ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আনন্দ র্যালি ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে প্রশাসন ভবন চত্বর থেকে একটি আনন্দ র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি ক্যাম্পাসের প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ করে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের পাদদেশে এসে সমবেত হয়।
এ সময় মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে পর্যায়ক্রমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা সমিতি, শাপলা ফোরাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবদন শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার নিহত পরিবারের সকলের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদ/এমআই

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৯তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, পদ ৬৮৩

সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাষক পদে ৬৮৩ জন নিয়োগের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৪৯তম (বিশেষ) বিসিএস-২০২৫। এ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
সোমবার (২১ জুলাই) পিএসসি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
সরকার শুধু শিক্ষা ক্যাডারের জন্য বিশেষ বিসিএসের আয়োজন করছে। এর মাধ্যমে সরকারি কলেজে বিভিন্ন বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে এন্ট্রি লেভেল পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।
পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা ক্যাডারের জন্য সর্বশেষ বিশেষ বিসিএস অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৬ সালে। ওই বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে ১ হাজার ৪৭ জন প্রভাষক নিয়োগ পেয়েছিলেন। এরপর সাধারণ বিসিএসের মাধ্যমেই শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়া হয়ে আসছিল। দীর্ঘদিন পর এবার শিক্ষার জন্য আলাদা বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার আয়োজন করা হচ্ছে।
বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষার লিখিত পরীক্ষা (এমসিকিউ টাইপ) আগামী অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে পারে। সুনির্দিষ্ট তারিখ ও সময় পরবর্তী সময়ে কমিশনের ওয়েবসাইটে এবং সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিটি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের ওয়েবসাইট (www.bpsc.gov.bd)-এ অথবা টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইট (http://bpsc.teletalk.com.bd)-এ পাওয়া যাবে।
কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৮তম বিশেষ বিসিএসের ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৫২০৬ জন

৪৮তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষা-২০২৫ এর লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে মোট পাঁচ হাজার ২০৬ জন সাময়িকভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
রবিবার (২০ জুলাই) দিবাগত রাতে লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয় বলে জানিয়েছেন পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এসএম মতিউর রহমান।
তিনি জানান, গত ১৮ জুলাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় সহকারী সার্জন পদে চার হাজার ৬৯৫ জন এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ৫১১ জন প্রার্থী সাময়িকভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারী সার্জন পদে দুই হাজার ৭০০টি এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ৩০০টিসহ মোট তিন হাজার পদে নিয়োগের লক্ষ্যে চলতি বছরের ২৯ মে ৪৮তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষা-২০২৫ এর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি।
এরআগে এই বিশেষ বিসিএস পরীক্ষা নেওয়ার জন্য ২৭ মে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরকারি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪ এর সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশান মন্ত্রণালয়।
সংশোধিত বিধিমালা অনুযায়ী, সংশোধিত বিধিমালা অনুযায়ী, ক্যাডার পদসমূহে নিয়োগের জন্য বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার আওতায় পরীক্ষার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় অভিযোজনসহ প্রার্থী সুপারিশ করা যাবে।
পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ ফলাফল ও প্রাসঙ্গিক তথ্যাবলি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.bpsc.gov.bd) পাওয়া যাবে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এসএসসি-এইচএসসি নিয়ে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জরুরি নির্দেশনা

আগামী বছর বা ২০২৬ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহ এবং সেগুলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে যথাসময়ে বিতরণ নিয়ে জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। নির্দেশনা অমান্য করলে প্রতিষ্ঠানপ্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র শিক্ষার্থীদের যথাসময়ে বিতরণ না মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র যথাসময়ে শিক্ষা বোর্ড থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করা হলেও কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের কাছে তা ‘যথাসময়ে বিতরণ না’ করে পরীক্ষা শুরুর কিছুদিন আগে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ‘এক দিন আগে’ শিক্ষার্থীদের কাছে বিতরণ করে থাকে। ফলে ভুলবশত কোনো শিক্ষার্থীর ফরম পূরণ করা না হলেও ‘সময় কম থাকার’ কারণে সেসব শিক্ষার্থীর ফরম পূরণ করা সম্ভব হয় না।
অননুমোদিত বিষয়ে রেজিস্ট্রেশন ও ফরম পূরণ অনেক প্রতিষ্ঠান ঢাকা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক বিষয় খোলার অনুমোদন না থাকলেও অননুমোদিত বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করে থাকে। কিন্তু রেজিস্ট্রেশন ও ফরম পূরণের সময় প্রতিষ্ঠান কর্তৃক তাদের অনুমোদিত বিষয়ে রেজিস্ট্রেশন ও ফরম পূরণ করে থাকে। যেহেতু শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর আগের দিন রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র দেওয়া হয়, সেহেতু সময় কম থাকার কারণে এবং পরীক্ষার প্রশ্নপত্র স্থানীয় প্রশাসনের নিরাপত্তা হেফাজতে থাকায় বোর্ডের পক্ষে ‘অননুমোদিত বিষয়ে’ ফরম পূরণ করে প্রবেশপত্র দেওয়া সম্ভব হয় না। এ কারণে শিক্ষার্থীরা ‘চরম মানসিক যন্ত্রণা’র শিকার হয় এবং তাদের ‘শিক্ষাজীবন হুমকি’র মুখে পড়ে।
নির্ধারিত সময়ে ফরম পূরণ করতে হবে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, ২০২৬ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় বোর্ড কর্তৃক ‘নির্ধারিত সময়ের’ মধ্যে সব শিক্ষার্থীর ফরম পূরণ সম্পন্ন করতে হবে। বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের নির্ধারিত তারিখ শেষ হওয়ার পর কোনো অবস্থাতেই শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের সুযোগ দেওয়া হবে না। তাই ২০২৬ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য ‘পর্যাপ্ত সময়’ দেওয়া হবে।
রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র গ্রহণের এক সপ্তাহের মধ্যে বিতরণ শিক্ষা বোর্ড থেকে রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র গ্রহণের এক সপ্তাহের মধ্যে তা পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র যথাসময়ে বিতরণ না করার কারণে কোনো জটিলতা সৃষ্টির অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানপ্রধানের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু, নিরাপত্তা জোরদারে তৎপর ইবি প্রশাসন

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মেধাবী শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনার পর গাফিলতি ও নিরাপত্তা ঘাটতি নিয়ে তীব্র সমালোচনা, অভিযোগ, মানববন্ধন ও আন্দোলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরা, সার্চ লাইট ও স্ট্রিট লাইট স্থাপন-সহ নিরাপত্তা জোরদারে বিভিন্ন সংস্কারমূলক কার্যক্রম শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
রোববার (২০ জুলাই) উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী সাংবাদিকদের সঙ্গে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান। ভিসি কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত প্রেসব্রিফিংয়ে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শাহীনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুল ইসলাম-সহ ইবি সাংবাদিক সমিতি, প্রেসক্লাব ও রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতৃবৃন্দ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
ভিসির রুটিন দায়িত্বে থাকা প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ ছিলেন সজ্জন ও সংস্কৃতিমনা। তার মৃত্যুতে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কোনো গাফিলতি নেই। ভাইস চ্যান্সেলর, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার, রেজিস্টার (ভারপ্রাপ্ত), প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টাসহ সকলেই দিন-রাত আন্তরিকতার সঙ্গে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমরা সাজিদ আব্দুল্লাহকে হারিয়েছি। এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল।
তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তার প্রশ্নে শিক্ষার্থীদের মনে যেন দ্বিধা তৈরি না হয় সেজন্য আমরা সঠিক ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সাজিদ আব্দুল্লাহ’র মৃত্যুর সঠিক কারণ খুঁজে বের করার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করছি। শিক্ষার্থীরা যেসব দাবি জানাচ্ছে তা যৌক্তিক। দাবিগুলো পূরণে তাদেরকে ধৈর্যধারণের আহ্বান জানান তিনি।
তিনি জানান, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ চলছে। একজন হাউস টিউটর এবং একজন সহকারী প্রক্টর প্রতিরাতে দায়িত্ব পালন করবেন। ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়কে রক্ষা করা, শান্তিপূর্ণভাবে চলা এবং উন্নয়নের পথে নেওয়ার কাজটি শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীসহ সবার আন্তরিক সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সাংবাদিকদের সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ প্রয়োজন।
তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি আরও জানান, আমাদের ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির সর্বোচ্চ ক্ষমতা- ঘটনা প্রবাহের তথ্য উদঘাটন করা। তবে কাউকে বিচার করা, ফাঁসি দেওয়া আমাদের ক্ষমতা নেই। এটা সম্পূর্ণ পুলিশবাদী কেস। আমরা সর্বোচ্চ পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে পারি।
সম্মেলনে কোষাধ্যক্ষ ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এতো দিন বিগত প্রশাসনের জবাবদিহিতা না থাকার কারণে আমাদের ওপর দোষ চাপানো হচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক বক্তৃতা-সহ নানা মাধ্যমে জিজ্ঞেসা করা হয়- ‘প্রশাসন এতো এতো টাকা কী করে?’ আমরা জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার মধ্যে থাকার চেষ্টা করি। দুঃখের বিষয় হলো- হল প্রশাসন থেকে জানানো হয় না তাদের কী প্রয়োজন। প্রশাসনের কোথাও আর্থিক দৈন্যতা নেই। দৈন্যতা আছে ইউজারের, জিনিসগুলো প্রপারলি ইউজ করলে আর কোন ঝামেলা থাকবে না। সাজিদের মৃত্যুর খবর শুনে সাথে সাথে কুষ্টিয়ায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শাহীনুজ্জামান বলেন, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা জোরদারে আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যেই সার্চলাইট এবং স্ট্রিট লাইট স্থাপনের মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয়েছে। রোববার থেকে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ চলছে। লালন শাহ হল ও শাহ আজিজুর রহমান হল পকেট গেইটে ২৪ ঘণ্টার জন্য দু’জন আনসার সদস্য দেওয়া হয়েছে। থানা গেইটেও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে পুকুর পাড় ও জিমনেসিয়ামসহ বিভিন্ন পয়েন্টে লাইট লাগানো হয়েছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া, আজকেও কিছু স্থানে লাইট স্থাপন করা হবে। এ ছাড়া সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন চলমান ছিল; আজকে ইঞ্জিনিয়ার ও টেকনিশিয়ান আসছিল তারা জরিপ করছে কোথায় কোথায় ক্যামেরা স্থাপন করা যায়।
গতকাল (শনিবার) শহিদ জিয়াউর রহমান হলে চারটি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুল গফুর গাজী বলেন, শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর অকাল মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। সাজিদ এই হলের ১০৯ নং কক্ষে থাকতো। হলে চারটি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। একে একে অন্যান্য সমস্যাগুলোও সমাধান করা হবে৷ সাজিদ আব্দুল্লাহর মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তে হল প্রশাসন থেকে কমিটি করা হয়েছে এবং তদন্তের কাজ চলছে।
এর আগে গত ১৭ জুলাই বিকেলে শাহ আজিজুর রহমান হল সংলগ্ন পুকুর থেকে আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সাজিদ আব্দুল্লাহর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এটা নিছক দুর্ঘটনা না-কি হত্যাকাণ্ড তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সাজিদ শহিদ জিয়াউর রহমান হলের ১০৯ নং কক্ষে থাকতেন। তার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র পরদিন ১৮ জুলাই জরুরি ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এমতাজ হোসেনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি করে প্রশাসন।
অন্যদিকে একইদিনে শহিদ জিয়াউর রহমান হল প্রভোস্ট ড. আব্দুল গফুর গাজীকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে হল প্রশাসন। উভয় কমিটিই ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। মৃত্যুর কারণ ও পেছনের সম্ভাব্য রহস্য উন্মোচনের লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইউজিসির নির্ধারিত গ্রেডিং পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করতে হাইকোর্টে রিট

বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) নির্ধারিত অভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি বাধ্যতামূলকভাবে বাস্তবায়নের দাবিতে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। জনস্বার্থে দায়েরকৃত এ রিটে পিটিশনার হিসেবে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. গোলাম কিবরিয়া।
রোববার (২০ জুলাই) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের এবং বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে এ রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত আগামী রবিবার আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন।
রিট আবেদনে উল্লেখ করা হয়, দেশের ১১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৬টি বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসির গ্রেডিং পদ্ধতি অনুসরণ না করে নিজেদের মতো করে ভিন্ন ভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি অনুসরণ করছে, যা উচ্চশিক্ষার মানদণ্ডে একটি বড় বৈষম্য সৃষ্টি করছে। ইউজিসি কর্তৃক নির্ধারিত অভিন্ন গ্রেডিং স্কেল যথাযথভাবে অনুসরণ না করায় শিক্ষার্থীরা একাডেমিক ও পেশাগত ক্ষেত্রে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
রিটে আরও বলা হয়, ইউজিসি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বে থাকলেও অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব নিয়মে গ্রেড প্রদান করছে, যা ইউজিসির নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। অভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি অনুসরণ না করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলো হলো: নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ওফ বাংলাদেশ (এআইইউবি), ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি ওফ বাংলাদেশ (আইইউবি), ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) এবং ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ওফ লিবারেল আর্টস (ইউলা)।
এই রিটের আদেশের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সমতা ও মান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি নীতিগত দিকনির্দেশনা পাওয়া যেতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।
প্রসঙ্গত, দেশে বর্তমানে ১১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম চলমান। অভিন্ন গ্রেডিং স্কেল না থাকায় একাডেমিক ও চাকরিক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীরা অনেক সময় তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে পড়ছে।
কাফি