ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জুলাই বিরোধিতাকারীদের বিচার ছাড়াই ইবিতে জুলাই বর্ষপূর্তি উদযাপন

দীর্ঘ এক বছর পার হলেও ছাত্র জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিরোধিতাকারী শক্তি আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সুষ্ঠু বিচার ব্যতিরেকে জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তি উদযাপন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এসে এক আলোচনা সভায় মিলিত হন তারা।
পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এসময় শহীদদের দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আ.ব.ম সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফি। এদিকে অন্য ধর্মাবলম্বীদের তাদের প্রার্থনার সুযোগ প্রদান না করায়, বৈষম্যের অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ করেন ইবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নূর আলম। এসময় শিক্ষার্থীদের একটি অংশ নূরকে উদ্দেশ্য করে ভূয়া স্নোগান দেয়। এসময় বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে প্রক্টরিয়াল বডিসহ উপস্থিত নেতৃবৃন্দ পরিস্থিতি সামাল দেয়।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রক্টর ও জুলাই বিপ্লব প্রথম বর্ষপূর্তির আহবায়ক প্রফেসর ড. শাহিনুজ্জামান।
আলোচনা সভায় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, আমার ভিতরে একটা শূন্যতা কাজ করে। কারণ ওয়ালীউল্লাহ আর মুকাদ্দাস ভাইকে এখনো ফেরত পায়নি। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সব থেকে বড় ভিক্টিম হলো ওয়ালীউল্লাহ আল মুকাদ্দাস ভাই। বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক পদক্ষেপ নেয়া হলো কিন্তু তাদের খোঁজ করার কোনো পদক্ষেপ নেয়া হলো না। ব্যাপারটা হচ্ছে মিলেমিশে আছে ওরা আত্নীয় যেন। একটি বছর পার হয়ে গেল অথচ যারা বলেছিলো এবার হবে ফাইনাল খেলা তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিয়েছেন? আজকে জবাব দিতে হবে। আপনাদের কোনো মুরোদ নাই? আপনারা শোকজ করতে পারেন না?
তিনি আরও বলেন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থী সহ ১৩৩ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা কি শিক্ষার্থী মেরেছিলো? তারা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার কারণে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কি সেই জ্ঞান নাই? কেন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না? বিগত ১৫ বছর কি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলেন না? তাদের অন্যায়, দূর্নীতি অপকর্ম কি দেখেননি? বরং তাদের আরও সুযোগ করে দিচ্ছেন। তাদের কাজ নাই বিধায় তারা একেরপর চক্রান্ত করে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিন। জুলাই আকাঙ্খা বাস্তবায়ন করুন।
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, জুলাই বিপ্লবের এক বছর পার হলেও আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি কি ব্যবস্থা নিয়েছে আমরা জানতে চাই। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলের প্রক্টর আজাদ ডিপার্ট্মেন্টের সভাপতি কিভাবে হলো? যদি একাডেমিক নিয়মের অজুহাত দেখান তাহলে আপনি উপাচার্য, প্রক্টর, ট্রেজারার হয়েছেন কেন? তাদের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটি কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে আজকে বলতে হবে। যতদ্রুত সম্ভব তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় পারলে আপনারা কেন পারবেন না। আপনারা কেন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না? যদি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ফ্যাসিস্টদের দোসর কর্মকর্তা কর্মচারীদের ন্যূনতম শোকজ না করা হলে প্রশাসনকে লাল কার্ড দেখানো হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবির সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠানে বিএনপি ও জামায়াতপন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তারা আছেন। স্বৈরাচারের দোসরদের বিচারে আপনাদের কি কোনো দায় নেই? আপনারা কি ফিডার খান? আমরা প্রশাসনকে বলতে চাই, জুলাই বিপ্লব এবং শিক্ষার্থীদের আশাআকাঙ্খা অনুযায়ী আপনারা ক্যাম্পাস পরিচালনা করুন। জুলাই স্প্রিটকে ধারণ করে যদি ক্যাম্পাস পরিচালনা করতে না পারেন তাহলে চেয়ার ছেড়ে দেন। আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে সরিয়ে দিয়ে সরকার চলেছে, আপনারা কেন পারছেন না? জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। যারা গণহত্যার পক্ষে ছিল তাদের বিরুদ্ধে আমরা কোনো আপোষ করব না।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রজনতার যৌক্তিক আন্দোলনকে কটুক্তি করে যারা স্বৈরাচারের পক্ষ অবস্থান নিয়েছিল তাদেরকে বিচার করতে হবে। আপনারা একই ভবনে থাকবেন। একসাথে ঘুমাবেন। একসাথে শোবেন। একসাথে ভাষণ করবেন। আর ঠেলে দিবেন ছাত্রদের দিকে, আপনারা কি ফিডার খান? হয় ফ্যাসিবাদের বিচার করুন নতুবা চেয়ার ছেড়ে দিন!
সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ.কে.এম মতিনূর রহমান, শিক্ষার্থীরা যে দাবি করেছেন তাদের সাথে সম্পূর্ণ একমত। আজ যদি ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান সফল না হত, তাহলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে পারতাম না! চব্বিশের ৪ আগস্ট আমাদের বিপক্ষে গিয়ে যারা আর নয় হেলাফেলা এবার হবে ফাইনাল খেলা স্লোগান দিয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছিল, ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের চিহ্নিত করে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে হবে। যদি সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হন, তাহলে আমরা জুলাইয়ের মতো আমরা আবার আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, দেশের দুইটি থ্রেট বা বিপদের কথা বলবো যা দুই দিক থেকে আসবে। প্রথমত, আভ্যন্তরীণ বিপদ বলতে দেশের দীর্ঘ ১৬ বছর আমাদের দেশের সকল ব্যবস্থার মধ্যে দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিবাদের দালাল ও ভারতের আধিপত্যে দালালদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। অনুপ্রবেশকারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই বিপ্লবকে ব্যর্থ করতে চাইবে এ ব্যাপারে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। আজকে অনেকের বক্তব্য শুনেছি বিশ্ববিদ্যালয় আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো আছেন। শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয় বাংলাদেশের সকল কাঠামোতে অবস্থানরত আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় দালালদের চিহ্নিত করতে করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। এরপর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘আজ যদি আমি তোমাদের জায়গায় থাকতাম আমিও ফাসিস্টদের বিচার দাবি করতাম। ফাসিস্ট চিহ্নিতকরণ তদন্ত কমিটিকে নির্দেশ দিচ্ছি, যেন আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের রিপোর্ট পেশ করে। রিপোর্ট প্রকাশ হলেই আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
তিনি আরও বলেন, একজন বক্তা অনুষ্ঠানের শুরুতে কুরআন তেলাওয়াতের সাথে অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা হলো না কেন এ বিষয়ে তার মনোভাব প্রকাশ করেছে। কথা বলার স্বাধীনতা হিসেবে তার এই মনোভাবের প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাই। আগামীতে আমরা খেয়াল রাখবো অনুষ্ঠান যেন সার্বজনীন চরিত্রে রূপান্তরিত হয়।
এছাড়াও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনঞ্জুরুল হক, জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, ইবি ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খান, সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ.কে.এম মতিনূর রহমান, গ্রীণ ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. শহীদ মোহাম্মদ রেজওয়ান, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল গফুর গাজী, আল-কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিন মিঝি, চারুকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া, আরও ইবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি তাজমুল জায়িম, ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট, ছাত্র শিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান, জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার সভাপতি মাহমুদুল হাসান, ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত, ছাত্র মজলিশের সভাপতি সাদেক আহমেদ, জিয়া পরিষদ কর্মকর্তা ইউনিটের সভাপতি ওয়ালিউর রহমান পিকুল, গ্রীণ ফোরাম কর্মকর্তা ফোরামের সভাপতি ওমর আলী, জাতীয়তাবাদী কর্মকর্তা ফোরামের সভাপতি আব্দুল মুঈদ বাবুল প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, ২৪ এর বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের কোটা আন্দোলন সরকার পতনের এক দফা দাবিতে রুপ নিলে তা নস্যাৎ করতে নানা ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে ইবি প্রশাসন, আওয়ামীপন্থী সংগঠন বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও শাপলা ফোরাম। আন্দোলন বিরোধিতা ও দমনে তারা দফায় দফায় মিটিং করে নানা কূটকৌশল প্রণয়ন করে। ব্যক্তিগতভাবে টিভি টকশো, অনলাইন প্রচারণা ও শিক্ষার্থীদের হুমকির পাশাপাশি ক্যাম্পাসে জঙ্গি কায়দায় মিছিল-সমাবেশ, ঢাকায় ও গোয়েন্দাদের কাছে ছাত্র আন্দোলনের পক্ষের শিক্ষকদের তালিকা প্রেরণসহ নানা ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠেন আওয়ামী পন্থী শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একাংশ। এছাড়া ছাত্রলীগের মাধ্যমে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হুমকির মধ্যে রাখা হয়।
এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী ভূমিকা পালন করেন ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল, ড. মিয়া রশিদুজ্জামান, ড. মাহবুবুল আরেফীন, কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন খান, আব্দুস সালাম সেলিমসহ আরো অনেকে। এদিকে ৪ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনকে নৈরাজ্য দাবি করে ভিসির বাংলোর সামনে থেকে সাবেক প্রক্টর ড. মাহবুবর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়। প্রাপ্ত ভিডিয়ো মোতাবেক, মিছিলটি সাইন্স ফ্যাকাল্টির সামনে আসলে ড. মাহবুবুল আরেফিন, ড. শেলীনা নাসরিন, শহীদুল ইসলামসহ অন্যান্যরা ‘আর নয় হেলাফেলা, এবার হবে ফাইনাল খেলা’ সহ বিভিন্ন উগ্র স্লোগান দিতে থাকে তারা। এক পর্যায়ে মিছিলটি অনুষদ ভবনের সামনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। সেখানেও বক্তারা উগ্র ভাষায় ছাত্রদের আন্দোলন প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
পিছিয়ে গেল রাকসু নির্বাচন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন ২৫ সেপ্টেম্বর হচ্ছে না। বর্তমানে অনূকুল পরিবেশ না থাকায় আগামী ১৬ অক্টোবর নির্বাচনের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আজ রাকসু নির্বাচন কমিশন ২০২৫-এর পূর্ণাঙ্গ সভায় আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাকসু, হল সংসদ ও সিনেট-এ ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনপূর্ব উদ্ভূত পরিস্থিতি সার্বিকভাবে বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়।
এ সভা লক্ষ্য করে যে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিরাজমান পরিস্থিতি কোনো অবস্থাতেই রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনুকূলে নয়।
অনুকূলে না থাকার কারণ হিসেবে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ঘোষিত ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চলছে। এ ছাড়া নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায়নি।
উপর্যুক্ত বিবেচনায় রাকসু নির্বাচন উৎসবমুখর, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার স্বার্থে কমিশন আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে আগামী ১৬ অক্টোবর রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
রাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক জরুরি সভায় তারা এ সিদ্ধান্ত নেন। এছাড়াও ফোরামের পক্ষ থেকে আগামীকাল মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
রবিবার রাত ৮টায় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক মো. আব্দুল আলীম ও সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আমিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষকদের যারা লাঞ্ছিত করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সকল প্রকার কার্যক্রম (ক্লাস-পরীক্ষা) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। এছাড়াও আগামীকাল মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের ভর্তির ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা বা পোষ্য কোটা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেটে বহাল রাখার প্রতিবাদে কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতি।
উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের ভর্তির জন্য আগে থেকেই ৪ শতাংশ পোষ্য কোটা ছিল। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি পোষ্য কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব। এরপর থেকেই শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পোষ্য কোটাকে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা দাবি করে একের পর এক আন্দোলন শুরু করেন।
সর্বশেষ গত ১৭ সেপ্টেম্বর এক চিঠিতে ১৮ তারিখের মধ্যে দাবি আদায় না হলে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দেন তারা। এর প্রেক্ষিতে গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে জরুরি একাডেমিক কমিটির সভা ডাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সভায় ১০ শর্তে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু এর বিরুদ্ধে আবার টানা আন্দোলনে নামেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
আমরা মেধার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি: ইউজিসি চেয়ারম্যান

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস. এম. এ. ফায়েজ বলেছেন, যেহেতু সামনে নির্বাচন, আগের মতো দলীয়করণ যাতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমরা মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। দলমত নির্বিশেষে মেধার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। একজন শিক্ষক আগামী প্রজন্মের কারিগর।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীনবরণ অনুষ্ঠান শেষে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। এর পূর্বে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তিনি।
এর পূর্বে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালগুলোতে এত শিক্ষক স্বল্পতা! কিছু দিনের মধ্যে আমাদের একটি মিটিং হবে। সেখানে খালি পদগুলো মঞ্জুর করার বিষয়ে ডেফিনেটলি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সহ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যতটুকু করতে পারি আমি করবো। এই পরিকল্পনা নিয়ে আমরা একটা টিম কাজ করছি।
পরে ভিসি বাংলোতে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ইউজিসি চেয়ারম্যানের কাছে ‘শিক্ষক সংকট, আবাসিকতা বৃদ্ধি, ফায়ারসার্ভিস স্টেশন, সেশনজট, খাবারের মান বৃদ্ধি ও ইকসু গঠন, মেডিকেল আধুনিকায়ন, জিয়া স্মৃতিকমপ্লেক্স’ ইত্যাদি বিষয় পূরণের দাবি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের আবাসিকতার বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে ড. ফায়েজ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দূরদূরান্ত থেকে স্ট্রাগল করে মেয়েরা পড়তে আসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহিরে অবস্থান নেওয়ায় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। আমরা মঞ্জুরী কমিশন মেয়েদের আবাসিকতাকে প্রায়োরিটি দিয়ে কাজ করছি। মেয়েদের নিরাপত্তার বিষয়টা ফার্স্ট নজরে রয়েছে।
তিনি জানান, মেয়েদের আবাসিকতাকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করতেছি। বিষয়টা এমন না ছেলেদেরকে একপাশে রেখে দেয়া হচ্ছে। এরপর দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে খাবারের মান বৃদ্ধির লক্ষে উন্নতমানের ক্যান্টিন ব্যবস্থা করা হবে। এটা নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে কাজ করছে ইউজিসি।
ছাত্র সংসদ গঠনের বিষয়ে ড. ফায়েজ বলেন, আমি উপাচার্যের কাছে ব্যক্তিগতভাবে ছাত্র সংসদ গঠনের আপডেট নিয়েছি। আমাদের কাছে আসার সাথে সাথে ফার্স্ট প্রায়োরিটি দিয়ে সহযোগিতা করে যাব। মন্ত্রণালয়ের সাথে এ বিষয়ে কথা বলা আছে।
মতবিনিময়কালে গবেষণাখাত উন্নতিকরণ বিষয়ে তিনি জানান, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইউজিসি ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ইবি থেকেও পেয়েছে। যদিও প্রথমবারের মতো বেশি সংখ্যক দিতে পারিনি৷ পরবর্তীতে এ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। শিক্ষক শিক্ষার্থী মিলে এক হয়ে গবেষণা করবে আগামী দিনে।
উল্লেখ্য, উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়া শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়ন, খেলাফত ছাত্র মজলিস, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, জমিয়তে তালাবিয়ে আরাবিয়া, সোচ্চার, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার আন্দোলন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদ/সাকিব
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জনবল নিয়োগ দিচ্ছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী, পদ ৪৩০

বাংলাদেশ নৌবাহিনী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সশস্ত্র বাহিনীটি নাবিক, মহিলা নাবিক ও এমওডিসি (নৌ) পদে ৪৩০ জনকে নিয়োগের লক্ষ্যে এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। এর মধ্যে ৪০০ জন পুরুষ ও ৩০ জন নারী। দেশের সব জেলার প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করা যাবে আগামী ০৫ অক্টোবর পর্যন্ত।
প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ নৌবাহিনী
পদের সংখ্যা: ১০টি
লোকবল নিয়োগ: ৪৩০ জন
পদের নাম: ডিই/ইউসি (সিম্যান, কমিউনিকেশন ও টেকনিক্যাল)
পদসংখ্যা: ২৮০ (পুরুষ)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি (বিজ্ঞান)/সমমান [মাদ্রাসা (বিজ্ঞান), জোকেশনালসহ], জিপিএ–৩.৫০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬৭.৫ সেন্টিমিটার
পদের নাম: রেগুলেটিং
পদসংখ্যা: ১২ (পুরুষ), ৮ (মহিলা)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি (বিজ্ঞান)/সমমান [মাদ্রাসা (বিজ্ঞান), ভোকেশনালসহ], জিপিএ–৩.০০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৭২.৫ (পুরুষ), ১৬০.০২ (মহিলা)।
পদের নাম: রাইটার
পদসংখ্যা: ১৮ (পুরুষ), ৪ (মহিলা)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি (বিজ্ঞান)/সমমান [মাদ্রাসা (বিজ্ঞান), ভোকেশনালসহ], জিপিএ–৩.০০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬২.৫ (পুরুষ), ১৫৭.৪৮ (মহিলা)।
পদের নাম: স্টোর
পদসংখ্যা: ১৪ (পুরুষ), ৪ (মহিলা)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি (বিজ্ঞান)/সমমান [মাদ্রাসা (বিজ্ঞান), ভোকেশনালসহ], জিপিএ–৩.০০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬২.৫ (পুরুষ), ১৫৭.৪৮ (মহিলা)।
পদের নাম: মিউজিশিয়ান
পদসংখ্যা: ৮ (পুরুষ)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি (বিজ্ঞান)/সমমান [মাদ্রাসা (বিজ্ঞান), ভোকেশনালসহ], জিপিএ–৩.০০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬২.৫ (পুরুষ)।
পদের নাম: মেডিকেল
পদসংখ্যা: ১০ (পুরুষ), ৬ (মহিলা)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: জীববিজ্ঞানসহ ন্যূনতম এসএসসি (বিজ্ঞান)/সমমান, জিপিএ–৩.৫০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬২.৫ (পুরুষ), ১৫৭.৪৮ (মহিলা)
পদের নাম: কুক
পদসংখ্যা: ২৫ (পুরুষ)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি/সমমান (মাদ্রাসা, ভোকেশনালসহ), জিপিএ–২.৫০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬২.৫ (পুরুষ)
পদের নাম: স্টুয়ার্ড
পদসংখ্যা: ১০ (পুরুষ), ৮ (মহিলা)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি/সমমান (মাদ্রাসা, ভোকেশনালসহ), জিপিএ–২.৫০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬২.৫ (পুরুষ), ১৫৭.৪৮ (মহিলা)
পদের নাম: টোপাস
পদসংখ্যা: ১৫ (পুরুষ)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণি পাস
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬২.৫ (পুরুষ)
পদের নাম: এমওডিসি (নৌ)
পদসংখ্যা: ৮ (পুরুষ)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি/সমমান (মাদ্রাসা, ভোকেশনালসহ), জিপিএ–৩.০০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬৭.৫ (পুরুষ)
আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আবেদনের শেষ সময়: ০৫ অক্টোবর ২০২৫
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু

চাকরিপ্রত্যাশীদের বহুল আকাঙ্ক্ষিত পরীক্ষা বিসিএস। এই পরীক্ষার মধ্য দিয়ে দেশের বহু গ্র্যাজুয়েট প্রথম শ্রেণির সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন। তাই সেই পরীক্ষা রূপ নেয় একপ্রকার যুদ্ধে। সেই ধারাবাহিক মহারণের ৪৭তম আসরের প্রথম ধাপ তথা প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় দেশের ২৫৬ কেন্দ্রে একযোগে এই পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
ঢাকাসহ দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে এই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন তিন লাখ ৭৪ হাজার ৭৪৭ চাকরিপ্রার্থী। এর আগে সকাল সাড়ে ৮টা থেকেই কেন্দ্রে প্রবেশ করেন পরীক্ষার্থীরা। সাড়ে ৯টা পর্যন্ত পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করেন তারা।
সকালে রাজধানীর বেশ কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, সাড়ে ৮টা বাজার পরপরই পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করা শুরু করেন। পরীক্ষা শুরুর পর বাইরে তাদের অভিভাবকরা অপেক্ষা করছেন।
পরীক্ষা শুরুর আগে বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে কথা হয়। জান্নাতুল সুলতানা নামের একজন বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স শেষ করেছি অল্প কিছুদিন হয়েছে। এটাই প্রথম কোনো চাকরির পরীক্ষা। স্বাভাবিকভাবেই একটু নার্ভাস ফিল করছি। প্রস্তুতিও ততটা নিতে পারিনি। তবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করাটাকে আমি জরুরি মনে করি।
হাজারীবাগ সরকারি কলেজে পরীক্ষা দিতে আসা রাফিদ করীম নামের একজন শিক্ষার্থী বলেন, প্রস্তুতি ভালো। তবে পদের তুলনায় প্রতিযোগী অনেক বেশি। তবুও আশাবাদী। আশা করি ভালো কিছু হবে।