ক্যাটাগরি: রাজনীতি

খুলনায় ৮ দলের বিভাগীয় সমাবেশ আজ

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজ সোমবার দুপুরে খুলনায় বিভাগীয় সমাবেশ করবে আট দল। ইতিমধ্যে বিভাগীয় সমাবেশকে সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি গতকাল শেষ হয়েছে।

আন্দোলনরত আট দলের উদ্যোগে নগরীর বাবরী চত্বর (শিববাড়ি) কেন্দ্র করে আয়োজিত এই সমাবেশ সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, ময়লাপোতা মোড়, ডাকবাংলো মোড় ও জোড়াগেট পর্যন্ত বিস্তৃত হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

গতকাল রোববার দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমির প্রফেসর মাহফুজুর রহমান।

মাহফুজুর রহমান জানান, সমাবেশস্থলসহ আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় দেড় শতাধিক হর্ন লাগানো হয়েছে। খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে দেড় থেকে দুই লাখ মানুষের সমাগম হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মো. রেজাউল করিম সভাপতিত্ব করবেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন, খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, নেজামে ইসলাম পার্টির আমির প্রিন্সিপাল মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজী, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদেক হক্কানি, জাগপার সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম চাঁন। এছাড়া খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন।

সমাবেশকে কেন্দ্র করে খুলনা বিভাগজুড়ে পাঁচ লাখের বেশি লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে গতকাল রোববার পর্যন্ত মহানগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে গণসংযোগ, প্রচার মিছিল, পেশাজীবী ও সামাজিক সংগঠনের সাথে মতবিনিময়, মাইকিং, বিলবোর্ড, ফেস্টুন ও ব্যানার টাঙানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

১২শ’ বর্গফুটের একটি সুবিশাল মূল মঞ্চ এবং মিডিয়া কর্মীদের জন্য দুই পাশে পৃথক দুটি মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে। সমাবেশ বাস্তবায়নে প্রচার-মিডিয়া, অফিস, মঞ্চ, ডেকোরেশন ও শৃঙ্খলাসহ ১১টি উপকমিটি দায়িত্ব পালন করছে।

দূরবর্তী জেলা থেকে আগত সাধারণ মানুষের যানবাহন রাখার জন্য জিরোপয়েন্ট-গল্লামারী, জিরোপয়েন্ট-বাইপাস-ময়ুরী আবাসিক এলাকা, পূর্বরূপসা ঘাট, জোড়াগেট গরুর হাট এবং সিএন্ডবি কলোনির মাঠ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আয়োজকদের মতে, এই সমাবেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে আরো শক্তিশালী করবে এবং মানুষের মাঝে ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে দেবে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে আন্দোলনরত আট দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের খুলনা মহানগরী সভাপতি ও সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব মুফতি আমানুল্লাহ, খুলনা জেলা সভাপতি প্রফেসর মাওলানা আব্দুল্লাহ ইমরান, মহানগরী সহ-সভাপতি শেখ মো. নাসির উদ্দিন, বাংলাদেশ খেলাফাত মজলিস মহানগরী সভাপতি মুফতি শরীফ সাইদুর রহমান, খুলনা জেলা সাধারণ সম্পাদক হাফেজ শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির মহানগরী সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু হানিফ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপার খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী নিজামুদ্দিন অমিত, খেলাফত মজলিস খুলনা মহানগরী সভাপতি এফ এম হারুন অর রশিদ, খুলনা জেলা সভাপতি মাওলানা এমদাদুল হক, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইব্রাহিম খলিল, নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য মোহাম্মদ জাকির হোসেন খান, খেলাফত মজলিস খুলনা জেলা সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ জুবায়ের, জেলা সেক্রেটারি এস এম রেজাউল করিম, মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শাহ আলম, প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম ও আজিজুল ইসলাম ফারাজী, এমদাদুল্লাহ আজমী ডালিম, মুফতি মাহফুজুর রহমান, মুফতি সাদিকুর রহমান, মাওলানা মুজাহিদুর রহমান, মো. জাকির খান, এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন চঞ্চল, মো. কামরুল ইসলাম, মাওলানা দ্বীন ইসলাম, মমিন ইসলাম নাসিব, মাওলানা হাবিবুল্লাহ গাজী, মো. সাকিব, মোহাম্মদ নূর হোসেন প্রমুখ।

এমকে

শেয়ার করুন:-
শেয়ার