রাজনীতি
প্রচলিত ধারার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে: তারেক রহমান

একটি নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে চাইলে অবশ্যই প্রচলিত ধারার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনাসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, প্রত্যেক মা-বাবা তার সন্তানের জন্য একটি নিরাপদ ভবিষ্যৎ রেখে যেতে চান। প্রত্যেক মা-বাবার চাওয়া-পাওয়া কিংবা প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্য নিয়েই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল আগামী দিনের রাজনৈতিক পরিকল্পনা এবং কর্মসূচি গ্রহণ করছে। কারণ বিএনপি মনে করে বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে একটি নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে চাইলে অবশ্যই আমাদের প্রচলিত ধারার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, প্রতিরোধ, প্রতিহিংসা ও কথামালার রাজনীতির পরিবর্তে বাস্তবধর্মী পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রচলিত রাজনীতির ধারার গুণগত পরিবর্তন ঘটাতে হবে। বর্তমানে সমগ্র বিশ্ব আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) যুগে প্রবেশ করছে। এই সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কিন্তু আমাদের পিছিয়ে থাকার কোনো রকম সুযোগ নেই। এই সময়ের চাহিদার দিকে লক্ষ রেখে বিএনপি ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সেক্টরকে চিহ্নিত করে সুনির্দিষ্ট এবং সুচিন্তিত পরিকল্পনা নির্ধারণ করছে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করার পর অথবা কোনো কারণে ড্রপআউট (পড়াশোনা শেষ করতে না পারলে) হলে তাকে যাতে বেকার জীবন কাটাতে না হয় সেই পরিকল্পনাকে সামনে রেখেই শিক্ষা কারিকুলামে স্কুল পর্যায় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত অন্তত একাডেমিক স্টাডির পাশাপাশি ব্যাবহারিক এবং কারিগরি শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।
তারেক রহমান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করেছে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণ দেড় দশকের বেশি সময় পর নিজেদের এজেন্ডা-ম্যানিফেস্টো বাস্তবায়নের সুযোগ পাবে। তবে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোর কিছু সদস্যের বক্তব্যে গণতন্ত্রকামী জনগণের মনে নানা প্রশ্ন জন্ম দিয়েছে।
দেশের সব রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে তিনি বলেন, দূরত্ব তৈরি হলে রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে পতিত, পরাজিত ফ্যাসিস্ট চক্রের পুনর্বাসনের পথ সহজ হয়ে উঠবে, তাদের সুযোগ তৈরি হবে। তাই সতর্ক ও সজাগ থাকতে গণতন্ত্রকামী জনগণের প্রতি বিনীত আহ্বান জানাই।
কাফি

রাজনীতি
জুলাইয়ের স্বীকৃতি হিসেবে প্রবাসীদের ভোটের সুযোগ দিতে হবে: ড. হেলাল উদ্দিন

ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার পতনের আন্দোলনে অন্যতম ভূমিকার রাখেন দেশের প্রবাসীরা। তাদের অবদান ভোলার নয়। স্বীকৃতি হিসেবে আগামী নির্বাচনে তাদের ভোট প্রদানের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী আয়োজিত ডিজিটাল ইলেকশান ক্যাম্পেইন ওয়ার্কাশপে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াত ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি শামসুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় ছিলেন পল্টন থানা আমীর শাহিন আহমেদ খান।
এসময় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম, সাবেক ছাত্র নেতা শরিফুল ইসলাম, মহনগরের সহকারী মিডিয়া সম্পাদক সাবেক ছাত্র নেতা আশরাফুল আলম ইমন উপস্থিত ছিলেন।
হেলাল উদ্দিন বলেন, দেশের যে কোন ক্লান্তি লগ্নে প্রবাসীরাই হাত এগিযে আসেন। বিশেষ করে জুলাই আন্দোলনে প্রবাসীদের পক্ষ থেকে হাসিনা সরকারের পতনের লক্ষ্যে ‘রেমিট্যান্স শাটডাউন’ ও বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেন। বিদেশে থেকেই হাসিনা পতনের আন্দোলন কারার কারণে অনেকেই জেলে আছেন, অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন। এখন পর্যন্ত এই সকল ভাইদের কোন খোঁজ খবর নেওয়া হয়নি। তাদের যথাযত সম্মান বা স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। আমি চাই তাদের সম্মানিত কারা হোক। আগামী নির্বাচনেও প্রবাসীদের ভোট গ্রহণ দেশের জন্য গুরুত্ব বহন করে। প্রবাসে প্রায় এক কোটি ভোটার রয়েছে। তাদের ভোটের সুযোগ করে দিন। অন্ত:বর্তী সরকার যদি নিবন্ধনজনিত জটিলতার কারণ দেখিয়ে প্রবাসীদের ভোট বাতিলের ষড়যন্ত্র করে তাহলে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। স্বৈরাচার সরকার পতনের সময় যে ভূমিকা রেখেছিলাম, প্রবাসী ভোটাধিকার আদায়ের ক্ষেত্রেও একই ভূমিকা রাখবে।
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর বলেন, স্বৈরাচার পতনে হাসিনা সরকারের ওপর অনাস্থা দিয়ে ‘রেমিট্যান্স শাটডাউন’ ঘোষণা করেছিলেন প্রবাসীরা; কিন্তু সরকার পতনের পর তারা নতুন সরকারের ওপর আস্থা রেখেছেন। এজন্য এরই মধ্যে আমাদের রেমিট্যান্স এক বছরের সর্বোচ্চ ৩০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অর্জন করতে পেরেছি। আশা করা যায়, এই ধারা অব্যাহত রাখবেন রেমিট্যান্স যোদ্ধারা। এ ছাড়া আমাদের রেমিট্যান্স বাড়ানোর আরও অনেক সুযোগ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে আমাদের প্রবাসীদের প্রশিক্ষিত করতে হবে। এজন্য সরকারকেও উদ্যোগ নিতে হবে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী তাদের তদারকি করবে।
তিনি আরও বলেন, জুলাইয়ে আন্দোলনের সময় অনেকেই আহত হয়েছে। তাদের সুচিকিৎসাসহ যথাযথ সম্মান দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। স্বৈরাচার হাসিনার দোসররা জুলাই বিপ্লবকে বিতর্কিত করতে এখনো দেশবিরোধী নানান ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিপ্লব বেহাতের অপচেষ্টাকারীদের রুখে দেবে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী।
কাফি
রাজনীতি
সংস্কার না করে পূর্বের নিয়মে নির্বাচন হতে পারে না: চরমোনাই পীর

