পুঁজিবাজার
পুনর্মূল্যায়নের পর সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের জমির দাম বেড়েছে ৫৬ কোটি টাকা

জ্বালানি খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি পিএলসির পর্ষদ কোম্পানিটির জমি পুনর্মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুমোদন করেছে। এতে কোম্পানিটির জমির দাম ৫৬ কোটি ৭ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ টাকা বেড়েছে। পর্ষদ সভা শেষে গতকাল এ-সংক্রান্ত একটি মূল্যসংবেদনশীল তথ্য (পিএসআই) প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, পুনর্মূল্যায়নের আগে সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের ৯৫ দশমিক ৯০ শতাংশ জমির দাম ছিল ১ কোটি ৪৬ লাখ ৪৭ হাজার ৫০০ টাকা। পুনর্মূল্যায়নের পর এ জমির দাম বেড়ে ৫৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। জমি পুনর্মূল্যায়ন করেছে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান আশরাফ উদ্দিন অ্যান্ড কোম্পানি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৪-২৫ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৫৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ২ টাকা ২১ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০২৫ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৮৭ পয়সায়।
সমাপ্ত ২০২৩-২৪ হিসাব বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৩৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪৬ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৪ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৩১ পয়সায়।
সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরে উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪৬ পয়সা। আগের হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছিল ২ টাকা ৬৩ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৩ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ২৭ পয়সায়।
১৯৯০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের অনুমোদিত মূলধন ১৫০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ২৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। পুঞ্জীভূত লোকসানের পরিমাণ ৩০ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ২ কোটি ৭৭ লাখ ৬৯ হাজার ৫০০। এর মধ্যে ৪৫ দশমিক ৩১ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে, ১৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, দশমিক ১৬ শতাংশ শেয়ার বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ৩৭ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

পুঁজিবাজার
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের এজিএম স্থগিত

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ২৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) স্থগিত করা হয়েছে।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ব্যাংকটির ২৬তম এজিএম অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। তবে অনিবার্য কারণবশত তা স্থগিত করা হয়েছে।
তবে নতুন সময় ও তারিখ পরবর্তীতে জানিয়ে দিবে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।
পুঁজিবাজার
অস্বাভাবিক শেয়ারদর বাড়ছে দুলামিয়া কটনের, উদ্বেগ প্রকাশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান দুলামিয়া কটন স্পিনিং মিলস লিমিটেডের শেয়ারের দাম ও লেনদেন অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তদন্তে উঠে এসেছে। গত কয়েক কার্যদিবস ধরেই শেয়ারদর অস্বাভাবিক উত্থান এবং লেনদেনের পরিমাণে ব্যাপক বৃদ্ধি দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, দুলামিয়া কটনের শেয়ার দর বৃদ্ধি নিয়ে কোম্পানি কর্তৃপক্ষের কাছে কারণ জানতে চেয়ে ব্যাখ্যা চায় ডিএসই কর্তৃপক্ষ। ডিএসইর ব্যাখ্যা তলবের উত্তরে কোম্পানির পক্ষ থেকে সম্প্রতি জানানো হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে তাদের কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধি দেখে তারা অবাক এবং উদ্বিগ্ন। কারন তাদের অপারেশনাল বা কাঠামোগত কোন পরিবর্তন আসেনি। যাতে শেয়ার দর এভাবে বাড়ার কোন কারন নেই।
উল্লেখ্য, কোম্পানিটির গত ২৭ জুলাই শেয়ার দর ছিল ৮৩ টাকা ৮০ পয়সায়। যা গতকাল ২৪ আগস্ট লেনদেন শেষে ১১৩ টাকা ৬০ পয়সায় উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ ২০ কার্যদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ২৯ টাকা ৮০ পয়সা।
এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ।
কাফি
পুঁজিবাজার
অস্বাভাবিক শেয়ারদর বৃদ্ধির কারণ জানে না সমতা লেদার

