Connect with us
৬৫২৬৫২৬৫২

রাজনীতি

অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীরা দেশের কোন উন্নয়নই করেনি: প্রধানমন্ত্রী

Published

on

জিএসপি ফাইন্যান্স

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অস্ত্রের জোরে সংবিধান লংঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারিরা দেশের কোন উন্নয়নই করেনি। আওয়ামী লীগের শাসনামলে দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার খন্ডচিত্র তুলে ধরে তাঁর দলের নির্বাচনী প্রতীক নৌকায় ভোট প্রদানের জন্য জনগণের প্রতি তাঁর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

তিনি বলেন, একমাত্র নৌকা ক্ষমতায় থাকলেই দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় আর অবৈধভাবে সংবিধান লংঘন করে ক্ষমতা দখলকারিরা দেশকে কিছুই দিতে পারেনি।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার বিকেলে ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে আয়েজিত এক বিশাল নির্বাচনী জনসভায় দেওয়া ভাষণে একথা বলেন।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

তিনি বলেন, নূহ নবী একদা নৌকায় করে মহাপ্লাবনের সময় মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ইশারায় মানব জাতিকে রক্ষা করেছিলেন। আপনারা এই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে স্বাধীনতা পেয়েছেন। এই নৌকা মার্কা ক্ষমতায় আসলেই দেশের মানুষের উন্নতি হয়। অস্ত্র হাতে অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখলকারীরা দেশের কোন উন্নতি করে না। তাদের সময় দেশের কোন উন্নতি হয় নাই, উন্নতি হয়েছে একমাত্র আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় এসেছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আজকে বাংলাদেশের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতি হয়েছে। আমরা দারিদ্র্যের হার ৪১ ভাগ থেকে ১৮ দশমিক ৭ ভাগে নামিয়ে এনেছি। হতদরিদ্র যেখানে ২৫ ভাগ ছিল সেখানে আজকে হতদরিদ্রের হার মাত্র ৫ দশমিক ৬ ভাগ। ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশের মাটিতে কেউ হতদরিদ্র থাকবে না।

দরিদ্র ও ভূমিহীন সকল শ্রেনী পেশার মানুষ এবং অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে বিনামূল্যে ঘর করে জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করে দেওয়ায় আওয়ামী লীগ সরকারের পদক্ষেপের উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ খেয়ে পড়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করবে, সে ব্যবস্থা আমরা করে দেব। আর একমাত্র নৌকা ক্ষমতায় থাকলে এটা সম্ভব।

তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছি আর ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন তারুণ্যে সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ। এটা হবে সেই ‘সোনার বাংলা’ যে বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন জাতির পিতা একদিন দেখেছিলেন। আমাদের জনগণ প্রযুক্তি শিক্ষায় দক্ষ হয়ে স্মার্ট জনশক্তি হবে এর অর্থনীতি স্মার্ট হবে এবং আমাদের সমাজ ব্যবস্থা স্মার্ট হয়ে গড়ে উঠবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আজকে তরুণ ও যুবকেরা এবং যে শিশুটা আজকে জন্মগ্রহণ করলো সেও যেন একটি সুন্দর জীবন পায় তার জন্য আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। পাশাপাশি, জলবায়ুর অভিঘাত থেকে বাংলাদেশ যেন মুক্ত থাকতে পারে এর জন্য শতবর্ষ মেয়াদী ‘ডেল্টা পরিকল্পনা -২১০০’ আমরা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। অর্থাৎ ২১০০ সালের বাংলাদেশের উন্নয়ন কিভাবে হবে সেই পরিকল্পনাও আমরা প্রণয়ন করেছি। যাতে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারে।

তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের অগ্রগতি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী নৌকায় তাঁর প্রার্থীদের বিজয়ী করার জন্য সমাবেশ স্থলে আগতদের ওয়াদা চান। জনতা যখন সমস্বরে দু’হাত তুলে প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন জানায়।

