ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জাবির ৬৪ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার, সনদ বাতিল ৭৩ জনের

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় জড়িত ৬৪ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার এবং ৭৩ সাবেক শিক্ষার্থীর সনদ স্থায়ীভাবে বাতিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রশাসন।
সিন্ডিকেট সভা শেষে সোমবার (৪ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, হামলার ঘটনায় মোট অভিযুক্ত ২২৯ জনের মধ্যে ১৩০ জন বর্তমান এবং ৯৯ জন সাবেক শিক্ষার্থী। বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬৪ জনকে আজীবন বহিষ্কার, ৩৭ জনকে ২ বছর, ৮ জনকে ১ বছর এবং একজনকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
অপরদিকে, ২০ জনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সাবেক ৯৯ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭৩ জনের সনদ বাতিল, ৬ জনের সনদ ২ বছরের জন্য স্থগিত এবং ২০ জনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
এর আগে, গত ১৭ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২৮৯ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। যাদের ছাত্রত্ব শেষ, তাদের সনদ স্থগিত এবং পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের ফলাফল স্থগিত করা হয়। এছাড়া অধিকতর তদন্তে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। একইসঙ্গে ৯ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত এবং তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম ও রেজিস্ট্রার আবু হাসানের পেনশন সুবিধা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার কেন্দ্র পরিবর্তন

৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজ কেন্দ্র পরিবর্তন করা হয়েছে। এর কেন্দ্রের পরিবর্তে প্রিমিয়ার আইডিয়াল হাইস্কুলে অনুষ্ঠিত হবে লিখিত পরীক্ষা। আনন্দ মোহন কলেজ কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা প্রিমিয়ার আইডিয়াল হাইস্কুলে অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তিতে পিএসসি এ কথা জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, অনিবার্য কারণে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ১৪ আগস্ট থেকে ২১ আগস্ট ময়মনসিংহ কেন্দ্রের ৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা আনন্দ মোহন কলেজের পরিবর্তে প্রিমিয়ার আইডিয়াল হাইস্কুলে অনুষ্ঠিত হবে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
গবেষণায় শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস ইবি উপাচার্যের

শিক্ষার্থীদের দৃঢ়তার সাথে গবেষণায় সম্পৃক্ত হতে হবে। এ গবেষণার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও সহযোগিতা করবো বলে আশ্বাস দেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের গগন হরকরা গ্যালারিতে ইবি গবেষণা সংসদ আয়োজিত ‘দ্য আনভেইলিং: গবেষণা অন্তর্দৃষ্টি ও নেতৃত্বের রূপান্তর’ শীর্ষক সেমিনার ও প্যানেল ডিসকাশন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞানের মা। উৎপাদনের জন্য দরকার গবেষণা, ভাবনা ও আবিষ্কার। গবেষণা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ পর্যায়ে থেকে যায়। রাষ্ট্রের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তার সমাধান খুঁজে বের করাই গবেষণার মূল কাজ।
অনুষ্ঠানে আলোচনার মূল বিষয় ছিল — ‘Navigating the Research and Higher Study Landscape: A Multi-Disciplinary Perspective’। অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ বিভাগের প্রভাষক হাবিবুর রহমান স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া, চারটি ভিন্ন ডিসিপ্লিনের আলোচনায় অংশ নেন— বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মনজুর রহমান, ফার্মেসি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান, অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. গাজী মো. আরিফুজ্জামান খান এবং চারুকলা বিভাগের সভাপতি ও আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসান।
এসময় ইবি গবেষণা সংসদের সভাপতি সানোয়ার হোসেন বলেন, আজকের কর্মশালাটি আমাদের সংগঠনের জন্য একটি স্মরণীয় মাইলফলক হয়ে থাকবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, গবেষণার মৌলিক বিষয়গুলো আয়ত্ত করা তরুণ গবেষকদের দেশ ও জাতির বৃহত্তর উন্নয়নে সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম করবে। সদিচ্ছা ও সহায়তা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করবে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে গবেষণার প্রতি গভীর আগ্রহ সৃষ্টি করবে।
চারুকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসান বলেন, যখন মানুষ গবেষণাকে ভয় পায়, তখনও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল যুবক সেই কাজটি করে যাচ্ছে। গবেষণা ছাড়া একটি দেশ সামনে এগোতে পারে না। ধারণার দাম পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি।
উল্লেখ্য, আলোচনায় প্যানেলিস্টরা গবেষণার সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ, কার্যকর নেতৃত্বের গুরুত্ব, ভবিষ্যতের কর্মক্ষেত্রের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা এবং সৃজনশীলতাকে বাস্তব প্রভাবের রূপ দেওয়ার উপায় নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।প্যানেল ডিসকাশন, শ্রোতাদের প্রশ্নোত্তর পর্ব, শিক্ষার্থীদের গবেষণা, নেতৃত্ব ও সৃজনশীলতার বিষয়ে প্রশিক্ষণ শেষে সংগঠনপর ২০২৫-২০২৬ সেশনের কমিটি গঠন করা হয় এবং সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে এন্টি র্যাগিং ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধ বিষয়ক সভা

