পুঁজিবাজার
ব্লকে ২১ কোটি টাকার লেনদেন

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে মোট ২৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মোট ২১ কোটি ১১ লক্ষ ৬২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আজ ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে প্রাইম ব্যাংকের। এদিন কোম্পানিটির ৫ কোটি ৯৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা এটিকে লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় প্রথম স্থানে নিয়ে এসেছে।
লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ১৫ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকার। আর ২ কোটি ৫৭ লক্ষ ১০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফাইন ফুডস লিমিটেড।
ব্লক মার্কেটে বড় লেনদেন করা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- সিটি ব্যাংক পিএলসির ১ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকার, খান ব্রাদার্সের ১ কোটি ৪৩ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
কাফি

পুঁজিবাজার
মার্কেন্টাইল ইসলামী ইন্স্যুরেন্সে চেয়ারম্যান নির্বাচিত

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মার্কেন্টাইল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটির চেয়ারম্যান হিসাবে আব্দুল হক নির্বাচিত হয়েছেন।
এসএম
পুঁজিবাজার
বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের পরিচালকের শেয়ার হস্তান্তর

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের এক পরিচালক পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শেয়ার হস্তান্তর সম্পন্ন করেছেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটিরি পরিচালক তাসনিম বিনতে মোস্তফা তার কাছে থাকা ৮ লাখ ৮৫ হাজার শেয়ার তার স্বামী রাশিক আলম চৌধুরীর (কোম্পানির সাধারণ শেয়ারহোল্ডার) কাছে হস্তান্তর করেছেন।
এক্সচেঞ্জের ট্রেডিং সিস্টেমসের বাইরে শেয়ারগুলো উপহার হিসেবে হস্তান্তর করেন এই পরিচালক। গত ৪ সেপ্টেম্বর তিনি শেয়ার হস্তান্তরের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
এসএম
পুঁজিবাজার
ডিএসইর অযাচিত হস্তক্ষেপে আবারও গতি হারাচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার

দেশের শেয়ারবাজার দীর্ঘদিন ধরেই মন্দাভাব কাটাচ্ছে। মাঝে মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগে বাজারে কিছুটা ইতিবাচক আচরণ দেখা দিলেও তা টিকছে না ডিএসইর অতিরিক্ত হস্তক্ষেপের কারণে। বাজার চলবে বাজারের নিজস্ব গতিতে- এমন প্রতিশ্রুতি দিলেও নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ঘোষণাকে কার্যত ভেস্তে দিচ্ছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পদক্ষেপ।
বাজার সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কোন হাউজ থেকে কে কোন শেয়ার কিনছেন বা বিক্রি করছে, কেন করছে—এসব খুঁটিনাটি বিষয়ে অযাচিত হস্তক্ষেপ করছে ডিএসই। এ নিয়ে বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজে নিয়মিত চিঠি পাঠানো হচ্ছে। ফলে বাজারের স্বাভাবিক গতি বারবার ব্যাহত হচ্ছে। এর প্রভাবে সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিদিনের লেনদেন নেমে এসেছে প্রায় অর্ধেকে।
এদিকে বাজার পতনের অন্যতম কারণ হিসেবে উঠে এসেছে মার্জিন ঋণ। বিনিয়োগকারীরা ঋণ নিয়ে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে গিয়ে একসময় হারিয়ে ফেলছেন নিজের মূল পুঁজি। শুধু তাই নয়, মার্জিন ঋণের কারণে বাড়তি সেল প্রেসার বিক্রির চাপ তৈরি হয়ে ক্ষতির মুখে পড়ছেন অন্যান্য বিনিয়োগকারীও।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, একটি বাজারে হরেক রকম পণ্য থাকলে বিনিয়োগকারীও আসবে ভিন্ন ভিন্ন চাহিদা নিয়ে। কিন্তু সেখানে যদি কর্তৃপক্ষ অযাচিত বাধা সৃষ্টি করে, তাহলে সেই বাজারে গতি হারানো অনিবার্য। তাঁদের মতে, ডিএসইর এমন নাক গলানো মনোভাব চলতে থাকলে শেয়ারবাজারের দীর্ঘমেয়াদি সংকট আরও গভীর হতে পারে।
এবিষয়ে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম বলেন, সার্ভিলেন্স সংক্রান্ত বিষয় হলে সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ ২০২০ এর ১৭ অনুযায়ী ইন্সপেকশন করতে চাইলে করতে পারে। তবে কেউকে শেয়ার ক্রয় বা বিক্রয় করেন- এটা বিএসইসি বা ডিএসই বলতে পারে না। শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের বিষয়টি বিনিয়োগকারীদের ইচ্ছাধীন। কিন্তু সার্ভিলেন্স সংক্রান্ত কোনো পার্টিকুলার সিকিউরিটিজ সংক্রান্ত তাদের কোয়েরি থাকতে পারে। তবে সেটা লিখিত মাধ্যমে হতে হবে। আইন অনুযায়ী ইন্সপেকশন বা সার্ভিলেন্স সংক্রান্ত বিষয়ে লিখিত তথ্য চাইলে ব্রোকারেজ হাউজগুলো দিতে বাধ্য।
এবিষয়ে জানতে ডিএসইর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আসাদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মিটিংয়ে আছি। পরে কথা বলবো।
গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে ৩ হাজার ১৮০ কোটি টাকা। এসময় বাজার মূলধন কমেছে ০.৪৪ শতাংশ বা ৩ হাজার ১৮০ কোটি টাকা। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ৭৪৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ৬ হাজার ৪৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ৭৪৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা। প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১৪৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা বা ১১.৪৫ শতাংশ।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সোমবার ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৪৭৫ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। রোববার লেনদেন শেষে যা ৫ হাজার ৪৬৮ পয়েন্টে ছিল। ডিএসইর বাছাই করা ৩০ কোম্পানির শেয়ার নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচকও ৬ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৩৫ পয়েন্টে উঠেছে। রোববার এই সূচকটির অবস্থান ছিল ২ হাজার ১২৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৮৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। রোববার যা ১ হাজার ১৮৫ পয়েন্টে ছিল।
পুঁজিবাজার
বে লিজিংয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটির চেয়ারম্যান হিসাবে ফাতেমা জহির মজুমদার নির্বাচিত হয়েছেন।
এসএম
পুঁজিবাজার
পিপলস লিজিংয়ের সর্বোচ্চ দরপতন

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শেষে দরপতনের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, এদিন পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেসের শেয়ার দর আগের দিনের তুলনায় ১০ পয়সা বা ৮.৩৩ শতাংশ কমেছে। এর ফলে কোম্পানিটি দরপতনের তালিকায় প্রথম স্থান দখল করে।
দরপতনের এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ফারইস্ট ফাইনান্স ও ইনভেস্টমেন্ট। কোম্পানিটির শেয়ার দর ১০ পয়সা বা ৬.৬৭ শতাংশ কমেছে। আর তৃতীয় স্থানে থাকা মাইডাস ফাইন্যান্স পিএলসি এর শেয়ার দর কমেছে ৪০ পয়সা বা ৬.০৬ শতাংশ।
এছাড়াও, ডিএসইতে দরপতনের শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে সিএপিএম বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ডের ৫.১৩ শতাংশ, দা ঢাকা ডাইং এন্ড ম্যা্নুফ্যাকচারিং কোম্পানির ৫.১২ শতাংশ, ফ্যামিলিটেক্স (বিডি) লিমিটেড ৫ শতাংশ, ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসির ৫ শতাংশ , এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশ পিএলসির ৪.৭৬ শতাংশ, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলসের ৪.১৮ শতাংশ এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ৩.৮৫ শতাংশ দর কমেছে।