জাতীয়
সেন্টমার্টিন ১ নভেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে

সেন্টমার্টিন দ্বীপ আগামী ১ নভেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য খোলা হবে। পর্যটন মৌসুম চলবে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত। তবে পরিবেশ রক্ষা ও দ্বীপের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবার প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যটক প্রবেশের অনুমতি পাবেন। প্রথম দুই মাসে সেন্টমার্টিনে রাত্রিযাপন করা যাবে না।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
উপদেষ্টা জানান, সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে। এটি পরিবহন ব্যবস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে রেজিস্ট্রেশনের ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। চার মাসের জন্য দ্বীপ খুলে দেওয়া হবে, কিন্তু জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে পর্যটকরা রাত্রিযাপন করতে পারবেন।
এর আগে সেন্টমার্টিনে ভ্রমণ ও অনুমোদিত জাহাজ নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে যৌথ কমিটি গঠন করা হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পর্যটকদের নিবন্ধনসহ নানা বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নয় মাসের জন্য ভ্রমণ বন্ধের সিদ্ধান্ত দিয়েছিল।
কাফি

জাতীয়
অবসরে গেলেন তিন সচিব

সরকারি চাকরির বয়স শেষ হওয়ায় তিন সচিবকে অবসরে পাঠানো হয়েছে। আর অবসর গমনের সুবিধার্তে একজন সচিবকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুনকে ৩০ সেপ্টেম্বর, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিককে ২৮ সেপ্টেম্বর, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খায়রুল আলম সেখকে ১ অক্টোবর থেকে অবসর প্রদান করা হয়েছে। এই তিন কর্মকর্তাকে অবসরে যাওয়ার পরদিন থেকে এক বছরের জন্য অবসর উত্তর ছুটি (পিআরএল) মঞ্জুর করা হয়। তারা বিধি অনুযায়ী অবসর ও অবসর উত্তর ছুটিকালীন সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন।
অপর আদেশে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত সচিব মো. নিয়াজ উদ্দিনকে অবসর গমনের সুবিধার্তে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।
জাতীয়
দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে ছাড় নয়: এটিইউ প্রধান

জঙ্গিবাদের নামে কেউ দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন এন্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) নবনিযুক্ত প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. রেজাউল করিম।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বারিধারার এটিইউ’র সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ তথ্য জানান।
এটিইউ প্রধান বলেন, বর্তমানে উগ্রবাদের তেমন উত্থান না থাকলেও যেকোনো সময় হতে পারে। তাই অতীত ভুলে আগামীতে যেন দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান না ঘটে সেই লক্ষ্যে কাজ করছে এটিইউ।
তিনি বলেন, যারা জঙ্গীবাদের উত্থান ঘটিয়ে দেশের সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায়, তারা নীরিহ মানুষকে টার্গেট করে মোটিভেট করে।
সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে রেজাউল করিম বলেন, উগ্রবাদীদের তথ্য যেন সাধারণ মানুষ আমাদের জানাতে পারে তাই ইনফো এটিউ নামের একটি অ্যাপ চালু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মানুষ চাইলেই এখানে তথ্য দিতে পারবে। তবে তথ্যদাতার পরিচয় অবশ্যই গোপন রাখা হবে
।
জাতীয়
পিআর পদ্ধতি-আরপিও সংবিধানে নেই, আমরা আইন বদলাতে পারি না: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি সংবিধানে নেই। এ পদ্ধতি আরওপিতে (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) নেই। আমাদের যে পদ্ধতি আছে সেখানে সে পদ্ধতিতে পিআর আরপিওতে নেই। আমরা আইন বদলাতে পারি না।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন সিইসি।
নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে পিআর না প্রচলতি পদ্ধতিতে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সিইসি বলেন, আরপিওটা পরিবর্তন করে যদি এটা অন্য একটা দিয়ে দেওয়া হয় তাহলে আইন বদলাতে হবে। আমরা তো আইন বদলাতে পারি না।
যদি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হয় তবে ফেব্রুয়ারিতে ভোট করা সম্ভব কি? এমন প্রশ্নে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, সেটা তো আইন বদলাইতে হবে, আরপিও বদলাতে হবে। আর এখানে আরপিওতে যে সিস্টেম আছে সেটা বদলাতে হলে সংবিধানও বদলাতে হবে। আবার সংবিধান বদলাতে বলা হলে আমার বিরুদ্ধে কথাবার্তা বলবে উনি তো পিআরের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো একটা ফয়সালা বা মীমাংসায় আসুক। উনারা তো বুঝবেন যে আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে কি হবে না। যদি উনারা পিআর চান তাহলে উনারা বুঝবেন না।
এ সময় সিইসি বলেন, শাপলা প্রতীক না দিলে কীভাবে নির্বাচন হয়, এনসিপি নেতা সারজিস আলমের এমন বক্তব্যকে হুমকি মনে করি না। রাজনীতিবিদরা অনেক কথাই বলেন, আমরা শুনেই যাবো, আমরা আমাদের কাজ করে যাবো।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, শাপলা প্রতীক সবার আগে চেয়েছিল নাগরিক ঐক্য৷ তাদেরকে দেয়া হয়নি৷ পরে এনসিপি শাপলা চেয়েছে৷ তাই কাউকে এই প্রতীক দেয়া হয়নি৷
কাফি
জাতীয়
রেলওয়ে পুলিশের সব থানায় অনলাইন জিডি চালু হচ্ছে আজ

বাংলাদেশ রেলওয়ে পুলিশের সব থানায় (ছয়টি জেলার ২৪টি থানা) বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) থেকে জনসাধারণের জন্য অনলাইন জিডি সেবা চালু হচ্ছে। এর মাধ্যমে দেশের সব থানা সব ধরনের অনলাইন জিডি সেবার আওতায় আসছে।
পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) এ এইচ এম শাহাদাত হোসাইন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনার আলোকে পুলিশি সেবা সহজীকরণের অংশ হিসেবে থানায় না এসে ঘরে বসে সব ধরনের জিডি অনলাইনে করার সুবিধা চালু করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।
অনলাইন জিডি সেবা পেতে গুগল প্লে স্টোর থেকে ‘অনলাইন জিডি’ (Online GD) অ্যাপ ডাউনলোডের পর রেজিস্ট্রেশন করলে এ সেবা পাওয়া যাবে।
এক্ষেত্রে একাধিকবার রেজিস্ট্রেশন করার প্রয়োজন নেই। রেজিস্ট্রেশন অথবা অনলাইন জিডি করতে কোনো ধরনের অসুবিধা হলে ০১৩২০০০১৪২৮ হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। হটলাইন নম্বরটি ২৪ ঘণ্টা চালু রয়েছে।
এআইজি শাহাদাত হোসাইন বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা দ্রুততম সময়ে ও সহজে পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
জাতীয়
স্থিতিশীল অর্থনীতি গড়তে বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে আরও কার্যকর অর্থায়নের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, চলুন আমরা এমন একটি মর্যাদা, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার অর্থনীতি গড়ে তুলি, যেখানে কেউ পিছিয়ে থাকবে না।
এবিষয়ে তিনি পাঁচটি অগ্রাধিকার তুলে ধরে বলেন, এগুলো কার্যকর করলে বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য, বৈষম্য ও আর্থিক অস্থিরতার সমস্যা সমাধান সম্ভব হবে। অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, আমাদের ওপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বর শোনার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। বাংলাদেশে আমরা বিশ্বাস করি দারিদ্র্য একজনের স্বপ্নের পথে বাধা হতে পারে না।
প্রধান উপদেষ্টা বুধবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্থিতিশীল বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রথম দ্বিবার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন: টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে অর্থায়নের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়া তার জন্য গর্বের বিষয়, যেখানে সম্ভাবনা ও দায়িত্ব একসাথে রয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, চতুর্থ আন্তর্জাতিক অর্থায়ন সম্মেলনে নেওয়া অঙ্গীকারগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের জন্য বছরে চার ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ ঘাটতি পূরণ করা চ্যালেঞ্জিং হলেও অপরিহার্য।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আমরা আমাদের ওপর নির্ভরশীল মানুষের কণ্ঠস্বর শোনার দায়িত্ব নিচ্ছি। বাংলাদেশে আমরা বিশ্বাস করি, দারিদ্র্য একজনের স্বপ্নের পথে বাধা হতে পারে না।
তিনি বলেন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও সম্পদের ন্যায্য প্রবেশাধিকার হলো ন্যায়বিচারের মূল। একজন নারী যখন ব্যবসা শুরু করে, যুবসমাজ যখন সৌর শক্তি ও তথ্যপ্রযুক্তি পায়, বস্তিবাসী শিশু যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যায় এবং পুষ্টি ও স্বাস্থ্যসেবা পায়, তখন পরিবর্তন বাস্তব ও টেকসই হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেভিলে অঙ্গীকার একটি নতুন কাঠামো প্রদান করে, যা জোরদার করে দেশীয় সম্পদ উত্তোলন, অবৈধ অর্থ প্রবাহ প্রতিরোধ, উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর ক্ষমতায়ন এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে।
তিনি পাঁচটি অগ্রাধিকারের কথা তুলে ধরেন, যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্থায়নকে শক্তিশালী করবে—
১. ন্যায্যভাবে দেশীয় সম্পদ উত্তোলন- আন্তর্জাতিক সহায়তার সমর্থন থাকা প্রয়োজন। কর ব্যবস্থা প্রগতিশীল, স্বচ্ছ ও বহুজাতিক করপোরেশনগুলোর ন্যায্য অংশ নিশ্চিত করতে হবে। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক কর সহযোগিতা কাঠামোর আলোচনায় এই বৈষম্য দূর করতে হবে।
২. নবীন অর্থায়ন ও সামাজিক ব্যবসা যৌক্তিক অর্থায়ন এবং এমন উদ্যোগ যারা লাভ পুনরায় সমস্যার সমাধানে বিনিয়োগ করে, চাকরি, অন্তর্ভুক্তি ও মর্যাদা নিশ্চিত করে।
৩. বিশ্ব আর্থিক কাঠামো ও ঋণ শাসন সংস্কারে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আরও শক্তিশালী কণ্ঠস্বর নিশ্চিত করতে হবে। ঋণকে কঠোরতা নয়, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের হাতিয়ারে রূপান্তর করতে হবে।
৪. স্বচ্ছতা, অবৈধ অর্থায়ন প্রতিরোধ ও নাগরিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা—জনগণ, বিশেষ করে যুবসমাজ, জানতে হবে কীভাবে সম্পদ ব্যবহার হচ্ছে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
৫. সবচেয়ে দুর্বলদের জন্য বিনিয়োগের ত্বরান্বিতকরণ—স্থিতিশীল বাসস্থান, জলবায়ু-বান্ধব কৃষি, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান নিশ্চিত করতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা মন্তব্য করেন, সেভিলে অঙ্গীকার আমাদের পথপ্রদর্শক; মানবতা আমাদের সেই পথে যাত্রা করার আহ্বান জানায়।