে এক্সের ব্যবহারকারীর সংখ্যাও।
এদিকে নানা টানাপোড়েনের পর ২০২২ সালে ৪ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলারে জনপ্রিয় মাইক্রো ব্লগিং প্ল্যাটফরম টুইটার কিনে নেন মার্কিন ধনকুবের ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক। টুইটার কিনে নেওয়ার পর নাম পরিবর্তন করে ‘এক্স’ দেওয়া হয়। দীর্ঘদিনের পরিচিত নীল পাখি বদলে যায় এই প্ল্যাটফর্ম থেকে। পাশাপাশি ব্র্যান্ডের নীল সাদা রঙের পরিবর্তে হয়ে যায় সাদা-কালো। সেই সময় থেকেই টুইটার ডটকম টাইপ করলে তা সরাসরি এক্স ডটকমে নিয়ে যেত ইউজারদের।
মাস্ক জানিয়ে ছিলেন, এবার থেকে আর ‘টুইট’ নয়, বলতে হবে এক্স হ্যান্ডেলে ‘পোস্ট’ করা হয়েছে। আর এবার এই সাইটের সমস্ত ডোমেনের নামও পরিবর্তিত করা হয়েছে। যার ফলে আনুষ্ঠানিক ভাবে টুইটার ডট কম এখন এক্স ডট কমে পরিণত হল।
ইলন মাস্ক এ নিয়ে এক্সে শুক্রবার লিখেছেন, সব কোর সিস্টেম এখন এক্স ডটকমে পাওয়া যাবে। বার্তার সঙ্গে একটি ছবিও যোগ করেছেন। যাতে বড় করে লেখা রয়েছে এক্স ডটকম। পরিবর্তিত হওয়ার পর প্রথমবার এক্স ডটকম ওয়েবসাইটে প্রবেশের পর নিচে একটি লেখা প্রদর্শিত হচ্ছে। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘ইউআরএল পরিবর্তন করা হয়েছে। এটি আমরা আপনাদের জানাচ্ছি। তবে আপনাদের গোপনীয়তা ও তথ্য সুরক্ষার সেটিংস আগের মতোই অপরিবর্তিত থাকবে।’