ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইসলামিক ফাউন্ডেশনে বিশাল নিয়োগ

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। আগ্রহীরা ২৬ আগস্ট পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
পদের সংখ্যা: ৪৩টি
লোকবল নিয়োগ: ৩৬৩ জন
পদের নাম: ফার্মাসিস্ট
পদসংখ্যা: ৯টি
বেতন: ১২৫০০-৩০২৩০ টাকা (গ্রেড-১১)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক ডিগ্রী বা সমমানের মাদরাসা ডিগ্রীসহ ফার্মাসিষ্ট ডিপ্লোমা।
পদের নাম: হোমিওপ্যাথ
পদসংখ্যা: ২টি
বেতন: ১২৫০০-৩০২৩০ টাকা (গ্রেড-১১)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: হোমিওপ্যাথিক ইনষ্টিটিউশন কর্তৃক প্রদত্ত ডিগ্রী বা ডিপ্লোমা।
পদের নাম: লাইব্রেরী সহকারী
পদসংখ্যা: ৩টি
বেতন: ১২৫০০-৩০২৩০ টাকা (গ্রেড-১১)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ফাজিল অথবা কামিলসহ লাইব্রেরী সায়েন্সে ডিপ্লোমা
পদের নাম: রেফারেন্স সহকারী
পদসংখ্যা: ১টি
বেতন: ১২৫০০-৩০২৩০ টাকা (গ্রেড-১১)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ফাজিল অথবা কামিলসহ লাইব্রেরী সায়েন্সে ডিপ্লোমা
পদের নাম: হোমিও কম্পাউন্ডার (ইসলামিক মিশন)
পদসংখ্যা: ১৪টি
বেতন: ১১৩০০-২৭৩০০ টাকা (১২তম গ্রেড)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: হোমিওপ্যাথিক ইনষ্টিটিউশন কর্তৃক প্রদত্ত হোমিওপ্যাথিতে ডিপ্লোমাসহ উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা আলিম পাস।
পদের নাম: লেডি ফার্মাসিস্ট
পদসংখ্যা: ০৮টি
বেতন: ১১৩০০-২৭৩০০/-(১২তম গ্রেড)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা আলিম পাশসহ প্যারামেডিক্যাল বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ডিপ্লোমা।
পদের নাম: স্টেনোগ্রাফার
পদসংখ্যা: ১টি
বেতন: ১১০০০-২৬৫৯০/-(১৩তম গ্রেড)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: উচ্চ মাধ্যমিক বা আলিম পাস
পদের নাম: হিসাবরক্ষক
পদসংখ্যা: ৩২টি
বেতন: ১১০০০-২৬৫৯০/-(১৩তম গ্রেড)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: বাণিজ্য বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি
পদের নাম: কেয়ারটেকার (ইপ্রএ)
পদসংখ্যা: ২টি
বেতন: ১১০০০-২৬৫৯০/-(১৩তম গ্রেড)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতকডিগ্ৰী বা সমমানের মাদ্রাসা ডিগ্রী
পদের নাম: প্রশিক্ষণ সহকারী
পদসংখ্যা: ৬টি
বেতন: ১১০০০-২৬৫৯০/-(১৩তম গ্রেড)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক ডিগ্রী বা সমমানের মাদরাসা ডিগ্রী
পদের নাম: অপারেটর
পদসংখ্যা: ২টি
বেতন: ১১০০০-২৬৫৯০/-(১৩তম গ্রেড)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: মাধ্যমিক স্কুল সাটিফিকেট বা দাখিল পাস
পদের নাম: মেশিনম্যান
পদসংখ্যা: ৫টি
বেতন: ১০০০-২৬৫৯০/-(১৩তম গ্রেড)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: মাধ্যমিক স্কুল সাটিফিকেট বা দাখিল পাস
পদের নাম: মনোকাস্টার
পদসংখ্যা: ১টি
বেতন: ১০০০-২৬৫৯০/-(১৩তম গ্রেড)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: মাধ্যমিক স্কুল সাটিফিকেট বা দাখিল পাস
পদের নাম: ল্যাবরেটরী টেকনিশিয়ান
পদসংখ্যা: ৫টি
বেতন: ১০২০০-২৪৬৮০/-(১৪ম গ্রেড)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা আলিম পাশসহ ল্যাবরেটরী টেকনিশিয়ান কোর্সে ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট।
পদের নাম: মুয়াজ্জিন
পদসংখ্যা: ১টি
