অর্থনীতি
গত বছর বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর সম্পদ বেড়েছে
গত বছর বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর মোট সম্পদ ৪৬ শতাংশ বেড়েছে। অর্থের হিসেবে তাদের সম্পদ বেড়েছে অর্ধ লাখ কোটি ডলার। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্সের হিসাব অনুযায়ী বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর সম্পদ বৃদ্ধিতে এগিয়ে রয়েছেন টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলোন মাস্ক। তার সম্পদের মূল্য ২২ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। সম্পদ বৃদ্ধির দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন বেহনা আহনোঁ। আর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন জেফ বেজোস।
ইলোন মাস্ক
টেসলার প্রধান নির্বাহী ও এক্সের স্বত্বাধিকারী ইলোন মাস্ক। তার সম্পদ বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসেবে ২০২৩ সাল শেষ করেছেন তিনি। ইলোন মাস্কের সম্পদ মূল্যে গত এক বছরে ৯ হাজার ২০০ কোটি ডলার বা ৬৭দশমিক ২ শতাংশ অর্থ যোগ হয়েছে। ২ জানুয়ারি তার মোট সম্পদের মূল্য দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। গত বছরের জানুয়ারির এদিন তার সম্পদের মূল্য ছিল ১৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলার।
বেহনা আহনোঁ
ফরাসি বিলাসবহুল শৌখিন পণ্যের প্রতিষ্ঠান এলভিএমএইচের চেয়ারম্যান বেহনা আহনোঁ। এ বছরের ২ জানুয়ারি তার সম্পদের মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। গত বছরের একই দিনে তার সম্পদ ছিল ১৬ হাজার ২০০ কোটি ডলার। এক বছরে তার সম্পদ বেড়েছে ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলার।
জেফ বেজোস
মার্কিন ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারী। ২ জানুয়ারিতে তার সম্পদের মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। গত বছরের একই দিন তার সম্পদ ছিল ১০ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। এক বছরে তার সম্পদ বেড়েছে ৭ হাজার কোটি ডলার।
বিল গেটস
মাইক্রোসফটের সাবেক সিইও বিল গেটস। ২ জানুয়ারি তার সম্পদের মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ১০০ কোটি ডলার। গত বছরের একই দিনে তার সম্পদ ছিল ১০ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। এক বছরে তার সম্পদ বেড়েছে ৩ হাজার ২০০ কোটি ডলার।
স্টিভ বলমার
মার্কিন ব্যবসায়ী স্টিভ বলমার। তিনি ২০০০-২০১৪ সাল পর্যন্ত মাইক্রোসফটের সিইও ছিলেন। ২ জানুয়ারিতে তার সম্পদের মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ১০০ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময় তার সম্পদ ছিল ৮ হাজার ৫৮০ কোটি ডলার। এক বছরে তার সম্পদ বেড়েছে ৪ হাজার ৫২০ কোটি ডলার।
মার্ক জাকারবার্গ
ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। তিনি সোস্যাল মিডিয়া কোম্পানির সিইও। ২ জানুয়ারি তার সম্পদের মূল্য দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। গত বছরের একই দিনে তার সম্পদ ছিল ৪ হাজার ৫৬০ কোটি কোটি ডলার। এক বছরে তার সম্পদ বেড়েছে ৮ হাজার ২৪০ কোটি ডলার।
ল্যারি পেজ
মার্কিন কম্পিউটার বিজ্ঞানী। তিনি গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতাও। ২ জানুয়ারি তার সম্পদের মূল্য দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। গত বছরের একই দিনে তার সম্পদ ছিল ৮ হাজার ২৯০ কোটি ডলার। এক বছরে তার সম্পদ বেড়েছে ৪ হাজার ৩১০ কোটি ডলার।
ল্যারি এলিসন
মার্কিন সফটওয়ার কোম্পানি ওরাকলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন। তিনি বর্তমানে কোম্পানিটির চিফ টেকনোলজি অফিসার। ২ জানুয়ারি তার সম্পদের মূল্য দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। গত বছরের একই দিনে তার সম্পদ ছিল ৯ হাজার ১৮০ কোটি ডলার। এক বছরে তার সম্পদ বেড়েছে ৩ হাজার ১২০ কোটি ডলার।
সের্গেই ব্রিন
গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিন। এর আগে তিনি কোম্পানিটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২ জানুয়ারি তার সম্পদের মূল্য দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার কোটি ডলার। গত বছরের ২ জানুয়ারি তার সম্পদ ছিল ৭ হাজার ৯৪০ কোটি ডলার। এক বছরে তার সম্পদ বেড়েছে ৪ হাজার ৬০ কোটি ডলার।
ওয়ারেন বাফেট
মার্কিন ধনকুবের। মূলত শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে তিনি সম্পদের মালিক হয়েছেন। ২ জানুয়ারি তার সম্পদের মূল্য দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার কোটি ডলার। গত বছরের একই দিনে তার সম্পদ ছিল ১০ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। এক বছরে তার সম্পদ বেড়েছে ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৩৬ কোটি ডলার
চলতি মাসের প্রথম ১৭ দিনে দেশে এসেছে ১৩৫ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৭ কোটি ৯৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।
রবিবার (১৯ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, মে মাসের প্রথম ১৭ দিনে দেশে এসেছে ১৩৫ কোটি ৮৭ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত এপ্রিল, মার্চ, ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারির প্রথম ১৭ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল যথাক্রমে ১১৪ কোটি ৫৮ লাখ, ১০৯ কোটি ৩১ লাখ , ১২১ কোটি ৭২ লাখ ও ১২২ কোটি ৬ লাখ মার্কিন ডলার। সে হিসাবে চলতি মাসে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি মাসে ২০০ কোটি ডলার ছুঁতে পারে দেশের প্রবাসী আয়। মূলত আসন্ন কোরবানিকে ঘিরে বাড়ছে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রবণতা।
এদিকে মে মাসের প্রথম ১৭ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৪ কোটি ৮৮ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৪২ লাখ ৮০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১২০ কোটি ৮ লাখ ১০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৮ লাখ ২০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, মে মাসের ১১ থেকে ১৭ তারিখ দেশে এসেছে ৫৪ কোটি ৪৯ লাখ ৪০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। ৪ থেকে ১০ মে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৬৬ কোটি ৬৬ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর মে মাসের ১ থেকে ৩ তারিখ দেশে এসেছে ১৪ কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
এদিকে গত এপ্রিল মাসে দেশে এসেছে ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত মার্চে দেশে এসেছিল ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ফেব্রুয়ারিতে চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। আর গত জানুয়ারি মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের সম্প্রসারণ চায় কানাডা
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত, সাইবার নিরাপত্তাসহ অবকাঠামোগত প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে চায় কানাডা। একই সঙ্গে বাংলাদেশের সঙ্গে বিনিয়োগ চুক্তি সম্পন্ন করতে চায় দেশটি।
আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সঙ্গে কানাডার ইন্দো-প্যাসিফিক বাণিজ্য প্রতিনিধি পল থোপিলের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাৎ করে।
সাক্ষাৎকালে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ হতে যাচ্ছে। বাজার সুবিধা পেতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ-জাপান ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট (ইপিএ) নেগোসিয়েশন আজ শুরু হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে আসিয়ান দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
ইন্দো-প্যাসিফিক বাণিজ্য প্রতিনিধি পল থোপিল বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশ-কানাডার মধ্যকার সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। বিনিয়োগকারী কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগে আগ্রহী করতে বাংলাদেশের সঙ্গে বিনিয়োগ চুক্তি সম্পন্ন করতে চায় কানাডা। অবকাঠামোগত প্রকল্প, সাইবার নিরাপত্তা একইসাথে তৈরি পোশাক খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী কানাডা। ক্যানোলা তেল রপ্তানি হতে পারে এদেশে, এ তেলের ফ্যাক্টরি এখানে স্থাপন হলে তেল প্রক্রিয়া করা আরও সহজ হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
টেকসই উন্নয়নে সময়োপযোগী আর্থিক ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে একটি শক্তিশালী ও দক্ষ আর্থিক ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা অপরিহার্য। আজ রবিবার পাবলিক ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট (পিএফএম) স্ট্র্যাটেজি ২০২৫-২০৩০ তৈরির প্রক্রিয়া অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি বাংলাদেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং দক্ষতায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জনে স্ট্র্যাটেজি প্রণয়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পিএফএম কমকৌশল এমন এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে প্রণয়ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যখন বাংলাদেশ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিমণ্ডলে আমরা চ্যালেঞ্জ এবং অভূতপূর্ব সুযোগের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি।
তিনি বলেন, যেহেতু আমরা কোভিড ১৯ মহামারির সুদূরপ্রসারী প্রভাবগুলোর মোকাবিলা করছি, এটি পর্যায়ক্রমে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য সময়োপযোগী ও কার্যকর আর্থিক ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য।
তিনি বলেন, পিএফএম কৌশল প্রণয়নের আসুন আমরা আমাদের সর্বাত্মক উদ্ভাবনী মতামত ও সহযোগিতা প্রদানের অঙ্গীকার করি। সবার অংশগ্রহণে আমাদের কাছে এমন একটি ভবিষ্যৎ গঠনের সুযোগ রয়েছে যেখানে বাংলাদেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা শুধুমাত্র টেকসই এবং দক্ষই হবে না, উপরন্তু ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে যা আগামী প্রজন্মের জন্য টেকসই সমৃদ্ধির ভিত্তি স্থাপন করবে।
বিশ্ব ব্যাংক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা’র সহায়তা অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এ উদ্বোধনী আলোচনা সভা আয়োজন করে।
অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর বার্নাড হেভেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ওএমএস বিতরণে গাফিলতি হলেই ব্যবস্থা: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ওএমএস বিতরণে কোন গাফিলতি হলে ডিলার ও খাদ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। এ সময় ওএমএস বিতরণে গাফলতি হলে জেল জরিমানারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
তিনি বলেন, কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস বিতরণ হলে এক ব্যক্তির একাধিকবার চাল-আটা নেওয়ার প্রবণতা বন্ধ হবে। অন্য কোনো এলাকার কার্ডধারী কি না তাও সহজে শনাক্ত হবে। এতে প্রকৃত গরীব মানুষের কাছে ওএমএস পৌঁছানো সম্ভব হবে।
তিনি আজ রোববার (১৯ মে) সকালে রাজধানীর মিরপুরের আনসার ক্যাম্প বাসস্ট্যান্ডে ওএমএস কার্ডের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে সুবিধাভোগীদের মধ্যে চাল ও আটা বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের নায্য মূল্য না দিতে পারলে কৃষক উৎপাদনে আগ্রহ হারাবে। তাদের উৎসাহিত করতে এবার বোরো সংগ্রহ মৌসুমে সরকার ধানের দাম দুই টাকা বৃদ্ধি করেছে।
মন্ত্রী বলেন, ১৪ লক্ষ উপকারভোগী বিশেষ এই কার্ডের মাধ্যমে ওএমএসের চাল ও আটা সংগ্রহ করতে সক্ষম হবেন। ভবিষ্যতে আরো অধিক সংখ্যক উপকারভোগী এই কার্ডের সুবিধায় যুক্ত হবেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ভোমরায় দশ মাসে ৫ হাজার টন জিরা আমদানি
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে জিরা আমদানি দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) এ বন্দর দিয়ে প্রায় ৫ হাজার টন জিরা আমদানি হয়েছে। ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব বিভাগ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রাজস্ব বিভাগ জানায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাস ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে জিরা আমদানি হয়েছিল ২ হাজার ১৪৫ টন, যার আমদানি মূল্য ছিল ৪১ কোটি টাকা। এ হিসাব অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের এ ১০ মাসে বন্দরটি দিয়ে জিরা আমদানির পরিমাণ ২ হাজার ৭৭৬ টন বেড়েছে। এসময়ে ৭৪ কোটি ৩ লাখ টাকা মূল্যের মোট ৪ হাজার ৯২১ টন জিরা আমদানি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা বলছেন, দেশের বাজারে এ পণ্যের ঊর্ধ্বমুখী চাহিদার কারণে আমদানি বেড়েছে। পাশাপাশি ভারতে সম্প্রতি জিরার সরবরাহ বাড়ার পাশাপাশি দাম কমে যাওয়ায় আমদানি বেড়েছে।
এদিকে গত দশ মাসে আমদানি বাড়ায় জিরার দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। গতকাল সাতক্ষীরা জেলা সদরের সুলতানপুর বড় বাজারের কয়েকটি মসলা আড়ত ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজারে অন্যান্য মসলার তুলনায় জিরার দাম কম আছে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এসএম আব্দুল্লাহ। বর্তমানে ৭০০ টাকা কেজিদরে জিরা বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি, কয়েক মাস আগেই যার মূল্য ছিল ১ হাজার ২০০ টাকা। তিনি আরো বলেন, জিরাসহ অন্যান্য মসলাজাত পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমম্বয় রেখে কাজ করা হচ্ছে।
এমআই