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) এন্টি-র্যাগিং ভিজিলেন্স কমিটি এবং উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধকল্পে পুনর্গঠিত কমিটির যৌথ এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। র্যাগিং ও যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের দ্বিতীয় তলায় উপাচার্য সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ’র সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হক, এন্টি-র্যাগিং ভিজিলেন্স কমিটির আহ্বায়ক ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শাহীনুজ্জামান, কমিটির সদস্য ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুল ইসলাম, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল গফুর গাজী, ফাইন আর্টস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসান এবং সদস্য-সচিব উপ-রেজিস্ট্রার মো. সালাউদ্দিন মোল্লা, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধকল্পে পুনর্গঠিত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. বেগম রোকসানা মিলি, কমিটির সদস্য আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহা. শরিফুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. খোদেজা খাতুন, অধ্যাপক ড. হামিদা খাতুন, তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ অফিসের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. সাহেদ হাসান।
এন্টি র্যাগিং ভিজিলেন্স কমিটির বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, র্যাগিং বিরোধী প্রচারে আমরা বেশ কিছু কাজ হাতে নিয়েছি। যেমন: অনুষদ ভবনগুলোতে এন্টি র্যাগিং বিষয়ক ব্যানার স্থাপন করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং জিরো-টলারেন্স। র্যাগিং এর সাথে জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, আমাদের সমাজে যৌন নির্যাতনের বিষয়ে অনেকেই অভিযোগ করতে চায় না। ফলে অপরাধীরা ছাড় পেয়ে যায়। অভিযোগ করলেও, তা করে চূড়ান্ত মুহূর্তে। যে সময় অভিযোগ করলে জাতীয় পত্রিকায় আসবে, এসময় অভিযোগ করে। তখন কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে আর কিছু থাকে না।
এজন্য তিনি কমিটির সদস্যদের মাঝে বিভিন্ন জায়গা ভিত্তিক দায়িত্ব ভাগ করে দেয়ার নির্দেশনা দেন। সেই সাথে তিনি কমিটি দু্ইটির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আলাদা অফিস রুমের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢাবি উপাচার্যের সভা বয়কট ৩ ছাত্রসংগঠনের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে সভায় শিবিরের উপস্থিতি নিয়ে আপত্তি তুলে সেই সভা বয়কট করেছে ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল তিন ছাত্রসংগঠন। আলোচনা সভায় উপাচার্যের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে তা বয়কট করেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ), সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (একাংশ) ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-বিসিএল।
রবিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আলোচনা সভায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের উপস্থিতি নিয়ে আপত্তি তোলেন তিন ছাত্রসংগঠন। এ সময় পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শিবিরকে সঙ্গে নিয়ে চলার আহ্বান জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান। উপাচার্যের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তারা সভা বয়কট করেন।
বাংলাদেশ ছাত্রইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজা ও সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন শুভ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ ও সাধারণ সম্পাদক রায়হানউদ্দিন এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-বিসিএলের সভাপতি গৌতম শীল ও কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান এক যৌথ বিবৃতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খানের এমন বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
ছাত্রনেতারা বলেন, ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সভার শুরুতে আমরা ইসলামী ছাত্রশিবিরের উপস্থিতি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ব্যাখ্যা চেয়েছি। জবাবে উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান সকল ছাত্রসংগঠনের উপস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে বৈধতা প্রদান করেছেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ছাত্র শিবিরকে সাথে নিয়ে চলার কথা বলেছেন ঢাবি উপাচার্য। যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল্যবোধ, মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদানকে কলঙ্কিত করে।
তারা বলেন, আমরা ঢাবি উপাচার্যের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে এবং গণতান্ত্রিক বিশ্ববিদ্যালয় বির্নিমাণে আমাদের অবস্থান পরিষ্কারভাবে ব্যক্ত করে সভা বয়কট করেছি। মুক্তিযুদ্ধকে ধারণকারী ছাত্রসংগঠন হিসেবে যুদ্ধাপরাধী সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সঙ্গে আমরা কোনোভাবেই আপস করতে পারি না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ

২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। রোববার (১০ আগস্ট) সকাল ১০টায় একযোগে দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইটে পুনঃনিরীক্ষণের এই ফল প্রকাশ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা রোল নম্বর দিয়ে ফল দেখতে পারবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবিরের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল খুঁজতে গিয়ে ওয়েব সাইট ডাউন থাকার অভিযোগ করেছেন বেশ কয়েজন ফল প্রার্থী। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এক সঙ্গে অনেক মানুষ ফলাফলের জন্য হিট করার কারণে সাময়িকভাবে ওয়েব সাইট কিছুটা ডাউন রয়েছে। খুব শিগগিরই স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ফল www.dhakaeducationboard.gov.bd ওয়েবসাইটে, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের ফল www.comillaboard.gov.bd ওয়েবসাইটে, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের ফল www.bise-ctg.gov.bd ওয়েবসাইটে, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ফল www.rajshahiboard.gov.bd ওয়েবসাইটে, যশোর শিক্ষা বোর্ডের ফল www.jessoreboard.gov.bd ওয়েবসাইটে, বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের ফল www.barisalboard.gov.bd ওয়েবসাইটে, সিলেট শিক্ষা বোর্ডের ফল www.sylhetboard.gov.bd ওয়েবসাইটে, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের ফল www.dinajpureducationboard.gov.bd ওয়েবসাইটে, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের ফল www.mymensingheducationboard.gov.bd ওয়েবসাইটে, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ফল www.bmeb.gov.bd ওয়েবসাইটে এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ফল www.bteb.gov.bd ওয়েবসাইট থেকে দেখা যাবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার জানান, এবার ৯২ হাজার ৮৬৩ জন শিক্ষার্থী মোট ২ লাখ ২৩ হাজার ৬৬৪টি খাতার পুনঃমূল্যায়নের আবেদন করেছেন, যা গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। আবেদনকারীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ২১ হাজার, আর চ্যালেঞ্জ হওয়া খাতার সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪০ হাজার।
সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে গণিত বিষয়ে—৪২ হাজার ৯৩৬টি খাতা। এরপর ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে ১৯ হাজার ৬৮৮টি করে, পদার্থবিজ্ঞানে ১৬ হাজার ২৩৩টি এবং বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে ১৩ হাজার ৫৫৮টি খাতার পুনঃনিরীক্ষণ হয়েছে। সবচেয়ে কম আবেদন এসেছে চারু ও কারুকলা বিষয়ে—মাত্র ৬টি।
তবে পুনঃনিরীক্ষণ প্রক্রিয়ায় খাতা নতুন করে মূল্যায়ন করা হয় না। বরং নম্বর সঠিকভাবে যোগ হয়েছে কি না, কোনো প্রশ্নের নম্বর বাদ পড়েছে কি না, এবং ওএমআর শিটে নম্বর সঠিকভাবে উঠেছে কি না—এসব যাচাই করে প্রয়োজনে সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়।
শিক্ষা বোর্ডগুলোর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশের ৯টি সাধারণ বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৬ লাখ ৬৬০ জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। এর মধ্যে ছাত্র ৩ লাখ ২৪ হাজার ৭১৬ জন এবং ছাত্রী ২ লাখ ৭৫ হাজার ৯৪৪ জন।