অর্থনীতি
বিদায়ী বছরে বিশ্বে খাদ্যের দাম কমেছে ১৩.৭ শতাংশ
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) শুক্রবার জানিয়েছে, ২০২৩ সালে বিশ্বে খাদ্যের দাম কমেছে এবং সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ কমায় খাদ্যশস্য ও তেলের দাম উল্লেখযোগ্য কমেছে।
রোমভিত্তিক এফএও জানিয়েছে, ২০২৩ সালে বিশ্বে খাদ্যপণ্যের দাম আগের বছরের তুলনায় ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে।
এএফপির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
২০২২ সালের তুলনায় এফএও’র খাদ্যশস্যের মূল্য সূচক ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে, এটি ইতিবাচক সরবরাহ বাজারকে ইঙ্গিত করে। কারণ, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর খাদ্যশস্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল।
তবে, গম ও ভুট্টার সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ কমলেও এলনিনো আবহাওয়ার প্রভাব ও ভারত রপ্তানি সীমাবদ্ধ করায় চালের ক্ষেত্রে বিপরীত চিত্র দেখা গেছে। গত বছর চালের দাম বেড়েছে ২১ শতাংশ।
উদ্ভিজ্জ তেলের মূল্য সূচকে গত বছর সবচেয়ে বড় পতন হয়েছে, ৩২ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে চিনির দাম সামগ্রিকভাবে ২৬ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে।
যদিও এফএও’র সামগ্রিক সূচক কমেছে তবে অনেক দেশে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে। কারণ এসব দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে।
অর্থনীতিবিদ ও খাদ্যশস্য বিশেষজ্ঞ ব্রুনো পারমেন্টিয়ার বলেন, খাদ্যপণ্যের দাম কমে যাওয়ার অর্থ এই নয় যে, খাদ্য দ্রব্যের দাম কমে গেছে।
এফএও সূচক পণ্যের বাজার মূল্য পরিমাপ করে। যেখানে কেবল প্রক্রিয়াজাত পণ্যের ব্যয়ের একটি অংশ উঠে আসে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
৯০ ও ১৮০ দিন মেয়াদি বিল চালু করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক
দুর্বল ব্যাংকগুলোকে নিজ ভল্ট থেকে টাকা দেওয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই টাকা যাতে বাজারে মূল্যস্ফীতি উসকে না দেয়, সে জন্য নতুন করে ৯০ ও ১৮০ দিন মেয়াদি বিলের মাধ্যমের টাকা তোলার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আজ এক প্রজ্ঞাপনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন ও তারল্য ব্যবস্থাপনাকে আরও কার্যকর করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বর্তমানে প্রচলিত ৭, ১৪ ও ৩০ দিন মেয়াদি বাংলাদেশ ব্যাংক বিলের পাশাপাশি ৯০ ও ১৮০ দিন মেয়াদি বাংলাদেশ ব্যাংক বিল প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
এদিকে গতকাল ৩০ দিন মেয়াদি বাংলাদেশ ব্যাংক বিলের মাধ্যমে ৪৫২ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে অংশ নিয়েছে ১১টি ব্যাংক। এতে গড় সুদের হার ছিল ১১ দশমিক ১০।
এর আগে দুর্বল পাঁচটি ব্যাংককে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা তারল্য–সহায়তা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। বেসরকারি খাতে পরিচালিত ন্যাশনাল ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংককে এ তারল্য–সহায়তা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর আগে গ্যারান্টির বিপরীতে দুর্বল ব্যাংকগুলো টাকা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এর মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংককে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা ধার দেওয়া হয়। তবে দুর্বল ব্যাংকগুলো অভিযোগ করছে, এ ব্যবস্থায় তারা চাহিদামতো টাকা পায়নি। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজের ভল্ট থেকে টাকা ধার দেওয়া শুরু করে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, একদিকে বাজার থেকে টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে টাকা ধার দেওয়া হচ্ছে। ফলে বাজারে অতিরিক্ত টাকা সরবরাহের ঝুঁকি রোধ করা যাচ্ছে। বাজার থেকে টাকা না তুলে শুধু ধার দিলে তা মূল্যস্ফীতি উসকে দেওয়ার কারণ হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। এ জন্য সতর্কতার সঙ্গে এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
নবায়নযোগ্য শক্তির বিদ্যুৎ প্রকল্পে আরও ৫ বছরের কর সুবিধা
নবায়নযোগ্য শক্তির বিদ্যুৎ প্রকল্পে আরও ৫ বছরের কর সুবিধা দিয়েছে সরকার। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে নবায়নযোগ্য শক্তিনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য আরেক দফা কর ছাড় দিয়ে বুধবার (২৭ নভেম্বর) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এখন থেকে নবায়নযোগ্য শক্তির বিদ্যুৎকেন্দ্র সর্বমোট ১৫ বছরের কর অব্যাহতি পাবে। এরমধ্যে ১০ বছরের জন্য পুরো আয়কর অব্যাহতি এবং ৫ বছরের জন্য বিভিন্ন হারে আয়কর ছাড়।
এক মাসের মাথায় আগের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে আরও ৫ বছরের বাড়তি কর সুবিধা দেওয়ার নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করলো এনবিআর।
এর আগে, গত ২৯ অক্টোবর নবায়নযোগ্য শক্তির বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্ষেত্রে প্রথম ৫ বছরে পুরো আয়কর অব্যাহতি এবং পরের ৫ বছরের জন্য কর ছাড় দিয়েছিল।
নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, নবায়নযোগ্য শক্তির কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র ২০৩০ সালের ৩০ জুনের মধ্যে উৎপাদনে গেলে সেটি আয়ের ওপর প্রথম ১০ বছর আয়কর অব্যাহতি এবং পরবর্তী ৫ বছর বিভিন্ন হারে আয়কর ছাড় পাবে।
২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে ২০৩০ সালের ৩০ জুনের মধ্যে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়া বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন নীতির আওতায় নবায়নযোগ্য জ্বালানিনির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো এ সুবিধা পাবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
এসব কোম্পানিকে প্রথম ১০ বছর আয়ের ওপর কোনো কর দিতে হবে না। পরের ৩ বছর ৫০ শতাংশ এবং এর পরের ২ বছর ২৫ শতাংশ কর অব্যাহতি মিলবে। তবে সেজন্য বাংলাদেশ বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন নীতিতে নির্ধারিত সব শর্ত পূরণ করতে হবে।
সম্প্রতি এক সেমিনারে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) জানায়, জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে, নবায়নযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ উৎপাদনে গুরুত্ব দিলে অর্থনীতি স্থিতিশীল থাকবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
দুই দফা কমার পর বাড়লো স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আবার বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ১ হাজার ১৫৪ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৮ টাকা।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সোনার দাম কিছুটা কমানো হয়। তার আগে ২৬ নভেম্বরও দাম কিছুটা কমানো হয়। দুদিনে দু-দফা সোনার দাম কমানোর পর এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১৫৪ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৮ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৯৬ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৯৪৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৯১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৮০৪ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৮২২ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫৫৪ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৬৯৪ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৩১ হাজার ৩০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৩০৯ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১২ হাজার ৫৪৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৯৭১ টাকা কমিয়ে ৯২ হাজার ৩৫৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আজ বুধবার এ দামেই সোনা বিক্রি হয়েছে।
সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
ভারতের অভ্যন্তরে স্লট বুকিং বন্ধ থাকায় দিনাজপুরে হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত তিন দিন ধরে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। আর গতকাল মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টার পর থেকে সব ধরনের পণ্য রপ্তানি বন্ধ করে দেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।
ফের স্লট বুকিং চালু করায় আজ বধুবার (২৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে পেঁয়াজ বোঝাই পাঁচটি ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করে। এর মধ্যমে আবারও হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম শুরু হলো। তবে পেঁয়াজ আমদানি হলেও এখনো পর্যন্ত আলু আমদানির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী।
তিনি বলেন, ভারত থেকে স্লট বুকিং বন্ধ থাকায় পেঁয়াজ, আলু রপ্তানি করতে পারেননি ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। এতে করে তাদের অনেক লোকসান হয়েছে। যার কারণে তারা সব ধরনের পণ্য রপ্তানি বন্ধ করেছিলেন।
হিলি কাস্টমসের তথ্য মতে, চলতি সপ্তাহে ভারত থেকে ৫৫ ট্রাকে ২ হাজার ২০০ মেট্রিকটন চাল, ১৬৬ ট্রাকে ৪ হাজার ৭০০ মেট্রিকটন আলু এবং ৪৫ ট্রাকে ১ হাজার ৩০০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাংলাদেশে আইএমএফ দলের সফর শুরু ৪ ডিসেম্বর
আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের তৃতীয় কিস্তি অর্থ ছাড়ের শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়ে আলোচনা করতে একটি মিশন আগামী ৪ ডিসেম্বর ঢাকায় আসছে।
মিশনটি নতুন অন্তর্বর্তী সরকার যে আরও অতিরিক্ত ৩০০ কোটি ডলার চেয়েছে তার বিষয়েও আলোচনা করবে। মিশনটি ওয়াশিংটনে ফিরে গিয়ে প্রধান কার্যালয়ে একটি প্রতিবেদন উপম্থাপন করবে। সেই প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করছে চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড় ও বাড়তি সহায়তার পাওয়ার বিষয়টি।
সূত্র জানায়, আইএমএফের এবারের মিশনটি বেশ বড় হচ্ছে। কমপক্ষে ১০ সদস্যের এই মিশনটি এবার ১৪ দিন ঢাকায় অবস্থান করবে। এবারের মিশনে নেতৃত্ব দেবেন আইএমএফের গবেষণা বিভাগের ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রোইকোনমিকসের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও।
এর আগের মিশনেও তিনি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ওই সময়ে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাংলাদেশ পেট্রোরিয়াম কর্পোরেশনসহ (বিপিসি) সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় ও সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবে।
এর আগে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে আইএমএফের চলমান ঋণ কর্মসূচীর অতিরিক্ত আররও ৩০০ কোটি ডলার অতিরিক্ত সহায়তা চায়। এ বিষয়ে আইএমএফ শুরুতে ইতিবাচক সাড়া দিলেও পরে তা পিছিয়ে যায়। এ বিষয়ে আইএমএফলে বার্ষিক সভার সময়েও সাইড লাইনে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি।
আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের একটি ঋণ কর্মসূচী চলমান রয়েছে। ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি আইএমএফ এটি অনুমোদন করে। ইতিমধ্যে তিনটি কিস্তি ছাড় হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড় হওয়ার কথা। এর আগে তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের সময় যেসব শর্ত বাস্তবায়নের কথা বলেছিল সেগুলো অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে। একই সঙ্হে বাড়তি অর্থ সহায়তা দেওয়ার বিষয়টিও পর্যালোচনা করবে।
এমআই