রাজধানী
ঢাকায় গাড়ি চলাচলের অনুপযোগী ৫২ শতাংশ সড়ক

রাজধানী ঢাকায় মোট আয়তনের তুলনায় সড়কের হার তিনগুণ কম। বর্তমানে ঢাকা শহরে আয়তনের ২৫ শতাংশ সড়কের প্রয়োজন সেখানে সড়ক আছে মাত্র ৮ শতাংশ। এরমধ্যে ৫২ শতাংশ সড়কই আবার গাড়ি চলাচলের অনুপযোগী।এরমধ্যে ৫২ শতাংশ সড়কই আবার গাড়ি চলাচলের অনুপযোগী। তাতে অপরিকল্পিত এই নগরায়নের কারণে বেড়েই চলেছে ঢাকার যানজট।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এবং বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্কসহ পরিবেশ সংগঠনগুলোর যৌথ আয়োজনে “স্থায়িত্বশীল নগরায়ন: সমস্যা ও সমাধান” শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। ১৩ জানুয়ারি (শনিবার) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সংগঠনগুলো।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিপিডির চেয়ারম্যান বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, অধ্যাপক রেহমান সোবহান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নগর গবেষণা কেন্দ্রের (সিইউএস) চেয়ারম্যান বিশিষ্ট নগরবিদ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক রেহমান সোবহান তার বক্তব্যে বলেন, অতি নগরায়নের ফলে যানজট বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং নগরায়নের ঝুঁকি বাড়ছে। সমন্ময়হীনতার কারণে দ্রুত নগরায়ন সম্প্রসারিত হচ্ছে। আবাসন কোম্পানিগুলোর চটকদার বিজ্ঞপ্তির ফলে দেশের মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছে।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা ও বাপার সহ-সভাপতি ড. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, দেশে নগরায়ন সংকটের সম্মুখীন। শহরভিত্তিক উন্নয়ন ধারায় সারা দেশব্যাপী মানুষের শহর অভিমুখীতার ফলে দেশের শহরাঞ্চলগুলোর (বিশেষত রাজধানী ঢাকা) জনসংখ্যা অতিদ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্ধিত এই জনসংখ্যার ভারবহনে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। অপ্রতুল সড়ক ব্যবস্থার কারণে বিপর্যস্ত হয়েছে পরিবহন খাত।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ শহর বা নগরাঞ্চলে বসবাস করছে এবং নগরবাসীর প্রায় ৩২ শতাংশই ঢাকায় বাস করে। রাজধানী ঢাকার ক্ষেত্রে সমগ্র রাজউক এলাকায় বর্তমান জনসংখ্যা ২৬ মিলিয়ন এবং জনশুমারি ২০২২ অনুযায়ী ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বিদ্যমান জনসংখ্যা প্রায় ১০.২৮ মিলিয়ন।
সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ঢাকায় যেমন অপরিকল্পিত নগরায়ন হয়ে গিয়েছে, বর্তমানে গ্রামগুলোও একইভাবে অপরিকল্পিত নগরায়ন এর দিকে যাচ্ছে। তাই এখনই সময় গ্রামগুলোকে পরিবেশ বান্ধব নগরায়নের জন্য পরিকল্পনা করা। স্থায়ীত্বশীল নগরায়নের জন্য সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নগরের সুবিধাগুলো শুধুমাত্র ঢাকা কেন্দ্রিক না করে ভৌগোলিক সমতা বজায় রেখে প্রশাসনিক ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে।
সম্মেলনে বিভিন্ন অধিবেশনে বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপনা ও আলোচনায় করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, বুয়েটের অধ্যাপক ড. আফসানা হক, বেলার প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানসহ আরও অনেকে। সম্মেলনে বিভিন্ন বিষয়ে মোট ১৬টি বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়েছে।
অর্থসংবাদ/এমআই

রাজধানী
একযোগে ৭৫ ওয়ার্ডে বর্জ্য অপসারণ শুরু করলো ডিএসসিসি

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৭৫টি ওয়ার্ডে একযোগে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কোরবানির বর্জ্য দ্রুত অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শনের জন্য কলাবাগান শিশু পার্ক সংলগ্ন সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
এবারের কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রায় ১০০০০ (দশ হাজারেরও) অধিক জনবল মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। ২০৭টি ডাম্প ট্রাক, ৪৪টি কম্পেক্টর, ৩৯টি কন্টেইনার ক্যারিয়ার, ১৬টি পে-লোডারসহ বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে ৭৫টি ওয়ার্ডে মোট ২ হাজার ৭৯টি যানবাহন নিয়োজিত রয়েছে।
কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম ব্যবস্থাপনার জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের জরুরি পরিচালন কেন্দ্রে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপিত হয়েছে এবং সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে।
বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা বলেন, শহরে কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সময়মতো বর্জ্য অপসারণ না হলে দুর্গন্ধ ছড়ায়, এমনকি রোগ-জীবাণু সৃষ্টি হতে পারে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ১২ ঘণ্টার মধ্যেই সকল বর্জ্য অপসারণ করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে উপদেষ্টা বলেন, এ বছর কোরবানির বর্জ্যের কারণে নগরবাসীর ঈদ আনন্দ বাধাগ্রস্ত হবে না।
রাজধানী
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট

ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় থেকে শুরু করে মদনপুর পর্যন্ত ঢাকাগামী লেনে প্রায় ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এ যানজট দেখা গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারও যাত্রী ও চালক।
বুধবার (৪ জুন) রাত পৌনে ১০টা পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা গেছে, যান চলাচল প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। যানবাহনগুলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা থেমে আছে।
হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ঢাকার মাতুয়াইল এলাকায় ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ঢুকতে না দেওয়ায় মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) এ সিদ্ধান্তের কারণে গত কয়েকদিন ধরেই যানবাহন চালকদের এই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
মাছ ব্যবসায়ী লতিফ মোগরাপাড়া থেকে যাত্রাবাড়ীর আড়তে যাওয়ার পথে চিটাগাং রোড এলাকায় আটকে পড়েছেন। তিনি বলেন, ৩০ মিনিট ধরে এখানেই বসে আছি, ঈদের আগে এমন ভোগান্তি খুব কষ্টকর।
আরেক যাত্রী আশরাফুল আলম বলেন, শুনেছি ঢাকায় গাড়ি ঢুকতে দিচ্ছে না, তাই এই যানজট। অনেকক্ষণ ধরে বসে আছি।
কয়েকজন বাস চালকও জানান, ঢাকায় ট্রাক-কাভার্ডভ্যান প্রবেশে বাধার কারণে গত ২-৩ দিন ধরে এই পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে জানতে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিনকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
তবে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোরশেদ জানান, মাতুয়াইল এলাকায় ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ঢুকতে না দেওয়ায় এ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ চলছে, কিছুক্ষণের মধ্যেই সড়ক স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
কাফি
রাজধানী
রাজধানীর পুরানা পল্টনে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ড

রাজধানীর পুরানা পল্টনে একটি বহুতল ভবনে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট। পরবর্তীতে দ্রুতই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
সোমবার (২ জুন) সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম রনি।
তিনি জানান, পুরানা পল্টনে একটি ১০তলা ভবনের ৬তলায় আগুন লাগে। সকালে সড়ক ফাঁকা থাকায় খবর পেয়ে ৭টা ১ মিনিটেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিস। পাঁচটি ইউনিট মাত্র ১৭ মিনিটের প্রচেষ্টায় সকাল ৭টা ১৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
রাজধানী
সোমবার ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় সোমবার (২ জুন) ১১ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। রোববার (১ জুন) এক বার্তায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানায়।
তিতাস গ্যাস জানায়, সোমবার সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত টেংরা, বাহির টেংরা, হাজীনগর, আমতলা, বড়ভাঙ্গা, কোদালদোয়া, সানাড়পাড়, নিমাইকাশারি, নামা শ্যামপুর, জিয়া সরণি, জাপানি বাজার, তিতাস গ্যাস সড়ক, ছাপড়া মসজিদ, রূপসী বাংলা হাসপাতাল, শনির আখড়া, আরএস টাওয়ার সংলগ্ন এলাকা, গোবিন্দপুর, মাতুয়াইল, মৃধাবাড়ী এলাকার সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
কাফি
রাজধানী
৯৯৯-এ ফোনের পর ভাটারা থেকে অপহৃত ব্যক্তি উদ্ধার

জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ নম্বরে ফোন পেয়ে রাজধানী ঢাকার ভাটারা থেকে অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জের একটি পোশাক ফ্যাক্টরীর কর্মী।
রবিবার (০১ জুন) জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এর গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা (পুলিশ পরিদর্শক) আনোয়ার সাত্তারের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, শনিবার (৩১ মে) রাত ৯টায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ভুলতা থেকে রাকিব নামে এক ব্যক্তি ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে জানান, তিনি এনজেড ফেব্রিক্সে কাজ করেন। তার একজন সহকর্মী সাভার, হেমায়েতপুরে একটি ফ্যাক্টরী ভিজিটে গিয়ে কোন এক স্থান থেকে অপহরণের শিকার হন। অপহরণকারীরা ভুক্তভোগীর বাড়িতে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে। কিছুক্ষণ আগে অপহৃত সহকর্মী তাঁকে ফোন করে বলেন, তিনি অনেক বড় বিপদে আছেন, দ্রুত মোবাইল ব্যাংকিং মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করতে বলেন। অপহৃত আরও জানান, রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোডের বিআরটিসি বাস-স্ট্যান্ডের কাছে একটি বাসায় তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে। কলার তার সহকর্মীকে দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ৯৯৯ এর কাছে অনুরোধ জানান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৯৯৯–এ কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকার ঢাকার ভাটারা থানায় বিষয়টি দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জানায়। পরবর্তীতে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ভাটারা থানা অপহৃতের অবস্থান সনাক্ত করে, কুড়িল বিশ্বরোডের একটি বাড়ি থেকে আহত অবস্থায় অপহৃত মনিরকে (৩৫) উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।
এ সংক্রান্তে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এসএম