Connect with us

ধর্ম ও জীবন

জেদ্দায় শুরু হয়েছে হজ-ওমরাহ সম্মেলন

Published

on

আর্থিক প্রতিবেদন

সৌদি আরবের জেদ্দায় শুরু হয়েছে চার দিনব্যাপী পবিত্র হজ ও ওমরাহ পরিষেবা সম্মেলন ও প্রদর্শনী। সোমবার (৮ জানুয়ারি) থেকে শুরু হয়েছে এই সম্মেলন। চলবে আগামী বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি)। সৌদি বাদশাহ সালমানের পৃষ্ঠপোষকতায় হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে জেদ্দা সুপারডোমে চার দিনব্যাপী এ সম্মেলন পরিচালিত হচ্ছে।

এতে সারা বিশ্ব থেকে হজ ও ওমরাহ সেক্টরে আগ্রহীরা অংশ নিয়েছেন। তারা নিজেদের নতুন ভাবনাগুলো তুলে ধরবেন। হজযাত্রীদের অভিজ্ঞতা আরও সমৃদ্ধ করতে তৃতীয়বারের মতো সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়েছে।

সৌদি প্রেস এজেন্সি সূত্রে জানা যায়, হজবিষয়ক এ সম্মেলন আগামীকাল সোমবার থেকে শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার (৮-১১ জানুয়ারি) পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। মূলত সৌদি ভিশন ২০৩০-এর অংশ হিসেবে হজযাত্রীদের অভিজ্ঞতা শীর্ষক এ প্রগ্রামের আয়োজন করা হয়। এই সম্মেলনে হজ ও ওমরাযাত্রীদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি হজ পরিষেবার মান বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করা হবে।

চারদিন ব্যাপী এ সম্মেলনে হজ ও ওমরাহ সংশ্লিষ্ট ১৫টি প্যানেল আলোচনা, ৪৫টি ওয়ার্কশপ ও ১৪টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এতে হজ পরিষেবার উন্নয়নে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের প্রভাব, পবিত্র শহর ও স্থানগুলোর ভবিষ্যত পরিকল্পনা এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন, হজে সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবা বৃদ্ধি, হজ ও ওমরাহ বাস্তবায়নে কূটনৈতিক সহযোগিতা, ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার, পরিবহন পরিষেবার উন্নয়ন, সমন্বিত লজিস্টিক কৌশল, প্রযুক্তি পরিষেবার মাধ্যমে জ্ঞান সমৃদ্ধ করা, হজে মিডিয়ার ভূমিকা, হজযাত্রীদের সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতার উন্নয়ন বিষয়ে উন্মুক্ত আলোচনা হবে।

গত বছর হজ ও ওমরাহ সম্মেলনে এক লাখের বেশি দর্শনার্থীর সমাবেশ হয়। এর মধ্যে ৩৬০টি সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা অংশ নেয়।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ধর্ম ও জীবন

কোরবানির জন্য কেমন পশু কিনবেন?

Published

on

আর্থিক প্রতিবেদন

কোরবানির সম্পর্কে হযরত মিখজাফ ইবনে সালিম রা. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সা.-কে আরাফার ময়দানে দাঁড়িয়ে সমবেত লোকদেরকে সম্বোধন করে একথা বলতে শুনেছি, ‘হে লোক সকল! তোমরা জেনে রাখ, প্রত্যেক সামর্থ্যবান ব্যক্তির ওপর প্রত্যেক বছরই কোরবানি করা কর্তব্য। আর যার সামর্থ্য নেই তাদের ওপর কোরবানি কর্তব্য নয়। কারণ আল্লাহ কারও ওপর এমন কোনো কাজের দায়িত্ব চাপিয়ে দেন না, যা তার সাধ্যের বাইরে।’ (তিরমিজি)

কোরবানি করার জন্য শরিয়তে কয়েক ধরনের পশু নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। গরু, মহিষ, উট, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা দিয়ে কোরবানির করা জায়েজ। অন্য কোন পশু দিয়ে কোরবানি করার বিধান নেই।

আর বয়সের ক্ষেত্রে ছাগল, ভেড়া, দুম্বা অন্তত এক বছর । গরু, মহিষ অন্তত দুই বছর ও উট অন্তত ৫ বছর হতে হবে। তবে ভেড়া ও দুম্বা যদি এমন হৃষ্টপুষ্ট হয় যে ছয় মাসেরটি দেখতে এক বছরের মতো লাগে, তাহলে সেটি দিয়ে কোরবানি হবে।

কোরবানির পশু কেনার আগে যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে-

এমন দুর্বল পশু কেনা যাবে না যার হাড়ের মজ্জা শুকিয়ে গেছে বা কোরবানির স্থান পর্যন্ত হেঁটে যেতে পারবে না। এরকম পশু দিয়ে কোরবানি জায়েজ হবে না। আর মোটা-তাজা পশু দিয়ে কোরবানি করা মুস্তাহাব।

কোন পশুর একটি পা যদি এমন ভাবে নষ্ট হয়ে যায় যে, চলার সময় সেটি দিয়ে কোন সাহায্য নিতে পারে না তবে ওই পশু দিয়ে কোরবানি হবে না।

এছাড়া আরো যেসব পশু দিয়ে কোরবানি হবে না-

>শিং গোড়া থেকে ভেঙে গেলে সেই ক্ষত যদি মগজ পর্যন্ত পৌছায়।

>দাঁত মোটেও না উঠলে বা যদি অর্ধেক দাড় পড়ে যায়।

>দৃষ্টি শক্তি তিন ভাগের এক ভাগ কমে বা নষ্ট হয়ে গেলে।

>লেজের অন্তত তিন ভাগের এক ভাগ কাটা গেলে।

>কান একেবারে না উঠলে(অবশ্য খুব ছোট কান থাকলেও হবে)।

>তবে শিং মোটেও না উঠলে সেই পশু দিয়ে কোরবানি হবে।

গাভীন বলে জানা গেলে সেটা দিয়ে কোরবানি হবে। তবে পেটে বাচ্চা জীবিত পাওয়া গেলে সেটিকেও আল্লাহর নামে জবেহ করতে হবে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ধর্ম ও জীবন

অসুস্থ প্রাণী জবাই করে খাওয়া যাবে?

Published

on

আর্থিক প্রতিবেদন

ইসলামি বিধানতে হালাল প্রাণীর গোশত খাওয়া বৈধ। কোন কোন প্রাণী বা কী ধরনের প্রাণী খাওয়া জায়েজ ইসলাম এ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা আছে। হালাল-হারাম সম্পর্কিত কোরআন ও হাদিসের আলোকে প্রণীত মূলনীতি অনুসারে যেসব পশু পাখির গোশত খাওয়া হালাল তা হলো- উট, ছাগল, ভেড়া, মহিষ, হরিণ, খরগোশ, গরু (বন্য গরুসহ), বন্য গাধা, হাঁস, মুরগী, তিতির, হুদহুদ, রাজহাঁস, বক, সারস, উটপাখি, ময়ুর, চড়ই, কোয়েল, ঘুঘু, কবুতর, পানকৌড়ী এবং মাছ (চিংড়িসহ), ইত্যাদি।

এর বাইরে যেসব পশু-পাখির মাংস খাওয়া হারাম তা হলো- শুকর, হায়না, নেকড়ে কুকুর, বিড়াল, বানর, চিতা, সিংহ, বাঘ, জারবয়া, ভাল্লুক, সাপ, কাঠ বিড়ালী, কচ্ছপ, বেজী, শিয়াল, গৃহপালিত গাধা, হাতি। (রাদ্দুল মুহ্তার, খণ্ড ৬, পৃষ্ঠা ৩০৬)।

যে সকল পশু-পাখির গোশত খাওয়া বৈধ, ওগুলোও যেন-তেনভাবে মেরে খাওয়া যাবে না। বরং এমনভাবে জবাই করে খেতে হবে, যেন নাপাক রক্ত পশুর শরীর থেকে বের হয়ে যায় এবং জন্তুরও কষ্ট কম হয়। তাই ইসলামের বিধান হচ্ছে, জবাই করার সময় মূল চারটা রগের কমপক্ষে তিনটা কাটতে হবে। এতে নাপাক রক্ত বেশি বের হবে এবং সহজে পশুর জান বের হয়ে যাবে।

সুস্থ সবল প্রাণী সহজেই জবাই করে খাওয়া যায়, তবে অনেক সময় দেখা যায় কিছু কিছু প্রাণী অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন তা জবাই করে খাওয়া।

অসুস্থ প্রাণী জবাই করে খাওয়া নিয়ে আমাদের সমাজে একটা কথা প্রসিদ্ধ আছে যে, যখন কোনো পশু খুব অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন এমন পশু জবাই করা ও খাওয়া ঠিক নয়। বিশেষত যখন এমন মনে হয় যে, পশুটি হয়তো বেশিদিন বাঁচবে না।

শরীয়তে এমন পশু খাওয়ার ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা আছে কি না? এবিষয়ে ফেকাহবিদ আলেমদের মতামত হলো—

প্রাণীর অসুস্থতা দুই ধরনের হতে পারে।

এক. এমন অসুস্থতা, যার কারণে পশুর গোশত খেলে মানব শরীরে এর বিরূপ প্রভাব পড়া এবং ক্ষতি হওয়ার সমূহ আশঙ্কা সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে এমন প্রাণীর গোশত খাওয়া থেকে বিরত থাকা বাঞ্ছনীয়। এবং কোনো বিক্রেতা রোগের বিষয়টির সুস্পষ্ট ও প্রকাশ্য ঘোষণা ছাড়া এধরনের প্রাণী বা এর গোশত বিক্রি করতে পারবে না। এটি শরীয়তে নিষিদ্ধ ‘আলগারার’ ও ‘আলখিদা’-এর শামিল হবে।

দুই. কোনো প্রাণীর এমন সাধারণ অসুস্থতা, যা তার গোশতে তেমন প্রভাব ফেলে না এবং তা মানব শরীরের জন্য তেমন কোনো ক্ষতির আশঙ্কা সৃষ্টি করে বলেও প্রমাণিত নয়। সে ধরনের অসুস্থ প্রাণীর গোশত খেতে কোনো অসুবিধা নেই। এবং সে প্রাণী বা এর গোশত বিক্রি করতেও বাধা নেই।

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ধর্ম ও জীবন

একসঙ্গে অনেককে সালাম দিলে উত্তর দেবেন কে?

Published

on

আর্থিক প্রতিবেদন

সালাম দেওয়া সুন্নত। আর উত্তর দেওয়া ওয়াজিব। মুসলমানরা একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় সালাম দিয়ে থাকেন। কারণ সালাম ইসলামের অভিবাদন, শান্তির প্রতীক এবং গুরুত্বপূর্ণ সংস্কৃতির অংশ। সালামের মাধ্যমে নিরাপত্তা ও শান্তির বার্তা ছড়ানো হয়। সালাম দেওয়া-নেওয়া জান্নাতি মানুষের অভ্যাস।

সালামের প্রচলনকে ইসলামের শ্রেষ্ঠ কাজ বলে অভিহিত করেছেন প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘হে লোক সকল! তোমরা সালাম প্রচার করো, (ক্ষুধার্তকে) খাবার দান করো, আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখ এবং লোকে যখন (রাতে) ঘুমিয়ে থাকে, তখন তোমরা নামাজ পড়ো। তাহলে তোমরা নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (তিরমিজি, হাদিস, ২৪৮৫; ইবনে মাজাহ, হাদিস, ১৩৩৪-৩২৫১; দারেমি, হাদিস, ১৪৬০)

