ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ডাকসু নির্বাচন: চলছে ভোট গণনা, যে কেন্দ্রে যত শতাংশ ভোট পড়ল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। এর আগে, ভোট শেষে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান জানিয়েছেন, বিভিন্ন কেন্দ্রে ৭৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ ভোট পড়েছে।
নির্ধারিত ৮টি ভোটকেন্দ্রে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ শেষ হয় বিকেল ৪টায়। সকাল থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কেন্দ্রে কত শতাংশ ভোট পড়েছে, তার হিসাব সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জানা গেছে।
সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল ৮০ দশমিক ২৪ শতাংশ, অমর একুশে হল ৮৩ দশমিক ৩০ শতাংশ, ফজলুল হক মুসলিম হল ৮১ দশমিক ৪৩ শতাংশ, জগন্নাথ হল ৮২ দশমিক ৪৪ শতাংশ, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ৮৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ৮৩ শতাংশ, রোকেয়া হল ৬৫ দশমিক ৫০ শতাংশ, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ৬৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ৬৭ দশমিক ০৮ শতাংশ, স্যার এ এফ রহমান হল ৮২ দশমিক ৫০ শতাংশ, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ৮৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ, বিজয় একাত্তর হল ৮৫ দশমিক ০২ শতাংশ, সূর্যসেন হল ৮৮ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ৭৫ শতাংশ, শেখ মুজিবুর রহমান হল ৮৭ শতাংশ, কবি জসীম উদ্দীন হল ৮৬ শতাংশ, কবি সুফিয়া কামাল হল ৬৪ শতাংশ, শামসুন নাহার হল ৬৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে।
প্রশাসনের ভাষ্য অনুযায়ী, সার্বিকভাবে এবারের নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর এখন চলছে গণনা কার্যক্রম।
এবার ডাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। পাঁচ ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯ ভোটের বিপরীতে ১৩ ছাত্র হলে এই সংখ্যা ২০ হাজার ৯১৫ জন।
২৮টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৪৭১ জন। প্রতি হল সংসদে ১৩টি করে ১৮টি হলে মোট পদের সংখ্যা ২৩৪টি। এসব পদে ভোটের লড়াইয়ে নামেন ১ হাজার ৩৫ জন। এবারের ডাকসু ভোটে আংশিক ও পূর্ণাঙ্গ মিলিয়ে অন্তত ১০টি প্যানেল অংশ নিয়েছে। এর বাইরে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন প্রার্থীদের আরেকটি অংশ।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
অমর একুশে হলে সাদিক কায়েম পেয়েছেন ৬৪৪ ভোট, আবিদ ১৪১

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অমর একুশে হল কেন্দ্রের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ভিপি পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থী সাদিক কায়েম ৬৪৪ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ১৪১ ভোট।
ভিপি পদে অন্যদের মধ্যে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্যের উমামা ফাতেমা পেয়েছেন ৯০ ভোট এবং আব্দুল কাদের পেয়েছেন ৩০টি ভোট।
এদিকে, অমর একুশে হলে জিএস পদে শিবিরের এস এম ফরহাদ ৪৬৬ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাগছাস সমর্থিত জিএস প্রার্থী বাকের মজুমদার পেয়েছেন ১৮৭টি ভোট।
এছাড়া ছাত্রদলের শেখ তানভীর বারী হামিম পেয়েছেন ১৮০ ভোট, মেঘমল্লার বসু ৮৬, আল সাদী ভুঁইয়া ৬টি ভোট পেয়েছেন।
অমর একুশে হলে এজিএস পদেও বিপুল ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থী মহিউদ্দিন খান। তিনি পেয়েছেন ৫২১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত এজিএস প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ পেয়েছেন ১৪১ ভোট।
এছাড়া এজিএস পদে একুশে হলে তাহমিদ মুদাসসির ১০১টি, এ্যানি ৮টি ভোট পেয়েছেন।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
অমর একুশে হলের ভিপি রবিউল, জিএস হাসিব

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়েছে। প্রথমে অমর একুশে হলের ফল ঘোষণা করেছে রিটার্নিং অফিস। এতে হলটির ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন রবিউল ইসলাম এবং জিএস পদে বিজয়ী হয়েছেন হাসিব।
ভিপি পদে বিজয়ী রবিউল পেয়েছেন ৪৮৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহফুজ পেয়েছেন ৩৭২ ভোট। এছাড়া জিএস পদে বিজয়ী হাসিব পেয়েছেন ৫৩৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রবিউল ইসলাম পেয়েছেন ৩৭১টি ভোট।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত পৌনে ২টার দিকে এ ফল ঘোষণা করা হয়।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার আন্দোলন’র আত্মপ্রকাশ, ভিসির কাছে ১৫ দফা দাবি

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে আবাসন, একাডেমিকসহ নানা সমস্যার সমাধান ও বিভিন্ন সংস্কারের জন্য উপাচার্য বরাবর ১৫ দফা দাবি উত্থাপন করেছেন শিক্ষার্থীরা। পরে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার আন্দোলন’ নামে একটি প্লাটফর্মের ঘোষণা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে উপাচার্যের কার্যালয়ে শিক্ষার্থীরা ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বরাবর এ দাবিগুলো উত্থাপন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হক এবং ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুল ইসলাম। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধি, বিভিন্ন সামাজিক ও প্রশাসনিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কাছে উপস্থাপিত দাবিসমূহ হলো: সেশন জট নিরসন, সাজিদ হত্যার বিচার, ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, ছাত্র সংসদ গঠন, ডিজিটালাইজেশন, আবাসন সংকট নিরসন, চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়ন, হলের খাবারের মান বৃদ্ধি, ফ্যাসিবাদের বিচার, পরিবহন সংকট, সর্প নিয়ন্ত্রণ, প্রতি বিভাগে ছাত্রীদের কমনরুম নিশ্চিতকরণ, প্রতিটি হল ও বিভাগে ফার্স্ট এইড বক্স রাখা, নতুন শিক্ষার্থী ভর্তিতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু এবং সাইবার বুলিং বন্ধে নীতিমালা প্রণয়ন।
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী খন্দকার আবু সায়েম বলেন, আমরা ক্যাম্পাসের সার্বিক সংস্কার নিয়ে উপাচার্য কাছে ১৫ দফা দাবি উত্থাপন করেছিলাম। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে এগুলো সংস্কার করা হবে। সবকিছু মিলিয়ে পনেরো দফা পেশ করেছি। তিনি আমাদের দফাগুলো শুনেছেন এবং আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে আমরা একটা সময়সীমা দিতে চাই যে আগামীকাল তারা যে আমাদের এ দাবিসমূহ আমালে নিয়ে রোডম্যাপ বা কোনো কার্যক্রম করেছে সেটা সম্পর্কে তাদের কাছে খোঁজখবর নেয়ার জন্য চব্বিশঘণ্টা পরে আবারও তাদের কাছে আসবো।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দাবি এখানেই শেষ না। আমাদের দাবি চলমান। আমাদের দাবি ততদিন চলবে যতদিন না আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিপূর্ণরূপে সংস্কার হচ্ছে। সে দাবিটা থেকেই যারা এখানে উপস্থিত আছি তাদের সবার অনুমতিক্রমে একটা প্লাটফর্ম দাড় করাচ্ছি। সে প্লাটফর্মের নাম হচ্ছে ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার আন্দোলন’ বা ‘ইসলামিক ইউনিভার্সিটি রিফর্ম মুভমেন্ট’ (আইইউআরএম)। এরপর থেকে এ ব্যানারে উপাচার্যের কাছে যাবো। বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারের জন্য কি পদক্ষেপ তারা নিচ্ছেন তার জবাবদিহি নিতে আমরা যাবো। এবং সে জবাবদিহিতার ভিত্তিতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে যেটা করা লাগে তা আমরা করবো। আমাদের দাবিগুলোকে আরও বেগবান করার জন্য এবং ছাত্রদের কাছে আরও বেশি পৌছানোর জন্য আমরা আগামীকাল বেলা এগারোটা বা বারোটার দিকে একটি মানববন্ধন করবো।
তিনি আরও বলেন, আমরা এর আগে দেখেছি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন ছাড়া কোনো পরিবর্তন আসে না। আমরা যখন কন্ঠ উচু করি তখনই কাজ হয়। কন্ঠ স্বাভাবিক রাখলে কোনো কাজই হয় না। তখন আমরা কোনোকিছুই পাইনা। এটা একটা চিরন্তন বাস্তবতা। এ বাস্তবতাকে সামনে রেখেই আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো এবং সংস্কার না করা অব্দি থামবো না। আজ উপাচার্য আমাদের যে আশ্বাসগুলো দিয়েছেন সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন হোক যেন সংস্কার আন্দোলনটা এখানেই থেমে যায়। আমাদের যেন আর আন্দোলন করা না লাগে।
‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার আন্দোলন’ এর কার্যক্রম পরিচালনা কিভাবে হবে এসম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সেভাবে কোনো কমিটি রাখবো না। কারণ এতে বিষয়টা দলীয় হয়ে যায়। অনেক সময় পদ-পদবির লোভ এসে যায়। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীই এ প্লাটফর্মের সদস্য। কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য হয়তো একটা আহ্বায়ক কমিটি রাখতে পারি যেখানে ১ জন আহ্বায়ক ও ৩৬ টি বিভাগ থেকে ৩৬ জন প্রতিনিধি থাকতে পারে।
উপাচার্যের কার্যালয়ে তাদের দাবি পেশ করার পর ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ তাদের দাবিগুলো দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢাবির সব ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্লাস-পরীক্ষা আগামীকাল বুধবারও বন্ধ থাকবে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদের ভোট গণনা ও ফল ঘোষণায় দেরি হওয়ায় বুধবারও ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে তিন দফায় নির্বাচনকেন্দ্রিক ছুটিতে পরিবর্তন এনেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রথম দফায় নির্বাচন উপলক্ষে চারদিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। ৭, ৮, ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর ছুটি রেখে ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রশাসন।
তবে লম্বা এ ছুটিতে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ছেড়ে গ্রামের বাড়ি অথবা বেড়াতে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছিলেন অনেক প্রার্থী। কেউ কেউ এ ছুটি বাতিলের দাবি তোলেন। কয়েকজন প্রার্থী নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিতভাবে ছুটি বাতিলের দাবিও জানান।
শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে প্রথমে একদিন ছুটি কমিয়ে তিনদিন রাখা হয়। তাতেও শিক্ষার্থীরা আপত্তি জানালে শুধু ভোটের দিন ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ভোটের ফল ম্যানিপুলেট করা হলে শিক্ষার্থীরা জবাব দেবে: আবিদুল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসুর নির্বাচনের ফলাফল ম্যানিপুলেট (প্রভাবিত) করা হলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এটা প্রতিহত করবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি (সহ-সভাপতি) প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান। নির্বাচনের ফল সঠিকভাবে হলে নিজেদের প্যানেলের ভূমিধস বিজয়েরও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে আবিদুল এ কথা বলেন। এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ডাকসুর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ভোটগ্রহণ শুরুর পর সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে বেশ স্বতঃস্ফূর্তভাবেই ভোট দিতে আসেন ভোটাররা। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে প্রায় সব প্যানেলের প্রার্থীদের পাল্টাপাল্টি নানা অভিযোগ বাড়তে থাকে। একজন পোলিং অফিসারকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আবিদুল ইসলাম বলেন, আমরা আশা করেছিলাম সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। কিন্তু প্রশাসন চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
আবিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, বেগম রোকেয়া হল, অমর একুশে হলের ভোটকেন্দ্রে সিলমারা ব্যালট দেওয়া হয়েছে। আমরা জানি না কতটা ব্যালট সিলমারা ছিল। নির্বাচন কারচুপি করে উল্টো দায় আমাদের ওপর দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা যখন বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে গিয়েছি, আমাদের এতিমের মতো দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। আমাদের সময় নষ্ট করা হয়েছে।
নিজেদের প্যানেলের কার্ড বিলির অভিযোগের জবাবে ভিপি প্রার্থী বলেন, একজন ভোটারের ৪১টা ভোট দিতে হয়। ৪১টা ব্যালট মনে রাখা সম্ভব না। এজন্য আমরা লিখে দিয়েছিলাম।
জামায়াত-শিবিরের অনেক নেতা ক্যাম্পাসে এসেছেন উল্লেখ করে আবিদুল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে অনেক জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা উপস্থিত হয়েছে। তাদের নিবারণ করার আহ্বান জানাই।