জাতীয়
দেশে কিছু ভুয়া সমন্বয়ক সৃষ্টি হয়েছে : দুদক চেয়ারম্যান

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন বলেছেন, দেশে সম্প্রতি কিছু ভুয়া সমন্বয়ক সৃষ্টি হয়েছে, যা এক ধরনের অনাচার। তিনি বলেন, অফিস-আদালতে এসব ভুয়া অনাচারকারীর প্রতিরোধে প্রশাসনকে আরো উদ্যোগী হতে হবে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে রংপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে ‘দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘একাত্তর-পরবর্তী সময়ে যেমন সনদধারী ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সৃষ্টি হয়েছিল, ঠিক তেমনি ২০২৪-পরবর্তী সময়েও ভুয়া কিছু সমন্বয়ক সৃষ্টি হয়েছে।
যা একটি মহান আন্দোলনের প্রকৃত সমন্বয়কারীদের অসম্মানের শামিল। তাই এদের প্রতিরোধ করে প্রকৃত সমন্বয়কারীদের সম্মান ফেরাতে হবে।’
তিনি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘দায়িত্ব পালনের সময় দুর্নীতি ঢাকতে উৎকোচ গ্রহণ নয়, বরং কর্মক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রেখে রাষ্ট্রের অর্থ সাশ্রয় করুন। একই সঙ্গে দুর্নীতি প্রতিরোধ করে দাপ্তরিকভাবে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করুন।’
রংপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম, রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে রংপুর নগরীর স্টেশন রোডের আলমনগর এলাকায় ছয়তলা বিশিষ্ট দুর্নীতি দমন কমিশনের জেলা ও আঞ্চলিক সমন্বয় কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন দুদক চেয়ারম্যান। এ সময় তিনি ভবনের বিভিন্ন কাজ পরিদর্শন ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
দুদক চেয়ারম্যান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রমকে তৃণমূল পর্যায়ে আরো সক্রিয় ও কার্যকর করতে আমরা কাজ করছি।
জেলা ও আঞ্চলিক পর্যায়ে নতুন কার্যালয় প্রতিষ্ঠা দুর্নীতি দমনে গতি আনবে।’

জাতীয়
প্রবাসীদের রেমিটেন্সে অর্থনীতি মজবুত অবস্থায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে : প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি এক বছরের মধ্যে মজবুত অবস্থায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
আজ মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে একটি হোটেলে প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, স্বৈরশাসনের সময় টাকা চুরি করে ব্যাংক খালি করা হয়েছিল। পুরো আর্থিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছিল। কিন্তু প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের কারণে অর্থনীতি মজবুত অবস্থায় ফিরে এসেছে।
প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, সেই নির্বাচনে আপনারা ভোট দিতে পারবেন। নির্বাচন কমিশন এ নিয়ে কাজ করছে।
মালয়েশিয়ায় ব্যবসায়ী ও বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠকের কথা উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস জানান, মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বড় ধরনের বিনিয়োগের আশ্বাস পাওয়া গেছে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় যারা অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন, তাদের এই জটিলতা নিরসনে সরকার কাজ করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। প্রধান উপদেষ্টা অভিবাসন গমনেচ্ছুদের বৈধ কাগজপত্র নিয়ে বিদেশে আসার পরামর্শ দেন।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার শামীম আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বক্তব্য রাখেন।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে অধ্যাপক ইউনূস তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গতকাল কুয়ালালামপুরে পৌঁছান।
জাতীয়
৫জি চালু ও ডেটা সেন্টারে বিনিয়োগে আজিয়াটাকে ড. ইউনূসের আহ্বান

