রাজনীতি
জুলাই যোদ্ধাদের প্রতি আমরা চিরঋণী: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জুলাই ২০২৪ এবং গত ১৫ বছরের শহীদ ও যোদ্ধাদের প্রতি, প্রতিটি সংগ্রামী প্রাণের প্রতি আমরা চিরঋণী।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা বলেন।
স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
সকালে উঠেই প্রথম ফোন করলাম আমার মেয়েকে। কণ্ঠ শুনে বুকটা ভেঙে পড়ল। এই সময়টায় ঠিক এক বছর আগে ও আমাকে ফোন করেছিল। ও শুধু আমার মেয়ে না, হাজারো প্রবাসী সন্তানদের প্রতিচ্ছবি—যারা অপেক্ষায় ছিল, দুশ্চিন্তায় ছিল, ভয়ে কাঁপছিল। মনে পড়ে গেল সেই দিনগুলো—ফোন ছিল বন্ধ, যোগাযোগ অসম্ভব। কত রাত আমরা ঘুমোতে পারিনি।
কথা বলতে পারছিলাম না ঠিকমতো। ও শুধু জিজ্ঞেস করেছিল, “কী হচ্ছে?” আমি কিছুই বুঝিয়ে বলতে পারিনি, শুধু বলেছিলাম—ইনশাআল্লাহ, জয়ী হবো।
দেশের ভেতরের মানুষ যেমন কষ্ট পেয়েছে, যারা বাইরে ছিল, তাদের যন্ত্রণা কোনো অংশে কম ছিল না। রাতজাগা, অশ্রু, আতঙ্ক, সব ছিল আমাদের সাথেও। সেই সঙ্গে ছিল অটুট বিশ্বাস—যে অন্যায়ের পতন হবেই।
হাজারো শহীদ, হাজারো যোদ্ধার ত্যাগ—৫ আগস্ট ২০২৪ শুধুই একটি তারিখ না, এটি ইতিহাস বদলের মুহূর্ত। এটি বহু বছরের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ফল, যা আমরা সবাই মিলে অর্জন করেছি।
আমরা চিরঋণী—জুলাই ২০২৪ এবং গত ১৫ বছরের শহীদ ও যোদ্ধাদের প্রতি, প্রতিটি সংগ্রামী প্রাণের প্রতি। আমি কৃতজ্ঞ দেশের ভেতরে ও বাইরে থাকা প্রতিটি মানুষকে, যারা সত্যের পক্ষে দাঁড়িয়েছিল।
স্বাধীনতা অর্জন দায়িত্বও। আমাদের করণীয় এখন এই অর্জনকে রক্ষা করা—বুদ্ধি, সংযম আর সাহস দিয়ে।
কাফি

রাজনীতি
নির্বাচন নিয়ে মনের দোদুল্যমানতা এখন আর নাই: সালাহউদ্দিন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার মাধ্যমে দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু একটি নির্বাচনের পথ পরিষ্কার হয়েছে, এখন আর নির্বাচন নিয়ে কোনো দোদুল্যমানতা রইল না।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচন সংক্রান্ত ঘোষণাপত্র পাঠ ও জাতির উদ্দেশে ভাষণ নিয়ে দলীয় প্রতিক্রিয়ায় সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করে দেশবাসীকে স্বস্তি দিয়েছেন। জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগে যে অনিশ্চয়তা বা দ্বিধা ছিল, সেটি দূর হয়েছে। এই ঘোষণার মাধ্যমে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার জন্য পুরো জাতি অপেক্ষায় ছিল। আমরা বিশ্বাস করি, এই সিদ্ধান্তে একটি শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হবে।
আগামী নির্বাচনে বিএনপির প্রত্যাশা তুলে ধরে সালাহউদ্দিন বলেন, আমরা আশা করি, আগামী নির্বাচন হবে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত একটি নির্বাচন। সেই লক্ষ্যে জনগণকে প্রস্তুতি নিতে আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
রাজনীতি
অভ্যুত্থান স্বার্থক করতে চাঁদাবাজ-খুনিদের উৎখাত করতেই হবে: চরমোনাই পীর

জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের ত্যাগের মূল লক্ষ্য ছিল দেশে যেন আর কোনো খুনি, ফ্যাসিস্ট ও অর্থ পাচারকারী তৈরি না হয়। অভ্যুত্থান স্বার্থক করতে এই চাঁদাবাজ, খুনি ও তাঁবেদারদের উৎখাত করতেই হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম (চরমোনাই পীর)।
স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার (০৫ আগস্ট) এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এই গণসমাবেশ হয়। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল রাজধানীর শাহবাগ মোড় প্রদক্ষিণের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।
রেজাউল করিম বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের ত্যাগের মূল লক্ষ্য ছিল দেশে যেন আর কোনো খুনি, ফ্যাসিস্ট ও অর্থ পাচারকারী তৈরি না হয়। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, দেশে চাঁদাবাজি, খুনি ও তাঁবেদার এখনো বিদ্যমান। আমি ঘৃণা জানাই সেসব চাঁদাবাজ, খুনি ও তাঁবেদারদের প্রতি। আমি বলবো, অভ্যুত্থান স্বার্থক করতে বাংলার জমিন থেকে এই চাঁদাবাজ, খুনি ও তাঁবেদারদের উৎখাত করতেই হবে। চরমোনাই পীর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যারা চাঁদাবাজি করছেন, যারা বিদেশের ইচ্ছাপূরণে কাজ করছেন সেই ঘৃণ্য শত্রুদের সতর্ক করছি। দেশে অনেক মেধাবীরা জীবন দিয়েছে, অনেক মা-বোন সংগ্রাম করেছে। তারপরও দেশে কোনো চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী ও তাঁবেদারি সহ্য করা হবে না।
তিনি বলেন, জুলাইয়ের করুণ চিত্র ধারণ করে মানুষের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার প্রত্যয়ে আজকের দিন পালিত হচ্ছে। গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট, খুনি, গুম ও পাচারকারী নির্লজ্জভাবে পালিয়েছে; আজকে তার এক বছর পূর্ণ হচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ। নির্মম স্বৈরাচার উৎখাতে যে ছাত্র-জনতা জীবনের মায়া ত্যাগ করে রাজপথে লড়াই করেছে, আহত হয়েছে, শাহাদাতবরণ করেছে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। আবু সাঈদ, মুগ্ধের স্মৃতি ও ইতিহাস এখনো অম্লান। তারাসহ সব শহীদের জন্য জান্নাতে উচ্চমর্যাদা কামনা করি। যারা চোখ হারিয়েছে, পঙ্গুত্ববরণ করেছে, আহত হয়ে কাতরাচ্ছে তাদের সুস্থতার জন্য দোয়া করি।
তিনি আরও বলেন, যে উদ্দেশ্য ও চেতনাকে ধারণ করে জুলাইয়ে রক্ত ও জীবন উৎসর্গ করা হয়েছে তা পূরণ হয়নি। যে অপশাসন ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতা লড়াই করেছে তা দেশের ক্ষমতাপ্রেমিদের মধ্যে এখনো বিদ্যমান। তাই আমাদের যুদ্ধ শেষ হয়নি। আমরা রাজপথও ছাড়িনি। দেশ কারও কাছে ইজারা দেওয়া হয়নি। দেশ কোনো মগের মুল্লুক না। ফলে কাউকেই যা ইচ্ছা তা করতে দেওয়া হবে না।
পীর সাহেব চরমোনাই প্রত্যয় নিয়ে বলেন, এই দেশ আমাদের। এই দেশ গড়ার দায়িত্বও আমাদের। তাই গত জুলাইয়ের প্রত্যয়ে নতুন করে কোনো চাদাঁবাজ, সন্ত্রাস ও তাঁবেদারকে মাথা উঁচু করতে দেওয়া হবে না। তাই যারা জীবন দিয়েছে, চক্ষু হারিয়েছে, পঙ্গুত্ববরণ করেছে তাদের স্বপ্ন পূরণ সবাই মিলে দেশ থেকে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসকে চিরতরে উৎখাতে কাজ করে যেতে হবে। গত ৫ আগস্ট নতুন সম্ভবনা তৈরি করেছে। এটাকে নষ্ট করা যাবে না। সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আমরা পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনায় দেশের সব নাগরিকের মতামতকে মূল্যায়ন করে জাতীয় সরকার গঠন করে দেশকে সুন্দর করতে চাই।
ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে বক্তব্য দেন দলের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, মহানগর উত্তরের সভাপতি মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, সহ-প্রচার সম্পাদক কেএম শরীয়াতুল্লাহ, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সভাপতি আবুল কাশেম, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের সহসভাপতি এবিএম জাকারিয়া, জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করীম আবরার, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সহসভাপতি মুনতাসির আহমাদ প্রমুখ।
রাজনীতি
দেশব্যাপী নতুন কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

গত বছর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে পতন ঘটে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার। সেই উপলক্ষ্যে আজ রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে অনুষ্ঠিত হয়েছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান। এদিকে বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। আগামীকাল বুধবার (৬ আগস্ট) দেশব্যাপী বিজয় র্যালি করবে দলটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় ৫ আগস্ট আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ও ছাত্র-জনতার বিজয়ের বর্ষপূর্তি পালন উপলক্ষে আগামীকাল ৬ আগস্ট (বুধবার) ঢাকাসহ দেশব্যাপী সব জেলা ও মহানগরে বিজয় র্যালি অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার বেলা ২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিএনপির উদ্যোগে বিজয় র্যালি অনুষ্ঠিত হবে।
এ র্যালিতে ঢাকা বিভাগের জেলাগুলো যথাক্রমে টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ঢাকা জেলা, ঢাকা মহানগর উত্তর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, গাজীপুর, গাজীপুর মহানগর, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের নেতাকর্মীরা অংশ নেবেন।
ঢাকাবাসীসহ বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের যথাসময়ে বিজয় র্যালিতে অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
কাফি
রাজনীতি
ফতহে গণভবনের একবছর পূর্তিতে ছাত্রশিবিরের সাইকেল র্যালি

ফ্যাসিবাদের পতন ও ‘ফতহে গণভবনের’ একবছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আজ এক বর্ণাঢ্য সাইকেল র্যালির আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে শুরু হওয়া ‘ফতহে গণভবন সাইকেল র্যালি’টি শাহবাগ, কাওরান বাজার, ফার্মগেট, বিজয় সরণি হয়ে গণভবনের সামনের সড়ক পর্যন্ত যায় এবং সেখান থেকে আসাদগেট, ধানমন্ডি, সাইন্সল্যাব, নীলক্ষেত হয়ে টিএসসিতে এসে শেষ হয়। র্যালিটি ছিল সুশৃঙ্খল, প্রাণবন্ত এবং বিভিন্ন ব্যতিক্রমধর্মী গণতান্ত্রিক ও মুক্তির স্লোগানে মুখরিত।
র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম, দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ, প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম, ছাত্র অধিকার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদ ও সেক্রেটারি মহিউদ্দিন খান। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী, কর্মী ও নেতা এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকে একটি করে বিশেষ টিশার্ট সরবরাহ করা হয়, যাতে লেখা ছিল, “৩৬ শে জুলাই, আমরা থামব না।” র্যালির প্রতিটি সাইকেলে ছিল বাংলাদেশের ও ফিলিস্তিনের পতাকা, যা আন্তর্জাতিক সংহতির প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়।
র্যালি শেষে টিএসসিতে উপস্থিত সবাইকে প্রাতরাশ সরবরাহ করা হয় এবং সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ছাত্রশিবির নেতারা দেশের ছাত্রসমাজকে অধিকার সচেতন, নৈতিক ও গণতান্ত্রিক চেতনায় উজ্জীবিত হওয়ার আহ্বান জানান।
ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, “এক বছর আগে জনগণ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে বিজয় অর্জন করেছিল। আজকের র্যালি সেই চেতনা পুনর্জাগরণের প্রতীক।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদ বলেন, “৫ আগস্ট বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতার প্রতীক। এই দিনটিকে ঘিরেই আমরা আয়োজন করছি তিন দিনব্যাপী কালচারাল প্রোগ্রাম, আলোচনা সভা ও চিত্র প্রদর্শনী।”
শাখা সেক্রেটারি মহিউদ্দিন খান বলেন, “নৈতিক ও আদর্শভিত্তিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে ছাত্রসমাজের সক্রিয় ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আর এই র্যালি সেই দায়িত্ব পালনেরই বহিঃপ্রকাশ।”
কাফি
রাজনীতি
পিটার হাসের সঙ্গে এনসিপি নেতাদের বৈঠকের ‘গুজব’

কক্সবাজারে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠকের খবর বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে, এনসিপি সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো এই খবরকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের দাবি, এনসিপির উচ্চপদস্থ নেতারা কোনো রাজনৈতিক বৈঠকে অংশ নেননি, বরং বর্তমানে তারা কক্সবাজারে অবকাশ যাপন করছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে যুগ্ম সদস্য সচিব (মিডিয়া) মুশফিক উস সালেহীন বলেন, পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি গুজব। কেন্দ্রীয় নেতারা সেখানে ঘুরতে গেছেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মুঠোফোনে বলেন, পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে যেসব নিউজ ছড়ানো হচ্ছে তার পুরোটাই গুজব। আমরা এমন মিটিংয়ের বিষয়ে কিছুই জানি না।
এর আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়, এই মুহূর্তে কক্সবাজারে অবস্থান করছেন পিটার হাস। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ পাঁচ নেতা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সেখানে গিয়েছেন। কক্সবাজারের একটি হোটেলে তারা বৈঠক করবেন।
মূলত ৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিনে সারাদেশ যখন নেতাকর্মী ও জনসাধারণ ঢাকায় আসছেন ঠিক সেই সময়ে কক্সবাজার গেলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, তাসনিম জারা ও খালেদ সাইফুল্লাহ। এতেই কৌতূহল তৈরি হয়েছে জনমনে। এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট দেওয়া হচ্ছে। কেউ কেউ পোস্টে দাবি করেছেন— পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করতে এই নেতারা কক্সবাজারে গেছেন।
দলটির বিশ্বস্ত একটি সূত্র বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে ফেসবুকে দেখছি— নেতারা কক্সবাজার গেছেন। খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম তারা কক্সবাজারে ঘুরতে গেছেন। পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে যে খবরটি বের হয়েছে, সেটি গুজব-মিথ্যা। তবে, পিটার হাস মাঝেমধ্যে কক্সবাজারে তার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে বৈঠক করেন। গুজবকারীরা সেটাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন। এনসিপি পিটার হাসের সঙ্গে কোনও বৈঠক করেনি। নেতারা বিকেলেই ঢাকা ফিরে আসবেন বলে জানি।
এদিকে বৈঠকের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।