বেতন: ১০২০০-২৪৬৮০/-(১৪ম গ্রেড)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: আলিম বা সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ ইলমে ক্বিরাতে সাটিফিকেট।
পদের নাম: লেদ মেকার
পদসংখ্যা: ১টি
বেতন: ১০২০০-২৪৬৮০/-(১৪ম গ্রেড)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা দাখিল পাস।
পদের নাম: ব্লক মেকার
পদসংখ্যা: ০১টি
বেতন: ১০২০০-২৪৬৮০/-(১৪ম গ্রেড)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা দাখিল পাস।
পদের নাম: সিকিউরিটি সুপারভাইজার
পদসংখ্যা: ১টি
বেতন: ১০২০০-২৪৬৮০/-(১৪ম গ্রেড)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা দাখিল পাশ এবং সেনাবাহিনীর সুবেদার পদমর্যাদাসম্পন্ন প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
পদের নাম: স্টোর কিপার
পদসংখ্যা: ৩টি
বেতন: ৯৭০০-২৩৪৯০/-(১৫তম গ্রেড)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা আলিম পাস।
পদের নাম: বিক্রয় সহকারী
পদসংখ্যা: ১৬টি
বেতন: ৯৭০০-২৩৪৯০/-(১৫তম গ্রেড)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা আলিম পাস।
পদের নাম: ড্রাইভার
পদসংখ্যা: ৪টি
বেতন: ৯৭০০-২৩৪৯০/-(১৫তম গ্রেড)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাশসহ ভারী ও হালকা মোটরযান চালনায় বৈধ লাইসেন্স ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
পদের নাম: কম্পোজিটর
পদসংখ্যা: ৮টি
বেতন: ৯৭০০-২৩৪৯০/-(১৫তম গ্রেড)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: মাধ্যমিক সাটিফিকেট বা দাখিল পাস
পদের নাম: মেকানিক কাম স্টিচিং কাম অপারেটর
পদসংখ্যা: ১টি
বেতন: ৯৭০০-২৩৪৯০/-(১৫তম গ্রেড)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ৮ম শ্রেণি পাশ বা মাদরাসা বোর্ডের সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা।
পদের নাম: বেইজম্যান
পদসংখ্যা: ২টি
বেতন: ৯৭০০-২৩৪৯০/-(১৫তম গ্রেড)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ৮ম শ্রেণি পাশ বা সমমানের মাদ্রাসা শিক্ষা
পদের নাম: কম্পাউন্ডার (হোমিও)
পদসংখ্যা: ১টি
বেতন: ৯৭০০-২৩৪৯০/-(১৫তম গ্রেড)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: হোমিওপ্যাথিতে ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট।
পদের নাম: স্যানিটারী ইন্সপেক্টর
পদসংখ্যা: ১টি
বেতন: ৯৭০০-২৩৪৯০/-(১৫তম গ্রেড)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: উচ্চ মাধ্যমিক সাটিফিকেট বা আলিম পাসসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্বীকৃত কোন প্রতিষ্ঠান হতে ট্রেড কোর্সধারী হতে হবে।
পদের নাম: হিসাব সহকারী
পদসংখ্যা: ১১টি
বেতন: ৯৩০০-২২৪৯০/-(১৬তম গ্রেড)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা আলিম পাস
পদের নাম: অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক
পদসংখ্যা: ৭৪টি
বেতন: ৯৩০০-২২৪৯০/-(১৬তম গ্রেড)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা আলিম পাস।
পদের নাম: রেকর্ড এবং ডেসপাশ সহকারী
পদসংখ্যা: ২টি
বেতন: ৯৩০০-২২৪৯০/-(১৬তম গ্রেড)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: মাধ্যমিক স্কুল সাটিফিকেট বা দাখিল পাস
পদের নাম: এল.ডি.এ কাম হিসাব সহকারী
পদসংখ্যা: ১টি
বেতন: ৯৩০০-২২৪৯০/-(১৬তম গ্রেড)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: বাণিজ্য বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা আলিম পাস
পদের নাম: রেন্ট কালেক্টর
পদসংখ্যা: ১টি
