অর্থনীতি
৩৮ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে বরখাস্ত কর কর্মকর্তা মিতু

৩৮ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে আয়কর নথির কাগজপত্র হস্তান্তর করায় আয়কর বিভাগের সহকারী কর কমিশনার জান্নাতুল ফেরদৌস মিতুকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) এক আদেশে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। আইআরডি সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান এতে সই করেন।
বরখাস্তের আদেশে বলা হয়, ঢাকার কর অঞ্চল-৫–এর সহকারী কর কমিশনার জান্নাতুল ফেরদৌস ৩৮ লাখ টাকা গ্রহণের বিনিময়ে একই কর অঞ্চলের ৯৩ নম্বর সার্কেলের করদাতা সালাহ উদ্দিন আহমেদের মনোনীত প্রতিনিধিকে (আয়কর আইনজীবী) আয়কর নথির অধিকাংশ পূর্ববর্তী রেকর্ড হস্তান্তর করেন। এগুলো হলো পুরোনো আয়কর রিটার্ন, অর্ডার শিট, কর নির্ধারণী আদেশ, আপিল-ট্রাইব্যুনাল আদেশসমূহ এবং অন্যান্য দলিল। এ জন্য জান্নাতুল ফেরদৌসের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কার্যধারা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আদেশে আরও বলা হয়, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮–এর বিধি-১২ অনুযায়ী জান্নাতুল ফেরদৌসকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। তিনি সাময়িক বরখাস্তকালীন বিধি মোতাবেক খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

অর্থনীতি
৩ গার্মেন্টস মালিকের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারিতে ইন্টারপোলকে চিঠি

টিএনজেড গ্রুপ ও রোর ফ্যাশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং ডার্ড গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিভিন্ন আদালতে দায়ের করা মামলার ওপর ভিত্তি করে সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, টিএনজেড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহাদাৎ হোসেন শামীম, ডার্ড গ্রুপের চেয়ারম্যান ইত্তেমাদ উদ দৌলাহ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাবিল উদ দৌলাহ এবং রোর ফ্যাশন লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুনুল ইসলাম-এর বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির চিঠি ইন্টারপোল সদর দফতরে পাঠানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত ইনস্পেক্টর জেনারেল (এনসিবি) এর সই করা অনুরোধপত্র ইন্টারপোল কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা আদায়, মালিকপক্ষের গাফিলতি এবং দীর্ঘদিন বিদেশে অবস্থানকারী অভিযুক্তদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে।
অর্থনীতি
বাড়লো স্বর্ণের দাম, ভরি ছাড়ালো ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা

দুই দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এবার প্রতি ভরিতে সর্বোচ্চ এক হাজার ৪৭০ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী সবচেয়ে ভালো মানের তথা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৭৫ হাজার ৭৮৮ টাকা। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) যেখানে একই মানের প্রতি ভরি সোনা এক লাখ ৭৪ হাজার ৩১৮ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে।
সোমবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে সোনার দাম বাড়ানোর তথ্য জানিয়েছে বাজুস। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ৭৫ হাজার ৭৮৮ টাকা, ২১ ক্যারেট প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ৬৭ হাজার ৭৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ৪৩ হাজার ৮২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ১৯ হাজার ৪২ টাকা ।
সোনার দাম বাড়ানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম বর্তমানে ২ হাজার ৮১১ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৬৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ২৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৭২৬ টাকা।
দুই দিন আগে গত ৩০ আগস্টও সোনার দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। যা গতকাল ৩১ আগস্ট কার্যকর হয়।
অর্থনীতি
আগস্টে রেমিট্যান্স এলো সাড়ে ২৯ হাজার কোটি টাকা

