রাজনীতি
স্বাধীন নির্বাচন কমিশন চায় বিএনপি: সালাহউদ্দিন

নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা শুধু সংবিধানে উল্লেখ থাকলেই যথেষ্ট নয়, উপযুক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তার কার্যকর স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
বুধবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা অতীতে বলে এসেছি, প্রতিটি সাংবিধানিক এবং সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের জন্য সংবিধানে আলাদা করে নিয়োগ প্রক্রিয়া না এনে, সংশ্লিষ্ট আইনের মাধ্যমে সেই সব প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও আচরণবিধি নিশ্চিত করতে হবে। তবে নির্বাচন কমিশনের বিষয়টি সংবিধানে আলাদা করে উল্লেখ করা যায় এই ক্ষেত্রে আমরা একমত।
তিনি বলেন, সংলাপে সব পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠনে একটি পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট সিলেকশন কমিটি গঠনের প্রস্তাব চূড়ান্ত রূপ পেয়েছে। এই কমিটিতে জাতীয় সংসদের স্পিকার (সভাপতি), বিরোধী দল থেকে নির্বাচিত ডেপুটি স্পিকার, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা এবং প্রধান বিচারপতির মনোনীত একজন আপিল বিভাগের বিচারপতি থাকবেন।
এই কমিটি নির্বাচন কমিশনের জন্য প্রার্থী খুঁজে বের করতে একটি অনুসন্ধান প্রক্রিয়া পরিচালনা করবে, যেখানে সিভিল সোসাইটি, রাজনৈতিক দল ও সাধারণ জনগণ নাম জমা দিতে পারবে। সংসদে একটি আইন প্রণয়ন করে এই অনুসন্ধান বা সার্চ কমিটির কাঠামো নির্ধারণ করার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এই সার্চ কমিটি জীবনবৃত্তান্ত যাচাই-বাছাই করে একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রস্তুত করবে এবং সেটি সিলেকশন কমিটির কাছে পাঠাবে। কমিটি চাইলে এই তালিকা থেকে অথবা নিজেরা আরও প্রার্থী বিবেচনায় নিয়ে সর্বসম্মতিক্রমে কমিশনারদের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করবে।
তিনি উল্লেখ করেন, কমিশন গঠনে আগে যে প্রস্তাবে প্রতিটি পদের জন্য দুটি করে নাম সুপারিশ করার কথা ছিল, বর্তমান প্রস্তাবে সেটি বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন প্রতিটি পদের জন্য একটি করে নাম রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে। নিয়োগের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। এছাড়া সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের উপধারায় একটি নতুন সংযোজনের প্রস্তাব দিয়ে তিনি বলেন, সংসদ নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আইন প্রণয়ন করবে এবং তাদের জন্য আচরণবিধি নির্ধারণ করবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এমন একটি নির্বাচন কমিশন চাই, যারা কার্যত স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে। তাই তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে কার্যক্রম পর্যন্ত সবখানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকতে হবে। অতীতে আমরা দেখেছি, একাধিকবার নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে, কিন্তু কার্যত তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেনি।
এসময় সংলাপে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গঠিত ঐক্যকে স্বাগত জানান তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, এই গঠন প্রক্রিয়া এবং কমিশনের ভবিষ্যৎ কাজের দিক নির্দেশনা নির্ধারণে যে সর্বসম্মত প্রস্তাব এসেছে, তা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ভিত্তি তৈরি করবে।
কাফি

রাজনীতি
আগামী বছরের প্রথমার্ধেই নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির

আগামী বছরের প্রথমার্ধেই জাতীয় নির্বাচন হতে হবে। তবে এক্ষেত্রে কোনো অপরিপক্কতা (প্রি ম্যাচিউরড) মেনে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বুধবার (২৩ জুলাই) সিলেটের বিয়ানীবাজারে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত জনশক্তি ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, অতীতের বস্তাপচা প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হলে জনগণ মেনে নেবে না। নির্বাচন হতে হবে স্বচ্ছ। প্রশাসনকে হতে হবে নিরপেক্ষ। নির্বাচন হতে হবে কালো টাকা আর পেশিশক্তি প্রভাবমুক্ত।
এ ছাড়া, বিয়ানীবাজার পৌর শহরের দাসগ্রাম এলাকায় উপজেলা ও পৌর জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, চারিত্রিক সম্পদের অভাবে ৫৪ বছরেও এই দেশ গঠন হয়নি। যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত হন, তারা জনগণের কথা ভাবেন না। তারা শুধু নিজের স্বার্থ দেখেন। তারা দুদককে ভয় পান, আল্লাহকে পান না। দুদকের পরিবর্তে আল্লাহকে ভয় করলে দেশ অনেক এগিয়ে যেত।
আওয়ামী লীগ আমলে অবৈধভাবে দেশের বিপুল অর্থ পাচার নিয়ে জামায়াত আমির বলেন, এই পাচার হওয়া টাকা দেশে থাকলে দেশে আর কোনো আর্থিক সংকট থাকতো না।
দুর্নীতির বহু রূপ আছে উল্লেখ করে জামায়াত আমির বলেন, ‘সবচেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে বুদ্ধিবৃত্তিক দুর্নীতি। জামায়াতের নেতৃত্বে মানবিক, দুর্নীতিমুক্ত ও ইনসাফের দেশ হবে বাংলাদেশ।’
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ফ্যাসিবাদ বিরোধী বিপ্লবের ক্রেডিট এককভাবে কারও নয়। এই বিপ্লবের নিদির্ষ্ট কোনো মাস্টারমাইন্ডও নেই। সবাই এর অংশীদার। সবাই মিলেই একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ হবে বাংলাদেশ।
বিয়ানীবাজার উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ফয়জুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি আবুল কাশেম ও পৌর আমির কাজী জমির হোসাইনের পরিচালনায় সুধী সমাবেশে বিশেষ অথিতির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ) আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, সিলেট জেলা আমির মাওলানা হাবীবুর রহমান, মহানগর আমীর ফখরুল ইসলাম।
কাফি
রাজনীতি
সরকার দায়িত্বশীল হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতো না: নাহিদ

বিমান বিধ্বস্তের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকার আরও মানবিক এবং দায়িত্বশীল আচরণ করতে পারতো বলে মনে করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
নাহিদ বলেন, ‘ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা সরকারের আরও মানবিক এবং দায়িত্বশীল আচরণ আশা করেছিলাম। গতকালের ঘটনার পর থেকে যা যা হয়েছে, সেখানে আরও দায়িত্বশীল হলে পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতো না।’
সঠিক তথ্য প্রকাশের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে সঠিক তথ্য প্রকাশ ও প্রচার করতে হবে। তথ্য নিয়ে নানা বিভ্রান্তি রয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কিছুটা ক্ষোভ রয়েছে। সরকারের কাছে যতটুকু সত্য তথ্য আছে, সেটি সঠিকভাবে প্রকাশ ও প্রচার জরুরি। এতে গুজব ছড়াতো না।’
শিক্ষা উপদেষ্টার সমালোচনা করে নাহিদ বলেন, ‘শিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্বশীল আচরণ না থাকায় একটি সিদ্ধান্ত নিতে রাত ৩টা বেজে গেলো। জরুরি মুহূর্তে সরকারের অন্য উপদেষ্টারা তাকে ফোন করে পাননি। এমন যদি সমন্বয়হীনতা থাকে সেক্ষেত্রে সমস্যা হবেই।’
এ সময় মাইলস্টোন শিক্ষার্থীদের দেয়া ৬ দফা দাবির সঙ্গেও একাত্মতা পোষণ করেন তিনি।
মাইলস্টোনের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মরদেহ গুমের অভিযোগ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল রাত থেকেই মরদেহ গুমের একটি অভিযোগ ওঠে। এক্ষেত্রে সরকার স্কুল কর্তৃপক্ষের সহায়তায় ওই সময় কতজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন, কতজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে, কত জন নিখোঁজ রয়েছেন এসব বিষয়ে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে পারতেন। পাশাপাশি সময় ব্যবধানে তথ্য আপডেটের মাধ্যমে সঠিক তথ্য সবাইকে জানাতে পারতো।’
এনসিপির আহ্বায়ক পুরো ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘একক্ষেত্রে সত্য তথ্য সবাইকে জানাতে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি করা দরকার।’ এতে সরকারি প্রতিনিধিদের পাশাপাশি বেসরকারি বিশেষজ্ঞ ও স্কুল কর্তৃপক্ষের সদস্য রাখারও পরামর্শ দেন তিনি।
ব্রিফিংয়ে দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও কেন্দ্রীয় নেতা তাসনিম জারাসহ অন্য নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
রাজনীতি
আহতদের জন্য ৫০ লাখ টাকার চিকিৎসা সহায়তা ঘোষণা জামায়াতের

উত্তরা মাইলস্টোন স্কুলে মর্মান্তিক বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার জন্য প্রাথমিকভাবে ৫০ লক্ষ টাকার চিকিৎসা সহায়তা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান এক ফেসবুক পোস্টে আর্থিক সহায়তার কথা জানান।
ফেসবুক পোস্টে জামায়াতে আমির লেখেন, উত্তরা মাইলস্টোন স্কুলে মর্মান্তিক বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহতদের জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে ৫০ লক্ষ টাকার চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হবে, ইনশাআল্লাহ।
আহতদের চিকিৎসায় দেশের সকল চিকিৎসককে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। আল্লাহ তা’য়ালা আমাদেরকে মানবতার পাশে দাঁড়ানোর তাওফিক দিন এবং কবুল করুন। আমিন।
কাফি
রাজনীতি
পিআর পদ্ধতির নির্বাচন ফ্যাসিবাদের পথ সুগম করবে: তারেক রহমান

পিআর বা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি তুলছেন। কিন্তু বাংলাদেশে পিআর পদ্ধতির নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রবর্তনের অর্থ কিন্তু রাষ্ট্র এবং রাজনীতিতে বিচ্ছিন্নতাবাদ, ফ্যাসিবাদ, চরমপন্থার পথ সুগম করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সোমবার (২১ জুলাই) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আয়োজনে গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী বিরোধী আন্দোলন ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে পেশাজীবীদের অবদান নিয়ে পেশাজীবী সমাবেশ এবং শহীদ-নির্যাতিত পরিবারকে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
এ সময় তারেক রহমান বলেন, আমরা দেখছি কয়েকটি রাজনৈতিক দল দেশে হঠাৎ করেই পিআর বা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি তুলছেন। কিন্তু বাংলাদেশে পিআর পদ্ধতির নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রবর্তনের অর্থ কিন্তু রাষ্ট্র এবং রাজনীতিতে বিচ্ছিন্নতাবাদ, ফ্যাসিবাদ, চরমপন্থার পথ সুগম করে দেবে। এতে করে বিভ্রান্তিমূলক সমাজ সৃষ্টি ও সরকার অস্থিতিশীলতার কারণ হয়ে উঠবে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়বে।
দেশের জনগণের ঐক্য চাইলে কোনোভাবেই সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন ব্যবস্থা চালু হওয়া উচিত না জানিয়ে তিনি বলেন, এই ধরনের দাবিকে কোনো দল গণতান্ত্রিক অধিকার বিবেচনা করলেও দেশ ও জনগণের স্বার্থে পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ উপযোগী নয় বলেই আমরা মনে করি।
সংবিধিবদ্ধ বিধিবিধান আর আইনকানুন দিয়ে ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারকে আটকানো যায় না মন্তব্য করে তারেক রহমান আরও বলেন, আইন না মানার কারণেই কেউ ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে পারে। এ জন্য জনগণকে যেকোনো মূল্যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। রাষ্ট্রে তাদের সকল প্রকার গণতান্ত্রিক চর্চা নিশ্চিত করতে হবে। জনগণের ক্ষমতা ও রাজনৈতিক চর্চা যদি থাকে, ফ্যাসিবাদ বা স্বৈরাচার মোকাবিলায় জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তিই কিন্তু যথেষ্ট।
এ সময় বিএনপি প্রথম থেকেই জনগণের সরাসরি ভোটে জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে আসছে বলেও জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এছাড়া তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ঘাড়ে বন্দুক রেখে কেউ কেউ নিজেদের খবরদারি বহাল রাখতে চায়, কিংবা প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্নভাবে ফায়দা হাসিল বা নিজেদের আখের গোছাতে চায়, তাদেরকেই আমরা দেখছি যে, সুকৌশলে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যাপারে বাধার সৃষ্টি করছে। এই কথা বিভিন্ন জায়গা থেকে সামনে আসছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ কথা বলছে।
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে রাজধানীর উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতের খবরে শোক প্রকাশ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এ সময় তিনি বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে সহায়তার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কারণে এই অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করার নির্দেশনাও দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী এবং ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ইউট্যাব’র মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানের যৌথ পরিচালনায় বক্তব্য দেন বিগত ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে বিভিন্ন পেশায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিবর্গ এবং চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টুসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
কাফি
রাজনীতি
এবার বায়তুল মোকাররম মসজিদে জামায়াতের পরিচ্ছন্নতা অভিযান

বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী আয়োজিত জাতীয় মহাসমাবেশ নির্ধারিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশেপাশের বিস্তীর্ণ এলাকায় ছাড়িয়ে যায়। যে কারণে মসজিদসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। এরই ধারাবাহিকতায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা করা হয়।
সোমবার (২১ জুলাই) সকালে পল্টন থানা জামায়াতের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় পল্টন, মতিঝিল, শাহবাগ ও রমনা (ঢাকা- ৮) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও নায়েবে আমীর ড. মো. হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত জামায়াতের মহাসমাবেশে অংশ নিতে সারাদেশ থেকে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী সমবেত হন। সমাবেশ স্থান থেকে গুলিস্তান, পল্টন, কাকরাইল, বাংলামোটর, কাঁটাবন, নীলক্ষেত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অবস্থান নেন নেতাকর্মীরা। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পরিস্কার অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে।
হেলাল উদ্দিন বলেন, সমাবেশের পর আমাদের সন্মানিত আমিরে জামায়াতের নির্দেশনায় এ অভিযান পরিচালনা করে আসছি। তিনি চিকিৎসা নিয়ে বাসায় পৌঁছার পর থেকে পরিস্কার অভিযানের প্রতি বিশেষ নজর রাখছেন। হেলাল উদ্দিন দেশবাসীর কাছে আহ্বান জানান সবাই যেন সম্মানিত আমীরে জামাতের জন্য দোয়া করেন আল্লাহ যেন তাকে পরিপূর্ণ সুস্থতা দান করেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীর সমাগম হয়েছিল। এর একটি অংশ বায়তুল মোকাররম মসজিদেও অবস্থান নেয়। যে কারণে মসজিদের ভেতরের কিছু কিছু অংশে পরিস্কার করতে হয়েছে।
তিনি জানান, জামায়াত ইসলামী মানুষের কল্যাণে ও সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও পল্টন থানা আমির শাহীন আহমেদ খান। পল্টন মতিঝিল এলাকার সাবেক কাউন্সিলর খন্দকার আব্দুর রব ও এনামুল হক শামীমসহ প্রায় শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক অংশ নেন।
জামায়াতের আমির ডা শফিকুর রহমানের সমাবেশের মূল ম্যাসেজ ছিল- আগামীর বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের আরেকটি লড়াই করতে হবে আর তা হলো দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই। চাঁদাবাজ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের এক হয়ে কাজ করতে হবে।
হেলাল উদ্দিন জানান, আমিরে জামায়াত সেই সঙ্গে ঢাকাবাসী ও দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো এককভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় মহাসমাবেশের আয়োজন করেছে জামায়াত ইসলামী। স্বাধীনতা-উত্তর এই প্রথম সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করে জামায়াত। এই সমাবেশে তাদের মূল দাবি ছিলো অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করা, মৌলিক সংস্কার, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রভৃতি।
কাফি