বেতন: ৯৩০০-২২৪৯০/-(১৬তম গ্রেড)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা আলিম পাস
পদের নাম: প্রুফ রিডার (প্রেস)
পদসংখ্যা: ৩টি
বেতন: ৯৩০০-২২৪৯০/-(১৬তম গ্রেড)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা আলিম পাস
পদের নাম: এপ্রেনটিস (প্রেস)
পদসংখ্যা: ৪টি
বেতন: ৯৩০০-২২৪৯০/-(১৬তম গ্রেড)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাস বা সমমানের মাদরাসা শিক্ষা (উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে)।
পদের নাম: ইলেকট্রিশিয়ান
পদসংখ্যা: ২টি
বেতন: ৯৩০০-২২৪৯০/-(১৬তম গ্রেড)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্বীকৃত ইলেট্রিক্যাল ফার্মে মটর ষ্টাটার এর ইলেকট্রিক্যাল যন্ত্রপাতি ওয়েলডিং কাজে ৩ বছরের অভিজ্ঞতাসহ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা দাখিল পাস ইলেকট্রিক্যাল লাইসেন্সিং বোর্ড হতে বি, সি লাইসেন্সধারী।
পদের নাম: খাদেম
পদসংখ্যা: ৮টি
বেতন: ৯৩০০-২২৪৯০/-(১৬তম গ্রেড)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: আলিম পাস
পদের নাম: অডিও ভিজ্যুয়েল অপারেটর
পদসংখ্যা: ৫টি
বেতন: ৮৮০০-২১৩১০/-(১৮তম গ্রেড)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: মাধ্যমিক স্কুল সাটিফিকেট বা দাখিল পাশসহ প্রজেক্টর পরিচালনায় এবং সংশ্লিষ্ট মেশিনপত্র সংরক্ষণে ৩ (তিন) বছরের অভিজ্ঞতা।
পদের নাম: মেস ক্লিনার
পদসংখ্যা: ১টি
বেতন: ৮৫০০-২০৫৭০/-(১৯তম গ্রেড)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাসবা সমমানের মাদরাসা শিক্ষা।
পদের নাম: অফিস সহায়ক
পদসংখ্যা: ৮৫টি
বেতন: ৮২৫০-২০০১০/-(২০তম গ্রেড)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাস বা সমমানের মাদরাসা শিক্ষা।
পদের নাম: নিরাপত্তা প্রহরী
পদসংখ্যা: ৯টি
বেতন: ৮২৫০-২০০১০/-(২০তম গ্রেড)
শিক্ষাগত যোগ্যতা:অষ্টম শ্রেণি পাস বা সমমানের মাদ্রাসা শিক্ষা
পদের নাম: পরিচ্ছন্নতা কর্মী
পদসংখ্যা: ১২টি
বেতন: ৮২৫০-২০০১০/-(২০তম গ্রেড)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাস। ঝাড়ুদার সম্প্রদায়ের প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
পদের নাম: বাবুর্চি
পদসংখ্যা: ৭টি
বেতন: ৮২৫০-২০০১০/-(২০তম গ্রেড)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাসহ প্রার্থীকে বাংলায় লিখতে ও পড়তে সক্ষম হতে হবে।
পদের নাম: সহকারী বাবুর্চি
পদসংখ্যা: ০৬টি
বেতন: ৮২৫০-২০০১০/-(২০তম গ্রেড)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাসহ প্রার্থীকে বাংলায় লিখতে ও পড়তে সক্ষম হতে হবে।
আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
হিজাব নন-হিজাব বা আধুনিক পোশাক, সবার সমান অধিকার: সাদিক কায়েম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)’র সদ্য নির্বাচিত সহ-সভাপতি সাদিক কায়েম, ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ থেকে নির্বাচনে ২৮টি পদের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন। গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কারো পোশাকের পছন্দ, ব্যক্তিগত পরিচয় বা প্রতীক নিয়ে হেয় করা, হস্তক্ষেপ করা কিংবা কোনো সিম্বলকে অপরাধী করা একেবারেই চলবে না। হিজাব পরা শিক্ষার্থীর যেমন অধিকার আছে, তেমনি নন-হিজাব বা আধুনিক পোশাক পরা শিক্ষার্থীরও সমান অধিকার থাকবে।
