ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
টানা ৩৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে ঢাবির সব প্রবেশপথ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী (৯ সেপ্টেম্বর)। এ উপলক্ষে ৮ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা থেকে টানা ৩৪ ঘণ্টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সব প্রবেশপথ সর্বসাধারণের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) এক জরুরি বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা থেকে বিকালে ৪টার পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে ভোটগ্রহণ। ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ৮ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা থেকে ১০ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথগুলো (শাহবাগ, পলাশী, দোয়েল চত্বর, শিববাড়ি ক্রসিং, ফুলার রোড, উদয়ন স্কুল ও নীলক্ষেত) সর্বসাধারণের জন্য বন্ধ থাকবে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ আইডি কার্ডধারী শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রবেশ করতে পারবেন।
জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যরা স্ব স্ব শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিচয়পত্রের ফটোকপি প্রদর্শন করে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত ও জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন (অ্যাম্বুলেন্স, ডাক্তার, রোগী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সাংবাদিক ও ফায়ার সার্ভিসের যানবাহন) ছাড়া অন্য কোনও যানবাহন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
নোংরা রাজনীতি চর্চা করলে শিক্ষার্থীরা ছাত্রদলকে লাল কার্ড দেখাবে: শিবির সেক্রেটারি

ছাত্রদল আদর্শিক রাজনীতি ছেড়ে পেশিশক্তির রাজনীতি বেছে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাখা ইসলামি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি ইউসুব আলী। তিনি বলেন, তাদের অফিশিয়াল পেইজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় ‘একটা একটা শিবির ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’ বলে ছাত্রলীগের মতো সন্ত্রাসী স্লোগান দিয়েছে। তারা ৯০-এর সন্ত্রাসী রাজনীতে ফিরে যেতে চায়। এরকম নোংরামি রাজনীতি করতে থাকলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদেরকে লাল কার্ড দেখাবে। আমরা এমন ক্যাম্পাস চাই যেখানে শিক্ষার্থীরা নিরাপদে থাকবে এবং পড়াশোনার পরিবেশ বজায় থাকবে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ছাত্রদল নেতা কর্তৃক রাজশাহী বিশ্ববিদালয়ের (রাবি) নারী শিক্ষার্থীদের ‘যৌনকর্মী’ বলে কটুক্তি ও সারাদেশে নারী হেনস্তা এবং ক্যাম্পাস গুলোতে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির প্রতিবাদে মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
ইউসুব আলী বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী নতুন বাংলাদেশেকে ছাত্রদল তাদের পৈতৃক সম্পত্তি মনে করছে। রাবিতে এক ছাত্রদল নেতা ৯১ জন ছাত্রীদের ‘যৌনকর্মী’ এবং ঢাবির এক নেত্রী ছাত্রীকে ‘সেবাদাসী’ বলে কটূক্তি করেছে। চবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর বিএনপির নেতা হামলার জন্য উস্কে দিয়েছে। ঢাবির আলী হাসান ছাত্রশিবিরের ন্যূনতম সম্পৃক্ত ছিল না, কিন্তু সে তার প্রোফাইলে ছাত্রদলের প্রতি মায়া দেখিয়ে পোস্ট করেছিল; তা প্রমাণ করে সে ছাত্রদলের সাথেই সম্পৃক্ত। অথচ আমরা প্রশাসন বরাবর তার শাস্তির দাবি জানিয়েছি। বারবার তারা দায় চাপানো রাজনীতি করে যাচ্ছে। ছাত্রশিবির কোনো তুলা নয় যে ফুঁ দিলে ওড়ে যাবে।
শাখা ছাত্রশিবিরের ছাত্র অধিকার বিষয়ক সম্পাদক জাকারিয়া বলেন, আমরা আশা করেছিলাম একটা সুন্দর বাংলাদেশ পাবো, যে বাংলাদেশে আমাদের মা-বোন, আমাদের মেয়ে-সহ বাংলাদেশের প্রত্যেকটা নারী নিরাপদ থাকবে। কিন্তু বাংলাদেশে ধর্ষণের যে মহোৎসব পালন করেছিল ছাত্রলীগ তারই স্থলাভিষিক্ত হয়েছে ছাত্রদল। যে জুলাই শহীদের মেয়েকেও ছাত্রদলের নেতাকর্মী দ্বারা ধর্ষিত হতে হয়েছে। ধর্ষিতা হওয়ার পর বিচার না পেয়ে সেই জুলাই যোদ্ধার মেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। নতুন বাংলাদেশ যাদের রক্তের উপর দিয়ে এসেছে তাদের সাথেই যদি এমন ঘটনা ঘটে তাহলে অন্যান্য মানুষের সাথে কীরকম ঘটবে?
