জাতীয়
গেন্ডারিয়ায় ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণে একই পরিবারের দগ্ধ ৩

রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় সড়কের পাশে থাকা বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণের কারণে একটি ফ্ল্যাটে আগুন লেগে একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের দ্রুত জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাত ২টার দিকে গেন্ডারিয়া হরিচরণ রোডের একটি বাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন মোসলেম উদ্দিন (৬৫), তার স্ত্রী সালমা বেগম (৫০) এবং ছেলে মেজবাহ উদ্দিন (২৮)।
পরিবারের স্বজনরা জানান, গেন্ডারিয়ার ওই বাসার দ্বিতীয় তলায় তারা থাকতেন। বাসার পাশে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার স্থাপন করা ছিল। মধ্যরাতে ট্রান্সফরমারে বিস্ফোরণ ঘটে, যা থেকে আগুন লেগে যায় বাসায়। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ফলে পরিবারটির তিনজন দগ্ধ হন। ভোরে তাদের উদ্ধার করে দ্রুত জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সুলতান মাহমুদ সিকদার জানান, মোসলেম উদ্দিনের শরীরের ৯০ শতাংশ, সালমার ৫৫ ও মেজবাহর ১০০ শতাংশই পুড়ে গেছে। এ ছাড়া তাদের শ্বাসনালিও পুড়ে গেছে। ৩ জনের অবস্থায় আশঙ্কাজনক।
এদিকে গেন্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাহেব খান জানান, রাতে ওই গেন্ডারিয়া বাসায় আগুন লাগার পরপরই ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে। পরিবারের লোকজন প্রথমে ট্রান্সফরমারের কথা বললেও ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে ট্রান্সফরমার থেকে আগুনের ঘটনা ঘটেনি। ওই বাসার চুলা থেকেই আগুনে ঘটনা ঘটেছে। তবু বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

জাতীয়
বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার আরও ১ হাজার ৮৮০ জন

সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশেষ অভিযানে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত এক হাজার ২৯৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ছাড়া অন্যান্য ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ৫৮৫ জন।
শুক্রবার (২২আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) এএইচএম শাহাদাত হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত এক হাজার ২৯৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫৮৫ জন। সবমিলিয়ে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক হাজার ৮৮০ জনকে।
অভিযানিক কার্যক্রমে উদ্ধার করা হয়েছে একনলা বন্দুক একটি, পুরাতন পাইপগান ৩টি, চাপাতি ৩টি, ছুরি ৬টি, বার্মিচ চাকু ২টি, এলজি ৬টি, চাকু ৩টি, কার্তুজ ৯ রাউন্ড, কিরিচ একটি ও রামদা একটি।
জাতীয়
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বাস ভাড়া পাঁচ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা আসার আগ পর্যন্ত ৫০ টাকা ভাড়ায়ই এই রুটে বাস চলাচল করবে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকালে এক বিবৃতিতে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা এ কথা জানান।
এ সময় ডিসি জানান, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলকারী বন্ধন ও উৎসব পরিবহনের বর্ধিত ভাড়ার বিষয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হলো। সেহেতু ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বন্ধন ও উৎসব পরিবহন এর ভাড়া আগের মতো বহাল থাকবে।
এর আগে গত ২০ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ আয়োজিত নারায়ণগঞ্জ জেলা যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটির সভায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বাসভাড়া পাঁচ টাকা বাড়িয়ে ৫৫ টাকা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে বাসভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্তের পর থেকে নারায়ণগঞ্জে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা এর তীব্র প্রতিবাদ জানান।
জাতীয়
সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর নতুন বেতন নির্ধারণে কমিটি

সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণে সরকার ‘সশস্ত্র বাহিনী বেতন কমিটি, ২০২৫’ গঠন করেছে।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ থেকে বৃহস্পতিবার জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নয় সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটির সভাপতি করা হয়েছে লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. ফয়জুর রহমানকে। এই কমিটি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য যুগোপযোগী বেতন কাঠামো প্রণয়নের বিষয়ে সুপারিশ করবে বলে জানা গেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘প্রধান উপদেষ্টা প্রীত হয়ে প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যবৃন্দের জন্য (বেসামরিক কর্মকর্তা/কর্মচারী ব্যতীত) ‘সশস্ত্র বাহিনী বেতন কমিটি, ২০২৫’ নামে একটি বেতন কমিটি গঠনের জন্য সদয় অনুমোদন প্রদান করেছেন।’
কমিটিকে জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫ এর সঙ্গে সমন্বয় এবং নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করে কাজ করতে বলা হয়েছে। আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে তাদের সুপারিশের ২৫ কপি বই আকারে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে জমা দিতে বলা হয়েছে।
সাবেক অর্থ সচিব জাকির আহমেদ খানকে সভাপতি করে গত ২৭ জুলাই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণে ‘জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫’ গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বেতন কমিটিতে মেজর জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ, রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. জহির উদ্দিন, এয়ার ভাইস মার্শাল রুসাদ দীন আছাদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অং চ ছা মং, এয়ার কমডোর জামিল উদ্দিন আহম্মদ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মিলিয়া শারমিন এবং ক্যাপ্টেন মো. তৌহিদ সাগরকে সদস্য করা হয়েছে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নিশাদুল ইসলাম খানকে কমিটির সদস্যসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
কমিটিকে সশস্ত্র বাহিনীর আওতাভুক্ত সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের (এমওডিসি এবং ধর্মীয় পরামর্শদানকারী কর্মকর্তাসহ) বর্তমান বেতন-ভাতা, অবসরভাতা ও পারিবারিক অবসরভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা পর্যালোচনা করে সময়োপযোগী ও যথোপযুক্ত বেতন কাঠামো নির্ধারণে সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
এই কমিটিকে বিশেষায়িত চাকরিধারীদের বেতন কাঠামো নির্ধারণ; বেতন-ভাতার ওপর আরোপযোগ্য কর (আয়কর) জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাভুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্তৃক সরাসরি পরিশোধ করার ক্ষেত্রে বেতন কাঠামো স্থিরীকরণ; বেতনবহির্ভূত অন্যান্য সুবিধা যেমন- বাড়িভাড়া, চিকিৎসা, যাতায়াত, আপ্যায়ন, প্রেষণ, কার্যভার, মহার্ঘ, উৎসব এবং শ্রান্তিবিনোদন ভাতা নিরূপণ করতে বলা হয়েছে।
কমিটিকে মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন সমন্বয়ের পদ্ধতি নিরূপণ; যথোপযুক্তবা সময়োপযোগী পেনশনসহ অবসর সুবিধা নির্ধারণ; কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের মান নিরূপণ বা মূল্যায়ন করে বেতন-ভাতা কাঠামোয় প্রতিফলন; সরাসরি সেবা (টেলিফোন, গাড়ি, মোবাইল ফোন ইত্যাদি) সংক্রান্ত প্রাধিকার আর্থিক সুবিধায় নগদায়ন এবং রেশন সুবিধা যৌক্তিকীকরণ করার সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া উচ্চতর গ্রেড ও ইনক্রিমেন্ট প্রাপ্তিতে বেতনক্রম নিরীক্ষায় কোনো অসংগতি পরিলক্ষিত হলে তা দূরীকরণের সুপারিশ; বেতনক্রমের বিদ্যমান অসংগতি পুনঃপরীক্ষাপূর্বক বাহিনীগুলোর মধ্যে বিরাজমান বেতন-ভাতার বৈষম্য (যদি থাকে) তা দূরীকরণের সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
বেতন কমিটিকে বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে জীবনবেগী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাকরির বিষয়ে পদমর্যাদা ও পদবিন্যাস নির্ধারণ; বিভিন্ন কর্মকর্তাদের নির্দিষ্ট গুচ্ছভুক্ত করার পদ্ধতি নিরূপণ; উচ্চতর স্তরে পদায়ন করতে গিয়ে প্রতিযোগিতার সুযোগ নির্ধারণ; জীবনবেগী চাকরিতে পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতার গুরুত্ব নিরূপণ করতে বলা হয়েছে।
পিতা-মাতাসহ অনূর্ধ্ব ছয়জনের একটি পরিবারের জীবনযাত্রার ব্যয় বিবেচনায় নিয়ে কমিশনকে সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া অনূর্ধ্ব দুই সন্তানের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যয়; দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সরকারের সম্পদ পরিস্থিতি, প্রশাসনিক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য সম্পদের প্রয়োজনীয়তা; সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের অবস্থা; দারিদ্র্য নিরসনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় সম্পদ জোগান ক্রমান্বয়ে স্বনির্ভরতা অর্জনের উপায়; মেধাবী ও দক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগ; কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা ও কর্মোদ্যোগ বৃদ্ধি করে সেবার মান উন্নয়ন; দেশের মৌলিক নীতিমালার সঙ্গে প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিশেষ সম্পর্ক; জীবনযাত্রার ব্যয়ভার ও মান; জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫ এর প্রস্তাবিত স্কেলের সাথে ভারসাম্য রক্ষা; মেধাবী ও দক্ষ কর্মকর্তা আকৃষ্ট করার প্রয়োজনীয়তা; সশস্ত্র বাহিনীর অতীত কীর্তি ও ভাবমূর্তি; শান্তি ও যুদ্ধকালে দেশ ও জাতির প্রতি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব ও কর্তব্য; প্রশিক্ষণ ও চাকরিকালে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বিপদ সংকুল অবস্থা, কঠোর পরিশ্রম ও ত্যাগী জীবন; পরিবার হতে বিচ্ছিন্ন থেকে জীবনের সর্বোৎকৃষ্ট সময় চাকরিতে ব্যয়; চাকরি জীবনে শারীরিক ও মানসিক যোগ্যতার আদর্শমান বজায় রাখা; দায়িত্ব কর্তব্য সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করাণার্থে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকা; তুলনামূলক কম দীর্ঘ চাকরির কারণে অল্প বয়সে চাকরি হতে অবসর গ্রহণ; যুদ্ধাবস্থা ছাড়াও যে কোনো দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা মোকাবিলায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্তব্য পালনের বিষয়গুলো কমিটিকে বিবেচনায় রাখতে বলা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, কমিটি সুপারিশ প্রণয়নের ক্ষেত্রে নিজস্ব নীতি ও পদ্ধতি অনুসরণ করবে। প্রয়োজনবোধে দেশের যে কোনো সংস্থার কাছে যে কোনো তথ্য চাইতে পারবে এবং যে কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার সহায়তা নিতে পারবে। এছাড়া কমিটি প্রয়োজনবোধে তিন বাহিনীর জন্য পৃথক পৃথক তিনটি সাব-কমিটি গঠন করে তাদের সুপারিশ বিবেচনা করতে পারবে। সশস্ত্র বাহিনীর যে কোনো সদস্যকে প্রয়োজনে এই কমিটি বা সাব-কমিটির সঙ্গে সংযোজন করতে পারবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
কাফি
জাতীয়
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের বিশেষ দূতের সাক্ষাৎ