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সমতা লেদার কমপ্লেক্স লিমিটেড শেয়ারদর অস্বাভাবিক বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই। সম্প্রতি কোম্পানিটির শেয়ারদর অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে ডিএসই’র পাঠানো নোটিশের জবাবে এ তথ্য জানিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, গত ২৭ জুলাই কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ৬৮ টাকা ৫০ পয়সা। আর গত ২৪ আগস্ট বাজার শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১১৩ টাকায় উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ ২০ কার্যদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৪৪ টাকা ৫০ পয়সা।
এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ।
কাফি
পুঁজিবাজার
ব্লকে ১৬ কোটি টাকার লেনদেন

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে মোট ৪০টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ৪৫ লাখ ১৩ হাজার ৯৫৩টি শেয়ার ৭২ বারে লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ১৬ কোটি ৯১ লাখ ২১ হাজার টাকা।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, রবিবার (২৪ আগস্ট) ব্লকে সবচেয়ে বেশি সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পার ২ কোটি ৮০ লাখ ৭৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ২ কোটি ২৮ লাখ ৪৮ হাজার টাকার ও তৃতীয় স্থানে থাকা আল-হাজ্ব টেক্সটাইল মিলসের ৯৮ লাখ ৪৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এসএম
পুঁজিবাজার
নতুন মার্জিন ঋণ বিধিমালা চূড়ান্ত করতে জনমত আহ্বান

পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সুপারিশসমূহ বিবেচনায় নিয়ে এবং প্রান্তিক বিনিয়োগকারীসহ পুঁজিবাজারের সকল বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ১৯৯৯ সালের মার্জিন ঋণের বিধিমালা রহিত করে ‘মার্জিন বিধিমালা ২০২৫’ নামের নুতন বিধিমালা তৈরি করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। খসড়া বিধিমালাদ্বয় জনমত যাচাইয়ের জন্য কমিশনের ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে। মতামত অনুযায়ী, পরবর্তীতে চূড়ান্ত বিধিমালা সরকারি গেজেটে প্রকাশের মাধ্যমে কার্যকর করা হবে।
গত ১২ আগস্ট বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৬৮তম কমিশন সভায় ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মার্জিন) বিধিমালা, ২০২৫’ এর খসড়া অনুমোদিত হয়।
বিষয়ে কমিশন থেকে জানানো হয়, পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সুপারিশসমূহ বিবেচনায় নিয়ে এবং প্রান্তিক বিনিয়োগকারীসহ পুঁজিবাজারের সকল বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে খসড়া বিধিমালাটি অনুমোদন করা হয়েছে। খসড়া বিধিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে পুঁজিবাজারে মার্জিন অর্থায়নে বিদ্যমান ঝুঁকিসমূহ(প্রাতিষ্ঠানিক ঝুঁকি, ক্রেডিট ঝুঁকি, পদ্ধতিগত ঝুঁকি, ইত্যাদি) এবং উক্ত ঝুঁকিসমূহ হ্রাসকরণ তথা যথাযথ মার্জিন অর্থায়ন ব্যবস্থাপনা ও সুশাসন নিশ্চিতকরণ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে খসড়া বিধিমালাটি জনমত যাচাইয়ের জন্য কমিশনের ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে খসড়া বিধিমালাটির উপর সংশ্লিষ্ট অংশীজন, বিনিয়োগকারী ও জনসাধারণের মতামত, পরামর্শ বা আপত্তি আহ্বান করা হয়েছে। জনমত যাচাই তথা অংশীজন বা সংশ্লিষ্টদের মতামত, পরামর্শ বা আপত্তি গ্রহণের পর সার্বিক বিচার বিবেচনা পূর্বক প্রয়োজনীয় সংযোজন-বিয়োজন-পরিমার্জন করে বিধিমালাটি চূড়ান্ত করবে কমিশন।
বর্তমানে খসড়া বিধিমালাটি কমিশনের একটি প্রস্তাবনা যা সংশ্লিষ্টদের মতামত, পরামর্শ বা আপত্তি বিবেচনায় নিয়েই চূড়ান্ত করা হবে এবং পরবর্তীতে চূড়ান্ত বিধিমালাটি সরকারি গেজেটে প্রকাশের মাধ্যমে কার্যকর করা হবে।