এসময় তাদের ‘নারী হেনস্তা বন্ধ কর, করতে হবে; ছাত্রদলের সন্ত্রাস, রুখে দাও ছাত্রসমাজ; চাঁদাবাজের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে; ফ্যাসিবাদের রাজনীতি বন্ধ কর, করতে হবে; চাঁদাবাজ ও স্বৈরাচার মিলেমিশে একাকার; ধর্ষক আর স্বৈরাচার মিলেমিশে একাকার, দায় চাপানো রাজনীতি বন্ধ কর, করতে হবে; শিবিরের অঙ্গীকার, নিরাপদ ক্যাম্পাস; আমার সোনার বাংলায়, ধর্ষকের ঠাঁই নাই; জবাই স্লোগান দিতো যারা, এখন তারা বাংলা ছাড়া’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
মানববন্ধনে শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ইউসুব আলী, অর্থ সম্পাদক শেখ আলামিন, ছাত্র অধিকার বিষয়ক সম্পাদক জাকারিয়া হোসেন ও আন্তর্জাতিক ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক সম্পাদক হাসানুল বান্না সহ সংগঠনটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
একাদশে ভর্তির শেষ ধাপের ফল প্রকাশ, কলেজ পাননি ৫২৪০ শিক্ষার্থী

চলতি ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর কেন্দ্রীয় ভর্তির ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়।
ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী—তিন ধাপে আবেদন নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। ফলে এটি ছিল শেষ ধাপ। অথচ এ ধাপেও কোনো কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত হননি ৫ হাজার ২৪০ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৯৫ জন।
পাশাপাশি সারাদেশের ৩৭৬টি কলেজ ভর্তির জন্য একজন শিক্ষার্থীও পায়নি। আর ১৬টি কলেজে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার আগ্রহই দেখাননি।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক ও একাদশে ভর্তি কমিটির সমন্বয়কারী অধ্যাপক মো. রিজাউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শিক্ষার্থীরা ভর্তির কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীরা ফল দেখতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আবেদনকারী শিক্ষার্থীকে নিজের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে। এছাড়া আবেদনের সময় শিক্ষার্থীদের দেওয়া মোবাইল ফোন নম্বরেও ফলাফল এসএসএসের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে।
গত ২৮ আগস্ট রাতে একাদশে ভর্তির দ্বিতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করা হয়। সেসময় আবেদন করেও কলেজ না পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ হাজার ৮২৬ জন। তাদের মধ্যে এসএসসিতে জিপি-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী ছিলেন এক হাজার ৪১৮ জন
ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী—তিন ধাপে আবেদন করে নির্বাচিত হওয়াদের কলেজে চূড়ান্ত ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর, যা চলবে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এর পরের দিন ১৫ সেপ্টেম্বর একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
গণধর্ষণের হুমকি দেওয়া সেই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করল ঢাবি

ডাকসু নির্বাচনে শিবির প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট করা ছাত্রীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি দেওয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থী আলী হুসেনকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রীকে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় আক্রমণ ও হুমকি দেওয়ার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২০২১ সেশনের শিক্ষার্থী আলী হুসেনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এ বিষয়ে গঠিত প্রক্টরিয়াল সত্যানুসন্ধান কমিটির সুপারিশের আলোকে তাকে বহিষ্কারের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এতে বলা হয়, এটি বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডারে প্রদত্ত প্রক্টরের এখতিয়ারভুক্ত সর্বোচ্চ শাস্তি। তার শ্রেণি রোল ৫৪ এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর ২০২০২১২৭৬৮। সে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থী। একই সঙ্গে আলী হুসেনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন বিষয়ক কমিটিতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ডাকসু নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির–সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনকারী ছাত্রীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলী হুসেন নামে এক শিক্ষার্থী। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গত সোমবার ডাকসু নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেওয়ার পর তিনি ফেসবুকে তাকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি দিয়ে পোস্ট করেন।
আলী হোসেনের এমন পোস্টের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা, সাধারণ শিক্ষার্থী ও অনেকে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে এর প্রতিবাদ জানান। ছাত্রশিবিরের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদও এ ঘটনায় আলী হোসেনের বিরুদ্ধে আইনি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে শুনানি আগামীকাল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন স্থগিত করে দেওয়া হাইকোর্টের রায় আগামীকাল পর্যন্ত অকার্যকর থাকবে। বুধবার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানি হবে।
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এ আদেশ দেন।
এসময় আদালতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির শুনানি করেন।
এর আগে, সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি এস কে তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ডাকসু নির্বাচন স্থগিত করে আদেশ দেন।
