জাতীয়
খালেদা জিয়ার আপসহীন ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে: রাষ্ট্রপতি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) এ শোক বার্তায় তিনি এ কথা জানান।
শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্টায় তার আপসহীন ভূমিকা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, জাতির এই অপূরণীয় ক্ষতির মুহূর্তে আমি মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। সেই সঙ্গে শোক সন্তপ্ত পরিবারবর্গ ও অনুসারীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। দেশবাসীকে মরহুমার স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে তার জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করার আহ্বান জানাচ্ছি।
সবশেষে দেশবাসীকে মরহুমার স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে তার জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
এর আগে, আজ ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
এমকে
জাতীয়
খালেদা জিয়ার জানাজায় নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজা আগামীকাল দুপুর ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার মাঠ এবং মানিক মিয়া এভিনিউসংলগ্ন এলাকায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় অংশগ্রহণে আগ্রহী নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে।
আজ মঙ্গলবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার অফিশিয়াল ফেবসুকের এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে দেশব্যাপী গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
প্রেস উইং আরো জানিয়েছে, এই প্রেক্ষাপটে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া এভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথকভাবে এ বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে তারা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
উল্লেখ্য, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা আগামীকাল বুধবার বাদ জোহর রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলের পাশে তাকে দাফন করা হবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, আগামীকাল বুধবার বাদ জোহর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা ও এর সংলগ্ন মানিক মিয়া এভিনিউতে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
তাকে শহীদ রাষ্ট্রপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে দাফন করা হবে।
জাতীয়
হাদির অসুস্থ মাকে দেখতে হাসপাতালে জামায়াত আমির
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির অসুস্থ মায়ের চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে গেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) হাসপাতালে গিয়ে জামায়াত আমির চিকিৎসকের কাছ থেকে শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির মায়ের চিকিৎসার সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
এ সময় তার সর্বোচ্চ ও যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসকদের অনুরোধ জানান। তিনি মহান আল্লাহর কাছে শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির মায়ের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে দোয়া করেন।
জামায়াতের আমিরের সঙ্গে সেখানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন এবং ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের এনডিএফ’র নেতারা।
১২ ডিসেম্বর দুপুরে পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে মোটরসাইকেল থেকে মাথায় গুলি করে মুহূর্তের মধ্যেই নিরাপদে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে দুস্কৃতিকারীরা।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। টানা ছয় দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই শেষে ১৮ ডিসেম্বর রাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এতে শোক, ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করছে ইনকিলাব মঞ্চের নেতাকর্মীরা।
জাতীয়
ঢাকায় ৩ দিন আতশবাজি-ফানুস ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল ৩১ ডিসেম্বর (বুধবার) থেকে ২ জানুয়ারি (শুক্রবার) পর্যন্ত রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে। এ উপলক্ষে মহানগর এলাকায় কয়েকটি নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
নির্দেশনায় বলা হয়, শোক পালনকালীন ঢাকা মহানগর এলাকায় সব ধরনের আতশবাজি, পটকা ফোটানো, ফানুস ও গ্যাস বেলুন ওড়ানো নিষিদ্ধ থাকবে। একই সঙ্গে উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিজে পার্টি, র্যালি বা শোভাযাত্রা আয়োজন করা যাবে না।
এছাড়া উচ্চশব্দে গাড়ির হর্ন বাজানো বা গণ-উপদ্রব সৃষ্টি করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড থেকেও বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা গণবিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা মেনে চলতে নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
আগামীকাল বুধবার বাদ জোহর সংসদ ভবনের দক্ষিণপ্লাজায় খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তার মরদেহ দাফন করা হবে।
জাতীয়
বুধবার বাড়ানো হবে মেট্রোরেলের ট্রিপের সংখ্যা
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে আসা মানুষের যাতায়াত সহজ করতে আগামীকাল বুধবার মেট্রোরেলের ট্রিপ সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘোষণা দেয় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
ডিএমটিসিএল অপারেশনস বিভাগের মহাব্যবস্থাপক ইফতেখার হোসেন বলেন, সরকার বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে এবং ছুটির দিনে সাধারণত ১৬৯টি ট্রিপ পরিচালনা করা হয়। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় অংশ নিতে মানুষের যাতায়াত সুবিধার্থে আগামীকাল ট্রিপের সংখ্যা বাড়ানো হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, প্রয়োজন এবং তাদের পরিচালন সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে ট্রিপের সংখ্যা বাড়ানো হবে।
জাতীয়
বাংলাদেশে নিরাপদ-সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা করে চীন: মুখপাত্র
আগামী বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে চীন। দেশটির আশা, আসন্ন এ নির্বাচন হবে নিরাপদ, স্থিতিশীল ও সুষ্ঠু।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, চীন লক্ষ্য করেছে যে বাংলাদেশ সরকার আগামী বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে।
লিন জিয়ান বলেন, চীন বাংলাদেশে একটি নিরাপদ, স্থিতিশীল ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা করে। একই সঙ্গে চীন বিশ্বাস করে, বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক মহল গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি এগিয়ে নেবে এবং জাতীয় ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভূমিকা রাখবে।