মিয়ানমারে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক টম অ্যান্ড্রুজ।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বের প্রশংসা করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রোহিঙ্গা ইস্যুটিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় তাদের এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগে রোহিঙ্গা বিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সেটিও অ্যান্ড্রুজ স্মরণ করিয়ে দেন।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের আশাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য ড. ইউনূস এবং রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও সহায়তা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি বিশ্ব কৃতজ্ঞ।
প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন যে, জাতিসংঘ সম্মেলন এই দীর্ঘস্থায়ী সংকট সমাধানের জন্য সুনির্দিষ্ট পথ প্রদান করবে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য সাম্প্রতিক আর্থিক সহায়তা হ্রাসের ফলে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসহ প্রয়োজনীয় সেবায় বড় ধরনের প্রভাব পড়ছে। তিনি অ্যান্ড্রুজকে পর্যাপ্ত তহবিল নিশ্চিত করতে তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান এবং আশা প্রকাশ করেন, আসন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলন থেকে এ সমস্যার সমাধানের পথ বের হবে।
অ্যান্ড্রুজ সংকট সমাধানে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন সম্পৃক্ততার প্রশংসা করেন। তবে তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, রাখাইনকে স্থিতিশীল করতে এবং শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তনের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্যোগটি দুরভিসন্ধিমূলক প্রচারণার কারণে ব্যর্থ হয়েছে।
এমন বিপর্যয় সত্ত্বেও অ্যান্ড্রুজ আশাবাদী, সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর অব্যাহত প্রচেষ্টা দ্রুত ও স্থায়ী সমাধান এনে দিতে পারে এবং এ লক্ষ্যে বাংলাদেশের নেতৃত্বের ভূমিকা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
আগামী ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা ইস্যুতে কক্সবাজারে স্টেকহোল্ডার সংলাপে অংশ নিতে অ্যান্ড্রুজ বাংলাদেশ সফর করছেন। প্রধান উপদেষ্টা ওই সংলাপের উদ্বোধন করবেন।
কাফি
জাতীয়
মেহেরপুর সীমান্ত থেকে বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

মেহেরপুরের কুতুবপুর সীমান্ত থেকে ইকবাল হোসেন (৩৮) নামের এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। ইকবাল হোসেন কুতুবপুর গ্রামের জারাবাত হোসেনের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে কুতুবপুর মাঠে ঘাস কাটার সময় ভারতের ৫৬ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের তেইনপুর ক্যাম্পের সদস্যরা আটক করে ধরে নিয়ে যান ইকবালকে।
ইকবালের স্ত্রী ফেরদৌসি আরা জানান, দুপুরে মাঠ থেকে ধান লাগানোর কাজ করে বাড়িতে আসে। দুপুরে খাওয়া-দাওয়া সেরে গরুর জন্য ঘাস কাটতে যায়। ঘাস কাটতে কাটতে ভারতীয় সীমানার মধ্যে ঢুকে পড়ে ইকবাল হোসেন। এসময় ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা তাকে আটক করে বেধড়ক মারপিট শুরু করে। এখনও পর্যন্ত তাকে ফেরত দেয়নি বিএসএফ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভারতীয় সীমানায় অনুপ্রবেশের অপরাধে তাকে ধরে মারতে মারতে বিএসএফ ক্যাম্পে নিয়ে গেছে। বিজিবি পতাকা বৈঠকের ডাক দিলেও বিএসএফ তাতে সাড়া দেয়নি।
কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব মোর্শেদ রহমান বলেন, ইকবাল হোসেন ১৩২/১৫-আর সীমান্ত পিলারের কাছে কুতুবপুর মাঠ নামক স্থানে ঘাস কাটার সময় ভারতের ৫৬ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের তেইনপুর ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে আটক করেন।
বর্তমানে বিএসএফের হাতিশালা ক্যাম্পের হেফাজতে সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছেন আটককৃত ইকবাল হোসেন। তাকে ফেরত আনার ব্যাপারে কাথুলী কোম্পানি কমান্ডার কর্তৃক প্রতিপক্ষ ৫৬ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের রাউথবাড়ী কোম্পানি কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে, আটককৃত বাংলাদেশিকে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দেওয়া হবে বলে বিএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বর্তমানে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাকে ফেরত আনার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
কাফি