জাতীয়
ব্যালট বাক্সের হিসাব দিতে মাঠ কর্মকর্তাদের ইসির নির্দেশ

আগামী ২৫ আগস্টের মধ্যে ব্যালট বক্সের হিসাব দিতে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে মাঠ কার্যালয়ের গোডাউন খালি করতেও বলেছে সংন্থাটি।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ এরইমধ্যে নির্দেশনাটি সব আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্যবহার উপযোগী ব্যালট বাক্সের হালনাগাদ হিসাব আগামী ২৫ আগস্টের মধ্যে নির্বাচন পরিচালনা-১ অধিশাখায় পাঠাতে হবে।
এছাড়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মালামাল সুষ্ঠুভাবে সংরক্ষণের জন্য গোডাউনে পর্যাপ্ত জায়গা খালি রাখার উদ্দেশ্যে মালামাল স্থানান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দের চাহিদাও পাঠাতে হবে।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কেনাকাটা শুরু হয়েছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব উপকরণ কেনা শেষ করতে চায় কমিশন।
কাফি

জাতীয়
বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী পাকিস্তান

বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতামূলক ও অগ্রসরমুখী সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। শনিবার (২৪ আগস্ট) ঢাকায় আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ ইচ্ছার কথা জানান দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দার। বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দারের উদ্যোগে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক এক্স পোস্টে এ তথ্য জানায়।
অনুষ্ঠানে সরকারের উপদেষ্টা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, আমলা, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বুদ্ধিজীবী, থিংক ট্যাংক প্রতিনিধি, সাংবাদিক, ক্রীড়াবিদ, শিল্পী ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। সংবর্ধনায় পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খানও অংশ নেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী পাকিস্তান
বক্তব্যে ইসহাক দার বলেন, পাকিস্তানের জনগণ সবসময় বাংলাদেশের জনগণের প্রতি ভ্রাতৃত্বপূর্ণ অনুভূতি পোষণ করে আসছে। দুই দেশের সম্পর্ক শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য, ইসলামি উত্তরাধিকার, সামাজিক মূল্যবোধ ও সাহিত্যিক বন্ধনের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশের জনগণের শান্তি, সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসলামাবাদ ঢাকা’র সঙ্গে আরও সহযোগিতামূলক ও ভবিষ্যতমুখী সম্পর্ক গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর।
জাতীয়
বাংলাদেশ থেকে লক্ষাধিক টাকা বেতনে নার্স নেবে কুয়েত

সরকারিভাবে বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (বোয়েসেল) মাধ্যমে ১০০ জন নার্স নেবে কুয়েত। সম্প্রতি প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বোয়েসেলের সহকারী পরিচালক নোমান চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক পত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
বোয়েসেলের পত্রে বলা হয়, ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী নার্সের কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তাদের বয়স ৩৯ বছরের মধ্যে হতে হবে। তিন মাস শিক্ষানবিশ কাল শেষে এই চাকরি তিন বছরের ইনক্রিমেন্টসহ নবায়নযোগ্য হবে।
নির্বাচিত প্রার্থীদের মধ্যে বিএসসি (স্নাতক) পাস পুরুষ নার্স ২০ জন, নারী ৩০ জন এবং ডিপ্লোমা পাস পুরুষ ১০ জন, নারী ৪০ জন। যাদের প্রত্যেকের বেতন হবে ১ লাখ ২৭ হাজার ৩৬০ টাকা।
নির্বাচিত প্রার্থীদের বোয়েসেলের নির্ধারিত সার্ভিস চার্জ ৫৬ হাজার ৩৫০ টাকা প্রদান করতে হবে। এছাড়া গামকা থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং ঢাকায় কুয়েত দূতাবাস থেকে ভিসা স্ট্যাম্পিং ফিসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য ফি দিতে হবে।
চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের বেসিক লাইফ সাপোর্ট (বিএলএন) প্রশিক্ষণের বৈধ সনদ থাকতে হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদন লিংক https://brms.boesl.gov.bd। লিংকে সব তথ্য পূরণপূর্বক ইংরেজিতে এক কপি জীবনবৃত্তান্ত, সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, অভিজ্ঞতার সনদ, মার্কশিট, ট্রান্সক্রিপ্ট, রেজিস্ট্রেশন ও পাসপোর্টের রঙিন কপি একটি পিডিএফ ফাইল তৈরি করে আপলোড করতে হবে।
২০ আগস্ট থেকে আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদন নেওয়া হচ্ছে। অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে অবশ্যই আবেদন ফি বাবদ ১০০ টাকা ও চার্জ পরিশোধ করতে হবে।
উল্লেখ্য, ভিসা ইস্যুর জন্য প্রার্থী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিলের পর যদি তিনি কুয়েতে যেতে না চান, তাহলে বোয়েসেলে দাখিলকৃত তার পে-অর্ডারটি বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হবে।
জাতীয়
বৈঠকে বসেছেন তৌহিদ-ইসহাক, হতে পারে ৬ চুক্তি

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছে। ঢাকার হোটেল সোনারগাঁয়ে এ বৈঠকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দার। বৈঠকে ছয়টি চুক্তি ও সমঝোতা সই হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে প্রাতঃরাশ বৈঠক করেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সকাল ১০টায় দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আগে একান্ত বৈঠকে বসেন তৌহিদ হোসেন ও ইসহাক দার। এরপর প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক শুরু হয় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের। এ বৈঠকে নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা।
দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক, আঞ্চলিক সহযোগিতা ও পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয় আলোচনায় আসবে বলে কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সরকারের পক্ষ থেকে ইসহাক দারের সফর উপলক্ষে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়েছে। বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে তিনি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। পরে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের কর্মসূচি রয়েছে।
এছাড়া পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গেও দেখা করবেন। সফর শেষে রোববার রাতে বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়বেন তিনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ছয়টি যে ছয়টি চুক্তি ও সমঝোতা সইয়ের কথা রয়েছে, সেগুলো হলো, কূটনৈতিক ও সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি চুক্তি, সাংস্কৃতিক বিনিময় নিয়ে সমঝোতা, দুই দেশের ফরেন সার্ভিস একাডেমির মধ্যে সমঝোতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে যৌথ গ্রুপ গঠন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) ও পাকিস্তানের সমপর্যায়ের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতা এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) ও পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার মধ্যে সমঝোতা। এ ছাড়া দুই দেশের মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ও কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তি সইয়ের বিষয়েও আলোচনা চলছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, দুই পররাষ্ট্র মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে রাজনৈতিক সম্পর্ক, বাণিজ্য, অর্থনীতি, আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং বৈশ্বিক ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা হবে বলে কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে। এর মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও আন্তঃসংযোগকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এ লক্ষ্যে পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বৈঠকে ১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা, যুদ্ধক্ষতির ক্ষতিপূরণ, বাংলাদেশে আটকে পড়া পাকিস্তানিদের প্রত্যাবাসন, যৌথ সম্পদের বণ্টন এবং ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে প্রাপ্ত বৈদেশিক সহায়তার পাওনা আদায়ের বিষয়গুলোও তুলে ধরা হবে বলে জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
জাতীয়
সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের শুনানি শুরু আজ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে শুনানি শুরু হচ্ছে আজ রোববার (২৪ আগস্ট)। চলবে বুধবার (২৭ আগস্ট) পর্যন্ত। এই চারদিনে এক হাজার ৭৬০টি দাবি-আপত্তির শুনানি করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম এসব তথ্য গণমাধ্যমকে জানান।
তিনি বলেন, ‘রোববার (২৪ আগস্ট) থেকে আমরা সীমানা নির্ধারণে দাবি-আপত্তির যে আবেদনগুলো এসেছে সেগুলোর শুনানি শুরু হবে। যা চলবে বুধবার (২৭ আগস্ট) পর্যন্ত।
শরিফুল আলম জানান, এসব দাবি-আপত্তির বিষয়ে শুনানি গ্রহণের পর পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, রোববার (২৪ আগস্ট) কুমিল্লা অঞ্চলের ১৮টি আসনের বিপরীতে ৬৮৩টি দাবি-আপত্তির বিষয়ে শুনানি গ্রহণ করা হবে। পরদিন সোমবার (২৫ আগস্ট) খুলনা অঞ্চলের ৯৮টি, বরিশাল অঞ্চলের ৩৮১টি এবং চট্টগ্রামের ২০টি শুনানি গ্রহণ করা হবে। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ঢাকা অঞ্চলের ৩১৬টি আসনের দাবি-আপত্তির শুনানি গ্রহণ করবে ইসি এবং সবশেষ বুধবার (২৭ আগস্ট) রংপুরের সাতটি, রাজশাহীর ২৩২টি ময়মনসিংহের তিনটি, ফরিদপুরে ১৮টি এবং সিলেট অঞ্চলের দুটি আসনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন কমিশনে মোট ৮৩টি আসনের সীমানা পরিবর্তনে এক হাজার ৭৬০টি আবেদন জমা পড়ে। সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়ে কুমিল্লা অঞ্চল থেকে ৬৮৩টি। সবচেয়ে কম আবেদন ছিল রংপুর অঞ্চলে সাতটি। সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়ে একক আসন হিসেবে কুমিল্লা-১ আসনে, ৩৬২টি। পিরোজপুর-১, পিরোজপুর-২ ও পিরোজপুর-৩ আসন থেকে আবেদন পড়ে ২৮৭টি। সিরাজগঞ্জ ৫ ও সিরাজগঞ্জ-৬ আসন থেকে আবেদন পড়ে ২২০টি।
এদিকে, ঢাকার মধ্যে ঢাকা-১ আসনে আবেদন পড়ে সবচেয়ে বেশি ৭৯টি।
গত ৩০ জুলাই ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে খসড়া প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এতে ভোটার সংখ্যার সমতা আনতে গিয়ে গাজীপুর জেলায় একটি আসন বাড়িয়ে ছয়টি করা হয়। বাগেরহাটের আসন চারটি থেকে কমিয়ে তিনটির প্রস্তাব করা হয়।
এছাড়া পরিবর্তন আনা হয় ৩৯টি আসনে। এগুলো হলো, পঞ্চগড় ১ ও ২; রংপুর ৩; সিরাজগঞ্জ ১ ও ২; সাতক্ষীরা ৩ ও ৪; শরীয়তপুর ২ ও ৩; ঢাকা ২,৩,৭, ১০, ১৪ ও ১৯; গাজীপুর ১, ২, ৩, ৫ ও ৬; নারায়ণগঞ্জ ৩, ৪ ও ৫; সিলেট ১ ও ৩; ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ ও ৩; কুমিল্লা ১, ২, ১০ ও ১১; নোয়াখালী ১, ২, ৪ ও ৫; চট্টগ্রাম ৭ ও ৮ এবং বাগেরহাট ২ ও ৩ আসন।
দাবি-আপত্তিগুলোর শুনানি শেষে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।
জাতীয়
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে আরও শক্তিশালী করা হবে: আইন উপদেষ্টা

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯ সংশোধনের মাধ্যমে কমিশনকে আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গঠনে স্বচ্ছ, উন্মুক্ত ও প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়া দরকার। তাহলে প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্তরা নাগরিকদের মানবাধিকার রক্ষায় সর্বোচ্চ সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করবেন।
শনিবার (২৩ আগস্ট) সিলেটে অংশীজন কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন আইন উপদেষ্টা। আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে যৌথভাবে এ কর্মশালা আয়োজন করে। এতে সহযোগিতা করে ঢাকার সুইজারল্যান্ডের দূতাবাস ও ইউএনডিপি।
আইনের যথাযথ সংশোধন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও আস্থাভাজন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন আইন উপদেষ্টা।
কর্মশালায় আইন ও সংসদবিষয়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম শাফায়েত হোসেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন-২০০৯ এর ওপর একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এতে কমিশনের ম্যান্ডেট, সীমাবদ্ধতা ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হয়।
ইউএনডিপি বাংলাদেশের উপ-আবাসিক প্রতিনিধি আনোয়ারুল হক বক্তৃতায় আইনটির বিভিন্ন ধারা সংশোধনের মাধ্যমে শক্তিশালী মানবাধিকার কমিশনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
আইন ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব হাফিজ আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তৃতা করেন— সিলেটের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। অংশ নেন সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, মানবাধিকার কর্মী, আইনজীবী, শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যমকর্মী ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তিরা।
কর্মশালায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা প্রতিরোধ ও প্রতিকার এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রয়োজনীয় সংস্কার বিষয়ে গঠনমূলক মতামত দেন বক্তারা। তারা আইনি সংস্কারের মাধ্যমে কমিশনের নিয়োগ প্রক্রিয়া শক্তিশালী করারও প্রস্তাব দেন।