রাজনীতি
জুলাই সনদ শুধুমাত্র কাগজে নয়, বাস্তবায়ন চাই: ড. হেলাল উদ্দিন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, জুলাই সনদ শুধুমাত্র কাগজে নয়, আইনি ভিত্তিতে রূপ দিয়ে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। নতুবা ১৯৯০ সালের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন-পরবর্তী রাষ্ট্রকাঠামোর জাতীয় রূপরেখার মতো জুলাই সনদও শুধু এক টুকরো কাগজ হিসেবেই পড়ে থাকবে।
রবিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে ভয়েস অব সিভিল রাইটস ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘জুলাই শহীদদের স্মরণে’ বিনামূল্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হেলাল উদ্দিন বলেন, গত বছরের ৩ আগস্ট ছিল বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে এক কালো অধ্যায়। এদিন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের দলীয় সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় বাহিনী গণহত্যা চালিয়ে রাজপথ রক্তে রঞ্জিত করে। রাজধানীর অলিতে-গলিতে লাশের সারি, রক্তের গন্ধ, বুলেটের আওয়াজ, অস্ত্রের মহড়া। এতকিছুর পরও ছাত্র-জনতা রাজপথ ছাড়েনি। জীবনের মায়া বিসর্জন দিয়ে দেশপ্রেম ধারণ করে দেশ থেকে আধিপত্যবাদের দোসর ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে বিতাড়িত করেছে। ছাত্র-জনতার ৩৬ দিনের আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে রাষ্ট্রের সংস্কার ও গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। বিপ্লবী সরকার থেকে বিপ্লবের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি আদায় করতেও দীর্ঘ এক বছর লেগে গেছে। কারণ সরকারের ভিতরে ফ্যাসিবাদের দোসর স্তরে স্তরে বসে আছে। সরকার চলতি বছরের ৫ আগস্ট জুলাই ঘোষণাপত্র উপস্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সরকারের কাছে ছাত্র-জনতার দাবি, এই জুলাই ঘোষণাপত্রকে অবশ্যই আইনি ভিত্তিতে রূপ দিতে হবে এবং বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
এসময় তিনি, জুলাই শহীদদের স্মরণে এমন মহৎ উদ্যোগের জন্য ভয়েস অব সিভিল রাইটস ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, জামায়াতে ইসলামীর ৪ দফা কর্মসূচির একটি সমাজসেবা ও সমাজ সংস্কার। যেকোনো সামাজিক সংগঠন সমাজসেবা কর্মসূচির উদ্যোগ নিলে জামায়াতে ইসলামী সহযোগিতা ও সমর্থন জানাবে। তিনি জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক কর্মসূচি তুলে ধরে বলেন, জামায়াতে ইসলামী কখনো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসেনি। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান, কর্মসংস্থান, খাদ্য, বস্ত্রসহ মানুষের যেকোনো প্রয়োজনে সবার আগে, সবসময় পাশে দাঁড়িয়েছে; আগামীতেও দাঁড়াবে। এসময় তিনি বলেন, জনগণ যদি আগামীতে জামায়াতে ইসলামীর হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দেয় তবে জনগণের মৌলিক অধিকার রাষ্ট্র কর্তৃক নিশ্চিত করা হবে।
ভয়েস অব সিভিল রাইটস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডা. মোহাম্মদ মারুফ শাহরিয়ারের সভাপতিত্বে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেইটে অনুষ্ঠিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধনী সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের মুসল্লী কমিটির সহ-সভাপতি, সমাজসেবক শাহীন আহমেদ খান। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বায়তুল মোকাররম সাংগঠনিক ওয়ার্ড সভাপতি এনামুল হক শামীম, সহ-সভাপতি হাফেজ বেলাল, মানবাধিকারকর্মী আব্দুর রহমান প্রমুখ।
এদিকে ‘বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন’ আয়োজিত ‘‘গণতন্ত্র উত্তরণে মহাজাগরণ” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে গণতন্ত্রের কবর দিয়েছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো দীর্ঘ ১৭ বছর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে এসেছে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের পক্ষে জামায়াতে ইসলামী বরাবরই আপোষহীন ছিল। কিন্তু ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে ফ্যাসিবাদের পতনের পর আমাদের আন্দোলন-সংগ্রামের সহযাত্রী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভেদ আর বিভাজনের সংস্কৃতিতে জড়িয়ে পড়েছে। কাদা ছোড়াছুড়ির রাজনীতি কোনো দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণকর নয় উল্লেখ করে তিনি ফ্যাসিবাদবিরোধী এবং গণতন্ত্রকামী সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নতুবা বিভেদ ও বিভাজনের সুযোগে ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ আবারও পুনর্বাসনের সুযোগ পাবে। ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার পথ বন্ধ করতে হলে অবশ্যই ঐক্যের বিকল্প নেই।
বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রিয়াজুর রহমান রিয়াজের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি নিজাম উদ্দিন দরবেশের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।
কাফি