চলতি আগস্ট মাসে দেশে ২৪২ কোটি ২০ লাখ ডলারের (২.৪২ বিলিয়ন ডলার) রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে। স্থানীয় মুদ্রায় প্রায় ২৯ হাজার ৫৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরেক হোসেন খান জানান, আগস্ট মাসের পুরো সময়ে ২৪২ কোটি ২০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। যা গত বছরের (২০২৪ সালের আগস্টে মাসের পুরো সময়ে) একই সময়ের চেয়ে ১৯ কোটি ৮০ লাখ ডলার বেশি এসেছে। গত বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ ছিল ২২২ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
আর চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই ও আগস্টে) মোট ৪৯০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। যা গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এসেছিল ৪১৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরে একই সময়ের চেয়ে ৭৬ কোটি ২০ ডলার বেশি এসেছে। যা প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ।
এর আগে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে এসেছে ২৪৭ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩০ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। তবে মাসটিতে ৮ ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।
এর আগে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চ মাসে সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল, যা ছিল বছরের রেকর্ড পরিমাণ। আর পুরো অর্থবছর (২০২৪-২৫) জুড়ে প্রবাসী আয় এসেছে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাসভিত্তিক রেমিট্যান্স প্রবাহে দেখা যায়, জুলাই: ১৯১.৩৭ কোটি ডলার, আগস্ট: ২২২.১৩ কোটি ডলার, সেপ্টেম্বর: ২৪০.৪১ কোটি ডলার, অক্টোবর: ২৩৯.৫০ কোটি ডলার, নভেম্বর: ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বর: ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারি: ২১৯ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারি: ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চ: ৩২৯ কোটি ডলার, এপ্রিল: ২৭৫ কোটি ডলার, মে: ২৯৭ কোটি ডলার এবং জুন: ২৮২ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার ঘোষিত প্রণোদনা ও প্রবাসী আয়ের পথ সহজ করায় রেমিট্যান্স প্রবাহ ইতিবাচক ধারায় রয়েছে।
অর্থনীতি
ঢাকায় আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা শুরু ৩০ অক্টোবর

আগামী ৩০ অক্টোবর ঢাকার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ কনফারেন্স সেন্টারে শুরু হতে যাচ্ছে দেশের বৃহত্তম পর্যটন মেলা ‘বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার’ (বিটিটিএফ)। তিন দিনব্যাপী এই মেলার আয়োজন করছে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে টোয়াব এই তথ্য জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে মেলার প্রেক্ষাপট ও সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে বর্ণনা করেন টোয়াবের পরিচালক (বাণিজ্য ও মেলা) মো. তাসলিম আমিন শোভন। তিনি জানান, এবারের মেলা হবে ১৩তম সংস্করণ এবং মেলাটি আগের সব বছরের তুলনায় অনেক বৃহৎ পরিসরে, আকর্ষণীয় ও জাঁকজমকপূর্ণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই মেলার সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়; সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়; পর্যটন করপোরেশন; ট্যুরিজম বোর্ড; ট্যুরিস্ট পুলিশ এবং এফবিসিসিআই।
তিনি জানান, এ ছাড়া প্রথমবারের মতো কোনো মেলায় সরাসরি অংশগ্রহণ করছে টার্কিশ এয়ারলাইন্স। মেলায় গোল্ড স্পন্সর হিসেবে ইতোমধ্যে যুক্ত হয়েছে আন্তর্জাতিক হোটেল চেইন প্রতিষ্ঠান আইএসজি, হসপিটালিটি পার্টনার হিসেবে আছে ইন্টার কন্টিনেন্টাল ঢাকা, ক্রাউন প্লাজা গুলশান, হলিডে ইন ঢাকা।
তাসলিম আমিন শোভন জানান, পাকিস্তান, নেপাল, ভূটান ও শ্রীলঙ্কা এর জাতীয় পর্যটন সংস্থা ও ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশন তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে এবং আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে মেলায় অংশগ্রহণের আলোচনা চলমান রয়েছে। এছাড়াও মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মালদ্বীপ, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তুরস্কের ট্যুর অপারেটর ও ট্রাভেল এজেন্টরা অংশগ্রহণ করছে।
তিনি বলেন, এবারের মেলায় মেডিকেল ট্যুরিজমের জন্য আলাদা জোন থাকবে। মেলায় ৪টি হলে প্যাভিলিয়নসহ ২২০ টি স্টল থাকবে। এবারের মেলায় ২৫০ প্রদর্শক, ২০টি দেশের অংশগ্রহণ, ২ হাজার বাণিজ্যিক প্রতিনিধি এবং ৫০ হাজার দর্শনার্থী উপস্থিত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা বলেন, এ মেলা বাংলাদেশের পর্যটন সেক্টরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন। দেশের পর্যটনের বিকাশে এই আয়োজনের গুরুত্ব অনেক। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা সবাই এই আয়োজনের সঙ্গে আছি এবং এই আয়োজনকে সফল করে তুলতে একসঙ্গে কাজ করবো।
সংবাদ সম্মেলনে টোয়াবের সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান বলেন, পর্যটন সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি এবং এর টেকসই উন্নয়ন এই মেলার প্রধান উদ্দেশ্য। এবারের মেলা ব্যবসায়ী, দেশি-বিদেশি পর্যটক এবং পর্যটন শিল্প সংশ্লিষ্ট সবার মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
অর্থনীতি
বিদেশি সফটওয়্যার ছাড়াই কার্ড ইস্যু করতে পারবে দেশের ব্যাংকগুলো

