জাতীয়
থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে স্বাগত জানাল বাংলাদেশ

চার দিনের বেশি সময় ধরে পাল্টাপাল্টি হামলার পর থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতিতে স্বাগত জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কোনো শর্ত ছাড়া থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ায় বাংলাদেশ স্বাগত জানায়। সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনার মধ্যস্থতার জন্য আসিয়ান চেয়ার মালয়েশিয়ার প্রশংসা করছে বাংলাদেশ। এছাড়া, এ যুদ্ধবিরতিতে থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ার অন্যান্য যেসব বন্ধুদের ভূমিকা রয়েছে তাদেরও প্রশংসা করছে বাংলাদেশ।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ আশাবাদী যে, থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়া উভয়ই সংলাপ এবং কূটনীতির মাধ্যমে অসামান্য সীমান্ত নির্ধারণের নিষ্পত্তি অব্যাহত রাখবে এবং সীমান্তে উভয়পক্ষের জীবন ও জীবিকা নির্বাহের জন্য আক্রান্ত সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে শান্ত ও স্থিতিশীলতা বজায় রেখে প্রাথমিক পুনরুদ্ধারের কাজ করবে।
শত বছরের বেশি পুরোনো সীমান্ত বিরোধের জেরে গত বৃহস্পতিবার শুরু হয় থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া সংঘাত। সংঘাত চলাকালে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৬ জন।
কাফি

জাতীয়
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে কাজ করছি: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, একটি অংশগ্রহণমূলক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনী ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা একটি নতুন রাজনৈতিক কাঠামোর চারপাশে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের জন্য কাজ করছি।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে জাতিসংঘের তথ্য অনুসন্ধান প্রতিবেদনে সুপারিশ বাস্তবায়নে জুলাই স্মরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার মিশন।
ড. ইউনূস বলেন, আমাদের লক্ষ্য স্পষ্ট; এমন একটি সমাজ গড়ে তোলা যেখানে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ শান্তিতে, মর্যাদায়, স্বাধীনতায় ও গর্বের সঙ্গে বসবাস করতে পারে।
তিনি বলেন, আমাদের কাজ এখনো শেষ হয়নি। সংস্কার কর্মসূচির পাশাপাশি আমরা যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী, তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছি।
তার মতে, ন্যায়বিচার কেবল শাস্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ‘ন্যায়বিচার মানে হলো—রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা যেন আর কখনো জনগণের বিরুদ্ধে দমন, নিপীড়ন বা ধ্বংসের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত না হয়’- বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান, ভুক্তভোগী পরিবারের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, তরুণ সমাজের প্রতিনিধি, সুশীল সমাজ ও আন্তর্জাতিক অংশীদাররা অংশ নেন।
প্রধান উপদেষ্টার অনুরোধে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর) একটি স্বাধীন তথ্য-উপাত্ত অনুসন্ধান মিশন জুলাই-আগস্ট ২০২৪ এর ঘটনাবলির তদন্ত করে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বিস্তারিত তথ্য, সুপারিশ ও ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় করণীয় তুলে ধরা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে আমি জাতিসংঘকে ধন্যবাদ জানাই—আমাদের সবচেয়ে অন্ধকার সময়ে আমাদের পাশে থাকার জন্য। আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে আমরা জাতিসংঘের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
তিনি বলেন, এটি ছিল এমন এক মুহূর্ত, যখন হাজার হাজার নারী-পুরুষ—যাদের অধিকাংশই তরুণ—নির্মমতা ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে দেশের মর্যাদা ও ভবিষ্যৎ পুনরুদ্ধার করে। তাদের সাহস শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, মানবতার পক্ষেও এক অমোঘ বার্তা ছিল।
ড. ইউনূস বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে রোহিঙ্গা সংকট এবং ২০২৪ সালের অন্ধকার সময় পর্যন্ত জাতিসংঘ সবসময় বাংলাদেশের পাশে থেকেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাতিসংঘ সব মানুষের—ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ বা অবস্থান নির্বিশেষে অপরিহার্য অধিকার নিশ্চিত করতে যে ঘোষণা দিয়েছে, সেটি বাংলাদেশের সংবিধানে গভীরভাবে প্রোথিত।