মালয়েশিয়ার শীর্ষস্থানীয় টেলিকম কম্পানি আজিয়াটাকে বাংলাদেশে ৫জি সেবা চালু করতে এবং ডেটা সেন্টারে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ‘বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সুযোগ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা এই আহ্বান জানান।
ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির জন্য উচ্চগতির ইন্টারনেট অপরিহার্য এবং বিশ্বব্যাপী কম্পানিগুলোকে ডিজিটাল অর্থনীতিতে অংশগ্রহণে আগ্রহী করতে হবে।
তিনি জানান, শীর্ষস্থানীয় টেলিকম অপারেটরদের জন্য ব্যবসায়িক সুযোগ বৃদ্ধিতে অন্তর্বর্তী সরকার লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া সহজতর করছে।
রবি সেলুলার অপারেটরের প্রধান শেয়ারহোল্ডার ও আজিয়াটা গ্রুপের সিইও বিবেক সুদ জানান, রবি গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে প্রায় ২০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে এবং ৫জি সেবা চালুর জন্য আগ্রহী। তবে পূর্ণ ৫জি বাস্তবায়নের জন্য দেশের ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ জরুরি।
তিনি ব্যয়বহুল স্পেকট্রাম ফি ও জটিল লাইসেন্সিং প্রক্রিয়াকে বিদেশি বিনিয়োগে বাধা হিসেবে উল্লেখ করেন। এছাড়া আজিয়াটা ডেটা সেন্টারে যৌথ বিনিয়োগেও আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বেসরকারি খাত ও নিয়ন্ত্রকদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা প্রয়োজন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো একে অপরকে কাছে আনা এবং বোঝাপড়া বৃদ্ধি করা।
অনুষ্ঠানে আজিয়াটা গ্রুপের চেয়ারম্যান শারিল রিদজা রিদজুয়ান নেতৃত্ব দেন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ।
জাতীয়
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ চাপে থাকায় মালয়েশিয়ার ‘উদ্বেগ’

মায়ানমারের রাখাইনে হত্যা ও নিপীড়নের মুখে পালিয়ে আসা বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের ওপর যে চাপ তৈরি হয়েছে তা নিয়ে মালয়েশিয়া উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) পুত্রাজায়ায় এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, ‘আঞ্চলিক বিষয়গুলোর পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের ওপর যে চাপ সৃষ্টি হয়েছে, আমরা অবশ্যই তাতে উদ্বিগ্ন।’
তিনি বলেন, ‘মায়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়টি অবশ্যই একটা বড় বিষয়।
একই সঙ্গে দুর্ভোগে থাকা শরণার্থী ও ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জরুরি মানবিক সহায়তাও প্রয়োজন।’ তিনি নিউইয়র্ক, কলকাতা ও মালয়েশিয়ায় বহুপাক্ষিক ফোরামে উদ্যোগ নেওয়ায় বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের প্রশংসা করেন।
তিনি জানান, মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে একটি দল গঠন করে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মায়ানমার সফর করবেন। এর উদ্দেশ্য হলো, সেখানে শান্তি নিশ্চিত করা এবং জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর যে নৃশংসতা চলছে, তার একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করা।
মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক নিয়ে আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, ‘মালয়েশিয়া বাংলাদেশকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে দেখে। কারণ বাংলাদেশের কর্মীরা এখানে একসঙ্গে কাজ করে মালয়েশিয়ার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।’
এ কারণেই মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মানবসম্পদ মন্ত্রী বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করতে সম্মত হয়েছেন, যাতে বাংলাদেশের কর্মীরা তাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেন এবং কর্মস্থলে নিরাপদ বোধ করেন, বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, ‘আপনারা কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন এবং সেগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে আটকে পড়া কর্মীদের সহায়তার জন্য।’
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পেট্রোনাসের সঙ্গে জ্বালানি খাতে এবং আজিয়াটার সঙ্গে টেলিযোগাযোগ খাতে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি। পাশাপাশি এখন আমরা এই সহযোগিতাকে হালাল, এসটিইএম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত), গবেষণা এবং সেমিকন্ডাক্টর খাতে জোরদার করতে চাই।’
অধ্যাপক ইউনূসকে মালয়েশিয়ার একজন মহান বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, ‘বাংলাদেশের এই ক্রান্তিলগ্নে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অধ্যাপক ইউনূস অসাধারণ অগ্রগতি এনেছেন। এখন তিনি মালয়েশিয়ার সঙ্গে বিনিয়োগ, বাণিজ্য, সংস্কৃতি ও শিক্ষাক্ষেত্রে সম্পর্ক আরো উন্নয়নে কাজ করছেন।’
তিনি বলেন, ‘অধ্যাপক ইউনূসকে এই দেশের মানুষ চেনে তার অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য।
যা দরিদ্র ও অসহায়দের জন্য সুযোগ সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এর মধ্যে রয়েছে মাইক্রোক্রেডিট এবং কেদাহর আলবুখারি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার ব্যবস্থা সৃষ্টি করা।’
জাতীয়
মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশকে ব্যবসাবান্ধব করতে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
ড. ইউনূস আজ মঙ্গলবার কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সুযোগ নিয়ে আয়োজিত এক ব্যবসায়িক ফোরামে এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “অতীতে বাংলাদেশে ব্যবসা আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী এগোয়নি। তবে নতুন বাংলাদেশে অনেক কিছুই নতুনভাবে গড়ে উঠছে, যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ব্যবসার সম্ভাবনা।” তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ সম্ভাব্য সব উপায়ে ব্যবসাবান্ধব হতে চেষ্টা করছে। আমি পরিবর্তিত বাংলাদেশে অসীম সম্ভাবনা খুঁজে পেয়েছি।”
তিনি বিনিয়োগকারীদের বিশ্বজুড়ে বসবাসরত তরুণ বাংলাদেশি প্রবাসীদের সম্ভাবনা কাজে লাগানোর আহ্বান জানান। বিদেশে থাকা তরুণ বাংলাদেশিদের প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, তাদের মধ্যে সবসময় বাংলাদেশের জন্য কিছু করার তীব্র আকাঙ্ক্ষা রয়েছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বক্তব্য দেন। তিনি বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা এবং শুল্ক ও অশুল্ক বাধা অপসারণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন।
সেলুলার অপারেটর রবি’র প্রধান শেয়ারহোল্ডার, আজিয়াটা গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিবেক সুদ বাংলাদেশে আজিয়াটার ২৮ বছরের ব্যবসা সম্প্রসারণ, অংশীদারিত্ব ও যৌথ সাফল্যের কথা তুলে ধরেন।
এ সময় পেট্রোলিয়াম ন্যাশনাল বেরহাদ (পেট্রোনাস)-এর প্রেসিডেন্ট ও গ্রুপ সিইও তেংকু মুহাম্মদ তৌফিক, সার্বভৌম সম্পদ তহবিল খাজানাহ ন্যাশনাল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল ফেইসাল ওয়ান জাহির, পাম অয়েল কোম্পানি সাইম ডার্বি প্লান্টেশনস, কুয়ালালামপুর কেপং বেরহাদ (কেএলকে), আইওআই কর্পোরেশন এবং ফেলদা গ্লোবাল ভেঞ্চারস (এফজেভি)-এর শীর্ষ কর্মকর্তা, প্রোটন হোল্ডিংস বেরহাদের (প্রোটন) চেয়ারম্যান সৈয়দ ফয়সাল আলবার এবং গ্লোভ প্রস্তুতকারক টপ গ্লাভ কর্পোরেশনের নির্বাহী চেয়ারম্যান লিম উই চাই প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ব্যবসায়িক এই সমাবেশের আগে মঙ্গলবার পুত্রজায়ায় মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (FBCCI)-এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
জাতীয়
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪৫ হাজার ৯৮

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪৫ হাজার ৯৮টি। এসব ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ভোটকক্ষ ২ লাখ ৮০ হাজার ৫৬৪টি, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ৯ লাখ ৩১ হাজার ১শ ৩১ জন।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়। এদিন আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম তদারকি সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় জানানো হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৮৯ হাজার ২৮৯ জন, ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১৪৮টি এবং ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৫৬৪টি। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম-২০২৫ শেষ হলে (জন্মতারিখ ০১-০১-২০০৮ পর্যন্ত অন্তর্ভুক্ত ভোটারসহ) সম্ভাব্য ভোটার সংখ্যা দাঁড়াতে পারে ১২ কোটি ৭৮ লাখ ৭৩ হাজার ৭৫২ জন। এ নির্বাচনে সম্ভাব্য ২ হাজার ৯৫০টি নতুন ভোটকেন্দ্র যুক্ত হয়ে মোট ভোটকেন্দ্র হতে পারে ৪৫ হাজার ৯৮টি, আর সম্ভাব্য ১৯ হাজার নতুন ভোটকক্ষ যুক্ত হয়ে মোট ভোটকক্ষ দাঁড়াতে পারে ২ লাখ ৮০ হাজার ৫৬৪টি।
সভায় আরও জানানো হয়, উক্ত ভোটকেন্দ্রগুলোতে সম্ভাব্য ৮ লাখ ৮৬ হাজার ৭৯০ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্রয়োজন হবে। পূর্ববর্তী সব নির্বাচনে প্রয়োজনের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি কর্মকর্তাকে প্যানেলভুক্ত করা হয়, যার মধ্যে প্রয়োজনীয় জনবলসহ অতিরিক্ত ৫ শতাংশ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই ধারা বজায় রেখে প্রায় ৯ লাখ ৩১ হাজার ১৩১ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাকে (৫ শতাংশ বৃদ্ধিসহ) প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে।