রাজনীতি
অন্তবর্তী সরকারকেই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে হবে: ড. হেলাল

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেই দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান ও জুলাই-বিপ্লবে খুনিদের বিচার দ্রুত বাস্তবায়নের দাবীতে’- নাগরিক মঞ্চ কর্তৃক অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, নির্বাচিত রাজৈনৈতিক সরকার জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে সেই সনদ বাস্তবায়ন করবে এটি জাতি বিশ্বাস করে না। কারণ নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার দ্বারাই রাষ্ট্র কাঠামো ধ্বংস হয়েছে। রাজনৈতিক স্বার্থে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহার করার ফলে রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। যারা রাষ্ট্রের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দিয়েছে তাদের দ্বারা কখনোই রাষ্ট্র সংস্কার সম্ভব নয়। অতীতের রাজনৈতিক সরকার গুলো কেউ দুর্নীতিতে দেশকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান করেছে, কেউ লুটপাটের মাধ্যমে বিদেশে বেগম পাড়া গড়ে তুলেছে। এসব দলের দ্বারা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হবে না। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার গঠন করতে হবে। তবেই দেশের মানুষ একটি সুখি-সমৃদ্ধ বৈষম্যহীন কল্যাণ ও মানবিক বাংলাদেশ পাবে। জুলাই বিপ্লব পরবর্তী পুরো জাতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর যেই আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছে, সেই আস্থা ও বিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষায় ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার গঠন করা’ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতার সামিল হবে।
নাগরিক মঞ্চের প্রধান সমন্বয়ক আহসান উল্লা শামীমের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব মাওলানা আলতাফ হোসাইন মোল্লা। বাংলাদেশ ইসলামী দলের মহাসচিব মো. হুমায়ুন কবিরের পরিচালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন নাগরিক মঞ্চের উপদেষ্টা লেঃ কর্নেল (অবঃ) ফরিদুল আকবর, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী প্রচার সম্পাদক আবদুস সাত্তার সমুনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও নাগরিক মঞ্চের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।
ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, ইসলাম ছাড়া ন্যায়বিচার কে-ও করতে পারেনি, পারবে না। ক্ষমতার পালাবদল হলেই ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে না, দুর্নীতি, অপশাসন দূর হবে না। বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, দখলবাজ, অপশাসন বন্ধ করতে হলে বিদ্যমান আইনের পরিবর্তন করে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। মদিনা বাসী যতদিন মানুষের তৈরি মতবাদে (আইনে) পরিচালিত হয়েছে ততদিন জুলুমের শিকার হয়েছে। কিন্তু যখনই মহানবী (সা.) ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুললেন সাথে সাথে সমাজের প্রতিটি মানুষ দলমত, ধর্মবর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে শাসন ও শোষণের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে। মদিনা বাসী এক আলোকিত সোনার মদিনা পেয়েছে। একইভাবে স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও বাংলাদেশের মানুষ শাসকগোষ্ঠীর জুলুম-নির্যাতন আর শোষণের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। কারণ বিগত ৫৪ বছর বাংলাদেশ পরিচালিত হয়েছে মানুষের তৈরি আইনে। যেই আইন শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠীর কল্যাণে তৈরি করা হয়েছে। শাসকগোষ্ঠীর জুলুম-নির্যাতন আর শোষণের হাত থেকে জাতিকে রক্ষা করতে হলে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।
নির্বাচন প্রসঙ্গে ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে, সেই সময়েই নির্বাচন হতে পারে তাতে কোন সমস্যা নাই। তবে অবশ্যই সেই সময়ের আগে জনগণের দাবি জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। দেশের ৭১ শতাংশ মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। জনগণের দাবি উপেক্ষা করে বিদ্যমান পদ্ধতিতে নির্বাচনের আয়োজন করলে সেই নির্বাচন হবে একটি প্রহসনের নাটকীয় নির্বাচন। এমন নির্বাচন জনগণ চায় না, মেনে নিবে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি তার পছন্দের নির্দিষ্ট কোনো দলের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে চায়, তবে প্রহসনের নাটকীয় নির্বাচন না করে, ঐ দলকে ডেকে নিয়ে ক্ষমতার মসনদে বসিয়ে দিলেই পারে। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী হয়, জুলাই চেতনায় বিশ্বাসী হয় তবে অবশ্যই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে জনগণের দাবি মোতাবেক পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, জাতির ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতা যেভাবে ঐক্যবদ্ধ থেকে রাজপথে লড়াই করেছে ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, গণহত্যার বিচার নিশ্চিত ও পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়নের জন্য সেভাবেই প্রয়োজনে আবারো রাজপথে নেমে আসবে। জনগণের দাবি আদায় নিশ্চত করতেই হবে। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জুলাই চেতনা ধারণ করে দেশপ্রেমের প্রমাণ দেওয়ার আহ্বান জানান।

