সারাদেশ
শনিবার ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

বিতরণ লাইন মেরামত ও ট্রান্সফরমারের জরুরি সংস্কারকাজের জন্য সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) বিক্রয় এবং বিতরণ বিভাগ-১ ও বিভাগ-২ কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমে পাঠানো পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার সকাল ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টা সিলেট নগরীর ৩৩/১১ কেভি শেখঘাট উপকেন্দ্রের বিকল্প সোর্স লাইনের নির্মাণকাজ চলবে। ফলে এ সময়ে ৩৩/১১ কেভি লাক্কাতুরা ও আম্বরখানা উপকেন্দ্রের সব ১১ কেভি ফিডারগুলোর আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
এই সময়ে লাক্কাতুরা উপকেন্দ্রের আওতাধীন এয়ারপোর্ট থানা, কাকুয়ারপাড়, বঙ্গ বাজার, লাক্কাতুরা বাজার, বাইশটিলা, ওসমানী বিমানবন্দর এক্সপ্রেস, ধোপাগুল, বনশ্রী, বাদামবাগিচা (আংশিক), মুসলিম পাড়া, মালনীছড়া, বাঁশবাড়ি গলির মুখ, আঙ্গুরমিয়ার গলির মুখ, রুপসা আবাসিক এলাকা, খাসদবীর প্রাইমারি স্কুল, ইসরাইল মিয়া গলি, আবাদানি, বড়শালা বাজার মসজিদের পাশে আংশিক এলাকা, দারুস সালাম মাদরাসা রোড, পর্যটন, ফরিদাবাদ, সিলভার সিটি, কেওয়াছড়া, হিলুয়াছড়া চা-বাগান, মহালদিক, উমদারপাঙা, সাহেবের বাজার, কালাগুল, লালবাগ, পীরেরগাঁও, আলাইবহর, লিলাপাঙা, দাপনাটিলা, ছালিয়া, রঙ্গিটিলা, সালুটিকর ঘাট ও সংলগ্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
এছাড়াও উল্লেখিত সময়ে আম্বরখানা উপকেন্দ্রের আওতাধীন রায়হুসেন গলি, ইলেকট্রিক সাপ্লাই রোড, মজুমদারী, সৈয়দমুগনী, চৌকিদেখী (উত্তর পাশ), বাদাম বাগিচা, লেচু বাগান, পীর মহল্লা (পূর্ব ও পশ্চিম), হাউজিং এস্টেট, জালালাবাদ আবাসিক এলাকা, আম্বরখানা, ঘূর্ণি আবাসিক এলাকা, দরগা মহল্লা, গৌর গোবিন্দ টিলা, চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার, বন্দর বাজার, পুরানলেন, জল্লারপাড়, স্টেডিয়াম মার্কেট, মিয়া ফাজিলচিন্ত, সুবিদ বাজার, বনকলা পাড়া, কলবাখানী, চাষনী পীর মাজার রোড, গোয়াইপাড়া, কাহের মিয়ার গলি, মক্তবগলি, শাহী ঈদগাহ, হাজারীবাগ, টিবিগেট, উচাসড়ক, কাজিটুলা, মিরবক্সটুলা, তাতিপাঙা ও সংলগ্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবে।
অন্যদিকে শনিবার সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৮ ঘণ্টা সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) বিক্রয় এবং বিতরণ বিভাগ-২ এর নিয়ন্ত্রণাধীন ফিডারের আওতাধীন নগরীর কাজীটুলা, মানিকপীর মাজার রোড, নয়াসড়ক, বারুদখানা, জেলরোড, হাওয়াপাড়া, চারাদিঘীরপাড় ও আশপাশ এলাকা ছাড়াও ওসমানি যাদুঘর, ধোপাদিঘীর উত্তরপার, কাজী জালাল উদ্দিন স্কুল, নাইওরপুল পয়েন্ট, অনাবিল, হোটেল অনুরাগ, শাহী ঈদগাহ, বালুচর, ঝরনারপাড়, কুমারপাড়া পয়েন্ট, শান্তিবাগ আবাসিক এলাকা, সোনার বাংলা আবাসিক এলাকা, নতুন বাজার, আল-ইসলাহ, আরামবাগ, বালুচর ছড়ারপাড়, ফোকাস ও সংলগ্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। দীর্ঘ এই সময়ে বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন মেরামত, ট্রান্সফরমার রক্ষণাবেক্ষণ ও রাইট অফ ওয়ে বরাবর গাছপালা কর্তনের কাজ করা হবে।
সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে কাজ চলাকালে বিদ্যুৎ লাইনকে চালু অবস্থায় ধরা হবে এবং নির্ধারিত সময়ের আগে কাজ শেষ হলে তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হবে। গ্রাহকদের সাময়িক এ অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।

সারাদেশ
আজও ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল বন্ধ

ফরিদপুরের ভাঙ্গা গোলচত্বরসহ মহাসড়কের একাধিক স্থান অবরোধ করে রেখেছেন স্থানীয়রা। ফলে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে বন্ধ হয়ে গেছে যানবাহন চলাচল।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় দিনের মতো বরিশাল, মাদারীপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে বিকল্প পথ হিসেবে শিবচর-মাদারীপুর আঞ্চলিক সড়ক বেছে নিচ্ছে দূরপাল্লার পরিবহনসহ লোকাল বাস ও অন্যান্য যানবাহন। এতে আঞ্চলিক সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর-৪ আসনের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ আসনে যুক্ত করার প্রতিবাদে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো অবরোধ করে রাখা হয়েছে। গ্রামবাসী এক্সপ্রেসওয়ের ভাঙ্গা গোলচত্বরসহ বিভিন্ন স্থানের সড়কে গাছ ফেলে, টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করছেন। এতে ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় প্রবেশের পথ বন্ধ হয়ে আছে। তাই বরিশাল ও মাদারীপুর থেকে আসা ঢাকাগামী পরিবহনগুলো মাদারীপুর-শিবচর আঞ্চলিক সড়ক ব্যবহার করে ঢাকার অভিমুখে যাচ্ছে। তবে আঞ্চলিক সড়কে গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
ঢাকাগামী যাত্রী সাইদুর রহমান বলেন, আমি মাদারীপুর থেকে বাসে চড়েছি। মহাসড়ক বন্ধ থাকায় গাড়ি শিবচর সড়কে ঢুকেছে। তবে দীর্ঘ যানজট। যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই।
শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন চলাচল বন্ধ। বিকল্প পথ হিসেবে মাদারীপুর-শিবচর সড়ক ব্যবহার করে অনেক পরিবহন ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছে। মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগ বেড়েছে।
সারাদেশ
ফরিদপুরে সড়ক অবরোধ, ২১ জেলার সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ বন্ধ

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ করেছেন এলাকাবাসী। এতে ঢাকা থেকে দক্ষিণবঙ্গের ২১টি জেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। সড়কে আটকে আছে দূরপাল্লার অসংখ্য যানবাহন, ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সকাল ৭টা থেকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের হামিরদী ইউনিয়নের পুকুরিয়া, হামিরদী, মাধবপুর ও নওয়াপাড়া বাসস্ট্যান্ড এবং ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের হামিরদী ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ বাসস্ট্যান্ড ও আলগী ইউনিয়নের সুয়াদী এলাকায় অবরোধ শুরু হয়। এতে দুই মহাসড়কেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আটকে পড়ে যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক, পিকআপ ও মাইক্রোবাসসহ অসংখ্য যানবাহন। প্রচণ্ড রোদ থেকে বাঁচতে আন্দোলনকারীরা মহাসড়কে সামিয়ানা টানিয়ে অবস্থান নেন।
অবরোধ চলাকালে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভাঙ্গা উপজেলাকে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তারা মহাসড়ক অবরোধ চালিয়ে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, আগে ফরিদপুর-৪ আসনটি ছিল ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা নিয়ে গঠিত। আর ফরিদপুর-২ আসন ছিল নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা নিয়ে। কিন্তু গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-৪ থেকে কেটে ফরিদপুর-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করে। এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে তারা টানা আন্দোলন করছেন।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রোকিবুজ্জামান বলেন, আমরা অনেকটা অসহায়। এলাকাবাসী জানিয়েছে, দাবি পূরণ না হলে তারা রাস্তা ছাড়বে না। এত মানুষকে আমরা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করব?
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা) সার্কেল আসিফ ইকবাল জানান, হাইওয়ে এক্সপ্রেসওয়ের ৪টি পয়েন্টে বিক্ষুব্ধরা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের বোঝানোর চেষ্টা চলছে। যদি কোনো প্রকারের ভাঙচুর, বিশৃঙ্খলার চেষ্টা চালানো হয় তবে পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্লা বলেন, আন্দোলনকারীদের দাবি জাতীয় পর্যায়ের বিষয়। স্থানীয় প্রশাসনের এখতিয়ারে নেই। তাদের দাবি নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে, তবে সেখান থেকে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি।
প্রসঙ্গত, সীমানা পুনর্বিন্যাসের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ভাঙ্গায় এর আগেও কয়েক দফা সড়ক অবরোধ হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হলেও এর জবাব না মেলায় মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টে রিট করা হয়। তবে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার আগেই জানিয়েছেন, আইন অনুযায়ী আসনের সীমানা নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই এবং বিক্ষোভ-আন্দোলন করেও কোনো লাভ হবে না।
সারাদেশ
মানবিক সাহায্য চাওয়া ক্যান্সার আক্রান্ত আনোয়ার আর নেই

চাঁদপুর জেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পাটওয়ারী বাজারের পূর্ব পাশে বসবাসকারী আনোয়ার হোসেন প্রধানিয়া প্রায় ছয় মাস ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ মঙ্গলবার তিনি পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
পরিবারের দাবি ছিল- ইতোমধ্যে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা চিকিৎসায় ব্যয় হয়ে গেছে। আর্থিক সংকটের কারণে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া তাদের জন্য ছিল প্রায় অসম্ভব। তাই তারা সবার কাছে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
গতকাল পর্যন্ত তার চিকিৎসার জন্য পরিবার মানবিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছিল।
সারাদেশ
ক্যান্সার আক্রান্ত আনোয়ার হোসেন প্রধানিয়ার চিকিৎসায় সহায়তার আহ্বান

চাঁদপুর জেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পাটওয়ারী বাজারের পূর্ব পাশে বসবাসকারী আনোয়ার হোসেন প্রধানিয়া প্রায় ছয় মাস ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পরিবারের দাবি, ইতোমধ্যে চিকিৎসার খরচ হিসেবে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে। বর্তমানে আর্থিক সংকটের কারণে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।
পরিবার জানায়, সংসারের ন্যূনতম ব্যয় নির্বাহ করতেই যেখানে কষ্ট হয়, সেখানে ক্যান্সারের মতো ব্যয়বহুল রোগের চিকিৎসা করা তাদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তারা জানান, পরিবারের যা কিছু ছিল তা বিক্রি করে চিকিৎসা চালানোর চেষ্টা করা হলেও এখন তারা চরম আর্থিক সংকটে পড়েছেন।
এ অবস্থায় পরিবারের পক্ষ থেকে মানবিক বিবেচনায় সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
সহযোগিতার জন্য বিকাশ নাম্বার:০১৮৭৫০৮৬৯০১। সাহায্য পাঠানোর আগে রোগীর পরিবার বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হয়েছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, কেউ সাহায্য বা সহযোগিতা করতে না পারলেও পোস্টটি শেয়ার করলে অন্য কেউ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন।
সারাদেশ
বাগেরহাটে চলছে হরতাল, নির্বাচনি অফিসে তালা

চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে একটি কমিয়ে জেলায় তিনটি সংসদীয় আসন করে নির্বাচনী সীমানার চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশের প্রতিবাদ এবং চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে বাগেরহাটে চলছে হরতাল কর্মসূচি।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বাগেরহাট শহরে বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। এ ছাড়া দোকানপাট এখনও খোলেনি।
এর আগে, রোববার সংসদীয় আসন ও সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে জেলা সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি এক সংবাদ সম্মেলনে এ হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাগেরহাট- ৩ (রামপাল-মোংলা) ও সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে ৫ দিনের কর্মসূচির মধ্যে আজ রোববার জেলার সকল অফিস আদালত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাটবাজারে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল, মঙ্গলবার সকল উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল এবং বুধ ও বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা করেছে জেলা সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি।
বাগেরহাট জেলা জামায়েতের আমির মাওলানা রেজাউল করিম বলেন, আমাদের কান্নার শব্দটি নির্বাচন কমিশনের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি। অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। এরপরও যদি নির্বাচন কমিশনের বোধোদয় না হয়, তাহলে পরবর্তী সময়ে আরও কঠোর কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামব।
বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি খান মনিরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশন জনমানুষের দাবি উপেক্ষা করে এই আসন বিন্যাস করেছে। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আন্দোলন শুরু করেছি।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে ভোটার সংখ্যা কম হওয়ায় রামপাল -মোংলা নিয়ে গঠিত বাগেরহাট- ৩ আসন কমিয়ে গাজীপুরে নতুন আসন করার ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন। এরপর বাগেরহাটের রাজনৈতিক দল ও সর্বস্তরের মানুষ ফুঁসে উঠে। গত ২৫ আগস্ট নির্বাচন কমিশনে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে এ বিষয়ে শুনানিও করে। কিন্তু তাতো কোন কাজে হয়নি। অবশেষে বাগেরহাটে ৪টি আসন থেকে ৩টি আসন চূড়ান্ত করে গত ৪ সেপ্টেম্বর গেজেট প্রকাশ করা হয়। নির্বাচন কমিশনের নতুন ঘোষণা অনুযায়ী বর্তমানে সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট নিয়ে বাগেরহাট- ১, ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা নিয়ে বাগেরহাট-২ এবং কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা নিয়ে বাগেরহাট-৩ সংসদীয় আসন ঘোষণা করা হয়েছে।