টেলিকম ও প্রযুক্তি
ফোন দখল করতে পারে ১৩ অ্যাপ

স্মার্টফোন দখল করতে পারে— এমন কয়েকটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পর্কে সম্প্রতি সতর্ক করেছেন সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞরা। ম্যাকাফির বিশেষজ্ঞরা এই অ্যাপগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। যেখান অ্যাপগুলোকে ‘জাম্যালিসিয়াস’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে টেকগাপ।
গবেষকদের মতে, ম্যালওয়্যার দ্বারা সংক্রমিত অ্যাপগুলো অ্যাক্সেসিবিলিটি পেতে “সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং” ব্যবহার করে। যার মাধ্যমে ডিভাইসের মালিকের অজান্তেই ডিভাইসটি একটি কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল সার্ভারের সাথে যুক্ত হয়। আর সেই মুহুর্তে, ফোনে একটি দ্বিতীয় পেলোডও ডাউনলোড হয়। যার ফলে ডিভাইসের মালিক ডিভাইসের উপর তার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন।
ম্যাকাফির প্রকাশিত তালিকা –
১) অ্যান্ড্রয়েডের জন্য প্রয়োজনীয় রাশিফল (com.anomenforyou.essentialhoroscope)
২) PE Minecraft-এর জন্য 3D স্কিন এডিটর (com.littleray.skineditorforpeminecraft)
৩) লোগো মেকার প্রো (com.vyblystudio.dotslinkpuzzles)
৪) অটো ক্লিক রিপিটার (com.autoclickrepeater.free)
৫) কাউন্ট ইজি ক্যালরি ক্যালকুলেটর (com.lakhinstudio.counteasycaloriecalculator)
৬) সাউন্ড ভলিউম এক্সটেন্ডার (com.muranogames.easyworkoutsathome)
৭) লেটারলিঙ্ক (com.regaliusgames.llinkgame)
৮) সংখ্যাতত্ত্ব: ব্যক্তিগত রাশিফল এবং সংখ্যার পূর্বাভাস (com.Ushak.NPHOROSCOPENUMBER)
৯) স্টেপ কিপার: ইজি পেডোমিটার (com.browgames.stepkeepereasymeter)
১০) ঘুম ট্র্যাকার (com.shvetsStudio.trackYourSleep)
১১) জ্যোতিষী নেভিগেটর: দৈনিক রাশিফল এবং ট্যারোট (com.Osinko.HoroscopeTaro)
১২) ইউনিভার্সাল ক্যালকুলেটর (com.Potap64.universalcalculator)
১৩) সাউন্ড ভলিউম বুস্টার (com.devapps.soundvolumebooster)

টেলিকম ও প্রযুক্তি
স্মার্টফোনে আড়িপাতা আছে কিনা বুঝবেন যেভাবে

সাইবার অপরাধীরা আইফোন বা অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা স্মার্টফোনে আড়ি পাততে সক্ষম অ্যাপ বা স্পাইওয়্যার যুক্ত করে দূর থেকে তার টার্গেটকৃত ব্যক্তির অনলাইন বা দৈনন্দিন কার্যক্রম নজরদারি করে থাকে। শুধু তা-ই নয়, স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে স্মার্টফোনে সংরক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও সংগ্রহ করে তারা। ফলে তথ্য বেহাত হওয়ার পাশাপাশি অনেকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন, এমনকি বিভিন্ন ধরনের হয়রানি ও ব্ল্যাকমেলের মুখোমুখি হতে হয়। স্পাইওয়্যারগুলো গোপনে স্মার্টফোনে প্রবেশ করানোর কারণে অনেকে জানতেই পারেন না তাদের অনলাইন বা অফলাইন কার্যক্রমে নজরদারি করা হচ্ছে। তবে বেশ কিছু লক্ষণ দেখে স্মার্টফোনে স্পাইওয়্যারের উপস্থিতি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যায়।
বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন ট্যাপ করাটা খুব একটা কঠিন নয়। অনেকেই ভাবছেন কীভাবে সহজে এ কাজ করতে পারে? তাদের প্রশ্নের উত্তর হলো- এ কাজের জন্য সেলফোন নেটওয়ার্ক হ্যাক করার প্রয়োজন নেই। আপনার ফোনের ভালনেরাবিলিটি বা দুর্বলতা খুঁজে বের করে সহজেই আপনার ফোনকে ট্যাপিং ডিভাইসে পরিণত করা সম্ভব।
সে যা-ই হোক কেউ যদি আপনার ফোনে আড়ি পেতে কথোপকথন শোনে তাহলে আপনি কীভাবে তা বুঝবেন এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই ঘুরঘুর করছে। তাদের জন্য কয়েকটি কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হলো, যা খেয়াল করলে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন আপনার ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে।