দেশের আইনশৃঙ্খলা সুন্দর না হবে, কাংঙ্ক্ষিত সংস্কার না হবে, বিচার দৃশ্যমান না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত বাংলার জমিনে পূর্বের নিয়মে নির্বাচন হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম (চরমোনাই পীর)।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে’ এক বিক্ষোভ-সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। বিক্ষোভের আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর শাখা।
রেজাউল করিম বলেন, যদি কোনো অশুভচক্র চাপ প্রয়োগ করে প্রধান উপদেষ্টাকে সংস্কারের আগে নির্বাচনে ঘোষণা দিতে বাধ্য করে তাহলে আমরা পরিষ্কার বলছি- আমরা ছাত্র-জনতা কিন্তু রাজপথে ছাড়ি নাই। যতদিন পর্যন্ত দেশের আইনশৃঙ্খলা সুন্দর না হবে, কাংঙ্ক্ষিত সংস্কার না হবে, বিচার দৃশ্যমান না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত বাংলার জমিনে পূর্বের নিয়মে নির্বাচন হতে পারে না; হতে দেওয়া হবে না। কেননা, দেশ যখন আগুনের মতো জ্বলছিল তখন ছাত্র-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিল অন্যায়, খুন-খারাবি ও বৈষম্য থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য। তারা রক্ত দিয়ে দেশকে উদ্ধার করেছে।
চরমোনাই পীর বলেন, বিগত ৫৪ বছরে যে পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়েছে সেই নির্বাচন পদ্ধতি সংস্কারই হলো সংস্কারের প্রধান লক্ষ্য। সেই সংস্কারটাই হলো বিশ্বের বহু দেশের মতো পিআর পদ্ধতির নির্বাচন। এর মাধ্যমে বহুদেশে শান্তি এসেছে। কালো টাকার দৌরাত্ম্য, মাস্তানি ও সন্ত্রাস বন্ধ করার একমাত্র উপায় হলো পিআর পিদ্ধতির নির্বাচন। বিভিন্ন জরিপেও উঠে আসছে, অধিকাংশ মানুষই পিআর চায়। পিআর আজকে দেশের সব ধারার মানুষের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, সংস্কার দৃশ্যমান হতে হবে। নির্বাচনের আগেই জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতি দিতে হবে। নির্বাচনের পরে জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতি কেউ দিয়ে দেবে সেটা আশার গুড়ে বালি। সবাইকে আহ্বান জানাবো, টেন্ডারবাজি, রাহাজানি, সন্ত্রাস থেকে এবং বিদেশি অধিপত্য থেকে মুক্তির জন্য একমাত্র পদ্ধতি হলো পিআর পদ্ধতি। এই দাবি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কর্মসূচি চালিয়ে যাবে। তিনি জোড় দিয়ে বলেন, আমরা রাজপথ ছাড়ছি না।
সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাওলানা ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- দলের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা ইউনূস আহমদ, মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, দলের যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব আহমাদ আব্দুল কাইয়ুম, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহবিষয়ক সহসম্পাদক কেএম শরীয়াতুল্লাহসহ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতারা।
কাফি
রাজনীতি
নির্বাচন নিয়ে কোনো সংশয় নেই বিএনপির: সালাহউদ্দিন

আসন্ন নির্বাচন নিয়ে বিএনপির কোনো সংশয় নেই বলে জানিয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, বিএনপি বিশ্বাস করে আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) গুলশানে নিজের বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতিও প্রায় শেষ হয়ে গেছে। নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো সংশয় নেই।
তিনি বলেন, যারা মাঠে নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন, তারা কৌশলগত কারণে বলছেন। এ বিষয়ে মন্তব্য করার কিছু নেই।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত জুলাই সনদ প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, ৮৪ দফার মধ্যে অনেকগুলোতেই সব দলের ঐকমত্য হয়েছে, তবে ১৫টি বিষয়ে বিভিন্ন দল নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে। এর মধ্যে বিএনপি দিয়েছে ১০টিতে।
সংবিধান সংশোধন প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, সনদে এমন কিছু প্রস্তাব এসেছে যা অধ্যাদেশ বা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন সম্ভব। তবে সংবিধান সংশোধনের বিষয়গুলো নির্বাচিত সংসদকে তাদের মেয়াদের প্রথম দুই বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নতুন খসড়ায় সেটি অনুপস্থিত।
জুলাই সনদকে সংবিধানের ওপরে জায়গা দেওয়ার সুযোগ নেই মন্তব্য করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, কোনো ডকুমেন্টই সংবিধানের ঊর্ধ্বে হতে পারে না। যদি সেটি করা হয়, তাহলে ভবিষ্যতের জন্য খারাপ নজির তৈরি হবে।
তিনি বলেন, আগের খসড়ায় বলা হয়েছিল সংসদ নির্বাচনের পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে সনদ বাস্তবায়ন করা হবে। নতুন সনদে সেই বিষয়টি নেই। তা ছাড়া সনদ নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না, এটাও সঠিক হয়নি।
সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, বিএনপি জুলাই সনদের কিছু বিষয়ে আরও নমনীয় হতে পারে। সংসদের উচ্চকক্ষের পিআর পদ্ধতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের মতো দুই-তিনটি বিষয়ে আপসে আসতে পারে।
আগামী ২০ আগস্ট বিএনপির পক্ষ থেকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে আনুষ্ঠানিক মতামত জমা দেওয়া হবে এবং ২৫ আগস্ট থেকে কমিশনের আলোচনায় আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেবে, জানান বিএনপির এই নেতা।
জুলাই সনদের খসড়ায় কিছু অসামঞ্জস্য থাকলেও আলোচনার মধ্য দিয়েই তা সমাধান সম্ভব এবং বিএনপি সে আলোচনায় অংশ নেবেও জানান সালাহউদ্দিন আহমদ।
রাজনীতি
‘মব’ সৃষ্টি করে মনোনয়নপত্র সংগ্রহে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদলের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে হল সংসদের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের সময় বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। সংগঠনটি বলছে, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল সংসদে একদল শিক্ষার্থী বিশৃঙ্খল ‘মব’ সৃষ্টি করে নেতাকর্মীদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহে বাধা দিয়েছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটি। এ সময় এসব অভিযোগ তুলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ও সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন।
লিখিত বক্তব্যে গণেশ চন্দ্র বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রাণের দাবি ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন। ক্যাম্পাসের সার্বিক পরিবেশ ও নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের অভাব স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান থাকা সত্ত্বেও গণতন্ত্র ও শিক্ষার্থীদের সেন্টিমেন্টকে ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঘোষিত তফসিল অনুসারে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার লক্ষ্যে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব নেতাকর্মীকে যথানিয়মে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের সাংগঠনিক নির্দেশনা প্রদান করি।
‘সেই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সব নেতাকর্মী আজ দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার লক্ষ্যে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছে। এর ধারাবাহিকতায় ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী নিজ হল সংসদের রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় হতে ফরম সংগ্রহ করতে গেলে একদল শিক্ষার্থী বিশৃঙ্খল মব সৃষ্টি করে তাদের ওপর হামলা করার চেষ্টা করে এবং মনোনয়ন ফরম সংগ্রহে বাধা সৃষ্টি করে।’
গণেশ বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অনুরোধে সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের এ হলের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত হলেও তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন এবং ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ না করতে পেরে বের হয়ে যেতে বাধ্য হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই ধারাবাহিক ব্যর্থতা এবং এমন নৈরাজ্যবাদী মব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে অনীহার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা এবং ডাকসু নির্বাচনের জন্য অত্যাবশ্যক লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের অভাব যে কতটা প্রকট, আজ এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার মাধ্যমে সেটি প্রতীয়মান হয়েছে।
ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
রাজনীতি
মাহিন সরকারকে বহিষ্কার করলো এনসিপি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব মাহিন সরকারকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) দলের যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, গুরুতর দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে তাকে স্ব-পদ ও দায়িত্ব থেকে দলের আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম এবং সদস্য সচিব আখতার হোসেনের নির্দেশক্রমে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহিষ্কার করা হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই বহিষ্কারাদেশ আজ (সোমবার) থেকে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে।
মাহিন সরকার আজ দুপুরে স্বতন্ত্র প্যানেলে প্রার্থী হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে জিএস পদে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।