সালাম এবং মুসাফাহার মাধ্যমে পরস্পরের মাঝে ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়। এ সম্পর্কে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমরা একে অপরের সঙ্গে মুসাফাহা করো, এতে তোমাদের অন্তরে বিদ্যমান প্রতিহিংসা ও বিদ্বেষ দূর হয়ে যাবে। একে অন্যকে হাদিয়া প্রদান করো, এতে হৃদ্যতা সৃষ্টি হবে এবং শত্রুতা ও ঘৃণা দূরীভূত হবে।’ (আবু দাউদ, হাদিস, ৫২১২)

অনেক সময় দেখা যায় কোনো সভা-মঞ্চ বা আলোচনার মজলিশে অনেক মানুষ উপস্থিত থাকেন, সেখানে উপস্থিত ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে আলোচকেরা সালাম দিয়ে থাকেন। যেহেতু সালামের উত্তর দেওয়া ওয়াজিব।

তাই স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগে- সভা-মঞ্চ বা আলোচনার মজলিশে উপস্থিত অনেককে একসঙ্গে সালাম দিলে উত্তর কে দেবেন? নাকি সবার পক্ষ থেকে একজন ব্যক্তিই উত্তর দিয়ে দিলে আদায় হয়ে যাবে?

এমন পরিস্থিতি সম্পর্কে আলেমরা বলেন, কোথাও একাধিক ব্যক্তি থাকলে এবং সবাইকে উদ্দেশ্য করে সালাম দিলে সবার জন্য উত্তর দেওয়া ওয়াজিব নয়। উপস্থিত মানুষদের পক্ষ থেকে কেউ একজন সালামের উত্তর দিলে সবার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে।

তবে যেহেতু উপস্থিত ব্যক্তিদের সবাইকে উদ্দেশ্য করে সালাম দেওয়া হয়েছে তাই সবার জন্য উত্তর দেওয়া উত্তম। সবাই উত্তর দেওয়া সম্ভব হলে এবং উত্তর দেওয়ার মতো পরিস্থিতি থাকলে সবারই উচিত সালামের উত্তর দেওয়া।

তবে এমন পরিস্থিতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এবং লক্ষণীয় হলো- অনেক মানুষ আছে, কেউ না কেউ তো সালামের উত্তর দেবেন- এমন ভাবনা থেকে যদি কেউ সালামের উত্তর না দেয়, তাহলে সবাই গুনাহগার হবে।

আর যদি কখনো শুধু কোনো একজন ব্যক্তির নিয়ে বা কোনো এক ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট করে সালাম দেওয়া হয়, তাহলে তাকেই উত্তর দিতে হবে।

(ফতোয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত, ১২/১০৮, ফতোয়ায়ে কাজিখান, হিন্দিয়া, ৩/৩২৭, রদ্দুল মুহতার, ২/৪১৩)

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ধর্ম ও জীবন

জুমার দিনের গুরুত্বপূর্ণ ১৫ আমল

Published

on

আর্থিক প্রতিবেদন

সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন জুমাবার। এটি মুসলমানদের কাছে একটি কাঙ্ক্ষিত দিন। এই দিনকে সাপ্তাহিক ঈদ বলা হয়েছে হাদিসে। সৃষ্টিজগতের শুরু থেকেই দিনটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। জুমাবার শুরু হওয়া থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত অনেক আদব রয়েছে। যেসব আদব আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করা বাঞ্ছনীয়। এখানে আমরা জেনে নেব জুমার দিন জুমা পড়তে মসজিদে ঢুকার পর থেকে যেসব আদব গুরুত্বের সঙ্গে রক্ষা করা উচিত।

১. আগেভাগে মসজিদে গিয়ে ইমামের কাছাকাছি বসা। (আবু দাউদ: ১১০৮)

২. সময় থাকলে দু’রাকাত নফল (তাহিয়্যাতুল মাসজিদ বা দুখুলুল মসজিদ) পড়া। (সহিহ বুখারি: ১১৬৭)

৩. কাবলাল জুমা (৪ রাকাত সুন্নত) পড়া। (আল মুজামুল আওসাত: ১৬১৭)

৪. বয়ান শুরু হলে কাবলাল জুমা বয়ানের পরে পড়া। (মুসনাদে আহমদ: ২০৭২১, জুমার আদব)

৫. ইমামের দিকে মুখ করে বসা। (তিরমিজি: ৫০৯, ইবনে মাজাহ: ১১৩৬)

৬. চুপচাপ থাকা (নিচু কণ্ঠে জিকির-আজকার করা)। (সুনানে নাসায়ি: ১৪০১)

৭. মনোযোগসহ খুতবা শোনা ও খুতবার সময় চুপ থাকা- এটা ওয়াজিব। (বুখারি: ৯৩৪, মুসলিম: ৮৫৭, আবু দাউদ: ১১১৩, আহমদ: ১/২৩০)

৮. বসে থাকা মুসল্লিদের ঠেলে বা সরিয়ে কিংবা মুসল্লিদের ঘাড় ডিঙিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে না যাওয়া। (বুখারি: ৯১০, ৮৮৩; আবু দাউদ: ৩৪৩)

৯. এতটুকু জোরে আওয়াজ করে কোনোকিছু না পড়া, যাতে অন্যের সালাত ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে। (আবু দাউদ: ১৩৩২)

১০. কাউকে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে বসার চেষ্টা না করা। (বুখারি: ৯১১, মুসলিমঃ ২১৭৭, ২১৭৮)

১১. কেউ কথা বললে ‘চুপ করুন’ এটুকুও না বলা। (নাসায়ি: ৭১৪, বুখারি: ৯৩৪)

১২. ইমামের খুৎবা দেওয়া অবস্থায় দুই হাঁটু উঠিয়ে না বসা। (আবু দাউদ: ১১১০, ইবনে মাজাহ: ১১৩৪)

১৩. কাতারবদ্ধ হওয়ার সময় সামনের কাতার পুরা করা। (মুসলিম: ৪৩০; রদ্দুল মুহতার : ১/৬৩৬)

১৪. ইমামের পেছনে মনোযোগসহ দুরাকাত জুমার নামাজ পড়া। (সুরা জুমা: ৯-১০)

১৫. জুমার নামাজের পর মসজিদে চার রাকাআত সুন্নাত সালাত আদায় করা। (বুখাররি: ১৮২, মুসলিম: ৮৮১, আবু দাউদ: ১১৩০)

জুমার দিন জুমার নামাজের জন্য মসজিদে প্রবেশ করার পর উল্লেখিত নেক আমলগুলোর প্রতি মুসল্লিদের যত্নবান হওয়া উচিত। কেননা জুমার দিনের প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব ও মর্যাদা অনেক বেশি।

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ধর্ম ও জীবন

আগামীকাল থেকে পবিত্র জিলকদ মাস গণনা শুরু

Published

on

আর্থিক প্রতিবেদন

বাংলাদেশের আকাশে আজ ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। তাই আগামীকাল ১০ মে শুক্রবার থেকে পবিত্র জিলকদ মাস গণনা শুরু হবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দারের সভাপতিত্বে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মহা. বশিরুল আলম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. আবদুল জলিল, বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসনের ওয়াকফ প্রশাসক আবু সালেহ মো. মহিউদ্দিন খাঁ, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান, ঢাকা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আমিনুর রহমান, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব রুহূল আমীন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সহকারী পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ আবদুর রশীদ, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি আদনান মুহাম্মাদ সানী, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
আর্থিক প্রতিবেদন
জাতীয়2 hours ago

চামড়া শিল্পকে বাঁচাতে হলে পরিবেশবান্ধব করতে হবে: মন্ত্রী

আর্থিক প্রতিবেদন
ধর্ম ও জীবন3 hours ago

কোরবানির জন্য কেমন পশু কিনবেন?

