জাতীয়
সরকারি বাসাতেই থাকছেন আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করলেও নিরাপত্তাজনিত কারণে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশেই সরকারি বাসভবনে অবস্থান করছেন ছাত্র প্রতিনিধি আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলম। পদত্যাগের পর সাধারণত দুই মাস পর্যন্ত গ্রেস পিরিয়ড বা অতিরিক্ত সময়ে সরকারি বাসায় থাকার ক্ষেত্রে কোনো আইনি বাধা নেই। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
সদ্য বিদায়ী এই দুই তরুণ উপদেষ্টা পদত্যাগ করার এক সপ্তাহ পার হলেও তারা এখনো সরকারি বাসভবন ছাড়েননি। তারা ঠিক কবে নাগাদ বাসা ছাড়বেন, সে বিষয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাছে এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই।
উল্লেখ্য, গত ১০ ডিসেম্বর বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলম প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাদের পদত্যাগপত্র জমা দেন। প্রধান উপদেষ্টা তা গ্রহণ করার পর জানানো হয় যে, নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা হলেই এই পদত্যাগ কার্যকর হবে।
এর পরদিন ১১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করা হলে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের পদত্যাগপত্র কার্যকর হয়। তবে বর্তমান পরিস্থিতি এবং তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের আরও কিছু দিন বাসভবনে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এমকে
জাতীয়
হাদির স্ত্রী ও সন্তানের দায়িত্ব নেবে সরকার: প্রধান উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির স্ত্রী ও তার সন্তানের দায়িত্ব নেবে সরকার।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন হাদি।
গত ১২ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচারণা শেষে রিকশায় ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। প্রথমে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা শেষে ওই দিনই এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হয়।
জাতীয়
হাদির মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস একথা জানান।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন হাদি।
গত ১২ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচারণা শেষে রিকশায় ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। প্রথমে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা শেষে ওই দিনই এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হয়।
জাতীয়
ওসমান হাদির মরদেহ দেশে আনা হবে শুক্রবার
সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। তার মরদেহ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হবে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্য সচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ওসমান হাদির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও ওসমান হাদির মৃত্যুর বিষয়টি জানানো হয়। রাত ৯টা ৪৪ মিনিটে দেয়া ওই পোস্টে লিখা হয়েছে, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদের মোকাবিলায় মহান বিপ্লবী ওসমান হাদিকে আল্লাহ শহিদ হিসেবে কবুল করেছেন।’
এছাড়া ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজ থেকেও হাদির না ফেরার দেশে পাড়ি জমানোর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। অন্যদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্য সচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ এক ভিডিওবার্তায় হাদির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর শরিফ ওসমান হাদি ভাইকে মহান আল্লাহ শহিদ হিসেবে কবুল করেছেন। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল থেকে আমরা জানতে পেরেছি, হাদি ভাই আমাদের ছেড়ে পরপারে চলে গেছেন। আল্লাহ তাকে শহিদ হিসেবে কবুল করুক। অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তি যারা আছেন সবাইকে এই বাংলাদেশের পক্ষে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি এবং হাদি ভাইয়ের পরিবারের পাশে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে। ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছিলেন তিনি।
ওইদিন মোটরসাইকেলে করে এসে দুইজন তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জানা যায়, গুলি ওসমান হাদির মাথার ডান দিক থেকে ঢুকে বাম পাশ দিয়ে বের হয়ে গেছে, তবে অংশবিশেষ এখনও তার ব্রেনে রয়েছে।
এই অবস্থার মধ্যেই পরিবারের ইচ্ছায় তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল। সবশেষ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়েছিল ওসমান হাদিকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি।
জাতীয়
বিদায় বন্ধু শহীদ হাদি: পিনাকীর আবেগঘন পোস্ট
শরীফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে লেখক, অ্যাক্টিভিস্ট ও রাজনীতি বিশ্লেষক পিনাকী ভট্টাচার্য লিখেছেন, বিদায় বন্ধু শহীদ হাদি।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আল্লাহর সকল সৃষ্টি নিশ্চয় তাঁর কাছেই ফিরে যাবে। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন!)’
‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী সংগ্রামে আমাদের সহযোদ্ধা বীর শহীদ শরীফ ওসমান হাদী আমাদের এই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেছে।’
উল্লেখ্য, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদি মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
জাতীয়
ওসমান হাদি মারা গেছেন
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ইনকিলাব মঞ্চের এক সংগঠক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে তার মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ এবং ওসমান হাদির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদের মোকাবিলায় মহান বিপ্লবী ওসমান হাদীকে আল্লাহ শহীদ হিসেবে কবুল করেছেন।’
গত ১২ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচারণা শেষে রিকশায় ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। প্রথমে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা শেষে ওই দিনই এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হয়।




