জাতীয়
সংসদ সদস্যদের গেজেট প্রকাশে ইসির অনুমোদন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ফলাফলের গেজেট প্রকাশে অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আজ মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে সংসদ সদস্যদের এই গেজেট প্রকাশের তথ্য নিশ্চিত করেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আলমগীর।
এ বিষয়ে ইসি আলমগীর বলেন, নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ফলাফলের গেজেট অনুমোদন করা হয়েছে। আমরা সাক্ষর করে দিয়েছি। কিচ্ছুক্ষণের মধ্যে প্রিন্ট করে সংসদ সচিবালয়ে পাঠানো হবে। এমনকি বিজি প্রেসে আজই চলে যাবে। যেহেতু এখন অনলাইন যুগ। দ্রুতই কাজ হয়ে যাবে। আজ সন্ধ্যায় সেটি প্রকাশ হবে।
তিনি আরও বলেন, ২৯৮ আসনের ফলাফলের গেজেট পাস হয়েছে। ফলাফল যাচাই করা হয়েছে। সব কিছু ঠিক আছে। এরপরই আমরা গেজেট অনুমোদন করেছি।
এই গেজেট প্রকাশের মধ্য দিয়ে তিন দিনের মধ্যে নতুন সংসদ সদস্যদের শপথ নিতে হবে। এমনটাই গেজেটের বাধ্যবাধকতা হিসেবে আছে।
শুরুতে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সংসদ সদস্যদের শপথ নেয়ার কথা থাকলেও আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১০ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের দিনই শপথ নেবেন নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা।
সাধারণত বেশি আসন পাওয়া দলের সংসদ সদস্যরা প্রথমে এবং এরপর পর্যায়ক্রমে অন্য সংসদ সদস্যরা শপথ নিয়ে থাকেন।
আইন অনুযায়ী, তিন দিনের মধ্যে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথগ্রহণ করতে হয় নতুন সংসদ সদস্যদের। সংবিধানের ১৪৮-এর ২(ক) ও ১২৩ অনুচ্ছেদের (৩) দফায় বলা হয়েছে, সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচনের ফল সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপিত হওয়ার তারিখ থেকে পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে এই সংবিধানের অধীন নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা অনুরূপ ব্যক্তি কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোনো ব্যক্তি যে কোনো কারণে নির্বাচিত সদস্যদের শপথ পাঠ পরিচালনা করতে ব্যর্থ হলে বা না করলে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে শপথ পাঠ পরিচালনা করবেন।
এরপর ৩০ দিনের মধ্যে অধিবেশন ডাকতে হয়। তবে ভোটের কত দিনের মধ্যে গেজেট হবে, সে বিষয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
৭ জানুয়ারি সারাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বেসরকারিভাবে পাওয়া ফলাফলে ২৯৮ আসনের মধ্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২২২ আসন ও জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে জয় পেয়েছে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জয়ের হার এবার বেশি। তারা ৬২টি আসনে জয় পেয়েছেন। আর মহাজোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদের প্রার্থী নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে একটি করে আসন পেয়েছেন। বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিমও কক্সবাজারের একটি আসন থেকে জয় পেয়েছেন।

জাতীয়
একাত্তরের অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে: ইসহাক দার

১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাওয়া এবং অন্যান্য অমীমাংসিত তিনটি বিষয় এরই মধ্যে দুইবার সমাধান হয়েছে বলে দাবি করেছেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দার।
রবিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই দাবি করেন তিনি।
অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে ইসহাক দার বলেন, ১৯৭৪ সালে প্রথমবারের মতো বিষয়টির সমাধান হয়েছে। সেই সময়ের দলিল দুই দেশের জন্য ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে। এরপর জেনারেল পারভেজ মোশাররফ ২০০০ সালের শুরুতে বাংলাদেশে এসে বিষয়টি প্রকাশ্যে সমাধান করেছেন। তাই এটি দুইবার সমাধান হয়েছে।
বাংলাদেশ মনে করে, ১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া, যুদ্ধক্ষতির ক্ষতিপূরণ, বাংলাদেশে আটকে পড়া পাকিস্তানি নাগরিকদের প্রত্যাবাসন, যৌথ সম্পদের হিস্যা এবং ১৯৭০ সালের অবিভক্ত পাকিস্তানের সময় দেওয়া বৈদেশিক সহায়তার পাওনা আদায়ের মতো বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়গুলো বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে তুলে ধরা হয় বলে জানিয়েছে কূটনৈতিক সূত্র।
জাতীয়
সীমানা পুনর্নির্ধারণে পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করেছি: সিইসি