তিনি বলেন, গত ১৬ বছর ধরে এ অধিকারগুলো বারবার লঙ্ঘিত হয়েছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো দখল হয়ে গেছে, স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হয়েছে, সহিংসতা হয়ে উঠেছে শাসনের প্রধান হাতিয়ার। কিন্তু গত জুলাইয়ে জনগণ একযোগে এ বাস্তবতাকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, একটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য সত্য উদ্ঘাটন শুধু ন্যায়বিচারের জন্য নয়, বরং সামাজিক নিরাময়ের জন্যও অপরিহার্য।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদনে দেখা যায়, মাত্র কয়েক সপ্তাহে আনুমানিক ১,৪০০ মানুষ নিহত হন। এ সহিংসতাকে পূর্বপরিকল্পিত, কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত এবং রাষ্ট্রক্ষমতার সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সংঘটিত বলে উল্লেখ করা হয়। এতে সম্ভাব্য মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের ব্যাপারে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এ প্রতিবেদনকে সমর্থন করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম, বিশেষ করে বিবিসি ও আল-জাজিরা তাদের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে একই ধরনের তথ্য তুলে ধরে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘ শুধু অপরাধ নথিবদ্ধ করেনি, বরং তারা এমন একটি সুসংগঠিত সুপারিশমালা তৈরি করেছে, যা ভবিষ্যতে এমন ঘটনা প্রতিরোধে সহায়ক হবে।
তিনি বলেন, আমরা এ সুপারিশগুলোকে শুধু বাইরের চাপ হিসেবে নয়, নিজেদের দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করেছি।
সরকারের বিভিন্ন সংস্কার উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা দণ্ডবিধি সংশোধন করেছি এবং গুম হওয়া ব্যক্তিদের সুরক্ষা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক কনভেনশনে যোগ দিয়েছি। এ মাসের শুরুতে ওএইচসিএইচআরের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছি, যার মাধ্যমে ঢাকায় একটি সহযোগী মিশন স্থাপন করা হবে।
এ মিশন রাষ্ট্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করবে এবং মানবাধিকার সুরক্ষায় কাজ করবে।
প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে তার অকুণ্ঠ সমর্থন ও গত মার্চে বাংলাদেশ সফরের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। একই সঙ্গে তিনি মানবাধিকারবিষয়ক হাই কমিশনার ফলকার টুর্ক, ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং টিমের সদস্য, জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গুইন লুইস এবং সিনিয়র মানবাধিকার উপদেষ্টা হুমা খানকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।
জাতীয়
বিশ্ব র্যাংকিংয়ে তিন ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশের পাসপোর্ট

হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স প্রকাশিত সর্বশেষ পাসপোর্ট র্যাংকিংয়ে এক ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশের পাসপোর্ট। ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের পাসপোর্ট এখন ৯৪তম অবস্থানে রয়েছে। ২০২৪ সালের তুলনায় তিন ধাপ এগিয়ে। গত বছর এ পাসপোর্টের অবস্থান ছিল ৯৭তম।
মূলত ২০২১ সালে সর্বনিম্ন ১০৮তম অবস্থান থেকে বাংলাদেশের পাসপোর্ট ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে এগিয়েছে। ২০২২ সালে এটি ছিল ১০৩তম, ২০২৩ সালে ১০১তম এবং এখন ২০২৫ সালে এসে পৌঁছেছে ৯৪তম স্থানে।
বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা বর্তমানে ৩৯টি দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারেন। এসব গন্তব্যের মধ্যে রয়েছে: বাহামা, বার্বাডোস, ভুটান, বলিভিয়া, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস, বুরুন্ডি, কম্বোডিয়া, কেপ ভার্দে দ্বীপপুঞ্জ, কোমোরো দ্বীপপুঞ্জ, কুক দ্বীপপুঞ্জ, জিবুতি, ডমিনিকা, ফিজি, গ্রেনাডা, গিনি-বিসাউ, হাইতি, জ্যামাইকা, কেনিয়া, কিরিবাতি, মাদাগাস্কার, মালদ্বীপ, মাইক্রোনেশিয়া, মন্টসেরাট, মোজাম্বিক, নেপাল, মোজাম্বিক, রুয়ান্ডা, সামোয়া, সিসেলস, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, শ্রীলঙ্কা, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডিনস, গাম্বিয়া, তিমুর-লেস্তে, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, টুভালু এবং ভানুয়াতু।