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র জন্য কোনা কার্ড পারসোনালাইজেশন সিস্টেম (কোনা-সিপিএস) সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে পেমেন্ট ও সিকিউরিটি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান কোনা সফটওয়্যার ল্যাব লিমিটেড।
কোনা-সিপিএস-এর প্রথম গ্রাহক হিসেবে বিশ্বমানসম্পন্ন ইএমভি কার্ড পারসোনালাইজেশন সিস্টেমের মাধ্যমে স্থানীয় ন্যাশনাল কার্ড স্কিম ‘টাকা পে’সহ ভিসা, মাস্টারকার্ড ও ইউনিয়নপে ইন্টারন্যাশনালের মতো আন্তর্জাতিক স্কিমে ইএমভি ডেবিট, ক্রেডিট ও প্রিপেইড কার্ড ইস্যু করতে পারবে ইসলামী ব্যাংক।
দেশের পেমেন্ট ও ফিনটেক খাতের এ সাফল্য উদযাপনে সম্প্রতি দ্য ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা হোটেলে এক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকের প্রতিনিধিরাসহ শিল্পখাত সংশ্লিষ্ট শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা।
কোনা সফটওয়্যার ল্যাবের বাংলাদেশি সফটওয়্যার প্রকৌশলীদের উদ্যোগে দেশে প্রথমবারের মতো এমন একটি আধুনিক ও সম্ভাবনাময় কার্ড পারসোনালাইজেশন সিস্টেম চালু হয়েছে। এ অর্জনের ফলে বিদেশি সহায়তার ওপর নির্ভরতা কমবে, সময় বাঁচবে এবং সাশ্রয় হবে বৈদেশিক মুদ্রার।
এ বিষয়ে কোনার চিফ বিজনেস অফিসার সিরাজ সিদ্দিকী বলেন, কোনা-সিপিএস-এর মাধ্যমে কোনা সফটওয়্যার ল্যাব প্রমাণ করেছে যে বাংলাদেশ আর কেবল বিদেশি প্রযুক্তির ভোক্তা নয়। আমরা এখন দেশীয় উদ্ভাবন ও সহায়তার মাধ্যমে বিশ্বমানের সমাধান তৈরি করছি। এ অর্জন নিয়ে আমরা আশাবাদী। মনে করি, এ উদ্যোগ দেশের ডিজিটাল পেমেন্টের ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশের প্রথম সিপিএস বাস্তবায়নে কোনা, ইসলামী ব্যাংক ও অন্যান্য অংশীদারদের অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, এ অর্জন আমাদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। পাশাপাশি নগদ অর্থবিহীন (ক্যাশলেস) বাংলাদেশ গড়ার পথে শক্তিশালী ভিত্তিস্থাপনে ভূমিকা রেখেছে।
অনুষ্ঠানে ইসলামী ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব ডিজিটাল ব্যাংকিং উইং মোশাররফ হোসেন কোনা এসএল-এর সমাধান তাদের অভিজ্ঞতায় কেমন প্রভাব ফেলেছে, সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
এই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় কার্ড উৎপাদন কারখানা ও পারসোনালাইজেশন ব্যুরো স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছে কোনা সফটওয়্যার ল্যাব। এর পাশাপাশি তারা নিজস্ব কার্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ও আন্তর্জাতিকভাবে মানসম্মত টোকেনাইজেশন সেবা চালু করার পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছে।
কোনা সফটওয়্যার ল্যাব বিশ্বাস করে, এসব উদ্যোগ বাংলাদেশের পেমেন্ট ইকোসিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করবে, সুরক্ষিত উপায়ে ডিজিটাল কার্ড ইস্যু নিশ্চিত করবে এবং ব্যাংকগুলোকে আধুনিক পেমেন্ট সেবা দেওয়ার সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
কোনা সফটওয়্যার ল্যাব বাংলাদেশের নেক্সাসপে, নগদ ও রেইনবোসহ আরও কয়েকটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সম্পূর্ণ প্রযুক্তিগত সমাধান সরবরাহে কাজ করছে।