জাতীয়
এক নজরে গত ১১টি সংসদ নির্বাচন

আজ ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। নওগাঁ-২ ও গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে ৩শ’ আসনের মধ্যে ২৯৮ আসনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ। এতে দেশের ৪৪টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে ২৮টি দল অংশ নিচ্ছে। নির্বাচন বর্জন করছে বিএনপিসহ ১৬টি নিবন্ধিত দল।
দেশে এর আগে ১১টি সংসদ নির্বাচন হয়েছে। এসব নির্বাচনে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ পাঁচ বার, বিএনপি চার বার ও জাতীয় পার্টি দুই বার জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। আওয়ামী লীগ প্রথম, সপ্তম, নবম, দশম ও চলতি একাদশ সংসদ নির্বাচনে; বিএনপি দ্বিতীয়, পঞ্চম, ষষ্ঠ ও অষ্টম সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে। জাতীয় পার্টি তৃতীয় ও চতুর্থ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়।
সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর হলেও রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ নানা কারণে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও ষষ্ঠ সংসদ মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেনি। অপরদিকে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম, নবম, দশম ও চলতি একাদশ সংসদ তার মেয়াদকাল পূরণ করে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনগুলোর মধ্যে ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম সংসদ নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়ে। সর্বোচ্চ ৮৭ শতাংশ ভোট পড়ে এ নির্বাচনে। অন্যদিকে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবচেয়ে কম ভোট পড়ে। এ নির্বাচনে ২৬.৫ শতাংশ ভোট পড়ে।
প্রথম সংসদ নির্বাচন
১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ স্বাধীন দেশে সর্বপ্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৯৩টি আসন পেয়ে জয়ী হয় আওয়ামী লীগ। ১৪টি রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশ নেয়। বিরোধীদের মধ্যে জাতীয় লীগ ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) একজন করে এবং স্বতন্ত্র পাঁচ জন প্রার্থী বিজয়ী হন। এ নির্বাচনে ভোট পড়ে ৫৫.৬১ শতাংশ। এ সংসদের মেয়াদ ছিল দুই বছর ছয় মাস।
দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচন
১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ২৯টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। নির্বাচনে ভোট পড়ে ৫১.২৯ শতাংশ। এতে বিএনপি ২০৭টি আসন পেয়ে জয়লাভ করে। অন্য দলগুলো পায় ৭৭টি আসন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ (মালেক) ৩৯টি, জাতীয় লীগ দুটি, আওয়ামী লীগ (মিজান) দুটি, জাসদ আটটি, মুসলিম ও ডেমোক্রেটিক লীগ ২০টি, ন্যাপ একটি, বাংলাদেশ গণফ্রন্ট দুটি, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল একটি, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দল একটি ও জাতীয় একতা পার্টি একটি আসন হয়। নির্বাচিত বাকি ১৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। এ সংসদের মেয়াদ ছিল তিন বছর।
তৃতীয় সংসদ নির্বাচন
১৯৮৬ সালের ৭ মে তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ১৫৩টি আসন পেয়ে জয়লাভ করে। ভোটের হার ছিল ৬৬.৩১ শতাংশ। বিএনপি এ নির্বাচন বর্জন করে। অংশ নেয় মোট ২৮টি রাজনৈতিক দল। জাতীয় পার্টি বাদে অন্য দলগুলো পায় ১১৫ আসন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ৭৬টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) পাঁচটি, ন্যাপ (মোজাফফর) দুটি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি পাঁচটি, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) তিনটি, জাসদ (রব) চারটি, জাসদ (সিরাজ) তিনটি, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ১০টি, মুসলিম লীগ চারটি ও ওয়ার্কার্স পার্টি তিনটি আসন পায়। বাকি ৩২ আসনে নির্বাচিত হন স্বতন্ত্র প্রার্থী। এ সংসদের মেয়াদ ছিল ১৭ মাস।
চতুর্থ সংসদ নির্বাচন
১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এ নির্বাচন বর্জন করে। নির্বাচনে ভোট পড়ে ৫১.৮১ শতাংশ। জাতীয় পার্টি ২৫১টি আসন পেয়ে জয়লাভ করে। নির্বাচনে আটটি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। ১৯টি আসন পেয়ে সংসদে বিরোধী দলের আসনে বসেন সম্মিলিত বিরোধী দল (কপ)। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী ২৫টি, জাসদ (সিরাজ) তিনটি ও ফ্রিডম পার্টি দুটি আসন লাভ করে। এ সংসদের মেয়াদ ছিল দুই বছর সাত মাস।
পঞ্চম সংসদ নির্বাচন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে দুটি প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ ৭৫টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। এই নির্বাচনে ভোট পড়ে ৫৫.৪৫ শতাংশ। এ নির্বাচনে বিএনপি ১৪০টি আসন পেয়ে জয়লাভ করে। আওয়ামী লীগ ৮৮টি, জাতীয় পার্টি ৩৫টি, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) পাঁচটি, জাসদ (সিরাজ) একটি, ইসলামী ঐক্যজোট একটি, জামায়াতে ইসলামী ১৮টি, সিপিবি পাঁচটি, ওয়ার্কার্স পার্টি একটি, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) একটি, গণতন্ত্রী পার্টি একটি ও ন্যাপ (মোজাফফর) একটি আসন পায়। স্বতন্ত্র প্রার্থী তিনটি আসনে জয়লাভ করেন। সংসদের মেয়াদ ছিল চার বছর আট মাস।
ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচন
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দলীয় সরকারের অধীনে হওয়া এ নির্বাচন আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামীসহ অনেকগুলো দল বর্জন করে। ৪১টি রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশ নেয়। বিএনপি ২৭৮টি আসন পেয়ে জয়লাভ করে। এর মধ্যে ৪৯টি আসনে বিএনপি প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। নির্বাচনে ফ্রিডম পার্টি একটি আসন পায়। বাকি ১০ আসনে জয়লাভ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। এছাড়া ১০টি আসনে ফলাফল অসমাপ্ত ছিল এবং একটি আসনের নির্বাচন আদালতের আদেশে স্থগিত করা হয়। এ নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ২৬.৫৪ শতাংশ। এ সংসদের মেয়াদ ছিল মাত্র ১১ দিন।
সপ্তম সংসদ নির্বাচন
১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৪৬টি আসনে জয়লাভ করে। নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৭৪.৯৬ শতাংশ। এটি ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ৮১ রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। অন্য দলগুলোর মধ্যে বিএনপি ১১৬টি, জাতীয় পার্টি ৩২টি, জামায়াতে ইসলামী তিনটি, ইসলামী ঐক্যজোট একটি ও জাসদ একটি আসন পায়। স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেন একটি আসনে। সংসদের মেয়াদ ছিল পাঁচ বছর।
অষ্টম সংসদ নির্বাচন
২০০১ সালের ১ অক্টোবর অষ্টম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বিএনপি ১৯৩টি আসন পেয়ে সরকার গঠন করে। ৫৪টি রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশ নেয়। বিএনপি বাদে অন্য দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগ ৬২টি, জামায়াতে ইসলামী ১৭টি, জাতীয় পার্টি ও ইসলামী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ১৪টি, জাতীয় পার্টি (না-ফি) চারটি, জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) একটি, ইসলামিক ঐক্যজোট দুটি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ একটি আসন পায়। বাকি ছয় আসনে জয়লাভ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। সংসদের মেয়াদ ছিল পাঁচ বছর। নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৭৫.৫৯ শতাংশ।
নবম সংসদ নির্বাচন
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত এটি সর্বশেষ ভোট। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৩০টি আসন পেয়ে জয়লাভ করে। রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন পদ্ধতি চালু হওয়ার পর এটি প্রথম ভোট। এতে ৩৮ টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য দলগুলোর মধ্যে বিএনপি ৩০টি, জাতীয় পার্টি ২৭টি, জাসদ তিনটি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি দুটি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) একটি, জামায়াতে ইসলামী দুটি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) একটি আসন পায়। স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয় চার আসনে। নির্বাচনে ভোট পড়ে ৮৭.১৩ শতাংশ।
দশম সংসদ নির্বাচন
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পায় আওয়ামী লীগ ও এর শরিক দলগুলো। ফলে ১৪৭টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়। বিএনপি ও এর নেতৃত্বাধীন জোট নির্বাচন বর্জন করে। এ নির্বাচনে মোট ১২টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। আওয়ামী লীগ একাই ২৩৪টি আসন পায়। জাতীয় পার্টি ৩৪টি, ওয়ার্কার্স পার্টি ৬টি, জাসদ (ইনু) ৫টি, তরীকত ফেডারেশন ২টি, জাতীয় পার্টি (জেপি) ২টি, বিএনএফ ১টি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১৬টি আসনে জয়লাভ করে। নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৪০.০৪ শতাংশ।
একাদশ সংসদ নির্বাচন
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৩৯টি নিবন্ধিত দলের সবাই অংশ নেয়। মোট প্রার্থী ছিলেন ১ হাজার ৮৬৫ জন। এ নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৮০.২০ শতাংশ। আওয়ামী লীগ এককভাবে ২৫৮টি আসন পায়। জাতীয় পার্টি ২২টি এবং মহাজোটভুক্ত অন্য দলগুলো ৮টি আসনে জয়ী হয়। অপরদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টভুক্ত বিএনপি ৬টি, গণফোরাম ২টি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৩টি আসনে জয়ী হন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
সচিবালয়ে সপ্তাহে দুই দিন বন্ধ থাকবে দর্শনার্থী প্রবেশ

সচিবালয়ে এখন থেকে সপ্তাহে দুই দিন সোমবার ও বৃহস্পতিবার দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবে না। বুধবার (২৮ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে দায়িত্বশীল সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সূত্র জানায়, আগে সচিবালয়ে শুধু সোমবার দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ ছিল। এখন থেকে বৃহস্পতিবারও দর্শনার্থী প্রবেশ করতে পারবেন না। জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইস্যু করা হবে।
এর আগে গত ২৭ মে বাংলাদেশ সচিবালয়ে সব ধরনের দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তার আগেরদিন রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, অনিবার্য কারণবশত মঙ্গলবার (২৭ মে) বাংলাদেশ সচিবালয়ে সব ধরনের দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ থাকবে।
এ ছাড়া সচিবালয় ও সংলগ্ন এলাকায় সভা-সমাবেশও নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ২৬ মে রাতেই এক নির্দেশনা জারি করে এ নিষেধাজ্ঞা দেয় ডিএমপি।
নির্দেশনায় বলা হয়, গত ১০ মে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার কর্তৃক জারি করা গণবিজ্ঞপ্তি মোতাবেক বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় যে কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা ইত্যাদি নিষিদ্ধ রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দুই অধিদপ্তরে নতুন ডিজি নিয়োগ

জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টে নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
বুধবার (২৮ মে) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ হিরুজ্জামানকে প্রেষণে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়ে তার চাকরি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আর বাংলাদেশে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী সদস্য ড. খন্দকার আজিজুল ইসলামকে প্রেষণে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টে মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়ে তার চাকরি শিল্প মন্ত্রণালয়ের ন্যস্ত করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেছে, ঈদুল আজহা ৭ জুন

দেশের আকাশে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামী ৭ জুন সারাদেশে ত্যাগের মহিমায় ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ঈদুল আজহা উদযাপন হবে।
বুধবার (২৮ মে) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা বিল্লাল বিন কাশেম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানিয়েছেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত জানানো হবে।
গতকাল মঙ্গলবার সৌদি আরবে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সে হিসাবে ১০ জিলহজ আগামী ৬ জুন দেশটিতে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
ঈদের আগের দিন ৫ জুন পবিত্র হজ পালিত হবে।
ঈদুল আজহা বেশি পরিচিত কোরবানির ঈদ নামে। পশু কোরবানির মাধ্যমে মুসলমানরা এই ঈদ উদযাপন করে থাকেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
যেকোনও পরিস্থিতিতে জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশের জাতীয় নির্বাচন ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে যেকোনো সময় অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (২৮ মে) অধ্যাপক ড. ইউনূসের সঙ্গে টোকিওর ইম্পেরিয়াল হোটেলে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ লিগের (জেবিপিএফএল) সভাপতি তারো আসো সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ব্রিফিংয়ে বলেন, অধ্যাপক ইউনূস ছয় মাসের সময়সীমা নির্ধারণ করেছেন এবং সেই সময়ের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রেস সচিব বলেন, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ার সাথে সাথেই অধ্যাপক ড. ইউনূস জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করবেন।
জাপানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু তারো আসো বাংলাদেশকে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অধ্যাপক ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানান এবং একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য একটি সাধারণ নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার তিনটি মূল ক্ষেত্রকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য কাজ করছে। সেগুলো হলো– সংস্কার, হত্যাকারীদের বিচার এবং একটি সাধারণ নির্বাচন।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পুনর্গঠন এবং ঋণ পরিশোধে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক অগ্রগতি করেছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আগের সরকার আমাদের দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তরুণদের এর বিরুদ্ধে জেগে উঠতে বাধ্য করেছে। যে জগাখিচুড়ি তৈরি হয়েছে, তা ঠিক করার জন্য তরুণরা আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গত ১০ মাসে জাপান আমাদের সব ধরনের সহায়তা দিয়েছে। আমি জাপানকে তার সমর্থনের জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাতে চাই। এটি এক অর্থে ধন্যবাদ সফর। প্রফেসর ইউনূস পরিবর্তনগুলো স্বচক্ষে দেখার জন্য আসাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
বৈঠকে আসো’র সঙ্গে থাকা বেশ কয়েকজন জাপানি আইনপ্রণেতা বলেন, অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর বাংলাদেশে আরও জাপানি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে আরো এক ধাপ এগিয়ে যেতে পারে।
আগস্টের মধ্যে আলোচনা শেষ করে সেপ্টেম্বরে চুক্তি সই করবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ। চুক্তি সই হলে জাপানই হবে বাংলাদেশের সঙ্গে ইপিএ করা প্রথম দেশ।
প্রধান উপদেষ্টা জাপানের আইনপ্রণেতাদের কাছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের এজেন্ডা এগিয়ে নিতে তাদের সমর্থন কামনা করেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট বিশ্বের অন্যান্য শরণার্থী সংকট থেকে আলাদা, কারণ তারা তাদের বাড়ি ছাড়া অন্য কোনও দেশে যাওয়ার জন্য ভিক্ষা করছে না।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সেক্রেটারি লামিয়া মোরশেদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঢাকার দুই সিটিতে বসছে ১৯ অস্থায়ী পশুর হাট

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৯টি অস্থায়ী পশুর হাট বসবে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় ১০টি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় বসবে ৯টি অস্থায়ী হাট। এছাড়া ডিএনসিসির গাবতলী ও ডিএসসিসির সারুলিয়া হাটেও কোরবানির পশু বিক্রি হবে।
ডিএনসিসি ও ডিএসসিসির সংশ্লিষ্টরা জানান, এরই মধ্যে বেশির ভাগ হাটের ইজারা চূড়ান্ত হয়েছে। ঈদুল আজহার দিনসহ মোট পাঁচদিন নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে।
ঢাকা দক্ষিণে অস্থায়ী হাট বসবে ৯টি
ডিএসসিসির সম্পত্তি বিভাগের সংশ্লিষ্টরা জানান, এবার আফতাবনগর ও মেরাদিয়াসহ মোট ১১টি স্থানে অস্থায়ী হাটের দরপত্র আহ্বান করেছিল ডিএসসিসি। পরে আইনগত জটিলতা থাকায় আফতাবনগর ও মেরাদিয়া হাটের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
গত ৩০ এপ্রিল দরপত্র উন্মুক্তের প্রথম পর্যায়ে উত্তর শাহজাহানপুর মৈত্রী সংঘ ক্লাবের খালি জায়গায়, পোস্তগোলা শশ্মানঘাটের পশ্চিম পাশের নদীর পাড়ে খালি জায়গায়, রহমতগঞ্জ ক্লাবের খালি জায়গায়, হাজারীবাগে ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি কলেজের পূর্ব পাশের খালি জায়গা, আমুলিয়া আলীগড় মডেল কলেজের উত্তর পাশের খালি জায়গায় হাটে সর্বোচ্চ দরদাতা পেয়েছে ডিএসসিসি।
এছাড়া সাদেক হোসেন খোকা মাঠের দক্ষিণ পাশের খালি জায়গা, কমলাপুর সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন খালি জায়গা, শ্যামপুর-কদমতলী ট্রাকস্টান্ড সংলগ্ন খালি জায়গায়, মেরাদিয়া বাজারের পূর্ব পাশের খালপাড়ের খালি জায়গায় সরকারি মূল্যের চেয়ে কম দর পায় ডিএসসিসি। কিন্তু বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের শপথকে কেন্দ্র করে ১৪ দিন ধরে নগর ভবন তালাবদ্ধ। আন্দোলনের কারণে সর্বোচ্চ দর পাওয়া হাটগুলোর ইজারাদারকে কার্যাদেশ ও বাকি হাটগুলোকে পুনঃদরপত্র আহ্বান করতে পারছে না ডিএসসিসি।
ডিএসসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা হাসিবা খান বলেন, আন্দোলনের কারণে যেসব হাটের ইজারায় সর্বোচ্চ দরদাতা পাওয়া গেছে, তাদেরও কার্যাদেশ দেওয়া সম্ভব হয়নি। আবার বাকি চারটি হাটের বিষয়ে এখনো করপোরেশন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
পশুর হাট ইজারা সম্পন্ন করতে না পারলে কীভাবে হাট বসানো হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, এরই মধ্যে আমরা পাঁচটি হাটের ইজারা সম্পন্ন করেছি। বাকি চারটি হাটের ইজারা বাকি। ঈদের আগেই এগুলো ইজারা শেষ করতে পারবো বলে আশা করি।
ঢাকা উত্তরে মোট অস্থায়ী হাট বসবে ১০টি
ডিএনসিসির ৩০০ ফিটের মস্তুল এলাকা ও তেজগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এলাকার হাট ইজারা চূড়ান্ত হয়েছে। কাঙ্ক্ষিত দর না পাওয়ায় ভাটারা সুতিভোলা খাল সংলগ্ন খালি জায়গা, উত্তরা দিয়াবাড়ি, মিরপুর ইস্টার্ন হাউজিং, মোহাম্মদপুর বসিলা, ভাটুলিয়া সাহেব আলী মাদরাসা, কালসী বালুর মাঠ পুনঃদরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
এছাড়া কাচুকুরা বাজার সংলগ্ন খালি জায়গা, খিলক্ষেত বাজার সংলগ্ন খালি জায়গায় নতুন করে হাট ইজারা আহ্বান করা হয়েছে।
অস্থায়ী হাটের বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ফারজানা খানম বলেন, অধিকাংশ হাটে কাঙ্ক্ষিত দর পেয়েছে ডিএনসিসি। একই সঙ্গে গাবতলী হাটের ইজারা কার্যক্রমও চলছে। আশা করি যথাসময়ে হাটে পশু বেচাবিক্রি শুরু হবে।