মোবাইল ডেটার অস্বাভাবিক ব্যবহার
স্পাইওয়্যার অ্যাপগুলো ফোনের পটভূমিতে চালু থাকার পাশাপাশি সংগ্রহ করা তথ্য নিয়মিত ইন্টারনেটের মাধ্যমে নির্দিষ্ট ঠিকানায় পাঠাতে থাকে। ফলে ব্যবহারকারীদের অজান্তেই মোবাইল ডেটার পরিমাণ কমে যায়। কোনো অ্যাপ ব্যবহার না করলেও যদি মোবাইল ডেটা কমতে থাকে, তবে বুঝতে হবে ফোনে স্পাইওয়্যার রয়েছে।
বিভিন্ন সুবিধা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু বা বন্ধ
ফোন ব্যবহারের সময় বারবার চালু হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সুবিধা চালু বা বন্ধসহ অনলাইন থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভিন্ন ফাইল নামতে থাকলে বুঝতে হবে ফোনে স্পাইওয়্যার রয়েছে।
ব্যাটারির চার্জ দ্রুত কমার পাশাপাশি ফোন গরম হওয়া
স্পাইওয়্যার অ্যাপগুলো সব সময় ফোনের পটভূমিতে চালু থাকে। আর তাই ফোনের ব্যাটারি নিয়মিত খরচ হতে থাকে। এ জন্য অল্প কিছু সময় ফোন ব্যবহার করলেই ব্যাটারির চার্জ দ্রুত কমে যাওয়ার পাশাপাশি ফোনও গরম হয়ে যায়।
গোপনে এসএমএস পাঠানো
এসএমএস না পাঠালেও যদি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানে আপনার ফোন থেকে এসএমএস যায়, তবে বুঝতে হবে ফোনে স্পাইওয়্যার রয়েছে।
অপরিচিত অ্যাপের সন্ধান
ফোনের সেটিংস অপশন থেকে নামানো অ্যাপের তালিকা পর্যালোচনা করেও অনেক সময় স্পাইওয়্যারের উপস্থিতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। তালিকায় অপরিচিত অ্যাপের নাম দেখলেই বুঝতে হবে, এটি স্পাইওয়্যার বা ম্যালওয়্যার। বিভিন্ন অ্যাপের যন্ত্রাংশ ব্যবহারের অনুমতি তালিকা দেখেও স্পাইওয়্যারের উপস্থিতি শনাক্ত করা সম্ভব।
স্পাইওয়্যার মুছে ফেলতে যা করতে হবে
ফোনে স্পাইওয়্যার থাকার সম্ভাবনা থাকলে প্রথমেই ফোনে অ্যান্টি-স্পাইওয়্যার অ্যাপ নামিয়ে স্ক্যান করে সেগুলো মুছে ফেলতে হবে। এর পাশাপাশি আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের হালনাগাদ সংস্করণ ব্যবহারের পাশাপাশি ফোনে থাকা অপরিচিত অ্যাপগুলো মুছে ফেলতে হবে। এরপরও স্পাইওয়্যার মুছে না গেলে ফোন ফ্যাক্টরি রিসেট করতে হবে।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
৬৮ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করলো হোয়াটসঅ্যাপ

বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বিশ্বের প্রায় সব শহরেই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন কয়েকশ কোটি মানুষ। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০০ বিলিয়নের বেশি মেসেজ আদান-প্রদান হয়হোয়াটসঅ্যাপে। এর মধ্যে শুধু ছবি আদান-প্রদানের সংখ্যা ৭০০ মিলিয়ন এবং ভিডিও আদান-প্রদানের সংখ্যা ১০০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যায়।
হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২.৯৫ বিলিয়নেরও বেশি। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫৩৫.৮ মিলিয়ন ব্যবহারকারী আছে ভারতে। এই বিশাল সংখ্যক ব্যবহারকারীর নিরাপত্তার ব্যাপারে তাইতো অনেকবেশি সচেতন। এজন্য একেবারেই ছাড় দেয় না মেটার মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্মটি। এবার ৬৮ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ।
‘স্ক্যাম সেন্টার’ বা প্রতারক চক্রের সঙ্গে যোগ রয়েছে এমন সন্দেহে অ্যাকাউন্টগুলো ‘ব্যান’ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। ২০২৫ সালের প্রথম অর্ধে এই কাজ হয়েছে বলে জানিয়েছে মূল সংস্থা মেটা। সাইবার অপরাধীরা নানানভাবে তাদের প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বর্বশান্ত করছে ব্যবহারকারীদের।
মেটার পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘অনেকক্ষেত্রেই অপরাধচক্র এই ধরনের প্রতারণা চক্র চালাত। অনেক সময়ে চাপ তৈরি করে ফোর্সড লেবার-এর মাধ্যমে মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এই ধরনের অপরাধ চক্র চলত।’
এই চক্রগুলো পরপর জালিয়াতির ফাঁদ পাতত। ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ থেকে শুরু করে বিপুল রিটার্ন দেওয়ার মতো লোভ দেখানো হতো। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ব্যক্তিকে লোভ দেখিয়ে প্রতারণা করার চেষ্টা করা হতো।
মেটা জানিয়েছে, টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে প্রথমে যোগাযোগ করা হতো টের্গেট ব্যবহারকারীর সঙ্গে। এরপর সোশ্যাল মিডিয়া ও প্রাইভেট মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করা হতো। টার্গেট করা ব্যক্তি যাতে লোভে পা দেন, তার জন্য সাফল্যের নাম করে বিভিন্ন উদাহরণও সামনে রাখতো অপরাধ চক্রগুলো।
কোনো প্রতারণার ঘটনায় অপরাধীরা একাধিক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে টার্গেটের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। এর ফলে কোনো একটি সংস্থার পক্ষে প্রতারণার পুরো চিত্র সামনে আনার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতো বলে জানিয়েছে মেটা।
মেটা এই প্রতারণা থেকে ব্যবহারকারীদের বাঁচতে করণীয় কী হতে পারে সেই ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছে। পরিচিত নন বা কন্ট্যাক্ট লিস্টে নেই এমন নম্বর গ্রুপে অ্যাড করবেন না। অপরিচিত নম্বর থেকে আসা লিঙ্কে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন।
যুক্তরাজ্যের ভোক্তা আইন বিশেষজ্ঞ লিসা ওয়েব বলেন, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা ভুয়া বিনিয়োগের সুযোগ থেকে শুরু করে ছলনাময়ী পণ্য এবং অস্তিত্বহীন চাকরির অফার পর্যন্ত সবকিছুর জন্য প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপনে প্লাবিত হচ্ছে। তাই মেটাকেও আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ

এবার আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ দিলো ট্রুকলার অ্যাপ। অপরিচিত নম্বরগুলো শনাক্ত করার জন্য ট্রুকলার অ্যাপ জনপ্রিয়। কোনো অচেনা নম্বর থেকে ফোন এলে ট্রুকলারের মাধ্যমে সহজেই সেই কলারের পরিচয় জেনে নেওয়া যায়।
ব্যবহারকারীদের অ্যাপ ব্যবহারের অভিজ্ঞতা ভালো করতে নানান ফিচার যুক্ত করে প্ল্যাটফর্মটি। আবার অনেক ফিচার বন্ধও করে দেয়। এবার আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য একটি আপডেট চালু করছে। সেই আপডেটের ফলেই আইওএসে কল রেকর্ডিং ফিচারটি বন্ধ হতে চলেছে। অর্থাৎ আইফোনে ট্রুকলার অ্যাপ ব্যবহার করে আর কল রেকর্ড করা যাবে না।
ট্রুকলার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে যে তারা ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে আইওএসে কল রেকর্ডিং ফিচারটি বন্ধ করছে। মাত্র দুই বছর আগে আইওএস প্ল্যাটফর্মে কোম্পানিটি এই ফিচারটি চালু করে।
আইফোনে কল রেকর্ডিং ফিচারটি একেবারে শুরুর দিন থেকেই ট্রুকলারের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। অ্যাপলের কল রেকর্ডিং প্রক্রিয়া অ্যান্ড্রয়েডের তুলনায় অনেক বেশি কঠিন এবং সীমিত, কারণ অ্যাপলের গোপনীয়তা নীতিগুলো খুবই কঠোর এবং থার্ড পার্টি অ্যাপগুলোকে সরাসরি কল রেকর্ড করার অনুমতি দেয় না।
এই চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে ওঠার জন্য ট্রুকলার একটি সমাধান ব্যবহার করেছে। এটি কল রেকর্ডিংয়ের জন্য একটি মার্জড ‘রেকর্ডিং লাইন’ ব্যবহার করেছে, যার মধ্যে কলটিকে অন্য একটি লাইনের সঙ্গে মার্জ করার প্রক্রিয়া জড়িত রয়েছে।
ট্রুকলারের আইওএস প্রধান নকুল কাবরা বলেন যে কোম্পানি এখন তার মূল বৈশিষ্ট্যগুলোতে মনোনিবেশ করতে চায়, যেমন লাইভ কলার আইডি এবং স্বয়ংক্রিয় স্প্যাম ব্লকিং। এটিই ট্রুকলারের আসল শক্তি এবং কোম্পানি এখন এই পরিষেবাগুলো উন্নত করার দিকে মনোনিবেশ করছে।
আইফোনে কল রেকর্ডিং ফিচারটি সরিয়ে ফেলার অর্থ এই নয় যে ব্যবহারকারীদের পুরোনো রেকর্ডিং মুছে ফেলা হবে। কোম্পানি ব্যবহারকারীদের তাদের রেকর্ডিং ডাউনলোড করার, ই-মেইল, হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যান্য অ্যাপের মাধ্যমে শেয়ার করার বা আইক্লাউডে সংরক্ষণ করার বিকল্প দিয়েছে। এই পরিবর্তনটি সহজে বোঝার করার জন্য ট্রুকলার একটি হেল্প পেজও চালু করেছে।
এই সিদ্ধান্তের পেছনে আরেকটি বড় কারণ হলো অ্যাপলের নিজস্ব কল রেকর্ডিং সিস্টেম। আইওএস ১৮.১ আপডেটের মাধ্যমে অ্যাপল তার আইফোনগুলোতে ইনবিল্ট কল রেকর্ডিং এবং ট্রান্সক্রিপশন (টেক্সটে রূপান্তর) যুক্ত করেছে। ফলে ফিচারটি সরাসরি আইওএস সিস্টেমে কাজ করে এবং ব্যবহারকারীর কোনো থার্ড পার্টি অ্যাপের প্রয়োজন হবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
এআই উন্নয়নে ২০০ কোটি ডলারের সম্পদ বিক্রি করবে মেটা

বিশ্বজুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বিস্তারে কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে মেটা। ঘোষণা দিয়েছে, তাদের বিশাল এআই অবকাঠামোর ব্যয়ভার ভাগ করে নিতে ২.০৪ বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলারের ডেটা সেন্টার সংক্রান্ত সম্পদ বিক্রি করবে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেটা প্ল্যাটফর্মস তাদের চলমান ডেটা সেন্টার প্রকল্পগুলোর কিছু সম্পদ বিক্রির মাধ্যমে আর্থিক অংশীদারদের সঙ্গে যৌথভাবে অবকাঠামো নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত কোয়ার্টারলি ফাইলিং-এ এই পরিকল্পনার বিস্তারিত উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানটি।
মেটা জানায়, গত জুনে তারা এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে। এর আওতায় ২.০৪ বিলিয়ন ডলারের জমি ও নির্মাণাধীন সম্পদকে “হেল্ড-ফর-সেল” হিসেবে শ্রেণিকরণ করা হয়েছে। অর্থাৎ এগুলো আগামী ১২ মাসের মধ্যে তৃতীয় কোনো পক্ষকে হস্তান্তর করা হবে। যারা ডেটা সেন্টার যৌথভাবে উন্নয়নে অংশ নেবে।
মেটার ফাইলিং অনুযায়ী, ৩০ জুন পর্যন্ত তাদের মোট হেল্ড-ফর-সেল সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩.২৬ বিলিয়ন ডলার। তবে এই সম্পদ বিক্রিতে কোনো ক্ষতি দেখায়নি প্রতিষ্ঠানটি। বরং ‘বুক ভ্যালু’ ও ‘মার্কেট ভ্যালু’র মধ্যে যেটা কম, সেটার ভিত্তিতে তা মূল্যায়ন করা হয়েছে।
এই পদক্ষেপ প্রযুক্তি জগতের একটি নতুন বাস্তবতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। যেখানে আগে গুগল, অ্যামাজনের মতো কোম্পানিগুলো নিজেদের সব অবকাঠামো নিজস্ব অর্থে নির্মাণ করত, সেখানে এখন তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত ডেটা সেন্টার তৈরির বিপুল ব্যয় মাথায় রেখে আর্থিক অংশীদার খুঁজছে।
মেটার চিফ ফিনান্স অফিসার সুসান লি এ প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা আর্থিক অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে ডেটা সেন্টার উন্নয়নের উপায় খুঁজছি। যদিও আমরা অধিকাংশ ব্যয় নিজেরাই বহন করবো। কিছু প্রকল্পে উল্লেখযোগ্য বাহ্যিক অর্থায়ন যুক্ত হতে পারে। যা ভবিষ্যতের পরিবর্তিত অবকাঠামো চাহিদা অনুযায়ী সুযোগ দেবে।”
মেটা সিইও মার্ক জুকারবার্গ আগেই ঘোষণা দিয়েছেন, এআই এবং সুপারইন্টেলিজেন্স-এর জন্য তারা সুপারক্লাস্টার নামে অনেক বড় ডেটা সেন্টার নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছেন। তিনি বলেন, “এই সুপারক্লাস্টারগুলোর একটি পুরো ম্যানহাটনের বড় অংশের সমান।”
এই ঘোষণার পাশাপাশি মেটা তাদের বার্ষিক মূলধন ব্যয়ের পূর্বাভাস ২ বিলিয়ন ডলার বাড়িয়ে ৬৬ থেকে ৭২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেছে। এর পেছনে রয়েছে বিজ্ঞাপন আয়ে চমকপ্রদ বৃদ্ধি। যা এআই নির্ভর কনটেন্ট ডেলিভারি ও টার্গেটিংয়ের উন্নতির কারণে সম্ভব হয়েছে।
এই বৃদ্ধি, মেটার দীর্ঘমেয়াদী এআই ইনফ্রাস্ট্রাকচারের ব্যয় কিছুটা হলেও ভারসাম্য করতে সাহায্য করেছে।
জাতীয়
ভোক্তা অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তিতে মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে ভোক্তা অধিদপ্তরের সভা

দেশের ফোন অপারেটরদের বিরুদ্ধে ভোক্তাদের দাখিলকৃত অভিযোগসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৮ জুলাই) সকাল ১১ টায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।
অধিদপ্তরের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম জানান, মোবাইল ফোনের গ্রাহকগণ বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোন অপারেটরদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করছেন। কিন্তু অপারেটরগণ নিয়মিত অভিযোগের শুনানীতে উপস্থিত থাকছেন না, কোন কোন অপারেটরের পক্ষে ক্রমাগত সময় চাওয়ায় অভিযোগগুলো নিষ্পত্তিতে বিলম্ব হচ্ছে।
সভায় অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) আব্দুল জলিল ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ, গ্রামীনফোন, রবি, বাংলালিংক, টেলিটক প্রতিনিধি, বিটিআরসি প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ মোবাইল টেলিকম অপারেটর এসোসিয়েশনের মহাসচিব উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভায় মোবাইল ফোন অপারেটরদের বিরুদ্ধে ভোক্তাদের প্রাপ্ত অভিযোগসমূহ উপস্থাপন করা হয় ও পর্যালোচনা করা হয়।
সভায় বিস্তারিত আলোচনান্তে প্রাপ্ত অভিযোগসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তি ও ভোক্তাসাধারণের স্বার্থে সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নবর্ণিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়:
মোবাইল ফোন অপারেটরগণ অধিদপ্তরে দাখিলকৃত অভিযোগসমূহ আগামী ৭ (সাত) দিনের মধ্যে যাচাই বাছাই করে নিষ্পত্তিযোগ্য অভিযোগসমূহ স্বীয় উদ্যোগে নিষ্পত্তি করে বাস্তবায়ন প্রতিবেদন দাখিল করবেন। যেসব অভিযোগের বিষয়ে অপারেটররা দ্বিমত করবেন সেসব অভিযোগ যথারীতি শুনানীর মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিষ্পত্তি করবে। শুনানীতে নিয়মিত উপস্থিত থাকার জন্য অপারেটরগণ নির্দিষ্ট কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করবেন। অভিযোগের গ্রহণযোগ্যতা/আমলযোগ্যতা যাচাইয়ে যেসব টেকনিক্যাল বিষয় বিবেচনায় নিতে হবে, অপারেটরগণ সেসব বিষয়ের একটা চেকলিস্ট তৈরি করে আগামী ৭ (সাত) দিনের মধ্যে অধিদপ্তরে প্রেরণ করবেন।
অব্যবহৃত ডাটা ও কলটাইম পরবর্তী প্যাকেজের সাথে যুক্ত হওয়ার প্রযোজ্য শর্তাবলী স্পষ্ট করে ব্যবহারকারীকে জানাতে হবে। কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধির সাথে কোন অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার সময়ে অভিযোগকারীর সীম থেকে কলচার্জ বাতিল/গ্রহণযোগ্য করার সম্ভাব্যতা পরীক্ষা করে মোবাইল ফোন অপারেটরগণ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। পুরনো সীম নতুন করে বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সীমের প্যাকেটে পরিষ্কার ভাষায় ইংরেজীতে “Re-Used” এবং বাংলায় “পূর্বে-ব্যবহৃত” লিখতে হবে যাতে সীম ক্রয়ের পূর্বেই ভোক্তাগণ জানতে পারেন।
কাফি