রাজনীতি
বিএনপিকে রাজনীতির মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে: রিজভী

এক এগারোর মতো করে বিএনপিকে রাজনীতির মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ছাত্রদলের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তাকে গুরুত্বহীন করে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের লোকজনকে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপার (এসপি) বানানো হচ্ছে। এ ছাড়া এক এগারোর মতো করে বিএনপিকে রাজনীতির মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে।
তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আমলে অথবা তার আগে শিক্ষাগত যোগ্যতায় চাকরিতে সুযোগ পাওয়া ছেলেরা, হয়তো ছাত্রজীবনে ছাত্রদলের রাজনীতি করেছে অথবা বাবা, চাচা, মামা কেউ বিএনপির স্থানীয় নেতা। এ ব্যাকগ্রাউন্ড থাকলেই তাকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের সময় নতুন করে শেখ হাসিনার মতো বিভাজন তৈরি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার ১৫-১৬ বছরে যাদের পদোন্নতি হয়নি, তাদের অনেকের এখনো হয়নি। আবার অনেকের পদন্নোতি হলেও এক বছর ধরে তাদের গুরুত্বহীনভাবে ফেলে রাখা হয়েছে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে বিএনপির বিরুদ্ধে ভয়ংকর অপপ্রচার করা হচ্ছে। সরকারের উপদেষ্টা থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিএনপিকে লক্ষ্যবস্তু করছে। একে আমরা ওয়ান-ইলেভেনের তত্ত্বের সঙ্গে মেলাতে পারি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ঘিরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র থেমে নেই। দুর্গাপূজা ঘিরে নাশকতা ও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করা হতে পারে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের পূজামণ্ডপে প্রহরীর ভূমিকায় লাগাতার অবস্থানের নির্দেশ দেন রিজভী।
কাফি
রাজনীতি
এনসিপিকে নিবন্ধন দিতে ইতিবাচক ইসি: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দিতে নির্বাচন কমিশন ইতিবাক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের সঙ্গে বৈঠকে বসে এনসিপি। বৈঠক শেষে দলটির মুখ্য সমন্বয়ক এ তথ্য জানিয়েছেন।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, সুখবর আসছে। এনসিপি নিবন্ধন পাবে বলে ইসি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে আমাদের শাপলা প্রতীক দিতে হবে। আমরা সাদা শাপলা বা লাল শাপলা প্রতীক চেয়েছি। এর মধ্যে কোনো একটি প্রতীক না পেলে এনসিপি পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।
জানা গেছে, দলটির শাপলা প্রতীক নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি ইসি। এনসিপি দ্বিতীয়বার শাপলার পাশাপাশি সাদা ও লাল শাপলা প্রতীক চেয়ে আবেদনে করেছে। কিন্তু প্রতীকের তালিকায় এ ধরনের নির্বাচনী প্রতীক রাখেনি ইসি এবং আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রতীক তালিকাও সংশোধন আকারে ভেটিংয়ের অপেক্ষায় রয়েছে।
রাজনীতি
এনসিপি, জাতীয় লীগসহ নিবন্ধন পাচ্ছে ৬ দল

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চূড়ান্ত নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি), বাংলাদেশ জাতীয় লীগসহ ছয়টি নতুন রাজনৈতিক দল। কমিশনের স্বাক্ষর হওয়ার পর নতুন নিবন্ধিত দলগুলোর বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করবে নির্বাচন কমিশন। ইসির দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) কমিশনের অনুমোদনের জন্য ফাইল কমিশনের কাছে পাঠানো হবে। তবে কমিশন চাইলে শাখার প্রস্তাবে সংযোজন-বিয়োজন করতে পারবে। মূলত কমিশনের চূড়ান্ত অনুমোদনের পর গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।
ইসির দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ২২টি দলের মাঠ পর্যায়ে যাচাই-বাছাই শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় লীগসহ ছয়টি দলকে চূড়ান্তভাবে নিবন্ধন দিতে নথিতে ফাইল তোলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট শাখার কার্যক্রম বা স্বাক্ষর হয়েছে গত রোববার।
এক প্রশ্নে ওই সূত্র আরও জানায়, মোট ৬টি দলের নিবন্ধনের জন্য কমিশনের কাছে নথিতে ফাইল তোলা হয়েছে। ১০টি দলের বিষয়ে পুনতদন্ত করা হবে এবং বাকি ৬টি দলের আবেদন বাতিল করা হয়েছে। এই ১০টি দলের মধ্যে ৯টির মাঠ পর্যায়ে পুনতদন্ত এবং একটি দলের পুনতদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে নির্বাচন কমিশনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে।
এর আগে, নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব আলী নেওয়াজ গত ১৪ এবং ১৫ সেপ্টেম্বর দুটি দল ছাড়া ২০টি দলের শুনানি করে। অন্যান্যবারের মতো এবারও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দল নিবন্ধনের আবেদন আহ্বান করে ইসি। এতে ১৪৩টি নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন চেয়ে আবেদন করেছিল। প্রথম দফায় কোনো দলই শর্ত পূরণ না করায় সবাইকে সময় দিয়ে ঘাটতি পূরণ করতে বলেছিল ইসি। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ ৮৪টি দল সাড়া দিলেও অন্যরা সাড়া দেয়নি। ৮৪টি দলের মধ্যে আবার ৬২টি দল ঘাটতি পূরণ করতে তথ্য জমা দিয়েও শর্ত পূরণ করতে পারেনি। তাই বর্তমানে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ ২২টি দলের মাঠ পর্যায়ে তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শুনানি করে ইসি।
ফরোয়ার্ড পার্টি, আমজনতার দল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি), বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), মৌলিক বাংলা, বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, জাতীয় জনতা পার্টি, জনতার দল, জনতা পার্টি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি, বাংলাদেশ জাতীয় লীগ, ভাসানী জনশক্তি পাটি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ-শাহজাহান সিরাজ), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ বেকার সমাজ (বাবেস), বাংলাদেশ সলুশন পার্টি এবং নতুন বাংলাদেশ পার্টি।
আইন অনুযায়ী, নিবন্ধন পেতে ইচ্ছুক দলের একটি কেন্দ্রীয় কমিটি, এক তৃতীয় জেলা ও ১০০টি উপজেলা কমিটি এবং প্রতিটি কমিটিতে ২০০ ভোটারের সমর্থনের প্রমাণ থাকতে হয়। এছাড়া কোনো দলের কেউ আগে সংসদ সদস্য থাকলে বা আগের নির্বাচনের পাঁচ শতাংশ ভোট পেলেও নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে ধরে থাকে ইসি। এ প্রধান শর্তগুলো ছাড়াও বেশকিছু নিয়ম কানুন মেনে আবেদন করতে হয়।
নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় দলগুলোর আবেদন পাওয়ার পর কমিশন প্রথমে এগুলো প্রাথমিক বাছাই করে। এরপর প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ দলগুলোর তথ্যাবলি সরেজমিন তদন্ত শেষে বাছাই সম্পন্ন করা হয়। পরবর্তীতে মনোনীত দলগুলোর বিরুদ্ধে কারো কোনো অভিযোগ থাকলে দাবি-আপত্তি চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। সেখানে কোনো আপত্তি এলে শুনানি করে তা নিষ্পত্তি করে কমিশন। আর কোনো আপত্তি না থাকলে সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে নিবন্ধন সনদ প্রদান করে সংস্থাটি। নিবন্ধন ছাড়া কোনো দল নিজ প্রতীকে ভোটে প্রার্থী দিতে পারে না।
বর্তমানে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫১টি (আওয়ামী লীগসহ)। এবার আরও ছয়টি দল নিবন্ধন পেলে ইসির নিবন্ধিত মোট দলের সংখ্যা দাঁড়াবে ৫৭টি। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন প্রথা চালু করে ইসি।
রাজনীতি
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক আজ

নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বৈঠক আজ।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহীন এক বার্তায় এ তথ্য জানান।
বার্তায় বলা হয়, সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় নির্বাচন কমিশনে যাবেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
এর আগে, গত ৩ আগস্ট প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেছিল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতিনিধি দল। ওই বৈঠকে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারীর নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
রাজনীতি
বিনিয়োগকারীরা নির্বাচনের অপেক্ষায় আছেন: আমীর খসরু

ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারীরাসহ সবাই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, অর্থনীতিকে রক্ষা করার জন্য সবাই মিলে কাজ করতে হবে। ভবিষ্যৎ অর্থনীতি, বিনিয়োগের সম্ভাবনা রক্ষা করতে হবে। এলডিসি উত্তরণ স্থগিত করা প্রয়োজন। এ বিষয় পর্যবেক্ষণের জন্য জাতিসংঘে সরকারকে চিঠি দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
আমীর খসরু বলেন, দেশের অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের স্বার্থে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন স্থগিত রাখা দরকার।
এ সময় বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, এলডিসি উত্তরণ স্থগিত নয় বরং অন্তত তিন বছর পেছানো প্রয়োজন। এই মুহূর্তে এলডিসি উত্তরণের জন্য প্রস্তুত নয় বাংলাদেশ। এ ছাড়া, ২০ জন শ্রমিক আবেদন করলেই ট্রেড ইউনিয়ন করা যাবে, এমন কিছু কার্যকর হলে ইউনিয়নের অপব্যবহার হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এবিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান বিজিএমইএ সভাপতি। বৈঠকে ১১জন শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
এর আগে, বিকেল ৫টায় ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতারা বৈঠকে বসেন। বৈঠকে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।