ডাকসু নির্বাচনে নারী শিক্ষার্থীদের ভোট বেশি পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে যে প্রপাগান্ডা চালানো হয়েছিল, তা ভেঙে গেছে। জুলাই বিপ্লবের পর আমাদের কার্যক্রম প্রমাণ করেছে, প্রতিশ্রুতি শুধু মুখের কথা নয়। নারীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তোলা পর্যন্ত আমরা থামব না।’
সাদিক কায়েম আরও জানান, তাদের ইশতেহারে নারীদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিয়ে একাধিক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। স্যানিটেশন, স্বাস্থ্যসেবা ও আবাসন সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে এবং শিগগির বাস্তবায়ন শুরু হবে। তিনি বলেন, নারী শিক্ষার্থীরা এমন নেতৃত্ব খুঁজে পেয়েছেন, যাদের প্রতি আস্থা রাখতে পারেন।
শিবিরের বিজয়ে স্বাধীনতা খর্ব হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি মাল্টিকালচারাল প্রতিষ্ঠান, এখানে স্বাধীনতা সীমিত করার কোনো সুযোগ নেই। হিজাব-ননহিজাব শিক্ষার্থীর সমান অধিকার নিশ্চিতে কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
তা’মীরুল মিল্লাত মাদ্রাসায় আলিম নবীন শিক্ষার্থীদের সবক প্রদান

দেশসেরা দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা ঢাকায় ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের আলিম শ্রেণির নবীন শিক্ষার্থীদের সবক প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মাদরাসার মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন মাদরাসার প্রধান মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুল গাফফার মাক্কী ও অনার্স বিভাগের পরিচালক মাওলানা শরিফুল ইসলাম।
মাদরাসার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ড. মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী এর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসর সাবেক সফল অধ্যক্ষ, তা’মীরুল মিল্লাত ট্রাস্টের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে শাম্মি কামিল মাদরাসার সাবেক মুহাদ্দিস শায়খুল হাদীস আল্লামা ফজলুল কারীম, বায়তুল মোকাররম এর ইমাম ড. মুহিউদ্দীন কাসেমী।
নবীন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে এ অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান, মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক জনাব আব্দুস সামাদ, ফকিহ মাওলানা মহিউদ্দীন, মুফাসসির মাওলানা আবুল কাসেম, মুফাসসির মাওলানা জাকির হুসাইন শেখ, কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ভিপি হাফেজ আব্দুর রহমান ও এজিএস আব্দুল কাইয়ুম।
প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন নবীন শিক্ষার্থীদের করণীয় সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন। তিনি শিক্ষার্থীদের যুগ শ্রেষ্ঠ আলেম এবং বিশ্ব নেতৃত্বের উন্নততর যোগ্যতা অর্জনের জন্য আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের সভাপতি মাদরাসার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ড. মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান শিক্ষার্থীদের অমিত সম্ভাবনার কথা বলে তাদেরকে আগামীর পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আহ্বান করেন।
নবাগত শিক্ষার্থীদের পবিত্র হাদীস থেকে দরস দিয়ে আলিম ক্লাসের প্রথম সবক উদ্বোধন করেন বরেণ্য আলেমেদ্বীন অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন।
অনুষ্ঠানের শেষে এ মাদরাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় বোর্ড বৃত্তি প্রাপ্ত ২২জন শিক্ষার্থীকে পুরুস্কৃত করা হয়।
কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
একাদশে ভর্তির শেষ দিন আজ, ক্লাস শুরু সোমবার

চলতি শিক্ষাবর্ষের (২০২৫-২৬) একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির চূড়ান্ত সময় শেষ হচ্ছে আজ রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর)। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের আজই নিজ নিজ কলেজে গিয়ে ফি জমা দিয়ে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। পরদিন সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হবে একাদশ শ্রেণির নিয়মিত ক্লাস।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, তৃতীয় ধাপের পরও দেশে ৫ হাজার ২৪০ জন শিক্ষার্থী কোনো কলেজে ভর্তি হতে পারেননি। এর মধ্যে ২৯৫ জন শিক্ষার্থীর জিপিএ-৫ রয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, ঢাকার কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক মো. রিজাউল হক জানান, চলতি শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রম প্রায় সফলভাবে শেষের পথে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ ও ঝামেলামুক্তভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই আবেদন করতে পেরেছে, ফলাফল জানতে পেরেছে এবং ভর্তি নিশ্চিত করতে পেরেছে; এটি আমাদের জন্য একটি বড় অর্জন।
তিনি বলেন, বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই তাদের পছন্দের কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। আমাদের লক্ষ্য হলো কোনো শিক্ষার্থী যেন শিক্ষার বাইরে না থাকে। আমরা সবাইকে নিয়ে আগামীকাল (সোমবার) থেকে একযোগে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু করতে চাই।
এর আগে, গত ৫ সেপ্টেম্বর একাদশ শ্রেণির ভর্তির তৃতীয় ধাপের ফল এবং সর্বশেষ মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরবর্তী ৪৫ কর্মদিবসের মধ্যে ভর্তি ও ক্লাস শুরুর পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।
এবারও একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইনে সম্পন্ন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ পছন্দক্রমে বেছে আবেদন করতে পেরেছেন। ভর্তি ফি অঞ্চল ও কলেজভেদে এক হাজার থেকে আট হাজার পাঁচশ টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
নীতিমালা অনুযায়ী ৯৩ শতাংশ আসন উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ বাকি সাত শতাংশ আসন সংরক্ষিত। সমান জিপিএ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে নম্বর বিবেচনায় মেধাক্রম ঠিক করা হয়েছে। নিজ কলেজে এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
আবিদের স্লোগান নিয়ে ব্যঙ্গ করার প্রতিবাদে ইবিতে মানববন্ধন

ছাত্রদল নেতা আবিদুল ইসলামের উক্তিকে ব্যঙ্গ করে ভিডিও তৈরির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জুলাই যোদ্ধাদের একাংশ (শিক্ষার্থী)। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। মানববন্ধনে এ ঘটনায় জড়িতদের আবাসিক হল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে তাদের হাতে ‘আবু সাইদ-ওয়াসিমের রক্ত, বৃথা যেতে দিব না’, ‘জুলাই আগষ্টের বিপ্লবী স্লোগান নিয়ে মককারীদের শাস্তি চাই’, ‘জুলাইয়ের অবমাননা মানি না, মানব না’, ‘বাকস্বাধীনতা চেয়েছি কিন্তু জুলাই অবমাননা চাইনি’ ইত্যাদি প্লাকার্ড দেখা যায়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, যে স্লোগান জুলাইয়ে আমাদের সাহস জুগিয়েছিল, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে উৎসাহ দিয়েছিল, নির্ভীক হতে শিখিয়েছিল-সেই ঐতিহাসিক বক্তব্যকে ব্যঙ্গাত্মকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমরা, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেছিলাম, এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, এই ঘটনার সাথে জড়িতরা সবাই চিহ্নিত শিবির কর্মী। তারা শাহ আজিজুর রহমান হলের আন্তর্জাতিক ব্লকের বাসিন্দা। বিশেষ করে নাহিদ ইসলাম নাহিদ, যিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আল-কোরআন বিভাগের শিক্ষার্থী এবং শিবিরের হল সভাপতি, তিনি এ ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত। তাদের স্বেচ্ছাচারী মানসিকতা থেকেই এ ধরনের ভিডিও তৈরি ও ভাইরাল করা হয়েছে।
মানববন্ধনে আরেক শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘জুলাই কিন্তু কারো একার না। এখানে সবাই অংশগ্রহণ করেছিল। আবিদ ভাইয়ের সেই স্লোগানের কারনেই কিন্তু সেদিন কেউ কাউকে আমরা ছেড়ে যাইনি। আর সে কারনেই আজ আমরা স্বাধীন হয়েছি, আজ আমরা কথা বলতে পারতেছি, আর আপনারা মব করতে পারতেছেন, মিমস্ বানাতে পারতেছেন। প্লিজ জুলাইকে ভুলে যাইয়েন না। মজা নিবেন নেন, কিন্তু যেটা আপনারে স্বাধীনতা এনে দিল সেটা নিয়ে প্লিজ মজা নিবেন না। মনে রাখবেন জুলাই এর প্রশ্নে কিন্তু আমরা কাউকে ছাড় দিব না।’
অভিযুক্ত শিবির কর্মীদের জানান, মূল ভিডিওটি ২৭ সেকেন্ডের ছিল। যেখানে তুমিও জানো, আমিও জানি, সাদিক কাইয়ুম পাকিস্তানি” স্লোগানও ছিলো। কিন্তু কাঁটছাট করে ১২ সেকেন্ড প্রচার করা হয়েছে।
ছাত্রশিবির কর্মীদের দাবি, ডাকসু নির্বাচনের সময় একটি ভিডিওতে এক ছাত্রীকে আবিদুলকে উদ্দেশ করে বলতে শোনা যায়, “ভাইয়া হারেন-জিতেন ছেড়ে যাইয়েন না, প্লিজ।” জবাবে আবিদুল বলেন, “তোমার ভাই ছেড়ে যাওয়ার লোক না।” মূলত এরকম ভিডিওগুলো দেখেই আমরা এই ভিডিও বানিয়েছি। ওই ভিডিওতে আবিদুল ইসলামের জুলাই-সংশ্লিষ্ট শ্লোগান ব্যঙ্গ করা হয়নি: বরং ডাকসু নির্বাচনের সময় তার প্রচারণার বিভিন্ন উক্তিকে সমালোচনা করা হয়েছে।
তারা বলেন, মজার ছলে করা আমাদের এই ভিডিওটি এভাবে মানুষকে কষ্ট দেবে, বিশেষ করে আমাদের জুলাই সহযোদ্ধাদের, এটি কখনোই ভাবতে পারিনি। আবিদ ভাইসহ যারা আমাদের এই কর্মকাণ্ডে ব্যথিত হয়েছেন সবার কাছে আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আবিদ ও সাদিক ভাইসহ সকলের কাছে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করছি।
অপরদিকে এ বিষয় নিয়ে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে সংগঠনটি। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ইবি ছাত্রদলের আহবায়ক সাহেদ আহম্মেদ ও মাসুদ রুমী মিথুনের পক্ষে এ অভিযোগ দেন আহবায়ক কমিটির সদস্য রাফিজ আহমেদ।
জানা যায়, গত ৯ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে নাহিদুর রহমান নামে এক শিক্ষার্থীর ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। এতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ জন শিক্ষার্থী আবিদুল ইসলামের ‘প্লিজ কেউ ছেড়ে যাইয়েন না’ ও ‘আপনাদের ভাই ছেড়ে যাওয়ার মানুষ না’ উক্তিকে ব্যাঙ্গাত্বকভাবে উপস্থাপন করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন, ওমর ফারুক (ইইই ২০-২১ সেশন), নাহিদ হাসান (আল কুরআন ২০-২১), নাইমুর রহমান (অর্থনীতি ২১-২২), সোহান (ল ১৭-১৮), রোকনুজ্জামান রোকন (মার্কেটিং ১৯-২০), মোজাম্মেল (দাওয়াহ ২১-২২), আবদুল্লাহ নুর মিনহাজ (আল হাদিস ২০-২১)। তারা সবাই ইবি শাখা ছাত্র শিবিরের কর্মীর বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য,গতকাল শুক্রবার রাতে ১২ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। ভিডিওটির খণ্ডাংশ দেখে ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ অনলাইন অ্যাক্টভিস্টরা প্রতিবাদ জানান।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সেই ভিডিওকাণ্ডে ক্ষমা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন ইবি ছাত্রশিবির কর্মীদের

সম্প্রতি ডাকসুর ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলামের জুলাই আন্দোলনে বলা ‘প্লিজ, কেউ কাউকে ছেড়ে যাইয়েন না’ অংশটি নিয়ে ব্যঙ্গ করার অভিযোগ উঠেছে ইবি শাখা ছাত্রশিবিরের কর্মীদের বিরুদ্ধে। তবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ক্ষমা চেয়েছে তারা।
তারা হলেন- ওমর ফারুক (ইইই ২০-২১ সেশন), নাহিদ হাসান (আল কুরআন ২০-২১), নাইমুর রহমান (অর্থনীতি ২১-২২), সোহান (সমাজ কল্যাণ ১৭-১৮), রোকনুজ্জামান রোকন (মার্কেটিং ১৯-২০), মোজাম্মেল (দাওয়াহ ২১-২২), আবদুল্লাহ নুর মিনহাজ (আল হাদিস ২০-২১)।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস কর্নারে আনীত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৬ সেকেন্ডের ভিডিওর শেষের ১২ সেকেন্ড কেটে অনলাইনে অতিরঞ্জিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রচার করা এবং আমাদের জুলাইয়ের মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে বলে দাবি করেন ছাত্রশিবির কর্মীরা। একই সাথে ‘এটা শুধু আবিদ কিংবা সাদিককে দুঃখ দেয়নি বরং সকল জুলাই যোদ্ধাকে ব্যথিত করেছে’ মর্মে স্বীকারোক্তি দিয়ে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, সাম্প্রতিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেখা যায় আমরা নিজেদের বন্ধুদের মাঝে ডাকসু নির্বাচনের প্রচারণা নিয়ে নিজেদের রুমে মজার ছলে আলোচনা করছিলাম। এতে সাদিক কায়েম ভাই এবং আবিদুল ভাই উভয়কেই নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনার এক পর্যায়ে ডাকসু নির্বাচনের সময় সাদিক কায়েম ভাইকে নিয়ে ব্যবহৃত বাক্য “তুমিও জানো, আমিও জানি-সাদিক কায়েম পাকিস্তানি” এবং ডাকসু প্রচারণায় ব্যবহৃত আবিদ ভাইয়ের বাক্য “প্লিজ, আপনারা কেউ কাউকে ছেড়ে যাইয়েন না” বলা হয়। আমাদের কথা চলাকালীন আমাদের মধ্য থেকেই একজন মজার ছলে ভিডিও ধারণ করে এবং ডাকসু নির্বাচনের ফলাফলের পূর্বে অনলাইনে প্রকাশ করে ফেলে।
তবে আমরা দেখতে পাই- ২৬ সেকেন্ডের ভিডিওর শেষের ১২ সেকেন্ড কেটে অনলাইনে অতিরঞ্জিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রচার করা হচ্ছে এবং আমাদের জুলাইয়ের মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে। অথচ এটি নিয়ে ভিডিও তৈরি করা এবং জুলাইয়ে আবিদ ভাইয়ের কৃতিত্বকে হেয় করা বা জুলাই আন্দোলনের স্লোগানকে অবজ্ঞা করা আমাদের কোনো উদ্দেশ্যই ছিল না। বরং আমরা ডাকসু নির্বাচনের প্রচারণাকালীন কিছু বক্তব্য নিয়ে বন্ধুদের মাঝে কথা বলছিলাম।
এছাড়াও আমরা সবাই জুলাইয়ের আন্দোলনে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অংশগ্রহণ করেছি। আর আবিদ ভাইয়ের জুলাইয়ের অবদান এবং তার আর্তনাদ “প্লিজ, কেউ কাউকে ছেড়ে যাইয়েন না” সেই কঠিন মুহূর্তে অসংখ্য শিক্ষার্থীর আন্দোলনে অংশগ্রহণ ও আন্দোলনে প্রাণ-সঞ্চার করেছিল বলে আমরা বিশ্বাস করি। তবে আমরা দেখতে পাচ্ছি, পূর্ণাঙ্গ ভিডিওটি প্রকাশ না করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভিডিওর কিছু অংশ প্রকাশ করাই বিভ্রান্তির মূল কারণ।
তারা আরও বলেন, মজার ছলে করা আমাদের এই বিষয়টি এভাবে আমাদের জুলাই সহযোদ্ধাদের ব্যথিত করবে- তা আমরা ভাবতে পারিনি, যেহেতু জুলাইয়ের কৃতিত্ব নিয়ে আমরা কোনো রকম কটাক্ষ করিনি। এরপরও বিভ্রান্তির কারণে, বিষয়টি আমাদের যেসব জুলাই যোদ্ধাদের ব্যথিত করেছে, তাদের কাছে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ করছি।
সংবাদ সম্মেলনে শিবির কর্মীরা বলেন, এখানে কোনো ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে আমরা ভিডিও তৈরি করিনি। পুরো ভিডিও পাবলিশ না করে কেন ১২ সেকেন্ড পাবলিশ করা হলো এতে বোঝা যায় এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে করা হয়েছে। দুঃখ প্রকাশ করেছি কারণ যেহেতু আমাদের কোনো উদ্দেশ্য ছিলো না কিন্তু তারপরও একটা ঘটনা ঘটেছে বলে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
আমরা জুলাইকে ধারণ করি। আমরা কোনোভাবে জুলাইকে কটাক্ষ করতে পারি না। আবিদ ভাই এর স্লোগান তখন সবার মাঝে প্রাণের সঞ্চার করেছিল। আমরা তাকে কোনোভাবে হেয় করতে পারি না। এখানে আবিদ ভাইকে নিয়ে মক করা হয়নি। আমাদের সেই উদ্দেশ্যও ছিলো না। কাউকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ব্যঙ্গ করা হয়নি।
আবিদ ভাইকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য মেসেজ করেছি, মেসেজ ডেলিভারি হয়েছে কিন্তু এখনো যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করছি আমরা জুলাইকে ব্যঙ্গ করে ভিডিও তৈরি করিনি বরং ডাকসু নির্বাচনের সময় তাদের কথার এপ্রোচকে মজার ছলে উপস্থাপন করেছি। যেহেতু এটা অপ্রত্যাশিত ভাবে ঘটনাটি ঘটেছে আমাদের ইচ্ছে ছিলো না কাউকে ইঙ্গিত করে ভিডিও করা, আমরা সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
এটা শুধু আবিদ ভাই কিংবা সাদিক ভাইকে দুঃখ দেয়নি বরং সকল জুলাই যোদ্ধাকে ব্যথিত করেছে। সেজন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। ডাকসু নির্বাচনে প্রচারণার সময় মেঘমল্লার বসু এবং আবিদ ভাই যে এপ্রোচে কথা বলেছিলেন আমরা শুধু সেটা প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি। জুলাই আন্দোলনে কারো ন্যূনতম অবদান থাকলে তাকে ছোট করে দেখার সুযোগ নাই। সবার অবদানকে স্বীকার করতে হবে। কিন্তু আমাদের কেন জুলাই আন্দোলনের মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে এটা আমাদের মনে সন্দেহের জন্ম দিয়েছে। এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ডাকসুর ফল ঘোষণার রাতে অর্থনীতি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের নাইমুর রহমান নামে এক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও পোস্ট করেন। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সেটি ভাইরাল হলে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে সমাজকল্যাণ বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সোহান হাসান সাকিব নামে এক শিক্ষার্থী ও ওমর ফারুক নামে আরেক শিক্ষার্থী ক্ষমা চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দেন।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি