আন্তর্জাতিক
৭৬% মার্কিনি মনে করেন, ট্রাম্প নোবেল পাওয়ার যোগ্য না

নতুন এক জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চারজনের মধ্যে তিনজনই (৭৬%) মনে করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য নন।
ওয়াশিংটন পোস্ট ও ইপসস পরিচালিত এই জরিপে ১১ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ২ হাজার ৫১৩ জন অংশ নেন। তাদের জিজ্ঞাসা করা হয় ট্রাম্পের নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়ন বিষয়ে মতামত।
ফলাফলে দেখা যায়, ৭৬ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মনে করেন ট্রাম্প এই পুরস্কারের যোগ্য নন, ২২ শতাংশ বলেছেন তিনি যোগ্য।
রিপাবলিকান ভোটারদের মধ্যে ৪৯ শতাংশ ট্রাম্পকে যোগ্য মনে করলেও সমান সংখ্যক ভোটার তাকে অযোগ্য বলেছেন। অর্থাৎ দলের ভেতরেই এ বিষয়ে দ্বিধাবিভক্ত মতামত রয়েছে।
জরিপে আরও দেখা যায়—৬০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ মোকাবেলায় ট্রাম্পের ভূমিকা নিয়ে অসন্তুষ্ট। ৫৮ শতাংশ ইসরাইল-গাজা পরিস্থিতি সামলানোর তার পদক্ষেপকে সমর্থন করেননি।
একই সঙ্গে ৫৪ শতাংশ বলেছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও ২০০৯ সালে পাওয়া নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য ছিলেন না।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে পাকিস্তান। দেশটির দাবি, ভারত-পাকিস্তান সংকটকালে তার কূটনৈতিক ভূমিকা ও নেতৃত্বের কারণে এ মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও সরাসরি ট্রাম্পকে মনোনয়নপত্র দিয়েছেন।
এছাড়া কম্বোডিয়া ট্রাম্পকে মনোনয়ন দিয়েছে থাইল্যান্ডের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে অবদানের জন্য। আফ্রিকার পাঁচ দেশ—গ্যাবন, গিনি-বিসাউ, লাইবেরিয়া, মৌরিতানিয়া ও সেনেগাল—ও ট্রাম্পকে সমর্থন জানিয়েছে, তার বৈশ্বিক শান্তিতে ভূমিকার কথা উল্লেখ করে।
আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ ও আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানও জানিয়েছেন, নিজেদের অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ট্রাম্পের ভূমিকার কারণে তারা তাকে মনোনয়ন দেওয়ার কথা বিবেচনা করছেন।
এদিকে ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ মন্ত্রিসভা বৈঠকে দাবি করেন, ট্রাম্প এখন পর্যন্ত সাতটি যুদ্ধ বন্ধ করেছেন। তার মতে, এ কারণেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নোবেল শান্তি পুরস্কারের প্রাপ্য।

আন্তর্জাতিক
জাতিসংঘের নীতি আজ ‘অবরুদ্ধ’: আন্তোনিও গুতেরেস

জাতিসংঘ আজ উদাসীনতার ভারে ভেঙে পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশন উদ্বোধনের সময় এ মন্তব্য করেন তিনি। খবর আনাদোলুর।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, আজ জাতিসংঘের নীতিমালা ‘অবরুদ্ধ’। শান্তি ও অগ্রগতির স্তম্ভসমূহ আজ দায়মুক্তি, বৈষম্য ও উদাসীনতার ভারে ভেঙে পড়ছে। জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠাকালীন মূল্যবোধগুলো বর্তমানে আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি জরুরি, জটিল ও কঠিন পরীক্ষার মুখে রয়েছে।
এ সময় গাজার ভয়াবহ পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরে গুতেরেস বলেন, গাজায় ভয়াবহতা প্রবেশ করছে তৃতীয় এক দানবীয় বছরে। এই বিপর্যয় এমন সব সিদ্ধান্তের ফল যা মানবিকতার মৌলিক নীতিকে অস্বীকার করে।
মহাসচিব হিসেবে তার সময়ে আর কোনো সংঘাতে এত ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রাণহানি দেখা যায়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) গাজায় গণহত্যা মামলায় যে বাধ্যতামূলক অন্তর্বর্তী নির্দেশনা দিয়েছে, তা অবিলম্বে বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
একইসঙ্গে নিরাপত্তা পরিষদকে আরও কার্যকর, স্বচ্ছ ও প্রতিনিধিত্বশীল হতে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নিরাপত্তা পরিষদকে তার দায়িত্ব পালন করতে হবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটি অত্যাবশ্যক।
এছাড়া, আন্তর্জাতিক সাহায্য কমিয়ে দেওয়াকে তিনি মানবতার জন্য ‘মৃত্যুদণ্ড’ ও শিশুদের জন্য ‘ভবিষ্যৎ চুরি’ হিসেবে আখ্যা দেন। আন্তোনিও গুতেরেস স্পষ্ট করে বলেন, জাতিসংঘ সনদ নয়, ব্যর্থ হচ্ছে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতিশ্রুতি ও দায়িত্বশীলতা।
আন্তর্জাতিক
সুপার টাইফুন রাগাসার তাণ্ডবে তাইওয়ানে নিহত ১৪, নিখোঁজ ১২৪

দক্ষিণ চীন সাগরে সৃষ্ট সুপার টাইফুন রাগাসার আঘাতে তাইওয়ানে এ পর্যন্ত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১৮ জন এবং নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১২৪ জন। বর্তমানে এই বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়টি চীনের দক্ষিণ উপকূল এবং এশিয়ার অর্থনৈতিক কেন্দ্র হংকংয়ের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলীয় জেলা হুয়ালিয়েন-এ আছড়ে পড়ে রাগাসা। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও এই জেলাতেই সবচেয়ে বেশি বলে নিশ্চিত করেছেন জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা লি কুয়ান-তিং। খবর এএফপি ও রয়টার্স।
লি কুয়ান-তিং জানান, আমাদের ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী বাহিনীর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ঝড়ের আঘাতে হুয়ালিয়েনে ১৪ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১৮ জন। এ ছাড়া এখনও কমপক্ষে ১২৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাগাসার প্রভাবে তাইওয়ান এবং দক্ষিণ চীন সাগরের উপকূলবর্তী স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকং-এ তীব্র ঝোড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে হুয়ালিয়েন ব্যতীত তাইওয়ানের অন্যান্য জেলা কিংবা হংকংয়ে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ব্যাপক শক্তি ও বিধ্বংসী ক্ষমতার কারণে ফিলিপাইন, চীন এবং তাইওয়ানের আবহাওয়াবিদরা রাগাসাকে ‘সুপার টাইফুন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। স্থানীয় সময় সোমবার বিকাল ৩টার দিকে যখন রাগাসা ফিলিপাইনের উপকূলে আছড়ে পড়ে, সে সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৩০ কিলোমিটার।
প্রথমে রাগাসা ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলীয় কাগায়ান প্রদেশের বাতানিজ দ্বীপ এলাকায় আঘাত হানে। এই দ্বীপটি তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলের কাছাকাছি অবস্থিত।
দমকল কর্মকর্তা ওয়াং সে-আন জানান, নিহত ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের সবাই গুয়াংফু এলাকার বাসিন্দা। এই এলাকাটি ঝড়ের সময় পানির স্রোতে নদীর ওপর একটি বড় সড়ক সেতু ধসে পড়ার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ১ হাজার লোকের বসবাস এই গ্রামে, যা বর্তমানে সম্পূর্ণভাবে প্লাবিত। অনেকে এখনও আটকে আছেন।
আন্তর্জাতিক
ইসরায়েলকে কড়া বার্তা দিলো সৌদি আরব