প্রধানমন্ত্রী জনসভায় ফরিদপুর, রাজবাড়ী এবং মাগুরার নির্বাচনী আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে জনগণকে পরিচয় করিয়ে দেন এবং এবং তাদের জন্য ভোট প্রত্যাশা করেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও ফরিদপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবদুর রহমান, মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এবং ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম হক সভায় বক্তব্য রাখেন।
বিকেল সোয়া ৩ টায় শেখ হাসিনা যখন জনসভা মঞ্চে তখন ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠ ছাপিয়ে জনতার ব্যাপ্তি বহুদূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। শেখ হাসিনা জাতীয় পতাকা নেড়ে জনতাকে শুভেচ্ছা জানালে জনগণও প্রতিউত্তর দেয়।

এরআগে পদ্মাসেতু পাড়ি দিয়েই ফরিদপুর পৌঁছান প্রধানমন্ত্রীর। তাঁর সফরকে কেন্দ্র করে ফরিদপুর যেন উৎসবের নগরীর রূপ লাভ করে।
গত ২০ ডিসেম্বর সিলেটে হজরত শাহজালাল (রহ.) ও হজরত শাহ পরান (রহ.) এর মাজার জিয়ারত এবং এরপর সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে নির্বাচনী জনসভার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন আওয়ামী লীগ প্রধান।

এরপর ৩০ ডিসেম্বর, শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ায় জনসভায় ভাষণ দেন, যেটি তার নির্বাচনী এলাকাও এবং ঢাকায় ফেরার পথে মাদারীপুরের কালকিনিতে আরেকটি জনসভায় ভাষণ দেন। আগের দিন তিনি বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে এব বিশাল নির্বাচনী সভায় ভাষণ দান শেষে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধি সৌধে পুস্তসতবক অর্পণ করে বাঙালী জাতির অবিসংবাদিত এই নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং তাঁর পৈত্রিক নিবাসে রাত্রিযাপন করেন।

