ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ডাকসু নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা আজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের তপশিল আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ঘোষণা করা হবে।
সোমবার (২৮ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন–২০২৫-এর চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৯ জুলাই (মঙ্গলবার) বিকেল ৪টায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের দ্বিতীয় তলার কনফারেন্স রুমে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন-২০২৫ এর নির্বাচনী তপশিল ঘোষণা করা হবে।
এর আগে, গত ২০ জুলাই তপশিল ঘোষণার তারিখ এবং ডাকসু নির্বাচনের সময় ঘোষণা দেওয়া হয়। সেদিনই ২৯ জুলাই তপশিল ঘোষণার কথা প্রথম জানানো হয়।
জানা গেছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হতে পারে। এ বছর হল থেকে ভোটকেন্দ্রগুলো ৬টি নিরপেক্ষ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফলে প্রথমবারের মতো হলের বাইরে ভোটকেন্দ্র থাকবে।
কেন্দ্রগুলো হল- ১. কার্জন হল কেন্দ্রে (পরীক্ষার হল) ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল, অমর একুশে হল ও ফজলুল হক হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দেবেন।
২. শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে জগন্নাথ হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দেবে।
৩. ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে ভোট দেবেন রোকেয়া হল, শামসুন নাহার হল ও কবি সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থীরা।
৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের শিক্ষার্থীরা।
৫. সিনেট ভবন কেন্দ্রে (অ্যালামনাই ফ্লোর, সেমিনার কক্ষ, ডাইনিং রুম) ভোট দিতে পারবেন স্যার এ এফ রহমান হল, হাজী মুহম্মদ মহসীন হল ও বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীরা।
৬। উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে সূর্য সেন হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, শেখ মুজিবুর রহমান হল ও কবি জসীম উদ্দীন হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে পারবেন।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ডাকসু নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা, ভোট ৯ সেপ্টেম্বর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে নির্বাচন কমিশনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম এ ঘোষণা দেন। এ সময় অন্যান্য রিটার্নিং কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৯ সেপ্টেম্বর। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।
নির্বাচন কমিশনের সময়সূচি অনুযায়ী, খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ৩০ জুলাই এবং চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ১১ আগস্ট।
তপশিলে বলা হয়, ডাকসুর নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হবে ১২ থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৯ আগস্ট, বিকেল ৩টা। আর মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২০ আগস্ট। প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হবে ২১ আগস্ট।
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আসন্ন ডাকসু নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ আগস্ট। এরপর ২৬ আগস্ট প্রকাশ করা হবে চূড়ান্ত প্রার্থীতালিকা। ৯ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ শেষে রাতেই ঘোষণা করা হবে নির্বাচনের ফলাফল।
জানা গেছে, এ বছর হল থেকে ভোটকেন্দ্রগুলো ৬টি নিরপেক্ষ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফলে প্রথমবারের মতো হলের বাইরে ভোটকেন্দ্র থাকবে।
কেন্দ্রগুলো হল- ১. কার্জন হল কেন্দ্রে (পরীক্ষার হল) ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল, অমর একুশে হল ও ফজলুল হক হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দেবেন।
২. শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে জগন্নাথ হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দেবে।
৩. ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে ভোট দেবেন রোকেয়া হল, শামসুন নাহার হল ও কবি সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থীরা।
৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের শিক্ষার্থীরা।
৫. সিনেট ভবন কেন্দ্রে (অ্যালামনাই ফ্লোর, সেমিনার কক্ষ, ডাইনিং রুম) ভোট দিতে পারবেন স্যার এ এফ রহমান হল, হাজী মুহম্মদ মহসীন হল ও বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীরা।
৬। উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে সূর্য সেন হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, শেখ মুজিবুর রহমান হল ও কবি জসীম উদ্দীন হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে পারবেন।
কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, প্রজ্ঞাপন জারি

দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আনুষ্ঠানিক প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে দেশের ৬৫ হাজার ৫০২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব প্রধান শিক্ষক দশম গ্রেড অনুযায়ী বেতন-ভাতা পাবেন।
সোমবার (২৮ জুলাই) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ শিবলী সাদিকের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষকরা জাতি গঠনের মূল কারিগর। তাদের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। সম্প্রতি ১২৪/২০২২ নম্বর সিভিল রিভিউ পিটিশনে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ অনুসারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বিদ্যমান ১১তম থেকে দশম গ্রেড বেতন স্কেলে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
‘এর ধারাবাহিকতায় দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল দশম গ্রেডে উন্নীতকরণ যৌক্তিক বিবেচিত হওয়ায় সরকার সারাদেশে ৬৫ হাজার ৫০২ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল বিদ্যমান ১১তম গ্রেড (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) ও ১২তম গ্রেড (প্রশিক্ষণবিহীন) থেকে দশম গ্রেডে উন্নীতকরণে সম্মতি দিয়েছে।’
এতে আরও বলা হয়, যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করা হলো। গৃহীত উদ্যোগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং তাদের সামাজিক মর্যাদা সুসংহত করবে। ফলে তারা প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে আরও সৃজনশীল ও উদ্দীপ্ত ভূমিকা পালন করবে। এতে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আরও উন্নত ও গতিশীল শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত হবে।
দশম গ্রেড দিয়ে সরকার প্রধান শিক্ষকদের প্রতি দায়বদ্ধতা ও সম্মান দেখিয়েছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল দশম গ্রেডে উন্নীত করার মাধ্যমে তাদের প্রতি তার দায়বদ্ধতা ও সম্মান প্রদর্শন করছে সরকার।
সরকারের এ পদক্ষেপ প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা অন্যান্য শিক্ষকমণ্ডলী, অভিভাবক ও সর্বস্তরের অংশীজনের সহায়তায় প্রাথমিক শিক্ষার মান কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত করবেন, এটি সরকারের প্রত্যাশা।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে সাজিদ স্মৃতি অ্যালবাম প্রদর্শনী

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ শিক্ষার্থী রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করা সাজিদ আব্দুল্লাহর স্মৃতিকে জাগ্রত রাখতে “ECHOES OF SAJID” শীর্ষক স্মৃতি অ্যালবাম প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৭ জুলাই) রাত আটটার দিকে ইবি মেইন গেইটের সামনে ‘জাস্টিস ফর সাজিদ আব্দুল্লাহ’ প্লাটফর্মের আয়োজনে এ স্মৃতি প্রদর্শনী দেখানো হয়। এতে জুলাই অভ্যুত্থানে সাজিদের অংশগ্রহণ, সাজিদের কুরআন তেলাওয়াত ও কাওয়ালীর সুরেলা সঙ্গীত, সাজিদের মৃত্যুর পর বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং তদন্তে প্রশাসনের অবহেলার বিষয়টি তুলে আনা হয়।
প্রদর্শনী শেষে শিক্ষার্থীরা বলেন, সাজিদের মৃত্যুর প্রায় দশ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত আমরা কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি না। প্রশাসন বেশ আরামেই তাদের সময়গুলো পার করছে। ক্যাম্পাসে এমন একটি পরিস্থিতি বিরাজ করছে যে কিছুই হয়নি। অথচ সাজিদের জায়গায় আমরা যে কেউ-ই থাকতে পারতাম। আজ যারা সাজিদকে হত্যা করে পার পেয়ে যাচ্ছে, তারা সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। তারা ধরে নিচ্ছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি কোনো হত্যাকাণ্ড করা হয় তাহলে এর কোনো বিচার বা তদন্ত হয়না। তাই আমরা সকলেই সাজিদ হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই সন্ধ্যা ছয়টার দিকে শাহ আজিজুর রহমান হল সংলগ্ন পুকুরে সাজিদ আব্দুল্লাহর মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে শিক্ষার্থীরা। পরে বিকেল সাড়ে ৬ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও ইবি থানা পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তার মৃত্যুর কারণ নিয়ে ক্যাম্পাসে নানা মহলে সৃষ্টি হয়েছে সন্দেহের। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে প্রশাসন তদন্তে কমিটি গঠন করলেও তদন্ত কমিটির কাজের অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট নয় শিক্ষার্থীরা। সাজিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলায়।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সাজিদ মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত রিপোর্ট ও দুর্নীতি শ্বেতপত্র প্রকাশে ইবিতে ফের বিক্ষোভ

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ’র রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের আহ্বানে বটতলা প্রাঙ্গণে সমবেত হন শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে সমবেত হন তারা।
এসময় শিক্ষার্থীদের ‘পুকুরে লাশ কেন, প্রশাসন জবাব দে; তুমি কে আমি কে, সাজিদ সাজিদ”; Justice Justice, we want justice ; আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দিব না; ভয়ভীতি আর অন্ধকার, চাই না চাই না; গাফিলতি মানি না, জবাব ছাড়া ছাড়ি না!; প্রশাসনের তালবাহানা, মানি না মানব না; শিক্ষার্থীরা মর্গে, প্রশাসন স্বর্গে ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এ কর্মসূচিতে থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন ড. আ.ব.ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, আল কুরআন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিন মিঝি, অধ্যাপক ড. মোহা. জালাল উদ্দিন, ইবি শাখার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়ন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, খেলাফত ছাত্র মজলিস, জমিয়তে তালাবিয়্যা আরাবিয়া-সহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আন্দোলনে বিভাগের শিক্ষার্থী জানান, সাজিদ শুধু আমাদের বিভাগের শিক্ষার্থী নয়, আপনাদেরও ভাই। আমরা পরিক্ষা বর্জন করে আন্দোলন করছি। অন্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্লাস পরিক্ষা দিচ্ছেন, এটা কাম্য নয়। জুলাই আন্দোলনে যেমন ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা মাঠে নেমেছিলাম, সাজিদ হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য একসাথে রাজপথে আন্দোলনে আপনাদের চাই।
আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা আরও জানান, সাজিদ রহস্যময় মৃত্যুর তদন্তের কোন অগ্রগতি দেখছি না। ইবি প্রশাসন এই মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে অবচেতন কেন? ২৪ ঘন্টায় প্রাথমিক রিপোর্ট দেয়ার কথা ছিল, আমরা পাইনি। ছয়দিন তদন্ত রিপোর্ট দেয়ার কথা ছিল সেটাও পার হয়ে গেছে। আদৌ তদন্ত রিপোর্ট পাবো কি না জানি না। জুলাই গণঅভ্যুত্থান শহিদের রক্তের উপর দাড়িয়ে আপনারা দায়িত্ব পেয়েছেন। আপানাদের ঘুমিয়ে থাকার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দায়িত্ব দেয়া হয়নি। আমার ভাইয়ের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে না কি হত্যাকান্ড এটার রহস্য দ্রুত বের করতেই হবে।
ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দরা প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমরা এখনো পর্যন্ত তদন্ত কমিটি থেকে আশ্বস্ত হওয়ার মত কোন তথ্য পাইনি। সাজিদের মৃত্যু ঠিক কিভাবে হয়েছে তার ন্যূনতম তথ্য প্রশাসন এখনো উপস্থাপন করতে পারেননি। প্রশাসনকে বলে দিতে চাই- অতিদ্রুত সাজিদের সুষ্ঠু তদন্ত রিপোর্ট পেশ করেন। অন্যথায় দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবো। আমরা শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায় নিয়ে যাব, তখন প্রশাসনের কোন সুযোগ থাকবে না।
অধ্যাপক ড. মো. নাছির উদ্দিন মিঝি বলেন, জুলাইয়ের পরে বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষার্থীবন্ধব ও নিরাপদ ক্যাম্পাস হিসেবে চেয়েছি। সেই কাজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন যদি এগিয়ে না আসে তবে আমরা মনে করব এই প্রশাসন জুলাইয়ের চেতনাকে ধারণ করেনা। সাজিদের মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের পক্ষ থেকে অত্যন্ত জড়ালো দাবি উত্থাপন করা হয়েছে।
তিনি আরোও বলেন, কয়েকদিন ধরে লক্ষ্য করছি সাজিদের মৃত্যু অর্থাৎ এই মূল বিষয়কে এড়িয়ে বিভিন্ন অপশক্তি সেখানে ঢোকার চেষ্টা করছে। এই অপশক্তিকে প্রতিহত করে সাজিদ হত্যার রহস্য উন্মোচনে আল কোরআন বিভাগ থেকে শুরু করে সকল বিভাগের শিক্ষার্থীরা ও ছাত্রসংগঠনগুলো কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছে। এই প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করে সাজিদ মূল রহস্য উন্মোচনে আমরা এক চুলও ছাড় দেব না ইনশাল্লাহ। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে যদি কেউ দোষী সাব্যস্ত হয় তাকে চুল পরিমানও ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা আশা করছি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসের কানে এই বাণী যাবে, তারা সচেতন হবে এবং সজিদের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করে অতিদ্রুত সকলের সামনে পেশ করতে হবে।
রুটিন উপাচার্য দায়িত্বে থাকা উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, তদন্ত কমিটিকে ১০ কার্যদিবস সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ছুটির দিন বাদে ৫ দিন কার্যদিবস পেয়েছে তদন্ত কমিটি। আশা করছি ভিসেরা রিপোর্ট হাতে পেলে চলতি সপ্তাহের মঙ্গল/বুধবারের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ করতে পারব।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুলাই বিকেলে শাহ আজিজুর রহমান হল সংলগ্ন পুকুর থেকে আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সাজিদ আব্দুল্লাহর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এটা দুর্ঘটনা না-কি হত্যাকাণ্ড তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সাজিদ শহিদ জিয়াউর রহমান হলের ১০৯ নং কক্ষে থাকতেন। তার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র পরদিন ১৮ জুলাই জরুরি ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এমতাজ হোসেনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি করে প্রশাসন। অন্যদিকে একইদিনে শহিদ জিয়াউর রহমান হল প্রভোস্ট ড. আব্দুল গফুর গাজীকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে হল প্রশাসন। উভয় কমিটিই ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। মৃত্যুর কারণ ও পেছনের সম্ভাব্য রহস্য উন্মোচনের লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কাজ চলমান।
কাফি/সাকিব
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি ফি নির্ধারণ করে দিলো সরকার

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে ৩০ জুলাই থেকে। যা চলবে ১১ আগস্ট পর্যন্ত। সুযোগ পাওয়াদের ভর্তি কার্যক্রম ৭ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। তবে ক্লাস শুরু হবে ১৫ সেপ্টেম্বর।
সরকারের পক্ষ থেকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সর্বোচ্চ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ হাজার ৫০০ টাকা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে প্রকাশিত নীতিমালা থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বৃহস্পতিবারে দেওয়া এ নীতিমালা অনুযায়ী, ঢাকার মেট্রোপলিটন এলাকার ইংরেজি ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো সর্বোচ্চ সাড়ে ৮ হাজার ৫০০ টাকা এবং বাংলা ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৫০০ টাকা ফি নিতে পারবে।
ঢাকার বাইরে অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায় ইংরেজি ভার্সনের নন-এমপিও কলেজ সর্বোচ্চ ৬ হাজার টাকা এবং বাংলা ভার্সনের নন-এমপিও কলেজ ৫ হাজার টাকা ফি নিতে পারবে।
জেলা পর্যায়ে ইংরেজি ভার্সনের নন-এমপিও কলেজ সর্বোচ্চ ৪ হাজার টাকা এবং বাংলা ভার্সনের নন-এমপিও কলেজ ৩ হাজার টাকা ফি নিতে পারবে।
উপজেলা পর্যায়ে ইংরেজি ভার্সনের নন-এমপিও কলেজ ৩ হাজার টাকা এবং বাংলা ভার্সনের নন-এমপিও কলেজ ২ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত ফি নিতে পারবে।
এ ছাড়া এমপিওভুক্ত কলেজগুলোর ক্ষেত্রে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা, অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায় (উভয় ভার্সন) সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা, জেলা পর্যায়ে (উভয় ভার্সন) সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা এবং উপজেলা পর্যায়ে (উভয় ভার্সন) সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫০০ টাকা ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি কলেজে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) এর উপসচিব মো. আবদুল কুদ্দুস স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যে শিক্ষাবর্ষে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং তার পূর্ববর্তী দুই বছরের মধ্যেও উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ভর্তির যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। বিদেশি বোর্ডের ক্ষেত্রে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড মান নির্ধারণ করে অনুমোদন দিলেই ভর্তি করা যাবে।
বিভাগ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা যেকোনো বিভাগে (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) আবেদন করতে পারবে। তবে ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির সুযোগ পাবে না। মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ড থেকে এসএসসি বা দাখিল ভোকেশনালে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের যে কোনো বিভাগে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন।
সরকারি ও বেসরকারি কলেজে মোট আসনের ৯৩ শতাংশ থাকবে সকল শিক্ষার্থীর জন্য উন্মুক্ত। বাকি ৭ শতাংশের মধ্যে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য, ১ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য এবং ১ শতাংশ অধীনস্থ দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তাদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। তবে সংরক্ষিত কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে সেসব আসনে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, সমান জিপিএ প্রাপ্ত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত মোট নম্বর দেখে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। যদি নম্বরও সমান হয়, তাহলে বিজ্ঞান বিভাগের ক্ষেত্রে গণিত, জীববিজ্ঞান ও ইংরেজি এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার ক্ষেত্রে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ের নম্বর পর্যায়ক্রমে বিবেচনায় নেওয়া হবে।
একই কলেজে এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থীরা তাদের নিজস্ব কলেজে নির্ধারিত বিভাগে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভর্তি হতে পারবেন। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভাগের আসন পূরণ করার পর অবশিষ্ট আসনে বাইরের শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা যাবে। ভর্তি প্রক্রিয়া পুরোপুরি অনলাইনে সম্পন্ন করতে হবে এবং কলেজগুলোর নিজস্ব ওয়েবসাইট ও নোটিশ বোর্ডে ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য প্রকাশ করতে হবে।
ভর্তি সংক্রান্ত ফি নির্ধারণ করবে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি এবং তা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হবে। অনুমোদিত ফি-এর অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করা যাবে না এবং রশিদ ছাড়া কোনো ফি গ্রহণ করা নিষিদ্ধ।
তবে ভর্তি শেষে কলেজ পরিবর্তনের সুযোগ থাকলেও অন্য বিভাগ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ফিরে আসার সুযোগ থাকবে না। একইভাবে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর অন্য বিভাগে যাওয়া গেলে পরে বিজ্ঞান বিভাগে ফিরে যাওয়া যাবে না।
একইসাথে বোর্ডের অনুমতি ছাড়া কোনো কলেজ শিক্ষার্থীকে ছাড়পত্র (টিসি) দিতে পারবে না এবং অন্য প্রতিষ্ঠানে সেই ছাড়পত্র দেখিয়ে ভর্তি নেওয়াও যাবে না। বোর্ডের অনুমতি সাপেক্ষে ছাড়পত্র দেওয়া ও গ্রহণ সংক্রান্ত তথ্য ১৫ দিনের মধ্যে বোর্ডে জমা দিতে হবে।
নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, কোনো কলেজ যদি অনুমোদিত না হয় বা অনুমোদনবিহীন ক্যাম্পাসে কোনো বিষয়ে ভর্তি কার্যক্রম চালায়, তবে তাদের স্বীকৃতি ও এমপিও বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হবে। সরকারি কলেজের ক্ষেত্রেও নীতিমালা লঙ্ঘনের প্রমাণ মিললে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নতুন নীতিমালাটি দেশের সকল কলেজে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রমে প্রযোজ্য হবে। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরবর্তী ৪৫ কর্মদিবসের মধ্যে অনলাইনে আবেদন, মেধা তালিকা প্রকাশ, ভর্তি ও ক্লাস শুরু পর্যন্ত সমস্ত কার্যক্রম শেষ করতে হবে বলেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।