ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকের স্টাফ বাসে আগুন

বরিশালে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্টাফ বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। তবে বাসটির বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গেছে।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে নগরীর বগুরা রোডে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে ঘটনাটি ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিস সদর স্টেশনের সিনিয়র অফিসার রবিউল আল আমিন বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক দুটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। আগুনের সূত্রপাত সর্ম্পকে এখনি বলা যাচ্ছে না। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কেউ বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আলী আশরাফ ভূঞা জানান, আমরা ঘটনা তদন্ত করে দেখছি। এর সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

ব্যাংক
পদত্যাগ করেছেন ঢাকা ব্যাংকের এমডি

এক বছরের কম সময় দায়িত্বে থেকে পদত্যাগ করেছেন ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শেখ মোহাম্মদ মারুফ। গত বৃহস্পতিবার তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
গত বছরের অক্টোবর মাসে ঢাকা ব্যাংকের এমডি হিসেবে যোগ দেন শেখ মোহাম্মদ মারুফ। এর আগে তিনি সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত এমডি ছিলেন।
ব্যাংকের একটি সূত্র জানায়, সরকার পরিবর্তনের পর ব্যাংকের কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান পরিচালক হঠাৎ সক্রিয় হয়ে ওঠেন। কেউ কেউ নিয়মিত যাতায়াত শুরু করেন কার্যালয়ে। এ নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হওয়ায় এমডিকে পদত্যাগ করতে হয়েছে।
তবে শেখ মোহাম্মদ মারুফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। এ কারণে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার বলেন, আমাদের সঙ্গে কোনো সমস্যা হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের বেশ কিছু নিয়ম পরিপালন করতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁর পদত্যাগপত্র আমরা পেয়েছি। সোমবার পর্ষদ সভায় তাঁর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
চলতি মাসের শুরুতে এক সপ্তাহের মধ্যে তিন ব্যাংকের এমডি পদত্যাগ করেছেন। এর মধ্যে সাউথইস্ট ব্যাংকের এমডিকে আগে থেকেই ছুটিতে পাঠানো হয়েছিল। এ ছাড়া মেঘনা ও কমার্স ব্যাংকের এমডি হঠাৎ সরে দাঁড়ান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো এমডি পদত্যাগ করলে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে তার কারণ অবহিত করতে হয়। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক সিদ্ধান্ত নেয়, পদত্যাগ কার্যকর হবে কি না। এর আগে পদত্যাগ করা কোনো এমডিকে আবার কাজে ফেরানো হয়েছে—এমন নজিরও আছে।
ব্যাংক
আমদানি নির্দেশনা একত্রে এনে মাস্টার সার্কুলার জারি

বাংলাদেশ ব্যাংক আমদানি-লেনদেন বিষয়ক সব বিদ্যমান নির্দেশনাকে একত্র করে একটি মাস্টার সার্কুলার জারি করেছে। এতে আমদানি সংক্রান্ত নীতিমালা আরও সহজ, সুসংহত ও পরিষ্কার হবে বলে মনে করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) জারি করা এ মাস্টার সার্কুলারটি এক বছর কার্যকর থাকবে।
এতে এলসি (লেটার অব ক্রেডিট), রেমিট্যান্স, ক্রয়চুক্তির আওতায় আমদানি, সরবরাহকারী ও ক্রেতার ঋণ, সফটওয়্যারের ই-ডেলিভারি, বৈদেশিক মুদ্রায় অভ্যন্তরীণ এলসি, ইপিজেড, অর্থনৈতিক অঞ্চল, হাইটেক পার্ক এবং স্বর্ণ, রৌপ্য ও গয়নার আমদানিসহ বিভিন্ন বিষয়ের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত মাসে রপ্তানি খাতে একই ধরনের মাস্টার সার্কুলার জারি করেছিল। এবার আমদানি খাতে এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
তাদের মতে, এতে আমদানিকারক ও ব্যাংক উভয়ের জন্য নীতিমালা বোঝা সহজ হবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সঙ্গে দেশের নীতিমালার সামঞ্জস্যও বাড়বে।
ব্যবসায়ীদের দাবি, ভবিষ্যতে বৈদেশিক ঋণ, প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ, বিদেশে বিনিয়োগ, বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব ইত্যাদি ক্ষেত্রেও এ ধরনের মাস্টার সার্কুলার জারি হলে বৈদেশিক লেনদেন আরও স্বচ্ছ ও সহজ হবে।
অর্থনীতি
ব্যাংকের পর্ষদ সভায় দ্বিমত–পর্যবেক্ষণ কার্যবিবরণীতে লিপিবদ্ধের নির্দেশ

ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় পরিচালকদের কারও আলোচ্যসূচি নিয়ে কোনো দ্বিমত বা পর্যবেক্ষণ থাকলে এখন থেকে তা কার্যবিবরণীতে উল্লেখ করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি যেসব ব্যাংকের পর্ষদে বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষক রয়েছেন, তাঁরা কোনো মতামত দিলে সেটিও কার্যবিবরণীতে উল্লেখ করতে বলা হয়েছে। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও পর্যবেক্ষকদের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এমন উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবার (০৪ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও পরিচালনা পর্ষদের সহায়ক কমিটির সভায় উপস্থাপিত কোনো বিষয়ে কোনো সদস্য নোট অব ডিসেন্ট বা নিজস্ব মতামত দিলে তা কার্যবিবরণীতে উল্লেখের বিধান রয়েছে। কিন্তু ব্যাংকগুলো অনেক ক্ষেত্রে এ নির্দেশনা পালন করছে না। এ ছাড়া অনেক ক্ষেত্রে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও সহায়ক কমিটির সভায় উপস্থাপিত কোনো বিষয়/এজেন্ডার ওপর ওই সভায় যে আলোচনা হয় এবং পরিচালকসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষক যেসব মতামত দেন, তা সভার কার্যবিবরণীতে যথাযথভাবে উল্লেখ করা হয় না। ফলে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের পর্ষদ ও সহায়ক কমিটির সভায় কার্যকরভাবে অংশগ্রহণ ও অবদান রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। এ জন্য পরিচালনা পর্ষদের সদস্যের কার্যকর অংশগ্রহণ ও অবদান রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য নতুন নীতিমালা মেনে চলতে বলা হয়েছে।
এ নীতিমালায় বলা হয়েছে, পরিচালনা পর্ষদ ও সহায়ক কমিটির সভায় উপস্থাপিত কোনো বিষয়ের ওপর কোনো আলোচনা এবং কোনো পরিচালকের দ্বিমত, ভিন্ন মতামত বা পর্যবেক্ষণ থাকলে তা সভার কার্যবিবরণীতে অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সভায় আলোচিত পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও সহায়ক কমিটির সব পর্যবেক্ষণ বা সুপারিশও কার্যবিবরণীতে যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ করতে হবে। এ ছাড়া কোনো ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষক থাকলে এবং সভায় উপস্থাপিত কোনো বিষয়ের ওপর ওই পর্যবেক্ষক কোনো মতামত বা পর্যবেক্ষণ দিলে, তা–ও সভার কার্যবিবরণীতে যথাযথভাবে উল্লেখ করতে হবে।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, গত এক দশকে ব্যাংকের যেসব ঋণে অনিয়ম হয়েছে, সেসব ঋণের বিষয়ে পর্ষদ সভার কার্যবিবরণীতে কারও কোনো দ্বিমত পাওয়া যায়নি। ফলে এখন পর্ষদের সবাই আইনের আওতায় আসছেন। এখন সময় এসেছে পর্ষদে কার কী ভূমিকা, তা সুস্পষ্ট করার। যাতে ভবিষ্যতে দোষী কেউ ধরাছোঁয়ার বাইরে না থাকেন। এতে সৎ পরিচালকেরা তাঁদের ভূমিকা পালনে উৎসাহিত হবেন।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের নতুন এমডি ওমর ফারুক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে মো. ওমর ফারুক খানকে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রবিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক চিঠিতে তার নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়। ২০২৮ সালের ৩০ জুলাই পর্যন্ত তাকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত ২৪ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের ডাকে অনুষ্ঠিত ভাইভা বোর্ডে অংশগ্রহণ করেন ওমর ফারুক খান। এরপর প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তার নিয়োগ চূড়ান্ত করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে ওমর ফারুক খান ইসলামী ব্যাংকে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) হিসেবে যোগ দেন। তার আগে তিনি এনআরবি ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ব্যাংকিং খাতে ৩৭ বছরের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে ওমর ফারুক খানের। তিনি ইসলামী ব্যাংকের অন্যতম বৃহৎ অপারেশনাল ইউনিট—আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং উইং, স্থানীয় কার্যালয়, বিভিন্ন ডিভিশন, জোন অফিস ও শাখায় গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব দিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৬ সালে ইসলামী ব্যাংকে কর্মজীবন শুরু করেন ওমর ফারুক। পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনি সুইজারল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ভারতে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং ও ক্রেডিট ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম শরিয়াহভিত্তিক তফসিলি বাণিজ্যিক ব্যাংক। নতুন এমডি হিসেবে ওমর ফারুক খানের নিয়োগ ব্যাংকটির পরিচালনায় নতুন গতি সঞ্চার করবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
অর্থনীতি
আয়কর রিটার্ন ছাড়া ২৪টি সেবা বন্ধ, বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করে নতুন একটি নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ সরকার। একই সাথে ব্যাংক ঋণ, আমানত ও সঞ্চয়পত্রসহ ২৪টি সেবায় আয়কর রিটার্ন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সরকারের এ নির্দেশনা মেনে ঋণ, আমানত ও সঞ্চয়পত্র সংক্রান্ত নতুন নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রোববার (৩ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে একটি সার্কুলারের মাধ্যমে সব তফসিলি ব্যাংককে জানানো হয়েছে, এখন থেকে নির্দিষ্ট কিছু ব্যাংকিং সেবা গ্রহণের আগে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার প্রমাণ দেখাতে হবে গ্রাহকদেরকে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কেউ যদি ১০ লাখ টাকার বেশি মেয়াদি আমানত রাখেন বা ২০ লাখ টাকার বেশি ঋণ নিতে চান, তাহলে তাকে অবশ্যই আয়কর রিটার্ন দাখিলের কাগজপত্র ব্যাংকে জমা দিতে হবে। পাশাপাশি ১০ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্রে রিটার্ন বাধ্যতামূলক। শুধু এই তিনটি নয়, মোট ২৪টি ব্যাংক সেবার ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এর আগে, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে একটি গেজেট প্রকাশ করেছে। গেজেট অনুযায়ী, এসব আর্থিক লেনদেন ও কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে, তা না হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা কর্তৃপক্ষ সেবা দিতে বাধ্য থাকবে না।
গেজেটে বলা হয়েছে, একজন ব্যক্তি যদি ১০ লাখ টাকার বেশি মূল্যের মেয়াদি আমানত খুলতে চান বা তা চালু রাখতে চান, তাহলে তাকে সংশ্লিষ্ট অর্থবছরের আয়কর রিটার্নের প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। একইভাবে ২০ লাখ টাকার বেশি ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রেও একই শর্ত প্রযোজ্য হবে।
এছাড়া বড় অঙ্কের সঞ্চয়পত্র কেনা, কোনো কোম্পানির পরিচালক বা স্পন্সর শেয়ারহোল্ডার হওয়া, আমদানি-রপ্তানি নিবন্ধন সনদ নবায়ন, ট্রেড লাইসেন্স বা পেশাজীবী লাইসেন্স নবায়ন, জমি বা ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন এবং গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ প্রাপ্তিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমেও রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
সেইসঙ্গে ড্রাগ লাইসেন্স, পরিবেশ ছাড়পত্র, অগ্নিনির্বাপণ ছাড়পত্র, ট্রলার ও নৌযানের সার্ভে সার্টিফিকেট, এমনকি স্কুলে শিশুর ভর্তি কিংবা আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স গ্রহণের মতো ক্ষেত্রেও রিটার্ন দাখিলের প্রয়োজন হবে।
আয়কর রিটার্ন বাধ্যতামূলক করার এই উদ্যোগের মাধ্যমে করজালের আওতা বাড়ানো, রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি এবং আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চায় সরকার।
গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে, দ্বৈত কর পরিহার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তির আলোকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে দেশীয় আইন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে।
নতুন এই নিয়মের ফলে অধিক সংখ্যক নাগরিক আয়কর রিটার্ন দাখিলে আগ্রহী হবেন এবং দেশে কর সচেতনতা বাড়বে বলে আশা করছে সরকার।
কাফি