জাতীয়
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ জারি, বেশ কয়েকটি ধারা সংশোধন

‘সরকারি চাকরি (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে সরকার। দ্বিতীয় সংশোধিত অধ্যাদেশে পরিমার্জন করে তিন ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের কথা বলা হয়েছে। শাস্তি নিশ্চিতে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। যুক্ত হয়েছে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসরের দণ্ড। তবে আগের অধ্যাদেশের মতো এখানেও রাষ্ট্রপতির আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ রাখা হয়নি।
বুধবার (২৩ জুলাই) রাতে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশটি জারি করেছেন বলে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
এর আগে, গত ২৫ মে চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধুমাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করার বিধান রেখে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে সরকার। কর্মচারীরা এই অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামে। কর্মচারীরা এক মাসেরও বেশি সময় সচিবালয়ে বিক্ষোভসহ নানান কর্মসূচি পালন করেন। কয়েকজন উপদেষ্টাও অধ্যাদেশটির অপব্যবহারের সুযোগ রয়েছে বলে স্বীকার করেন। শেষে অধ্যাদেশটি পর্যালোচনায় আইন উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে গত ৩ জুলাই ‘সরকারি চাকরি (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়।
নতুন অধ্যাদেশে ‘সরকারি কর্মচারীদের আচরণ ও দণ্ড সংক্রান্ত বিশেষ বিধান’- এ বলা হয়েছে, আইনের অধীন প্রণীত বিধিমালায় যা কিছুই থাকুক না কেন, যদি কোনো সরকারি কর্মচারী-
‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বৈধ আদেশ অমান্য করেন, আইনসংগত কারণ ছাড়া সরকারের কোনো আদেশ, পরিপত্র এবং নির্দেশ অমান্য করেন বা এর বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত করেন বা এসব কাজে অন্য কোনো সরকারি কর্মচারীকে প্ররোচিত করেন বা ছুটি বা যুক্তিসংগত কোনো কারণ ছাড়া অন্যান্য কর্মচারীদের সঙ্গে সমবেতভাবে নিজ কর্মে অনুপস্থিত থাকেন বা বিরত থাকেন বা যে কোনো সরকারি কর্মচারীকে তার কর্মে উপস্থিত হতে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধাগ্রস্ত করেন- তাহলে এটা হবে সরকারি কর্মে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী অসদাচরণ।’
এ জন্য তিন ধরনের শাস্তির কথা বলা হয়েছে নতুন অধ্যাদেশে। এসব কর্মের জন্য কোনো সরকারি কর্মচারীকে নিম্নপদ বা নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ, বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান এবং চাকরি থেকে বরখাস্ত- এসব শাস্তি দেওয়া যাবে।
আগের অধ্যাদেশের ‘সরকারি কোনো কর্মচারী যদি এমন কোনো কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন, যার কারণে অন্য যে কোনো সরকারি কর্মচারীর মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করে বা শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধার সৃষ্টি করে’ বাদ দেওয়া হয়েছে।
দোষী কর্মচারীকে নিম্নপদ বা নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ বা চাকরি থেকে অপসারণ, চাকরি থেকে বরখাস্ত-দণ্ড প্রদান করা যাবে বলে আগের অধ্যাদেশে উল্লেখ ছিল।
নতুন অধ্যাদেশ অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর অভিযোগ গঠন করে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে অভিযুক্তকে নোটিশ দেওয়া হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তিগত শুনানিতে অংশ নিতে ইচ্ছুক কি না নোটিশে তাও জানতে চাওয়া হবে।
অধ্যাদেশে বলা হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তি নোটিশের জবাব দিলে অথবা জবাব না দিলেও নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ বা অভিযোগ গঠনকারী ব্যক্তি তিন দিনের মধ্যে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে। তদন্ত কমিটির সদস্যদের অভিযুক্ত ব্যক্তির থেকে কর্মে জ্যেষ্ঠ হতে হবে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি নারী হলে তদন্ত কমিটিতে আবশ্যিকভাবে একজন নারী সদস্যকে রাখতে হবে। তদন্তের আদেশ পাওয়ার পরবর্তী ১৪ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। যুক্তিসঙ্গত কারণে এই সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারলে সর্বোচ্চ একবারের জন্য সাত কার্যদিবস সময় বাড়ানো যাবে।
তদন্ত কমিটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে না পারলে নতুন তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে জানিয়ে অধ্যাদেশে বলা হয়, তদন্ত কমিটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে না পারলে তা তাদের অদক্ষতা হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এটি সরকারি কর্মচারী বাতায়ন ও ডোসিয়ারে লিপিবদ্ধ করে সংরক্ষিণ করা হবে। এ ছাড়া, চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।
দণ্ডের বিষয় অবহিত করে অভিযুক্তকে তদন্ত প্রতিবেদনের কপি দেওয়া হবে। দণ্ড আরোপের ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে অভিযুক্ত আপিল করতে পারবেন। আপিল কর্তৃপক্ষ চাইলে দণ্ড বহাল বা বাতিল করতে পারবেন।
তবে রাষ্ট্রপতির আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে না। এমন ক্ষেত্রে দণ্ডপ্রাপ্ত কর্মচারী দণ্ড আরোপের আদেশ পাওয়ার ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করতে পারবেন।

জাতীয়
দেশের জন্য সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করে যেতে চাই: সিইসি

ব্যক্তিগত লক্ষ্য বা স্বার্থ নয়, বরং দেশের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করে যেতে চাই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দীন।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) যশোর কালেক্টরেট মসজিদে জুমার নামাজের আগে মুসল্লিদের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, জীবনের শেষপ্রান্তে এসে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছি। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের হারানো আস্থা ফিরিয়ে দিতে চাই। তবে এটি আমার একার পক্ষে সম্ভব নয়- এজন্য আমি দেশবাসীর সার্বিক সহযোগিতা এবং দোয়া কামনা করছি।
নাসির উদ্দীন বলেন, দেশ ও জাতির জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্মাণ করতে হলে গণতান্ত্রিক চর্চাকে সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর এজন্য অবাধ, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করা জরুরি। নির্বাচন কমিশন সে লক্ষ্যেই কাজ করছে।
খুলনায় যাওয়ার পথে যশোরে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতির সময় এই মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন তিনি। জুমার নামাজ ও দোয়ায় যশোরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আজাহারুল ইসলাম অংশ নেন।
এসময় ঢাকার মাইলস্টোন কলেজে বিমান বিধ্বস্তে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বাদ জুমা বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
জাতীয়
দুই চোখ ক্ষতিগ্রস্ত ১১ জুলাই আহতকে ওমরাহ করাবে সরকার

গণঅভ্যুত্থানে দুই চোখ ক্ষতিগ্রস্ত ১১ জুলাইযোদ্ধাকে বেসরকারি সহযোগিতায় ওমরাহ করাবে সরকার। সঙ্গে থাকবে তাদের আরও ১১ সহযোগী। বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এটি সমন্বয় করছে। অর্থায়ন করছে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স ও সিলেটের এক রাজনীতিবিদ।
জানা গেছে, বেসরকারি উদ্যোগে ৫/৭ জন জুলাই আহতকে ওমরাহ করানোর প্রস্তাব আসে। বিষয়টি সরকারের বিভিন্ন মহলে আলোচনা হয়। এক্ষেত্রে কাদের নেওয়া হবে তা নিয়ে বাছাই জটিলতায় পড়ে কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল থেকে জানানো এ সংখ্যা নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। তবে ১১ জন একেবারেই দেখতে পান না। অন্যের সাহায্য ছাড়া চলাফেরা করতে পারে না। তাদের মনোনীত করা সহজ, তবে সেক্ষেত্রে তাদের সহযোগীসহ ২২ জন হবে।
সে থেকে ২২ জনকে ওমরাহ করানোর সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে ১৮ জনের ব্যয় বহন করবে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স এবং ৪ জনের ব্যয় বহন করবেন সিলেটের সাবেক মেয়র আরিফুল হক।
বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুন নাসের খান বলেন, এ বিষয়ে শনিবার হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক সভায় ঘোষণা দেওয়া হবে। সেখানে আসলে সব জানা যাবে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় পুলিশের গুলিতে দুই চোখ একেবারেই নষ্ট হয়ে যায় ১১ জনের। তারা অন্যের সহযোগিতা ছাড়া চলাফেরা করতে পারেন না। এর বাইরে আরও ২৮ জনের দুই চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের তথ্য বলছে, তারা এক হাজার ৭৪ জনকে চিকিৎসা দিয়েছেন। সরকারি হিসাব বলছে, প্রায় ১৪ হাজার জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
জাতীয়
মাইলস্টোন ট্রাজেডি: মাকিন নামের আরও শিক্ষার্থীর মৃত্যু