তিনি ২৬ ডিসেম্বর রংপুর সফর করেন এবং তারাগঞ্জ, মিঠাপুকুর ও পীরগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের তেজগাঁও কার্যালয় থেকে তিনি বেশ কয়েক দফায় বিভিন্ন জেলার নির্বাচনী সভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য প্রদান করেন।
গতকাল ইংরেজী নববর্ষের প্রথম দিনে তিনি রাজধানীর কলাবাগান ক্রীড়া চক্র মাঠে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ প্রদান করেন।
আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, আগামী ৪ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জে জনসভার মধ্য দিয়ে দলীয় প্রধানের নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করার কথা রয়েছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে অনেক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত আছে। যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন দেয়নি, পরাজিত শাক্তি- তাদের চক্রান্ত থেমে যায়নি। আর যেহেতু তারা জানে, কারও কাছে আমরা মাথা নত করি না, সেজন্য চক্রান্ত আরও বেশি। দৃঢ় কন্ঠে তিনি বলেন,“আমি জাতির পিতার কন্যা, কারও কাছে মাথা নত করি না, কারও কাছে মাথা নত করব না।” তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দুর্নীতি করতে আসেনি, নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে আসেনি, এসেছে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে। বিশ্বব্যাংক যখন পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ দিয়েছিল, তখন আমি চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারেনি। আমি বঙ্গবন্ধুর মেয়ে, চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করব, করেছি। বাঙালি কারও কাছে মাথা নত করবে না। তিনি বলেন,“একমাত্র নৌকা মার্কায় ভোট দিলেই আমি ক্ষমতায় আসতে পারব, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে পারব। এ মাটি (ফরিদপুর) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাটি, এই মাটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি, নৌকার ঘাঁটি।” শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে শিক্ষার হার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এই শিক্ষার পেছনে বর্তমান সরকার অনেক টাকা খরচ করে যাচ্ছে। জাতির পিতা বলেছিলেন, শিক্ষার পেছনে যেটা খরচ হয়, সেটা খরচ নয় বিনিয়োগ। আমাদের লক্ষ্যই দেশের মানুষের উন্নয়ন করা, সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর বাংলায় কোনো মানুষ ক্ষুধার্ত থাকবে না। দারিদ্র্য থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না- সেই লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। প্রত্যেকটা মানুষের জীবন উন্নত করাই আমাদের লক্ষ্য।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বয়স্ক ভাতা আওয়ামী লীগ প্রথম চালু করে। একুশ বছর পর সরকার গঠন করার পর, দেশের মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে আনে আওয়ামী লীগ। আর ২০০১ সালে খালেদা জিয়া বিদেশিদের কাছে গ্যাস বিক্রীর মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় আসে। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসেই সন্ত্রাস,জঙ্গিবাদ,দুর্নীতি, মানুষহত্যা, গুম ও খুনের রাজনীতি এবং আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে অত্যাচার-নির্যাতন গ্রেপ্তার করে জনজীবন বিপর্যস্ত করে তোলে। ফলে দেশে ইমার্জেন্সি আসে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী ২৩৩টি আসনে একভাবে জয়লাভ করে, আর বিএনপি- যারা আজকে বড় বড় কথা বলে, লম্ফঝম্ফ করে, তারা পেয়েছিল ৩০টি আসন। যে কারনে ২০১৪ সালে তারা নির্বাচন করেনি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার নামে তারা মনোনয়ন বাণিজ্য করে ভরাডুবির শিকার হয়। ২০০৯ থেকে ২০২৩ এই ১৫ বছর টানা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই দেশটার উন্নয়ন হয়েছে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলে যে দেশকে স্বল্পোন্নত দেশ করে গিয়েছিলেন, আমরা সে দেশকে আজকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় এনে দিয়েছি। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, ব্রডব্যান্ড-ইন্টারনেট, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, কম্পিউটার ও প্রযুক্তি শিক্ষার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছি। আমরা পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছি। পদ্মা সেতুসহ হাজার-হাজার কি.মি. রাস্তাঘাট, পুল, ব্রীজ অবকাঠামো ও প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি। দেশের তৃণমূল, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীসহ তরুণ প্রজন্মকে আত্মনির্ভরশীল করতে সরকার কাজ করছে। এসময় তাঁর সরকারের বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দেওয়া, নানা সুযোগ-সুবিধা এবং অবাধ তথ্য প্রবাহের সুযোগ নিয়ে গুটিকতক ব্যবসায়ী, মিডিয়া মালিকদের বিভিন্ন কারসাজি এবং টাকা ছাড়ানোর কঠোর সমালোচনা করেন । টাকা দিয়ে জনগণকে কেনা যায়না বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। “আমাদের আরো কাজ বাকী, এখন উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। কে ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে?”- তাঁর এই প্রশ্নের উত্তরে জনগণ ‘নৌকা’, ‘নৌকা’ বলে চারপাশ প্রকম্পিত করে তোলে। তিনি বলেন, “একমাত্র নৌকা মার্কা যদি ভোট পায়, শুধুমাত্র নৌকা মার্কা ভোট পেলেই আমি সরকারে আসতে পারবো। আর উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়তে পারবো। নৌকা মার্কাই দিতে পারবে এর সমাধান।”

শেয়ার করুন:-

রাজনীতি

হত্যার উদ্দেশ্যেই নুরকে আঘাত করা হয়: মির্জা ফখরুল

Published

on

জিএসপি ফাইন্যান্স

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নুরকে দেখতে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

মির্জা ফখরুল বলেন, যারাই তাকে আঘাত করুক হত্যার উদ্দেশ্যেই আঘাত করা হয়েছিল। এটা খুব পরিষ্কার।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

ফখরুল বলেন, নুরের অবস্থা আগের চেয়ে ইমপ্রুভ কিন্তু ক্রিটিক্যাল অবস্থায় আছে। তার যে জায়গাগুলোতে ইনজুরি হয়েছে সেই জায়গাগুলো খুব ফ‍্যাটাল। তার ব্রেনেও ইনজুরি হয়েছে, ব্লিডিং হয়েছে। চিকিৎসকদের সঙ্গে আলাপ করে জানতে পেরেছি, এখানে চিকিৎসার কোনো ত্রুটি হয়নি। সে এখনো খেতে পারছে না তাকে পাইপ দিয়ে লিকুইড খেতে হয়। তার রিকভারি হতে সময় লাগছে, তাকে দেশের বাইরে পাঠানো দরকার।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, অভ্যুত্থানের পরও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যদি আমাদের নেতাদের ওপর এভাবে আক্রমণ করে তাহলে সাধারণ মানুষকে কি করছে চিন্তা করেন। এটা আমি কোনোমতেই মেনে নিতে পারি না।