সংসদীয় এলাকার সীমানা নিয়ে দাবি আপত্তির শুনানি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। শুনানি শুরুর আগে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা পেশাদারত্বের সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছি।
রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১২টায় নির্বাচন ভবনে এই শুনানি শুরু হয়। এর আগে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আইন অনুযায়ী খসড়া সীমানা নিয়ে দাবি আপত্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আপনাদের আবেদনগুলো আমরা বিবেচনায় নিয়েছি। এখন শুনানিতে যৌক্তিক বিষয়গুলো তুলে ধরবেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব এতে উপস্থিত রয়েছেন।
প্রথমদিনে কুমিল্লা অঞ্চলের ১৮টি আসনের শুনানি চলবে।
শুনানিতে আপত্তিকারী ও তার ক্ষমতাপ্রাপ্ত কৌশলী উপস্থিত রয়েছেন।
ইসি সচিব জানান, রোববার কুমিল্লা অঞ্চলের দাবি-আপত্তির শুনানি রয়েছে, দুপুর ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, ৩ ও ৫; আড়াইটা থেকে সাড়ে তিনটায় কুমিল্লা-৬, ৯, ১০ ও ১১; সাড়ে তিনটা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নোয়াখালী-১, ২, ৪ ও ৫, চাঁদপুর-২ ও ৩, ফেনী-৩, লক্ষ্মীপুর-২ ও ৩ আসনের দাবি-আপত্তি আবেদনের।
৩০ জুলাই ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে খসড়া প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এতে ভোটার সংখ্যার সমতা আনতে গিয়ে গাজীপুর জেলায় একটি আসন বাড়িয়ে ছয়টি করা হয়। বাগেরহাটের আসন চারটি থেকে কমিয়ে তিনটির প্রস্তাব করা হয়।
শুনানি উপলক্ষে নির্বাচন ভবনে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। নিয়ম মেনে আবেদনকারীদের নির্বাচন ভবনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।
চারদিন শুনানি শেষে ইসির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
দাবি আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে ৩০০ আসনের সংসদীয় লেখার সীমানা গেজেট প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।
জাতীয়
বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে এক চুক্তি ও চার সমঝোতা স্মারক সই

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শেষে একটি চুক্তি এবং চারটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
রবিবার (২৪ আগস্ট) ঢাকায় সফরত পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের মধ্যে বৈঠক শেষে এ সই কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে জাতীয় উপস্থিত ছিলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানও।
এর আগে, শনিবার (২৩ আগস্ট) তিন দিনের সরকারি সফরে ঢাকায় আসেন ইসহাক দার। সফরের প্রথম দিনেই ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
রোববার বিকেলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ইসহাক দার। এছাড়া, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গেও বৈঠকের কথা রয়েছে তার।
জাতীয়
বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী পাকিস্তান

বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতামূলক ও অগ্রসরমুখী সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। শনিবার (২৪ আগস্ট) ঢাকায় আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ ইচ্ছার কথা জানান দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দার। বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দারের উদ্যোগে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক এক্স পোস্টে এ তথ্য জানায়।
অনুষ্ঠানে সরকারের উপদেষ্টা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, আমলা, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বুদ্ধিজীবী, থিংক ট্যাংক প্রতিনিধি, সাংবাদিক, ক্রীড়াবিদ, শিল্পী ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। সংবর্ধনায় পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খানও অংশ নেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী পাকিস্তান
বক্তব্যে ইসহাক দার বলেন, পাকিস্তানের জনগণ সবসময় বাংলাদেশের জনগণের প্রতি ভ্রাতৃত্বপূর্ণ অনুভূতি পোষণ করে আসছে। দুই দেশের সম্পর্ক শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য, ইসলামি উত্তরাধিকার, সামাজিক মূল্যবোধ ও সাহিত্যিক বন্ধনের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশের জনগণের শান্তি, সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসলামাবাদ ঢাকা’র সঙ্গে আরও সহযোগিতামূলক ও ভবিষ্যতমুখী সম্পর্ক গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর।
জাতীয়
বাংলাদেশ থেকে লক্ষাধিক টাকা বেতনে নার্স নেবে কুয়েত

সরকারিভাবে বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (বোয়েসেল) মাধ্যমে ১০০ জন নার্স নেবে কুয়েত। সম্প্রতি প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বোয়েসেলের সহকারী পরিচালক নোমান চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক পত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
বোয়েসেলের পত্রে বলা হয়, ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী নার্সের কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তাদের বয়স ৩৯ বছরের মধ্যে হতে হবে। তিন মাস শিক্ষানবিশ কাল শেষে এই চাকরি তিন বছরের ইনক্রিমেন্টসহ নবায়নযোগ্য হবে।
নির্বাচিত প্রার্থীদের মধ্যে বিএসসি (স্নাতক) পাস পুরুষ নার্স ২০ জন, নারী ৩০ জন এবং ডিপ্লোমা পাস পুরুষ ১০ জন, নারী ৪০ জন। যাদের প্রত্যেকের বেতন হবে ১ লাখ ২৭ হাজার ৩৬০ টাকা।
নির্বাচিত প্রার্থীদের বোয়েসেলের নির্ধারিত সার্ভিস চার্জ ৫৬ হাজার ৩৫০ টাকা প্রদান করতে হবে। এছাড়া গামকা থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং ঢাকায় কুয়েত দূতাবাস থেকে ভিসা স্ট্যাম্পিং ফিসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য ফি দিতে হবে।
চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের বেসিক লাইফ সাপোর্ট (বিএলএন) প্রশিক্ষণের বৈধ সনদ থাকতে হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদন লিংক https://brms.boesl.gov.bd। লিংকে সব তথ্য পূরণপূর্বক ইংরেজিতে এক কপি জীবনবৃত্তান্ত, সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, অভিজ্ঞতার সনদ, মার্কশিট, ট্রান্সক্রিপ্ট, রেজিস্ট্রেশন ও পাসপোর্টের রঙিন কপি একটি পিডিএফ ফাইল তৈরি করে আপলোড করতে হবে।
২০ আগস্ট থেকে আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদন নেওয়া হচ্ছে। অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে অবশ্যই আবেদন ফি বাবদ ১০০ টাকা ও চার্জ পরিশোধ করতে হবে।
উল্লেখ্য, ভিসা ইস্যুর জন্য প্রার্থী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিলের পর যদি তিনি কুয়েতে যেতে না চান, তাহলে বোয়েসেলে দাখিলকৃত তার পে-অর্ডারটি বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হবে।