অর্থনীতি
রিজার্ভ বেড়ে ৩০.৫৮ বিলিয়ন ডলার

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৩০ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম ৬) পদ্ধতি অনুযায়ী, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৫ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার।
এর আগে, ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩০ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

অর্থনীতি
তৃতীয় দফায় ২০ হাজার টাকা বাড়লো স্বর্ণমুদ্রার দাম

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে সোনার দাম। এখন ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা কিনতে গুনতে হচ্ছে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৯৪৭ টাকা। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এমন পরিস্থিতিতে চলতি বছর তৃতীয় দফায় স্মারক স্বর্ণমুদ্রার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
প্রতিটি মুদ্রার দাম ২০ হাজার টাকা করে বাড়িয়ে এক লাখ ৭০ হাজার টাকা পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। যা এতোদিন ছিল এক লাখ ৫০ হাজার টাকা।
আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বাজারে সোনার দাম বাড়ার কারণে এ দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন এ দাম ১১ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) থেকে কার্যকর হয়েছে।
এখন থেকে ২২ ক্যারেট স্বর্ণ দিয়ে তৈরি করা ১০ গ্রাম ওজনের স্মারক স্বর্ণ মুদ্রা (বাক্সসহ) প্রতিটি বিক্রি হবে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকায়।
এ ছাড়া, বর্তমানে বাজারে ১১টি স্মারক রৌপ্যমুদ্রা (ফাইন সিলভার) রয়েছে। এসব রূপার স্মারক মুদ্রার ওজন ২০ গ্রাম থেকে ৩১ দশমিক ৪৭ গ্রাম। এসব স্মারক রৌপ্য মুদ্রার দাম ৮ হাজার ৫০০ টাকা। যা এতদিন ছিল ৭ হাজার টাকা।
অর্থনীতি
প্রতিদিন আসছে ১ হাজার ৩৮১ কোটি টাকার রেমিট্যান্স

চলতি মাসের (সেপ্টেম্বর) প্রথম ১০ দিনেই প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১ দশমিক ১৩ বিলিয়ন (১১৩ কোটি ২০ লাখ) ডলারের রেমিট্যান্স। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১৩ হাজার ৭৮৬ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)।
অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে আসছে ১১ কোটি ৩ লাখ ডলার বা প্রায় ১ হাজার ৩৮১ কোটি টাকার প্রবাসী আয়। এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাস শেষে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, গত বছরের একই সময়ে (২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের প্রথম ১০ দিন) রেমিট্যান্স এসেছিল ৯৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার। সে তুলনায় এ বছর বেড়েছে প্রায় ১৮ কোটি ডলার।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম দুই মাস এবং সেপ্টেম্বরের ১০ দিন মিলিয়ে দেশে এসেছে ৬০৩ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে পাওয়া ৫০৮ কোটি ডলারের চেয়ে ৯৫ কোটি ডলার বেশি। অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে এসেছে ২৪৭ কোটি ৭৯ লাখ ডলার, আগস্টে এসেছে ২৪২ কোটি ২০ লাখ ডলার। এর আগে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চ মাসে এক মাসের সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। পুরো অর্থবছর শেষে (২০২৪-২৫) রেমিট্যান্স দাঁড়ায় ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রবাসী আয় ছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাসভিত্তিক রেমিট্যান্সপ্রবাহ ছিল জুলাই: ১৯১.৩৭ কোটি ডলার, আগস্ট: ২২২.১৩ কোটি ডলার, সেপ্টেম্বর: ২৪০.৪১ কোটি ডলার, অক্টোবর: ২৩৯.৫০ কোটি ডলার, নভেম্বর: ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বর: ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারি: ২১৯ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারি: ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চ: ৩২৯ কোটি ডলার, এপ্রিল: ২৭৫ কোটি ডলার, মে: ২৯৭ কোটি ডলার এবং জুন: ২৮২ কোটি ডলার।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারঘোষিত প্রণোদনা ও প্রবাসী আয়ের প্রক্রিয়া সহজ করায় রেমিট্যান্স প্রবাহ ধারাবাহিকভাবে ইতিবাচক রয়েছে।
অর্থনীতি
অর্থপাচার রোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন উদ্যোগ