সবচেয়ে শক্তিশালী ও দুর্বল পাসপোর্ট
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায় সিঙ্গাপুর আবারও শীর্ষে রয়েছে। সিঙ্গাপুরের পাসপোর্টধারীরা বিশ্বের ২২৭টি দেশের মধ্যে ১৯৩টি গন্তব্যে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারেন।
দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া, যাদের নাগরিকরা ১৯০টি দেশে ভিসা ছাড়াই প্রবেশের সুবিধা পান।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাতটি দেশ— ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, ইতালি ও স্পেন। এদের প্রত্যেকের পাসপোর্টধারীরা ১৮৯টি দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারেন।
চতুর্থ স্থানে যৌথভাবে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাতটি দেশ— অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পর্তুগাল ও সুইডেন। এদের পাসপোর্টধারীরা ১৮৮টি দেশে ভিসা ছাড়াই প্রবেশ করতে পারেন।
পঞ্চম স্থানে রয়েছে নিউজিল্যান্ড, যা ইউরোপের বাইরে একমাত্র দেশ হিসেবে এই তালিকায় স্থান পেয়েছে। এই অবস্থানে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে রয়েছে গ্রিস ও সুইজারল্যান্ড। এই তিন দেশের নাগরিকরা ১৮৭টি গন্তব্যে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণের সুবিধা পান।
অন্যদিকে আফগানিস্তান এখনও পাসপোর্ট র্যাংকিংয়ের সবচেয়ে নিচের অবস্থানেই রয়েছে। আফগান নাগরিকরা মাত্র ২৫টি দেশে ভিসা ছাড়াই প্রবেশ করতে পারেন।
যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টের পতন
জানুয়ারির পর থেকে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট বিশ্ব র্যাংকিংয়ে এক ধাপ করে নামছে। এক সময় বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট ছিল যুক্তরাজ্য (২০১৫ সালে) ও যুক্তরাষ্ট্রের (২০১৪ সালে)। বর্তমানে যুক্তরাজ্যের অবস্থান ৬ষ্ঠ, যেখানে তারা ১৮৬টি দেশে ভিসা ছাড়াই প্রবেশের সুযোগ রাখে। যুক্তরাষ্ট্র এখন ১০তম স্থানে অবস্থান করছে, যার পাসপোর্টধারীরা ১৮২টি দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারেন।
এদিকে গত ছয় মাসে ভারতের পাসপোর্ট র্যাংকিংয়ে সবচেয়ে বড় উন্নতি হয়েছে, যা ৮৫তম স্থান থেকে ৭৭তম স্থানে ওঠে এসেছে। যদিও ভারতের ভিসা-মুক্ত গন্তব্য মাত্র দুইটি বৃদ্ধি পেয়ে মোট সংখ্যা এখন ৫৯, তবুও র্যাংকিংয়ে বড় ধাপে উন্নতি হয়েছে।
গত দশকের দিকে তাকালে দেখা যায়, হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্সে অনেক পাসপোর্ট শক্তিশালী হয়ে র্যাংকিংয়ে উঠেছে, তবে মাত্র ১৬টি দেশের পাসপোর্ট অবস্থান হ্রাস পেয়েছে।
সবচেয়ে বেশি পতন হয়েছে ভেনেজুয়েলায়, যেটি ৩০তম স্থান থেকে ৪৫তম স্থানে নেমেছে, অর্থাৎ ১৫ ধাপ নিচে গেছে। এর পর রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র (৮ ধাপ), ভানুয়াতু (৬ ধাপ), যুক্তরাজ্য (৫ ধাপ) এবং কানাডা (৪ ধাপ)।
জাতীয়
অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্স ও চায়না মিডিয়া গ্রুপের মধ্যে সমঝোতা

অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্স এবং বাংলাদেশ-চায়না আপন মিডিয়া ক্লাবের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত সিএমজি বাংলার ঢাকা অফিসে এ সমঝোতা স্মারক সই হয়।
অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের প্রেসিডেন্ট হাসান শরীফ এবং বাংলাদেশ-চায়না আপন মিডিয়া ক্লাবের প্রতিনিধি অলিভিয়া ছু নিজ নিজ সংগঠনের পক্ষে স্মারকে সই করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিএমজির বাংলা বিভাগে কর্মরত সাংবাদিক এবং অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের নির্বাহী সদস্যরা।
অনুষ্ঠানে অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের সব সদস্যকে স্বাগত জানিয়ে সিএমজির বাংলা বিভাগের পরিচালক ইউ কুয়াং ইউয়ে আনন্দী বলেন, বর্তমান এ প্রযুক্তির যুগে অনলাইন সাংবাদিকতার গুরুত্ব অনেক বেশি। তাই আপনাদের সঙ্গে এ সমঝোতা স্মারক সইয়ের মাধ্যমে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। এর মাধ্যমে আমরা প্রযুক্তি ও সাংবাদিকতার জ্ঞান আদান-প্রদান করব।
সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট হাসান শরীফ অনুষ্ঠানে বলেন, আজকের এই সমঝোতা স্বাক্ষরের মাধ্যমে দুপক্ষ উপকৃত হবে। বিশেষ করে চীনের পর্যটন খাত, স্বাস্থ্য, শিক্ষা নানা বিষয়ে কাজ করার সুযোগ আছে। আমি এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
উন্মুক্ত আলোচনা সভায় সংগঠনটি সাংগঠনিক সম্পাদক পলাশ মাহমুদ বলেন, চীন সম্পর্কে জানার অনেক কিছু আছে। শুধু চীনকে কেন্দ্র করেই বিভিন্ন কাজ করা সম্ভব। চীনে অসংখ্য কন্টেন্ট রয়েছে, যেগুলো নিয়ে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, সামনের দিনগুলোতে প্রযুক্তির পথে, উন্নয়নের পথে আমরা একসঙ্গে হাঁটতে চাই।
অনুষ্ঠানে দুই সংগঠন কীভাবে সাংবাদিকদের মধ্যে তথ্য বিনিময়, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ডের মতো নানা বিষয়ে আরও সম্প্রীতি বাড়ানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেন উপস্থিত অতিথিরা। এর মাধ্যমে উভয় দেশের সাংবাদিকতা পেশায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও প্রসারিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জাতীয়
বৃহস্পতিবারের মধ্যে জুলাই সনদের জায়গায় পৌঁছাতে পারব: আলী রীয়াজ

আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে জুলাই সনদের জায়গায় পৌঁছাতে পারবেন বলে আশা করছেন ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, প্রথম ধাপ ও দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো আজ বা কালের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হবে। আমরা ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ শেষ করতে চাই। আর ঐকমতের বিষয়গুলো সংযুক্ত করে পরশু দিনের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে সনদের জায়গায় পৌঁছাতে পারব আশা করছি।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ২১তম দিনের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আজকের দিনের আলোচ্য সূচি— তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব, মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান সম্পর্কিত।
বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই সনদের খসড়া দেওয়ার কথা উল্লেখ করে আলী রীয়াজ বলেন, সেগুলোর মন্তব্যের জন্য অপেক্ষা করছি আগামীকাল পর্যন্ত। আশা করি প্রাথমিক পর্যায়ে যেগুলোতে ঐকমত্য হয়েছে সেগুলো আজ বা কালের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পৌঁছে দিতে পারব। তার সঙ্গে এ পর্যন্ত (দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ) যেগুলো ঐকমত্য হয়েছে সেগুলো সংযুক্ত করে পরশু দিনের মধ্যে সনদের জায়গায় পৌঁছাব।
তিনি বলেন, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আমরা যেভাবে হোক সনদের চূড়ান্ত রূপ অন্তত পক্ষে, যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে সেগুলো স্পষ্ট করতে হবে এবং সনদে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কয়েকটি দলের নতুন প্রস্তাবের বিষয়ে আলী রীয়াজ আরও বলেন, সেগুলো সমন্বিত করে একটি প্রস্তাব আপনাদের সামনে হাজির করতে চাচ্ছি। কারণ প্রত্যেকটি দলের নিজস্ব বক্তব্য থাকবে, সেটি বিবেচনায় প্রস্তাবগুলো নিয়ে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছি।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে উপস্থিত আছেন- কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. আইয়ুব মিয়া।
জাতীয়
নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়: চীনের রাষ্ট্রদূত

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, বাংলাদেশে জাতীয় সরকার গঠন এবং জাতীয় নির্বাচন কখন হবে, তা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ডিক্যাব টকে এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত।
ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশে জাতীয় সরকার গঠন হওয়া না হওয়ার বিষয়টি অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের নির্বাচন কখন হবে এটিও অভ্যন্তরীণ বিষয়।
তিস্তা বহুমুখী প্রকল্প বাস্তবায়নের চীন পুরোপুরি প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত। তিনি জানান, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে চীন পুরোপুরি প্রস্তুত। এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চীন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী। আমাদের লক্ষ্য একটি উন্নত, সমৃদ্ধ এবং সার্বভৌম প্রতিবেশী গড়ে তোলা। এই উদ্যোগ তৃতীয় কোনো পক্ষবিরোধী নয়। দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশ এ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেনি।
ডিক্যাব সভাপতি এ কে এম মঈনুদ্দিনের সভাপতিত্বে ডিক্যাব টকে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান মামুন।
কাফি