আর্থিক প্রতিবেদন
জাতীয়3 hours ago

জ্বালানি সাশ্রয়ী ভবন নির্মাণ সময়ের দাবি: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

আর্থিক প্রতিবেদন
জাতীয়3 hours ago

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নতুন সচিব আবদুর রহমান

আর্থিক প্রতিবেদন
জাতীয়3 hours ago

বৈদেশিক ঋণের প্রকল্প দ্রুত শেষ করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

আর্থিক প্রতিবেদন
জাতীয়3 hours ago

নির্বাচন কমিশন একদিন বিশ্বের রোল মডেল হবে: ইসি হাবিব

আর্থিক প্রতিবেদন
অর্থনীতি4 hours ago

অর্থনীতি সমিতির বার্ষিক সম্মেলন শুরু ১৭ মে

আর্থিক প্রতিবেদন
জাতীয়4 hours ago

প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন আসিম জাওয়াদের মা

আর্থিক প্রতিবেদন
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার4 hours ago

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে চাকরির সুযোগ

আর্থিক প্রতিবেদন
ধর্ম ও জীবন5 hours ago

অসুস্থ প্রাণী জবাই করে খাওয়া যাবে?

আর্থিক প্রতিবেদন
লাইফস্টাইল5 hours ago

যেসব ভিটামিন হাড় ভালো রাখে

আর্থিক প্রতিবেদন
জাতীয়5 hours ago

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল একটা জাগরণ: নানক

আর্থিক প্রতিবেদন
সারাদেশ5 hours ago

হবিগঞ্জে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ ৩ ঘণ্টা

আর্থিক প্রতিবেদন
জাতীয়5 hours ago

পদোন্নতি পেয়ে সচিব হলেন দুই কর্মকর্তা

আর্থিক প্রতিবেদন
পুঁজিবাজার5 hours ago

আর্থিক প্রতিবেদনে স্বচ্ছতা বৃদ্ধির আহ্বান ডিএসই চেয়ারম্যানের

আর্থিক প্রতিবেদন
জাতীয়6 hours ago

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধির সাক্ষাৎ

আর্থিক প্রতিবেদন
জাতীয়6 hours ago

শেখ হাসিনাকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন

আর্থিক প্রতিবেদন
জাতীয়6 hours ago

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস শুক্রবার

আর্থিক প্রতিবেদন
আবহাওয়া6 hours ago

বৃষ্টি কবে হবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

আর্থিক প্রতিবেদন
স্বাস্থ্য7 hours ago

জলবায়ু পরিবর্তনে নারীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে: পরিবেশমন্ত্রী

আর্থিক প্রতিবেদন
জাতীয়7 hours ago

ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও নিবিড় হবে: ভূমিমন্ত্রী

আর্থিক প্রতিবেদন
জাতীয়7 hours ago

দেশকে এগিয়ে নিতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আর্থিক প্রতিবেদন
কর্পোরেট সংবাদ7 hours ago

হজযাত্রীদের হেলথ চেকআপে বিকাশ পেমেন্টে ছাড়

আর্থিক প্রতিবেদন
অর্থনীতি7 hours ago

ব্যাংকঋণের সুদহার ১৪ শতাংশের বেশি হবে না: গভর্নর

আর্থিক প্রতিবেদন
জাতীয়7 hours ago

শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও গবেষণা আরও বাড়ানোর সুপারিশ

Advertisement

ফেসবুকে অর্থসংবাদ

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩

অর্থসংবাদ আর্কাইভ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১