বহুজাতিক কোম্পানির অর্থপাচার রোধের লক্ষ্যে আরও শক্তিশালী নজরদারি গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই নজরদারিতে কর্মকর্তাদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিচ্ছে দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সব ব্যাংকের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের অর্থপাচার ঠেকাতে কঠোর নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. মো. কবির আহাম্মদ।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা পরিদর্শন বিভাগের কর্মকর্তাদের জন্য ‘বাংলাদেশে কার্যরত বহুজাতিক কোম্পানি থেকে ট্রান্সফার প্রাইসিংয়ের মাধ্যমে অর্থপাচার প্রতিরোধ’ শীর্ষক কর্মশালায় কর্মকর্তাদের এই পরামর্শ দেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে বৈদেশিক মুদ্রা পরিদর্শন বিভাগের পরিচালক মাহবুবুল আলম সভাপতিত্বে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্বায়নের যুগে ট্রান্সফার প্রাইসিংয়ের গুরুত্ব এবং এর অপব্যবহারের মাধ্যমে সংঘটিত অর্থপাচারের ঝুঁকি তুলে ধরে প্রধান অতিথি ডেপুটি গভর্নর কবির আহাম্মদ বলেন, বহুজাতিক কোম্পানিগুলো অনেক সময় ট্রান্সফার প্রাইসিংয়ের অপব্যবহার করে বিভিন্ন কৌশলে অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর করে, যা দেশের রাজস্ব ভিত্তি ক্ষুণ্ন করে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের এই বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখার পরামর্শ দেন তিনি। এ ধরনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে মানবসম্পদ তৈরিতে বিনিয়োগ হিসেবে উল্লেখ করে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আর্থিক খাতের সুরক্ষায় এ খাতে উদ্ভূত অভিনব জালজালিয়াতি সম্পর্কে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষিত করতেও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
একই সঙ্গে এসব জালজালিয়াতি উদঘাটনে ফরেনসিক ইন্সপেকশন কার্যক্রমের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন ডেপুটি গভর্নর।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমান ব্যাংকিং খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এ ধরনের প্রশিক্ষণ অপরিহার্য। এই প্রশিক্ষণ কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়াবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন পর্যবেক্ষণে তাদের সক্ষমতা বাড়বে।
বৈদেশিক মুদ্রা পরিদর্শন বিভাগের পরিচালক মাহবুবুল আলম ট্রেড বেইজড মানিলন্ডারিং ও হুন্ডি প্রতিরোধের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা সংকট নিরসন ও বাজারে স্থিতিশীল রাখতে বৈদেশিক মুদ্রা পরিদর্শন বিভাগের ভূমিকা তুলে ধরেন। একই সঙ্গে সংকট নিরসনে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহযোগিতার জন্য ডেপুটি গভর্নরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
অর্থনীতি
সুদমুক্ত ঋণ আদায়ে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ নেবে সরকার: শ্রম উপদেষ্টা

শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধের জন্য সরকারের দেওয়া সুদমুক্ত ঋণ যথাসময়ে ফেরত না দিলে সংশ্লিষ্ট শিল্প কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন উপদেষ্টা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি, বিজিএমইএ-এর সভাপতি এবং সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতা কারখানার মালিকদের উপস্থিতিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন জানান, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় শ্রম অসন্তোষ নিরসনের লক্ষ্যে সরকার বার্ডস গ্রুপ, টিএনজেড গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, ডার্ড গ্রুপ, নায়াগ্রা টেক্সটাইলস লি, রোয়ার ফ্যাশন লি, মাহমুদ জিন্স লি, স্টাইল ক্রাফট লি. এবং গোল্ডস্টার গার্মেন্টস লি.-কে অর্থ বিভাগ এবং কেন্দ্রীয় তহবিল, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে সুদমুক্ত ঋণ দেয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণচুক্তির আওতায় ওই অর্থ পরিশোধ করছেন না।
তিনি কঠোর ভাষায় বলেন, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে। তাদের পাসপোর্ট জব্দের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এরই মধ্যে কয়েকজন পলাতক মালিকের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেডনোটিশ জারির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি পলাতক মালিক ও প্রতিষ্ঠানের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাসপোর্ট স্থগিত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন।
উপদেষ্টা বলেন, এ ঋণের টাকা শ্রমিকের টাকা এবং জনগণের ট্যাক্সের টাকা। এ টাকা আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনোরকম ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি সংশ্লিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিক ও প্রতিনিধিদের সংশ্লিষ্ট লিয়েন ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিষ্ঠানের জমি, কারখানা, যন্ত্রপাতি বিক্রি করে হলেও ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ঋণের সব টাকা পরিশোধ করতে বলেন। এ বিষয়ে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ-কে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
অর্থনীতি
অনলাইন রিটার্নের সঙ্গে সরাসরি ব্যাংকের সংযোগে ভয় নেই: এনবিআর চেয়ারম্যান