প্রধান উপদেষ্টা বিচার বিভাগীয় যে তদন্ত দিয়েছেন সেটা দ্রুত শেষ করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সরকারের কাছে বলছি, তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানো উচিত।

কাফি

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

রাজনীতি

মব সংস্কৃতির অবসান ঘটাতে হবে: তারেক রহমান

Published

on

জিএসপি ফাইন্যান্স

দেশব্যাপী চলমান মব সংস্কৃতির অবসান ঘটানোর ওপর জোর দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, নতুনভাবে আবির্ভূত এ মব সংস্কৃতির অবসান ঘটাতেই হবে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

কারণ এটি আইনবহির্ভূত একটি হিংসাত্মক আচরণ, যা জনমনে ভীতি ও আতঙ্ক তৈরি করে। বেআইনি এ মব সংস্কৃতি যে কোনো উপায়ে বন্ধ করতে হবে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী, শুভানুধ্যায়ী ও দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে রবিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানান।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

তারেক রহমান বলেন, ‘দেড় যুগব্যাপী গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে শহীদদের আত্মদান সার্থক হবে, যদি আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, সুশাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পারি। এটিই হোক বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভলগ্নে আমাদের অঙ্গীকার। দেশজুড়ে যেন আর কখনোই গুম, গুপ্তহত্যা, বিচারবহির্ভূত হত্যা, নারী ও শিশুদের ওপর পৈশাচিকতা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, টাকা পাচারের মতো ঘৃণ্য বিভীষিকার পুনরাবৃত্তি না হয়। জনগণের অধিকার আদায়ে তাদের দুঃখকষ্ট লাঘব করাসহ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের ধারা আবারও পুনঃপ্রতিষ্ঠা করাই এখন বিএনপির মূল লক্ষ্য। ’

তিনি বলেন, ‘দেশে এখনো প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আইনের শাসন, স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ, সংবাদপত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারলেই জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। আর এজন্য জনগণের নির্বাচিত জবাবদিহিমূলক সরকার অতীব জরুরি। জন্মলগ্ন থেকে এ পর্যন্ত দলের যেসব নেতা-কর্মী মৃত্যুবরণ করেছেন ও দেড় দশকের আওয়ামী ফ্যাসিবাদের করাল গ্রাস এবং গত বছর ছাত্র-জনতার রক্তঝরা আন্দোলনে যারা প্রাণ হারিয়েছেন, আমি তাদের প্রতিও জানাচ্ছি গভীর শ্রদ্ধা। ’

তারেক রহমান লিখেছেন, জাতীয়তাবাদী আদর্শের সঙ্গে জনগণকে একত্র করার লক্ষ্যে মহান স্বাধীনতার ঘোষক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। আজকের দিনটি দেশের মানুষের জন্য আনন্দ, উদ্দীপনা ও প্রেরণার। দলটি বাংলাদেশি ভূখণ্ডের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা এবং শক্তিশালী সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রকে স্থায়ী রূপ দেওয়ার নীতিতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য একদলীয় বাকশালী ব্যবস্থা কায়েমের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়। স্বাধীনতাত্তর আওয়ামী দুঃশাসনে বিশৃঙ্খলা, সহিংসতা ও রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড সাধারণ বিষয় হয়ে ওঠে। যার অনিবার্য পরিণতি হয় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ, আর এই দুর্ভিক্ষে ১০ লাখ মানুষ মারা যায়। তৎকালীন আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী বাকশাল কায়েম করে স্বৈরশাসনকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের মাধ্যমে বিচার বিভাগ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্ব করে।

বিএনপির এই শীর্ষনেতা বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান ক্ষমতাসীন হয়ে পুনরায় বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করে জনগণের নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন। শহীদ জিয়ার সৃষ্টি বিএনপি বিগত ৪৭ বছরে কয়েকবার সুষ্ঠু নির্বাচনে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হয়ে দেশ, জনগণের সমৃদ্ধি ও কল্যাণে ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছে। আমি স্বাধীনতার মহান ঘোষক, সফল রাষ্ট্রনায়ক ও আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের প্রতি জানাচ্ছি গভীর শ্রদ্ধা।

তিনি বলেন, নানামুখী সুদূরপ্রসারী চক্রান্তের মধ্যেও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় চির উন্নত শীর বিএনপি অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। নির্বাসিত গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে নির্দ্বিধায় জীবন উৎসর্গ করেছে অসংখ্য নেতা-কর্মী। ৮০-এর দশকে ৯ বছরের সামরিক স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপির রাজপথে আপসহীন ভূমিকা ইতিহাসের উজ্জ্বল অধ্যায়। তাঁর সেই অগ্রণী ভূমিকার জন্য গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অবদানের কথা উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে বিএনপি ১৯৯১ সালে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালনকালে সাংবিধানিক সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করেছে। এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন গণতন্ত্রের প্রতীক বেগম খালেদা জিয়া। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশে বারবার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে এর চর্চা ও বিকাশসহ দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য বিএনপি আজ সমধিক জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। জাতির সব সংকটময় সময়ে বিএনপি জীবনযুদ্ধে টিকে থাকার কারণেই ঐতিহাসিক সাফল্যগুলো অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপির আদর্শিক ভিত্তি উদারনীতি। দলের সামাজিক অঙ্গীকার ও অর্থনৈতিক নীতি উদারপন্থি রাজনীতিতে বিশ্বাসী। বিএনপি যতবারই ক্ষমতায় এসেছে ততবারই সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী প্রসারিত করেছে। দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ও নারীর ক্ষমতায়নসহ তাদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প বাণিজ্য সেক্টরসহ ব্যাংকঋণ, বৈদেশিক কর্মসংস্থান, রেমিট্যান্সপ্রবাহ ইত্যাদিতে যুগান্তকারী অগ্রগতি লাভ করে। দেশীয় অর্থনীতি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে শুরু করে।

তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র সমুন্নত ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য বিএনপি সরকারের উদ্যম ও উদ্যোগের ফলে দেশে আর দুর্ভিক্ষ স্পর্শ করেনি। মানুষ আর্থিক দুরবস্থা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হতে থাকে। জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অক্ষুণ্ন রেখে দেশমাতৃকার সেবায় নিজেদের নিবেদন করে বিএনপি আগামী দিনগুলোতেও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

রাজনীতি

অন্তবর্তী সরকারকেই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে হবে: ড. হেলাল

Published

on

জিএসপি ফাইন্যান্স

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেই দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান ও জুলাই-বিপ্লবে খুনিদের বিচার দ্রুত বাস্তবায়নের দাবীতে’- নাগরিক মঞ্চ কর্তৃক অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, নির্বাচিত রাজৈনৈতিক সরকার জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে সেই সনদ বাস্তবায়ন করবে এটি জাতি বিশ্বাস করে না। কারণ নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার দ্বারাই রাষ্ট্র কাঠামো ধ্বংস হয়েছে। রাজনৈতিক স্বার্থে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহার করার ফলে রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। যারা রাষ্ট্রের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দিয়েছে তাদের দ্বারা কখনোই রাষ্ট্র সংস্কার সম্ভব নয়। অতীতের রাজনৈতিক সরকার গুলো কেউ দুর্নীতিতে দেশকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান করেছে, কেউ লুটপাটের মাধ্যমে বিদেশে বেগম পাড়া গড়ে তুলেছে। এসব দলের দ্বারা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হবে না। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার গঠন করতে হবে। তবেই দেশের মানুষ একটি সুখি-সমৃদ্ধ বৈষম্যহীন কল্যাণ ও মানবিক বাংলাদেশ পাবে। জুলাই বিপ্লব পরবর্তী পুরো জাতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর যেই আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছে, সেই আস্থা ও বিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষায় ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার গঠন করা’ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতার সামিল হবে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

নাগরিক মঞ্চের প্রধান সমন্বয়ক আহসান উল্লা শামীমের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব মাওলানা আলতাফ হোসাইন মোল্লা। বাংলাদেশ ইসলামী দলের মহাসচিব মো. হুমায়ুন কবিরের পরিচালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন নাগরিক মঞ্চের উপদেষ্টা লেঃ কর্নেল (অবঃ) ফরিদুল আকবর, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী প্রচার সম্পাদক আবদুস সাত্তার সমুনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও নাগরিক মঞ্চের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।

ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, ইসলাম ছাড়া ন্যায়বিচার কে-ও করতে পারেনি, পারবে না। ক্ষমতার পালাবদল হলেই ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে না, দুর্নীতি, অপশাসন দূর হবে না। বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, দখলবাজ, অপশাসন বন্ধ করতে হলে বিদ্যমান আইনের পরিবর্তন করে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। মদিনা বাসী যতদিন মানুষের তৈরি মতবাদে (আইনে) পরিচালিত হয়েছে ততদিন জুলুমের শিকার হয়েছে। কিন্তু যখনই মহানবী (সা.) ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুললেন সাথে সাথে সমাজের প্রতিটি মানুষ দলমত, ধর্মবর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে শাসন ও শোষণের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে। মদিনা বাসী এক আলোকিত সোনার মদিনা পেয়েছে। একইভাবে স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও বাংলাদেশের মানুষ শাসকগোষ্ঠীর জুলুম-নির্যাতন আর শোষণের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। কারণ বিগত ৫৪ বছর বাংলাদেশ পরিচালিত হয়েছে মানুষের তৈরি আইনে। যেই আইন শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠীর কল্যাণে তৈরি করা হয়েছে। শাসকগোষ্ঠীর জুলুম-নির্যাতন আর শোষণের হাত থেকে জাতিকে রক্ষা করতে হলে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।

নির্বাচন প্রসঙ্গে ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে, সেই সময়েই নির্বাচন হতে পারে তাতে কোন সমস্যা নাই। তবে অবশ্যই সেই সময়ের আগে জনগণের দাবি জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। দেশের ৭১ শতাংশ মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। জনগণের দাবি উপেক্ষা করে বিদ্যমান পদ্ধতিতে নির্বাচনের আয়োজন করলে সেই নির্বাচন হবে একটি প্রহসনের নাটকীয় নির্বাচন। এমন নির্বাচন জনগণ চায় না, মেনে নিবে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি তার পছন্দের নির্দিষ্ট কোনো দলের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে চায়, তবে প্রহসনের নাটকীয় নির্বাচন না করে, ঐ দলকে ডেকে নিয়ে ক্ষমতার মসনদে বসিয়ে দিলেই পারে। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী হয়, জুলাই চেতনায় বিশ্বাসী হয় তবে অবশ্যই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে জনগণের দাবি মোতাবেক পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, জাতির ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতা যেভাবে ঐক্যবদ্ধ থেকে রাজপথে লড়াই করেছে ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, গণহত্যার বিচার নিশ্চিত ও পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়নের জন্য সেভাবেই প্রয়োজনে আবারো রাজপথে নেমে আসবে। জনগণের দাবি আদায় নিশ্চত করতেই হবে। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জুলাই চেতনা ধারণ করে দেশপ্রেমের প্রমাণ দেওয়ার আহ্বান জানান।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

রাজনীতি

অবস্থার উন্নতি, নুরকে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর

Published

on

জিএসপি ফাইন্যান্স

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। এজন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢামেকে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানিয়েছেন।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

ঢামেক পরিচালক বলেন, নুরুল হক নুর এখন আগের তুলনায় অনেকটা সুস্থ। তার নাক ও চোয়ালের ভাঙা হাড় পুরোপুরি সেরে উঠতে চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগবে। তবে চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি স্বাভাবিক খাবার খেতে পারছেন।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

তিনি বলেন, বিভাগীয় প্রধানরা তাকে সার্বক্ষণিক দেখছেন। তার চোখের মধ্যে যে রক্তজমাট হয়ে আছে সেটি ঠিক হতে ১ থেকে ২ সপ্তাহ লাগতে পারে। নুরকে নরমাল খাবার খেতে বলা হয়েছে। তবে তিনি খাবার খাওয়ার সময় ব্যাথা পাচ্ছেন বলে জানাচ্ছেন। এটি ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে।

আসাদুজ্জামান আরও বলেন, আঘাতের পর নুরের নাক থেকে যে রক্তক্ষরণ হয়েছে তার কিছু অংশ শ্বাসনালীতে চলে গিয়েছিল। গতকাল কাশির সঙ্গে দুই বার সেই রক্ত এসেছে। তবে এতে চিন্তার কিছু নেই। তার বোর্ডের চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাকে আইসিইউ থেকে আজ কেবিনে শিফট করা হবে।

নুরকে দেখতে এদিন সকালে হাসপাতালে যান নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি নুরের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন। এছাড়া গণঅধিকার পরিষদের কয়েকজন নেতাও বর্তমানে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এদিকে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন জানিয়েছেন, সুস্থ হওয়ার পর নুরুল হক নুর হামলার ঘটনায় মামলা করবেন।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

রাজনীতি

বিএনপিকে বারবার ধ্বংসের চেষ্টা করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল

Published

on

জিএসপি ফাইন্যান্স

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের দলকে (বিএনপি) বারবার ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু ফিনিক্স পাখির মতো আবার জেগে উঠেছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

মির্জা ফখরুল বলেন, আগামীতে জনগণের ভোটে রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে একটি সমৃদ্ধশালী দেশ গড়বে বিএনপি।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

তিনি আরও বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে এমনটাই বিশ্বাস করে বিএনপি। আগামী ফেব্রুয়ারিতে যে নির্বাচন হবে, তাতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বিএনপি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, একদলীয় শাসন ব্যবস্থার বিপরীতে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাসহ দেশের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে মৌলিক পরিবর্তন এনেছিল বিএনপি।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজারের সর্বশেষ

জিএসপি ফাইন্যান্স জিএসপি ফাইন্যান্স
পুঁজিবাজার3 hours ago

লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য জানালো জিএসপি ফাইন্যান্স

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি জিএসপি ফাইন্যান্স কোম্পানি (বাংলাদেশ) পিএলসি গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত...

জিএসপি ফাইন্যান্স জিএসপি ফাইন্যান্স
পুঁজিবাজার6 hours ago

বিও হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ ফি হ্রাসের প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদন

পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্টের (বিও অ্যাকাউন্ট) রক্ষণাবেক্ষণ ফি কমানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ...

জিএসপি ফাইন্যান্স জিএসপি ফাইন্যান্স
পুঁজিবাজার8 hours ago

ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্সের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স পিএলসির ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা...

জিএসপি ফাইন্যান্স জিএসপি ফাইন্যান্স
পুঁজিবাজার9 hours ago

জিএসপি ফাইন্যান্সের সর্বোচ্চ দরপতন

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শেষে দরপতনের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে জিএসপি ফাইন্যান্স কোম্পানি (বাংলাদেশ)...

জিএসপি ফাইন্যান্স জিএসপি ফাইন্যান্স
পুঁজিবাজার9 hours ago

দর বৃদ্ধির শীর্ষে ইনটেক

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানিগুলোর মাঝে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে...

জিএসপি ফাইন্যান্স জিএসপি ফাইন্যান্স
পুঁজিবাজার10 hours ago

লেনদেনের শীর্ষে সিটি ব্যাংক

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে সিটি ব্যাংক পিএলসি। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য...

জিএসপি ফাইন্যান্স জিএসপি ফাইন্যান্স
পুঁজিবাজার10 hours ago

সূচকের সঙ্গে বেড়েছে লেনদেন

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্যসূচকের ইতিবাচক প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। একই সঙ্গে টাকার অংকের...

Advertisement
AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সোশ্যাল মিডিয়া

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০  
জিএসপি ফাইন্যান্স
অর্থনীতি38 minutes ago

বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকার তহবিল, সহজে ঋণ পাবে উদ্যোক্তারা

জিএসপি ফাইন্যান্স
অর্থনীতি53 minutes ago

যুক্তরাজ্য থেকে ৪৮৫ কোটি টাকায় এলএনজি কিনবে সরকার

জিএসপি ফাইন্যান্স
সারাদেশ1 hour ago

শরীয়তপুরে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

জিএসপি ফাইন্যান্স
অর্থনীতি1 hour ago

এক হাজার ৫১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা হবে ২ লাখ টন সার

জিএসপি ফাইন্যান্স
জাতীয়2 hours ago

নুরকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

জিএসপি ফাইন্যান্স
জাতীয়2 hours ago

রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের যে বার্তা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

জিএসপি ফাইন্যান্স
পুঁজিবাজার3 hours ago

লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য জানালো জিএসপি ফাইন্যান্স

জিএসপি ফাইন্যান্স
কর্পোরেট সংবাদ4 hours ago

ব্র্যাক ব্যাংকের নতুন এমডি ও সিইও হলেন তারেক রেফাত উল্লাহ খান

জিএসপি ফাইন্যান্স
অর্থনীতি5 hours ago

রিজার্ভ বেড়ে ৩১.৩৯ বিলিয়ন ডলার

জিএসপি ফাইন্যান্স
কর্পোরেট সংবাদ5 hours ago

সাউথইস্ট ব্যাংক ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের কর্মশালা

জিএসপি ফাইন্যান্স
অর্থনীতি38 minutes ago

বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকার তহবিল, সহজে ঋণ পাবে উদ্যোক্তারা

জিএসপি ফাইন্যান্স
অর্থনীতি53 minutes ago

যুক্তরাজ্য থেকে ৪৮৫ কোটি টাকায় এলএনজি কিনবে সরকার

জিএসপি ফাইন্যান্স
সারাদেশ1 hour ago

শরীয়তপুরে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

জিএসপি ফাইন্যান্স
অর্থনীতি1 hour ago

এক হাজার ৫১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা হবে ২ লাখ টন সার

জিএসপি ফাইন্যান্স
জাতীয়2 hours ago

নুরকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

জিএসপি ফাইন্যান্স
জাতীয়2 hours ago

রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের যে বার্তা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

জিএসপি ফাইন্যান্স
পুঁজিবাজার3 hours ago

লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য জানালো জিএসপি ফাইন্যান্স

জিএসপি ফাইন্যান্স
কর্পোরেট সংবাদ4 hours ago

ব্র্যাক ব্যাংকের নতুন এমডি ও সিইও হলেন তারেক রেফাত উল্লাহ খান

জিএসপি ফাইন্যান্স
অর্থনীতি5 hours ago

রিজার্ভ বেড়ে ৩১.৩৯ বিলিয়ন ডলার

জিএসপি ফাইন্যান্স
কর্পোরেট সংবাদ5 hours ago

সাউথইস্ট ব্যাংক ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের কর্মশালা

জিএসপি ফাইন্যান্স
অর্থনীতি38 minutes ago

বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকার তহবিল, সহজে ঋণ পাবে উদ্যোক্তারা

জিএসপি ফাইন্যান্স
অর্থনীতি53 minutes ago

যুক্তরাজ্য থেকে ৪৮৫ কোটি টাকায় এলএনজি কিনবে সরকার

জিএসপি ফাইন্যান্স
সারাদেশ1 hour ago

শরীয়তপুরে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

জিএসপি ফাইন্যান্স
অর্থনীতি1 hour ago

এক হাজার ৫১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা হবে ২ লাখ টন সার

জিএসপি ফাইন্যান্স
জাতীয়2 hours ago

নুরকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

জিএসপি ফাইন্যান্স
জাতীয়2 hours ago

রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের যে বার্তা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

জিএসপি ফাইন্যান্স
পুঁজিবাজার3 hours ago

লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য জানালো জিএসপি ফাইন্যান্স

জিএসপি ফাইন্যান্স
কর্পোরেট সংবাদ4 hours ago

ব্র্যাক ব্যাংকের নতুন এমডি ও সিইও হলেন তারেক রেফাত উল্লাহ খান

জিএসপি ফাইন্যান্স
অর্থনীতি5 hours ago

রিজার্ভ বেড়ে ৩১.৩৯ বিলিয়ন ডলার

জিএসপি ফাইন্যান্স
কর্পোরেট সংবাদ5 hours ago

সাউথইস্ট ব্যাংক ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের কর্মশালা