পশ্চিম তীর নিয়ে ইসরায়েলকে একটি কড়া বার্তা দিয়েছে সৌদি আরব। তাতে বলা হয়েছে, পশ্চিম তীর দখলদারদের জন্য রেড লাইন। এটি ক্রস করলেই সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে সৌদি। খবর রয়টার্স ও দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের।
রবিবারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার বর্তমান ধারার প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিম তীরের যে কোনো অংশকে সংযুক্ত করলে সব ক্ষেত্রেই বড় ধরনের প্রভাব পড়বে।
রিয়াদ কী পদক্ষেপ নিতে পারে তা নির্দিষ্ট করেনি। তবে সৌদি-ইসরায়েলি স্বাভাবিকীকরণের সম্ভাবনাকে মৃত ঘোষণা করতে পারে রিয়াদ। অথবা আবারও ইসরায়েলি বিমানের জন্য তার আকাশসীমা বন্ধ করে দিতে পারে। ২০২২ সাল থেকে ইসরায়েল সৌদির আকাশসীমা ব্যবহার করে আসছে।
ধারণা করা হচ্ছে, পশ্চিম তীর ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্তিকরণ দুই দেশের মধ্যে আন্ডার দ্য রাডার নিরাপত্তা এবং বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষতি করতে পারে। শুধু তাই নয়, রেড লাইন অতিক্রম করলে আব্রাহাম চুক্তি ঝুঁকিতে পড়বে। এ চুক্তি ব্যর্থ হলে আবার আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের শঙ্কা থাকে।
সৌদির আগেই সংযুক্ত আরব আমিরাত সতর্ক করে দিয়েছে, পশ্চিম তীর ইসরায়েলি সংযুক্তিকরণই সর্বশেষ রেড লাইন। এটি আব্রাহাম চুক্তিকে বিপন্ন করবে এবং আঞ্চলিক সম্পর্কের প্রচেষ্টা বন্ধ করবে।
এদিকে পশ্চিমা দেশগুলোর মতো সকল দেশের প্রতি ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান সোমবার জাতিসংঘের এক সম্মেলনে এ আহ্বান জানান।
প্রিন্স ফয়সাল বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান বাস্তবায়নের পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, এ ধরনের ঐতিহাসিক পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নেবে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের আগে সম্প্রতি যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগাল ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেয়। এর আগে এ বছর স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়েও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কূটনৈতিক মহলে ধারণা করা হচ্ছে, শিগগিরই আরও কিছু ইউরোপীয় দেশ এই ধারায় যুক্ত হবে।
আন্তর্জাতিক
সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি মারা গেছেন

সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ আব্দুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আলে শায়খ ইন্তেকাল করেছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিজস্ব বাসস্থানে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সৌদি গণমাধ্যম আল আরাবিয়া জানায়, শায়খ আব্দুল আজিজের জানাজা আজ আছরের নামাজের পর রিয়াদ শহরের ইমাম তুর্কি বিন আবদুল্লাহ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া বাদশাহ সালমানের নির্দেশে মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববিসহ দেশের সব মসজিদে তার গায়েবানা জানাজার নামাজ আদায় করা হবে। শায়খ আব্দুল আজিজের মৃত্যুতে সৌদি আরবের দুই পবিত্র মসজিদের কর্তৃপক্ষ শোক প্রকাশ করেছেন। তারা মৃত ব্যক্তির পরিবার, সৌদি জনগণ ও পুরো ইসলামিক বিশ্বের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
আব্দুল আজিজ সৌদি আরবের বর্তমান প্রধান মুফতি। তিনি ১৯৯৯ সালে এই পদে নিযুক্ত হন এবং দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ হিসেবে কার্যকরী ভূমিকা পালন করছেন। প্রধান মুফতির দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন আইনি, সামাজিক এবং ধর্মীয় বিষয়ে ফতোয়া প্রদান করা, যা সৌদি আরবের আদালত ব্যবস্থায় ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
শায়খ আবদুল আজিজ ১৯৮১ সাল থেকে টানা ৩৫ বছর হজের খুতবা দিয়েছেন। ২০১৬ সালে তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে অবসর নেন।
আন্তর্জাতিক
এবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিল ফ্রান্স

যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনের আগে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে ফ্রান্স। এর আগে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও পর্তুগাল ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেয়।
জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, আজ আমি ঘোষণা করছি, আমরা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছি। এ সময় তিনি শান্তির আহ্বানও জানান। ম্যাক্রোঁ বলেন, দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের সম্ভাবনাকে রক্ষা করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্র এই স্বীকৃতিকে সমালোচনা করেছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলোর এ ধরনের পদক্ষেপ হামাসকে উৎসাহিত করবে এবং যুদ্ধ সমাপ্ত করা আরও কঠিন করে তুলবে।
এদিকে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ফ্রান্সের এই পদক্ষেপ ইসরায়েলের ওপর নতুন কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করবে। বিশেষ করে এমন সময়ে এই ঘোষণা এলো যখন গাজায় ইসরায়েলের হামলা তীব্র আকার ধারণ করেছে। গাজায় চলমান সংঘর্ষে ইতিমধ্যে ৬৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং অঞ্চলটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
চলতি সপ্তাহে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনে ১৪০টিরও বেশি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান অংশ নেবেন। এবারের অধিবেশনে ফিলিস্তিন ইস্যু এজেন্ডার শীর্ষে থাকার কথা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ভিসা না দেওয়ায় ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনে অংশ নিতে পারবেন না।