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ শিক্ষার্থী মাকিনের (১৪) মৃত্যু হয়েছে। সে মাইলস্টোনের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান।
এর আগে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ফিমেল হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এফএইচডিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আয়মান (১০) মারা গেছে।
আয়মানের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার বেদরগঞ্জ থানার বাসুদেবপুর গ্রামে। সে ওই এলাকার ইসমাইল হোসেনের মেয়ে।
প্রসঙ্গত, গত ২১ জুলাই সকালে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার সময় প্রতিষ্ঠানটির ক্লাসে উপস্থিত ছিলেন বহু শিক্ষার্থী ও শিক্ষক। এ ঘটনায় দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শুক্রবার সকাল ১০টার হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, এ ঘটনায় মারা গেছে ৩২ জন। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে ৫১ জন।
জাতীয়
বিমানবন্দরে যাত্রীর সঙ্গে দুজনের বেশি প্রবেশ নয়

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় যাত্রীবরণ ও বিদায় জানাতে আগত ব্যক্তিদের জন্য নতুন নির্দেশনা জারি করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। আগামী রোববার (২৭ জুলাই) থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে।
বৃহস্পতিবার রাতে এক বার্তায় কর্তৃপক্ষ এ ঘোষণা দিয়েছে।
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র স্কোয়ার্ডন লিডার মো. মাহমুদুল হাসান মাসুম জানান, নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী যাত্রীদের সঙ্গে সর্বোচ্চ দুজন ব্যক্তি ডিপারচার ড্রাইভওয়ে ও এরাইভাল ক্যানোপি এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন।
এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রাখা, বিমানবন্দর এলাকায় যানজট নিয়ন্ত্রণ এবং সর্বোপরি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, সম্মানিত যাত্রীদের বিদায় ও স্বাগত জানাতে আসা ব্যক্তিদের সুশৃঙ্খলভাবে চলাচলের অনুরোধ জানানো হচ্ছে। সকলের সহযোগিতা কাম্য।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আদেশক্রমে এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে বছরে এক কোটি ২৫ লাখ যাত্রী শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করে থাকেন। প্রতিদিন ১৪০-১৫০টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালিত হয়।
জাতীয়
সিঙ্গাপুরের আরেকটি চিকিৎসক দল ঢাকায়

বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা দিতে সিঙ্গাপুর থেকে এসেছে আরও একটি মেডিকেল টিম। পাঁচ সদস্যের দলটি বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে বাংলাদেশে পৌঁছায়। আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিঙ্গাপুরের দ্বিতীয় এই মেডিকেল টিমের সদস্যসংখ্যা ৫। তাঁরা গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছান।
সিঙ্গাপুর থেকে আসা এই দ্বিতীয় মেডিকেল টিমের সদস্যরা ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গঠিত বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে যৌথভাবে চিকিৎসা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সিঙ্গাপুরের এই মেডিকেল টিমের সদস্যরা কারিগরির পাশাপাশি পেশাগত সহায়তাও দেবেন।
গত সোমবার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, এ ঘটনায় মারা গেছেন ৩১ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৫১ জন।