রাজনীতি
অবস্থার উন্নতি, নুরকে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। এজন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢামেকে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানিয়েছেন।
ঢামেক পরিচালক বলেন, নুরুল হক নুর এখন আগের তুলনায় অনেকটা সুস্থ। তার নাক ও চোয়ালের ভাঙা হাড় পুরোপুরি সেরে উঠতে চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগবে। তবে চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি স্বাভাবিক খাবার খেতে পারছেন।
তিনি বলেন, বিভাগীয় প্রধানরা তাকে সার্বক্ষণিক দেখছেন। তার চোখের মধ্যে যে রক্তজমাট হয়ে আছে সেটি ঠিক হতে ১ থেকে ২ সপ্তাহ লাগতে পারে। নুরকে নরমাল খাবার খেতে বলা হয়েছে। তবে তিনি খাবার খাওয়ার সময় ব্যাথা পাচ্ছেন বলে জানাচ্ছেন। এটি ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে।
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, আঘাতের পর নুরের নাক থেকে যে রক্তক্ষরণ হয়েছে তার কিছু অংশ শ্বাসনালীতে চলে গিয়েছিল। গতকাল কাশির সঙ্গে দুই বার সেই রক্ত এসেছে। তবে এতে চিন্তার কিছু নেই। তার বোর্ডের চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাকে আইসিইউ থেকে আজ কেবিনে শিফট করা হবে।
নুরকে দেখতে এদিন সকালে হাসপাতালে যান নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি নুরের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন। এছাড়া গণঅধিকার পরিষদের কয়েকজন নেতাও বর্তমানে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন জানিয়েছেন, সুস্থ হওয়ার পর নুরুল হক নুর হামলার ঘটনায় মামলা করবেন।
রাজনীতি
বিএনপিকে বারবার ধ্বংসের চেষ্টা করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের দলকে (বিএনপি) বারবার ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু ফিনিক্স পাখির মতো আবার জেগে উঠেছে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আগামীতে জনগণের ভোটে রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে একটি সমৃদ্ধশালী দেশ গড়বে বিএনপি।
তিনি আরও বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে এমনটাই বিশ্বাস করে বিএনপি। আগামী ফেব্রুয়ারিতে যে নির্বাচন হবে, তাতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, একদলীয় শাসন ব্যবস্থার বিপরীতে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাসহ দেশের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে মৌলিক পরিবর্তন এনেছিল বিএনপি।
রাজনীতি
বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর রমনা রেস্তোরাঁয় আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র পাঠের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সে হিসেবে আজ দলটির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে জিয়াউর রহমান নিহত হন। এরপর নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে গৃহবধূ থেকে রাজনীতির মাঠে আসেন তারই সহধর্মিণী খালেদা জিয়া। ১৯৮৩ সালের ১৩ জানুয়ারি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে খালেদা জিয়ার আত্মপ্রকাশ হয়। ১৯৮৩ সালের মার্চ মাসে খালেদা জিয়া দলের সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান হন এবং ১৯৮৪ সালের ১০ মে বিএনপির চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন।
বিগত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি দুই বছরের বেশি সময় কারাভোগের পর শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পান। আর বিগত বছরের ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতির আদেশ মুক্তি পান খালেদা জিয়া।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া মামলা, কারাভোগ ও পরে অসুস্থতার কারণে রাজনীতিতে সক্রিয় নেই। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন তারেক রহমান। তিনি ২০০৭ সালের সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় থেকে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। সেখান থেকেই দল পরিচালনা করছেন।
১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে বিএনপি। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপির নেতৃত্বাধীন সরকার একটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করে। কিন্তু আওয়ামী লীগসহ বিরোধী দলগুলোর প্রতিবাদে মাত্র ৪৫ দিন টিকতে পারে সেই সরকার। ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় নির্বাচনে জিতে আবারও সরকার গঠন করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট। ওই সরকারই ছিল বিএনপির শেষ রাষ্ট্র ক্ষমতা। বিগত ১৭ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে রয়েছে দলটি।
দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক বাণীতে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
তিনি বাণীতে বলেন, ‘জনগণের অধিকার আদায়ে তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করাসহ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের ধারা আবারও পুনঃপ্রতিষ্ঠা করাই এখন বিএনপির মূল লক্ষ্য। দেশে এখনো প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আইনের শাসন, স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ, সংবাদপত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারলেই জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। আর এ জন্য জনগণের নির্বাচিত জবাবদিহিমূলক সরকার অতীব জরুরি।
তারেক রহমান বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী আদর্শের সঙ্গে জনগণকে একত্রিত করার লক্ষ্যে মহান স্বাধীনতার ঘোষক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। দিনটি বাংলাদেশি মানুষদের জন্য আনন্দ, উদ্দীপনা ও প্রেরণার। দলটি বাংলাদেশি ভূখণ্ডের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা এবং শক্তিশালী সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রকে স্থায়ী রূপ দেয়ার নীতিতে অঙ্গীকারবদ্ধ।’
পৃথক এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, আইনের শাসন সুদৃঢ় করতে পারলেই নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে। দুঃশাসনের যে কাঠামো নির্মাণ করা হয়েছিল, সেটি সমূলে উপড়ে ফেলে একটি পরমতসহিষ্ণু, শান্তিময় এবং মানবিক সাম্যের সমাজ প্রতিষ্ঠা করাই জাতীয়তাবাদী শক্তির মূল লক্ষ্য হতে হবে।
বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ১৬ সদস্যের ‘জাতীয় উদ্যাপন’ কমিটি গঠন করা হয়েছে।।কমিটিতে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান আহ্বায়ক এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
দিনটি উপলক্ষ্যে সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশের কার্যালয়গুলোতে দলীয় পতাকা উত্তোলন, বেলা ১১টায় শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফাতিহা পাঠ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এদিন দেশব্যাপী জেলা ও মহানগরে আলোচনা সভা ও র্যালি হবে।
মঙ্গলবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালি বের করা হবে। ৩ সেপ্টেম্বর আলোচনা সভা এবং র্যালি হবে উপজেলা ও পৌরসভা পর্যায়ে।
রাজনীতি
ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচনের আশ্বাস প্রধান উপদেষ্টার: ফখরুল

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রবিবার (৩১ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা থেকে বেরিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রধান উপদেষ্টা আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন। আমরাও তা বিশ্বাস করি।
তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার ও রাজনৈতিক পরিবেশ নিয়ে বিএনপির উদ্বেগ ও প্রত্যাশার কথা প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরা হয়েছে।
জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।
রাজনীতি
যমুনায় এনসিপির প্রতিনিধি দল

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করতে যমুনায় পৌঁছেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চার সদস্যের প্রতিনিধি দল।
রবিবার (৩১ আগস্ট) বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে তারা যমুনার ভেতরে প্রবেশ করেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন— জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব।
এ বৈঠকের পর সন্ধ্যা সাতটায় বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠকে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, এসব বৈঠকে আগামী নির্বাচন আয়োজনের প্রক্রিয়া, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির উপায় নিয়ে আলোচনা হবে।
প্রসঙ্গত, গতকাল শনিবার যমুনায় অনুষ্ঠিত এক সভায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়। সেখানে কয়েকজন উপদেষ্টার পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ও স্বরাষ্ট্রবিষয়ক বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন বিলম্বিত বা বানচাল করার যে কোনো ষড়যন্ত্র, বাধা বা প্রচেষ্টা দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করা হবে। জনগণের ইচ্ছাই শেষ পর্যন্ত জয়ী হবে।