অনলাইন রিটার্ন দাখিলের সময় সরাসরি ব্যাংকের সংযোগ স্থাপন করা হলে করদাতাদের সুবিধা হবে। এছাড়া কোনো এনবিআর কর্মকর্তা গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য দেখতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) এনবিআরের প্রধান কার্যালয় মিট দা বিজনেস শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ব্যাংকের তথ্য এনবিআরের কোনো কর্মকর্তা দেখতে পাবেন না। এই সুবিধা করদাতার জন্য। এতে ব্যাংকের আমানত সংগ্রহে কিংবা করদাতাদের কোনো সমস্যা হবে না। করদাতার যাতে হিসাব বিবরণী বারবার আনতে না হয়, সে কারণে আমরা বাণিজ্যিক ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করার চেষ্টা করছি।
অন্যদিকে করপোরেট কর প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, করপোরেট কর কমতে কমতে ২০ ভাগ হয়েছে। আগামীতেও করপোরেট কর রিটার্নও অনলাইন করা হবে। আমাদের লক্ষ্য ব্যবসায়ীরা যাতে পেইন না পায়। ব্যবসায়ীরা যাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করে।
তিনি আরও বলেন, বেশিরভাগ করদাতা রিটার্ন দেন না। টিআইএনধারীদের নোটিশ দেওয়াকে হয়রানি বলা ঠিক না। রিটার্ন জমা দিলেই সমস্যার সমাধান। আয়করে অটোমেশন করা হয়েছে। আমরা র্যানডম বেসিসে অডিট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কোম্পানির ক্ষেত্রে এমনভাবে অডিট হবে। যাতে তিনটির মধ্যে অন্তত একটি নতুন ফাইল হয়।
ভ্যাট রেট নিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ভ্যাট রেট নিয়ে অনেক আপত্তি দেখলাম। আমিও প্রয়োজনে ভ্যাট রেট কমাবো। ভ্যাট রেট হবে একক রেট। আমরা চাই ডিজিটালাইজেশন। আমরা সফটওয়্যার করতে চাই। ব্যবসায়ীরা ভ্যাট দেয় না। ভ্যাট দেয় চূড়ান্ত ভোক্তা। তাহলে ওটা লুকাতে এতো চেষ্টা কেন?
টোব্যাকো খাতে ৮৩ শতাংশ ভ্যাট থাকলেও আদায় হয় না এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, টোব্যাকো খাতে বড় অঙ্কের ভ্যাট ফাঁকি হয়। গত এক বছরে ৩ হাজার অডিট হয়েছে। সেখানে ভ্যাট ফাঁকির তথ্য পাওয়া গেছে। অধিকাংশ ভ্যাট পাই না। আমরা কিউআর কোড কেন্দ্রিক সিস্টেম করতে চাচ্ছি। যাতে অটোমেটিকভাবে ভ্যাট জমা হয়। ব্যবসায়ীদের অটোমেশনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাবো।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ আগস্ট এনবিআর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ বিভাগে চিঠি পাঠানো হয়। যেখানে বলা হয়, করদাতাদের অনলাইন রিটার্নের সঙ্গে সরাসরি ব্যাংকের সংযোগ থাকবে। যার মাধ্যমে করদাতার অ্যাকাউন্টের ব্যালান্স, সুদের আয় এবং উৎসে কর্তনকৃত কর—রিয়েল-টাইমে জানা যাবে। এরপর বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠে যে, গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে তথ্য এনবিআর কর্মকর্তাদের কাছে চলে যাবে। তাতে ব্যাংকের আমানত কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।