আদেশে রিটকারী ও ডাকসু নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলমকে জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ডাকসুর নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে দাখিল করতে বলা হয়।
হাইকোর্টের আদেশের পর তাৎক্ষণিক হাতে লেখা আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। যা নিয়েই আজ শুনানি হয়।
চেম্বার আদালতের স্থগিতাদেশ দেওয়ার পর আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ডাকসু নির্বাচনে হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে আবেদন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে এক আদেশে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। ফলে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো বাধা রইল না।
গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট মনোনীত এবং ছাত্র শিবির সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেন বামজোট মনোনীত প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বিএম ফাহমিদা আলম।
ডাকসু নির্বাচন ঘিরে এরই মধ্যে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ও বামপন্থি ছাত্রসংগঠনগুলো পৃথক প্যানেল ঘোষণা করেছে। পূর্ণ ও আংশিক মিলিয়ে এবার ১০টির মতো প্যানেল দেওয়া হয়েছে।
ডাকসু ভোটে এবার ২৮টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৭১ জন। তাদের মধ্যে নারী প্রার্থী ৬২ জন। সদস্যপদে সবচেয়ে বেশি রয়েছেন ২১৭ প্রার্থী।
এর বাইরে ঢাবির ১৮টি হলে ১৩টি পদে চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এক হাজার ৩৫ প্রার্থী।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত ৫ লাখের বেশি শিক্ষক ও কর্মচারীকে অবসরের ছয় মাসের মধ্যে অবসরকালীন সুবিধা প্রদানের নির্দেশনা দিয়ে রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজি জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ ১৩ পৃষ্টার এ রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে এ রায় প্রকাশ করেছেন। রিটকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সিদ্দিক উল্যাহ মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত ৫ লাখের বেশি শিক্ষক ও কর্মচারীকে অবসরের ৬ মাসের মধ্যে অবসরকালীন সুবিধা প্রদানের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজি জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
রায়ের সময় হাইকোর্ট বলেন, এটা চিরন্তন সত্য যে শিক্ষকরা রিটায়ারমেন্ট (অবসরকালিন) বেনিফিট (সুবিধা) পেতে বছরের পর বছর ঘুরতে হয়। এই হয়রানি থেকে তারা কোনোভাবেই পার পান না। একজন প্রাথমিকের শিক্ষক কত টাকা বেতন পান, সেটাও বিবেচনায় নিতে হবে। এজন্য তাদের অবসরভাতা ৬ মাসের মধ্যে দিতে হবে। এই অবসরভাতা পাওয়ার জন্য শিক্ষকরা বছরের পর বছর দ্বারে দ্বারে ঘুরতে পারে না বলেও মন্তব্য করেছেন আদালত।
সেদিন রায়ের পর আইনজীবী ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া বলেন,সারা দেশে এমপিও ভুক্ত স্কুল-কলেজ ও মাদরাসায় ৫ লাখের বেশি শিক্ষক কর্মচারী অবসরকালীন সুবিধা পেতে ২০১৯ সালে একটি রিট দায়ের করেছিলাম। রিটে আমরা ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন থেকে ৬ শতাংশ কেটে নেওয়া হতো। সেই কর্তনকৃত টাকাসহ সুবিধান অবসরের পর দেওয়া হতো। এই অবস্থায় ২০১৭ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নতুন করে ১০ শতাংশ কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্তে নেয়। ১০ শতাংশ কেটে নেওয়া হলেও ৬ শতাংশের যে সুবিধা দেওয়া হতো সেটাই বহাল রাখা হয়। যে কারণে আমরা রিট দায়ের করে বলেছি, যাতে ১০ শতাংশের সুবিধা দেওয়া হয়। এরপর এই রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। সেই রুলের দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হয়।
রায়ে আদালত বলেছেন, ১০ শতাংশ কেটে নেওয়া হলেও তাদের যেন বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়। একইসঙ্গে অবসরের ছয় মাসের মধ্যে যেন অবসরকালিন সুবিধা প্রদান করা হয়।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট প্রবিধানমালা, ১৯৯৯ এর প্রবিধান-৬ এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা প্রবিধানমালা, ২০০৫ এর প্রবিধান-৮ অনুযায়ী শিক্ষক ও কর্মচারীদের মূল বেতনের ২ শতাংশ এবং ৪ শতাংশ কাটার বিধান ছিল। যার বিপরীতে শিক্ষকদের ট্রাস্টের তহবিল হতে শিক্ষক ও কর্মচারীদের কিছু আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হতো। কিন্তু ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল উল্লিখিত প্রবিধানমালাগুলোর শিক্ষক ও কর্মচারীদের মূল বেতনের ২ শতাংশ এবং ৪ শতাংশ কাটার বিধানগুলো সংশোধনপূর্বক ৪ শতাংশ এবং ৬ শতাংশ করে দুইটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে শিক্ষক ও কর্মচারীদের মূল বেতনের ২ শতাংশ এবং ৪ শতাংশ কাটার পরিবর্তে ৪ শতাংশ এবং ৬ শতাংশ কাটার বিধান করা হলেও উক্ত অতিরিক্ত অর্থ কাটার বিপরীতে শিক্ষক ও কর্মচারীদের কোনো বাড়তি আর্থিক সুবিধার বিধান করা হয়নি। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারীদের এপ্রিল/২০১৯ মাসের বেতন হতে ৬ শতাংশ এবং ৪ শতাংশ টাকা অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টে জমা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
ফলে অতিরিক্ত অর্থ কাটার বিপরীতে কোনো আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধি না করেই শিক্ষক ও কর্মচারীদের মূল বেতনের ৬ শতাংশ এবং ৪ শতাংশ টাকা কাটার আদেশের কারণে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫ লাখ শিক্ষক ও কর্মচারীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে ক্ষুব্ধ হয়ে বিভিন্ন সময়ে অতিরিক্ত অর্থ কাটার আদেশ বাতিল করার জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে তারা বিভিন্ন সময়ে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। শিক্ষক ও কর্মচারীরা ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনটি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন।