আবহাওয়া
পঞ্চগড়ে মিলছে না সূর্যের দেখা, দুর্ভোগে জনজীবন

পৌষের শেষ দিডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। সকালে তাপমাত্রার রেকর্ডের তথ্যটি জানান জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।
তিনি জানান, গত পাঁচ দিন ধরে মেঘ-কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে সূর্য। এ কারণে ঠান্ডা অনুভব হচ্ছে। গত দুই দিন ধরেই তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রির মধ্যে রেকর্ড হয়েছে। দিনের তাপমাত্রা নিম্নমুখী। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তর-পূর্ব বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বায়ু প্রবাহিত হওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। সে অনুপাতে এ অঞ্চলে এখন শীতের তীব্রতা বেশি হচ্ছে।
জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গত পাঁচ দিন ধরেই কুয়াশার আড়ালে ঢাকা রয়েছে সূর্য। সকাল থেকে বিরাজ করছে মেঘাচ্ছন্ন পরিবেশ। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের পেশাজীবীরা। পাথর-চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে শুরু করে নানা শ্রমজীবী মানুষ। কমে গেছে তাদের দৈনন্দিন রোজগার। পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছেন তারা। প্রয়োজন ছাড়া অনেকে ঘর থেকে বের না হলেও জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই কাজে বেরিয়েছেন নিম্ন আয়ের পেশাজীবীরা। বিপাকে পড়েছেন চাষিরাও। তারাও ঠান্ডার প্রকোপে খেতখামারে কাজ করতে পারছেন না। এ ছাড়া শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষদের মিলছে না প্রয়োজনীয় গরম কাপড়। রাস্তায় চলা ভবঘুরে মানুষরাও পড়েছে শীত দুর্ভোগে।
এদিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দিনের তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে ১৫ থেকে ১৬ ডিগ্রির মধ্যে। সন্ধ্যার পর আবার ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় কোলাহলহীন হয়ে পড়ে শহর ও গ্রামের হাটবাজারগুলো। বাজারগুলোতে বিভিন্ন জায়গায় কাগজের কাটন, টায়ার ও কাগজে আগুন ধরিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা যায়।
আজকে নিয়ে গত চার দিন ধরে সকাল থেকে দেখা মিলছে না সূর্যের। এতে করে পরিবারসহ বিপাকে পড়েছে গৃহপালিত প্রাণীরাও। ভোর-সকালে কাজ করা যাচ্ছে না। কাজ করতে গিয়ে হাত-পা অবশ হয়ে আসে। ছেলে-মেয়েরাও ঠিকমতো পড়ালেখা করতে পারছে না। সন্ধ্যার পর থেকে পুরো রাত বরফ হয়ে উঠে। ঘরের আসবাবপত্র, বিছানাপত্র, ঘরের মেঝে পর্যন্ত স্পর্শ করলে বরফের মতো ঠান্ডা মনে হয়। ঘরের গৃহিণীদের কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে। আয় রোজগার কমে যাওয়ায় অনেকে পরিবারের কথা চিন্তা করেই এই হাড় কাঁপা শীত উপেক্ষা করে কাজে বেরিয়েছেন।
জেলার তেঁতুলিয়ার সদর এলাকার হোসেন আলী, আলাউদ্দিন ও আবুল কালামসহ কয়েকজন দিনমজুর জানান, গত কয়েক দিন ধরে মেঘ-কুয়াশায় দেখা যাচ্ছে না সূর্য। কাজ করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। ঠান্ডা বাতাসের কারণে কাজ করতে গিয়ে হাত-পা অবশ হয়ে আসে।
জুয়েল, আইনুল ও সায়েদসহ কয়েকজন পাথর শ্রমিক বলেন, একদিকে প্রচুর ঠান্ডা। তার মধ্যে নদীর পানি বরফের মতো। শীতে বসে থাকার উপায় নেই। ঠান্ডায় ঘরে বসে থাকলে তো পেটে ভাত যাবে না। পেটের ক্ষুধা তো শীত বুঝে না। তাই পরিবারের কথা চিন্তা করেই নদীতে পাথর তুলতে নামছি। এই পাথরই আমাদের রুটি-রুচি। কাজ না করলে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকে কষ্টে দিনযাপন করতে হয়।
ভ্যানচালক হামিদ আলী, হাসমত আলী ও দেলোয়ার জানান, এই শীতে ইনকাম কমে গেছে। হাড় কাঁপা শীতের কারণে সহজে কেউ ভ্যানে চড়তে চায় না। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বেলা দেখা যাচ্ছে না। এতে আয় রোজগার কমে গেছে।
এদিকে শীতের কারণে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু থেকে বয়স্ক মানুষ। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আবহাওয়া
সাগরে লঘুচাপ, বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি ঘনীভূত হতে পারে। এ অবস্থায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
মঙ্গলবার (২৭ মে) আবহাওয়া অফিসের এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সাগরে লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর পুনঃ তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
পাহাড় ধসের শঙ্কা, নদীবন্দরে সতর্কতা

দেশের ৮ বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো ও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আজ মঙ্গলবার দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাস ও ভারী বর্ষণের সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভারী বর্ষণের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে- সক্রিয় সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে বুধবার (২৮ মে) সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। অতিভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসরে আশংকা রয়েছে।
সকাল ৯টা হইতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যা শক্তি সঞ্চয় করে পরবর্তীতে নিম্নচাপেও পরিণত হওয়ার আভাস রয়েছে। যে কারণে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার আভাস রয়েছে।
খুলনা, বরগুনা এবং ভোলা অঞ্চল সমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিন-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
সন্ধ্যার মধ্যে ১৪ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে দেশের ১৪টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসব এলাকার নদীবন্দরে তোলা হয়েছে এক নম্বর সতর্কতা সংকেত। সোমবার (২৬ মে) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা জানিয়েছেন, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা এবং নোয়াখালী অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম/দক্ষিণ দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সকাল পর্যন্ত দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো হালক থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
দুপুরের মধ্যে যেসব জেলায় ঝড়ের আভাস

দেশের ১০ জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় ও বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আজ রোববার (২৫ মে) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া এক সতর্কবার্তায় এ কথা জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হকের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজশাহী, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে, আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগামী কয়েক দিন দেশের দেশের সব বিভাগে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো এবং বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কোথাও কোথাও ভারি বর্ষণও হতে পারে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
ঢাকাসহ যেসব বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস

আট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার (২৪ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়- ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বর্তমানে লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু মিয়ানমারের আকিয়াব উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে এবং আরও অগ্রসর হওয়ার অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে।