অর্থনীতি
বিজিবির অভিযানে ২৬৬ কোটি টাকার চোরাচালান জব্দ

জাতীয় নির্বাচনের আগে গত ডিসেম্বরে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত পথে কড়াকড়ি আরোপ করেছে বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ মাসে সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ২৬৬ কোটি ৭৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। অভিযানে ৯টি পিস্তল, ১৩টি ম্যাগাজিন ও ২০ কেজি গান পাউডার জব্দ করা হয়।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
শরীফুল ইসলাম জানান, জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১১ কেজি ৬৪৩ গ্রাম স্বর্ণ, ৫ কেজি ২০০ গ্রাম রূপা, ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৮৯ টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ১ হাজার ৩৫৮টি ইমিটেশন গহনা, ১২ হাজার ৪০৬টি শাড়ী, ৭ হাজার ৯৭১টি থ্রিপিস, শার্টপিস, চাদর, কম্বল ও তৈরি পোশাক, ৩ হাজার ৮৬৪ ঘনফুট কাঠ, ১৭ হাজার ১২৭ কেজি চা পাতা, ৪৪ হাজার ৫১৫ কেজি কয়লা, ১টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ১২টি ট্রাক, ৩টি বাস, ৭টি পিকআপ, ৬টি প্রাইভেটকার ওমাইক্রোবাস, ১৮টি সিএনজি ও ইজিবাইক এবং ৫৮টি মোটরসাইকেল।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৯টি পিস্তল, ২টি বিভিন্ন প্রকার গান, ১৩টি ম্যাগাজিন, ১টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ২০ কেজি গান পাউডার, ১২ কেজি বিস্ফোরক দ্রব্য, ১৭ কেজি ২০০ গ্রাম পটাশিয়াম নাইট্রেট এবং ৩১৬ রাউন্ড গুলি।
এছাড়াও বিপুল মাদকদ্রব্য জব্দ করে বিজিবি। জব্দকরা মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে- ১১ লাখ ৫৬ হাজার ৬২৮ পিস ইয়াবা, ৩৪ কেজি ৫৭৪ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৪২.৯৩৫ কেজি হেরোইন, ১৪ হাজার ৪৬৮ বোতল ফেনসিডিল, ৩০ হাজার ৪৮৯ বোতল বিদেশি মদ, ৬ হাজার ৫১২ লিটার বাংলা মদ, ৫ লাখ ৯১ হাজার ৬০০ পিস মদ তৈরির ট্যাবলেট, ২ হাজার ২৭০ ক্যান বিয়ার, ১৫ বোতল লাইসারজিক এসিড ডাই-ইথাইল অ্যামাইড (এলএসডি) ১২৯৪ কেজি গাঁজা, ৬৪ হাজার ১৯৭ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ৪৬ হাজার ৯৪টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন, ৩ হাজার ৩৬৩ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ১ হাজার ৯০০ কেজি কোকেন, ১ হাজার ১৩১ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, ৫ লাখ ১২ হাজার ৭৪৬ পিস বিভিন্ন প্রকার ঔষধ, ৭৮১ প্যাকেট কিটনাশক এবং ১৩ লাখ ৪৮ হাজার ৬৪৪টি অন্যান্য ট্যাবলেট।
বিজিবি জানায়, সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৪৩ জন চোরাচালানীকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে বাংলাদেশের ২৩ জন, ৩ জন ভারতীয় নাগরিক ও মিয়ানমারের ১৫০ জন নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
দুই প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক দিলো ৬ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা

বাংলাদেশকে দুই প্রকল্পে ৫৫ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ ৬ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২১.৬০ টাকা ধরে)।
রোববার (২৫ মে) বাংলাদেশ সরকারের সাথে ঋণচুক্তি করে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ঋণ চুক্তিতে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে সই করেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর (অন্তর্বর্তীকালীন) মিস গেয়েল এইচ. মার্টিন।
বিশ্বব্যাংক জানায়, চট্টগ্রামের পানি সরবরাহ প্রকল্পে ২৮ কোটি ডলার ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চট্টগ্রামের পানি সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে, বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে ২৮ কোটি ডলার দেওয়া হচ্ছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে চট্টগ্রামের ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর জন্য নিরাপদ ও উন্নত পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যা নগরীর সামগ্রিক জনস্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়ক হবে। চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ উন্নয়ন প্রকল্পে এ অর্থ ব্যয় করা হবে।
সংস্থাটি আরও জানায়, দুর্যোগ প্রস্তুতি ও পুনরুদ্ধারের আলাদা আরেকটি প্রকল্পে ২৭ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। দুর্যোগ মোকাবিলা এবং টেকসই পুনরুদ্ধারের সক্ষমতা বাড়াতে বাংলাদেশ সরকার বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) থেকে এই ২৭ কোটি ডলার ঋণ পাওয়া যাবে। এই অর্থ বাংলাদেশ সাসটেইনেবল রিকভারি, ইমার্জেন্সি প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড রেসপন্স প্রকল্পে ব্যয় করা হবে।
বিশ্বব্যাংক জানায়, এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের দুর্যোগ প্রস্তুতি ও ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। একই সঙ্গে দুর্যোগের পর দ্রুত পুনরুদ্ধার এবং টেকসই উন্নয়নেও এটি সহায়ক হবে। যা দেশের ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা প্রদানে কার্যকর অবদান রাখবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এনবিআরকে স্বতন্ত্র-বিশেষায়িত বিভাগ করা হবে: অর্থ মন্ত্রণালয়

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারের একটি স্বতন্ত্র ও বিশেষায়িত বিভাগের মর্যাদায় উন্নীত করা হবে। বিসিএস (কাস্টমস ও এক্সাইজ) ও বিসিএস (কর) ক্যাডারের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে এনবিআর শক্তিশালী করা হবে। সেই সঙ্গে আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জারি করা অধ্যাদেশে প্রয়োজনীয় সব সংশোধনী আনা হবে।
রবিবার (২৫ মে) অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ-২০২৫ বাস্তবায়ন বিষয়ে ২২ মে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রেস নোটে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের বিভিন্ন দাবির বিষয়ে সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করে সরকার আশা করেছিল যে, অধ্যাদেশের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর এবং কাস্টমস ও ভ্যাট সার্ভিসের সব উদ্বেগের অবসান ঘটবে। কিন্তু এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সাম্প্রতিক প্রেস রিলিজ থেকে এ বিষয়ে কিছু অস্পষ্টতা রয়ে গেছে মর্মে প্রতীয়মান হচ্ছে।
এ কারণে কিছু বিষয় অধিকতর স্পষ্ট করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে রয়েছে-
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারের একটি স্বতন্ত্র ও বিশেষায়িত বিভাগের মর্যাদায় উন্নীত করা হবে।
বিসিএস (কাস্টমস ও এক্সাইজ) ও বিসিএস (কর) ক্যাডারের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড শক্তিশালীকরণ এবং একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান গঠনের মাধ্যমে রাজস্ব নীতি পৃথকীকরণের কাঠামো কী রূপে প্রণীত হবে তা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক পরামর্শক কমিটি ও গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড শক্তিশালীকরণ এবং রাজস্ব নীতি প্রণয়ন কার্যক্রম পৃথকীকরণের লক্ষ্যে আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জারি করা অধ্যাদেশে প্রয়োজনীয় সব সংশোধনী আনা হবে। প্রয়োজনীয় সংশোধনের পূর্ব পর্যন্ত জারি করা অধ্যাদেশটি কার্যকর করা হবে না।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, সরকার আশা প্রকাশ করছে যে, এই ঘোষণার মাধ্যমে কর এবং কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সব উদ্বেগের অবসান ঘটবে এবং দেশের রাজস্ব আহরণ ও রাজস্ব সেবা প্রদানকারী সব দপ্তর অবিলম্বে পূর্ণ উদ্যমে কাজ শুরু করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সমঝোতায় স্থগিত হচ্ছে এনবিআর’র আন্দোলন

আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জারি করা অধ্যাদেশে প্রয়োজনীয় সব সংশোধনীসহ অধিকাংশ দাবির বিষয়ে একমত হওয়ায় আন্দোলন স্থগিত করতে যাচ্ছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
রবিবার (২৫ মে) ঐক্য পরিষদের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা আমাদের অধিকাংশ দাবির বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন। তাই আপাতত আন্দোলন স্থগিত করা হতে পারে। আমরা বিস্তারিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেবো।
এর আগে রোববার এনবিআর প্রধান কার্যালয়ের নিচে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলন থেকে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা এবং ওষুধ ও জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জামের আমদানি-রপ্তানি ছাড়া সোমবার (২৬ মে) থেকে কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়।
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে– জারি করা অধ্যাদেশ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে; অবিলম্বে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে; রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক পরামর্শক কমিটির সুপারিশ জনসাধারণের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক প্রস্তাবিত খসড়া ও পরামর্শক কমিটির সুপারিশ আলোচনা-পর্যালোচনাপূর্বক প্রত্যাশী সংস্থা, ব্যবসায়ী সংগঠন, সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের মতামত নিয়ে উপযুক্ত ও টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থা সংস্কার নিশ্চিত করতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
২৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৭ হাজার ৪০১ কোটি টাকা

দেশে বৈধ পথে বাড়ছে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের প্রবাহ। প্রবাসী আয়ে একের পর এক রেকর্ড হতে থাকে। এরমধ্যে দেশের ইতিহাসে একক কোনো মাসে সর্বোচ্চ এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে যথাক্রমে গত মার্চ ও এপ্রিলে। চলতি মে মাসেও রেমিট্যান্সে নতুন রেকর্ড হাতছানি দিচ্ছে। মে’র প্রথম ২৪ দিনে দেশে ২২৪ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স (প্রায় ২ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার) এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ২৭ হাজার ৪০১ কোটি টাকা।
সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে রেমিট্যান্স আসছে ৯ কোটি ৩৫ লাখ ডলার বা ১১৪২ কোটি টাকা। মাসের বাকি দিনগুলোতে রেমিট্যান্স প্রবাহের এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসে নতুন রেকর্ড হতে পারে। অর্থাৎ পুরো মাসে প্রবাসী আয় আসতে পারে প্রায় তিন বিলিয়ন ডলারের।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, মে মাসের প্রথম ২৪ দিনে ২২৪ কোটি ৬০ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে একটির (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে এসেছে ২০ কোটি ৫০ লাখ ডলারের বেশি। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৩৭ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৪১ লাখ ৩০ হাজার ডলার।
চলতি মাসের ২৪ দিনে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আটটি। যার মধ্যে রয়েছে বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক। বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স আসে। এরপর আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার, নভেম্বরে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার এবং সবশেষ এপ্রিলে রেমিট্যান্স আসে ২৭৫ কোটি ডলারের।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
কোরবানির পশুর চামড়ার নতুন মূল্য নির্ধারণ

পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছে সরকার। এ বছর গরুর লবণযুক্ত প্রতি পিস চামড়ার সর্বনিম্ন দাম ১ হাজার ১৫০ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তবে ঢাকায় এই দাম হবে ১ হাজার ৩৫০ টাকা।
এ বছর প্রতি বর্গফুট চামড়ার দামের পাশাপাশি ছোট গরুর আয়তন হিসেবে সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করেছে সরকার।
রোববার (২৫ মে) দুপুরে সচিবালয়ের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন এসব তথ্য জানান।
এদিকে এ বছর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ঢাকায় ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, ঢাকার বাইরে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা।
প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত খাসির চামড়া সারাদেশে ২২ থেকে ২৭ টাকা এবং বকরির চামড়া ২০ থেকে ২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।