জাতীয়
জুলাই সনদ তৈরিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে: আলী রীয়াজ

সময়ের স্বল্পতা বিবেচনা করে দ্রুত সময়ে ঐকমত্যের সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের ১৭তম দিনের আলোচনার সূচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুর ১২টার পর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের ১৭তম দিনের আলোচনার সূচনা বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।
আলী রিয়াজ বলেন, উত্তরার বিমান দুর্ঘটনার ঘটনায় অনেক শিশুদের আমরা হারিয়েছি। এই শুকাবহ পরিস্থিতিতে আমাদের এই ঐক্যমত্য কমিশনের বৈঠক চালাতে হচ্ছে। কারণ আমাদের হাতে সময় কম।
তিনি আরও বলেন, আপনারাও আপনাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ রেখে এই কয়দিন ধরে আমাদেরকে সময় দিচ্ছেন। আমরা অনেক কিছু বিষয়ে একমতে আসার চেষ্টা করছি। যেহেতু আমাদের হাতে সময় কম আমরা আহ্বান জানাব দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই সনদসহ অন্যান্য বিষয়ের গুলোর সমাধান নিয়ে আমরা এককতে আসব। এ বিষয়ে আপনাদের সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
বৈঠকের শুরুতে তিনি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিমান দুর্ঘটনার শোক প্রকাশ করেন এবং আহতদের দ্রুত ও সুষ্ঠু চিকিৎসা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে সুষ্ঠু তদন্তের আহ্বান জানান।
আজকের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকার বিধান ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয় নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রস্তাবের ভিত্তিতে একটি সমন্বিত প্রস্তাব তৈরির ওপর আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। পাশাপাশি সংবিধান ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য নতুন প্রস্তাবও আজ রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে উপস্থাপন করা হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নির্বাচন কমিশন, সরকারি কর্ম কমিশন, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং ন্যায়পাল নিয়োগ সংক্রান্ত বিধান নিয়ে পৃথক প্রস্তাব তুলে ধরবে। এতে স্পিকারের নেতৃত্বে বাছাই কমিটি গঠন করে এই গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
বৈঠকের শুরুতে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। শোক প্রস্তাব পাঠ করেন কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার।

জাতীয়
ভোটের পরিবেশ শতভাগ অনুকূলে: ইসি আনোয়ারুল

নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশে এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ শতভাগ অনুকূলে রয়েছে।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কোনো অনিশ্চয়তা নেই। নির্বাচন নিয়ে কমিশনের কাছে প্রতিকূল পরিস্থিতির তথ্য আসেনি। আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা, নিরপেক্ষতা ও যৌক্তিক বিষয় বিবেচনা করে সীমানা নিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছি।
তিনি আরও জানান, ভোটারসংখ্যার ভিত্তিতে জেলা পর্যায়ে গড় ও মোট সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে। কোথাও জনসংখ্যা, কোথাও ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং কোথাও প্রশাসনিক দিককে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। তবে শতভাগ একভাবে করা সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ভোট কি হবে? এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে ইসি আনোয়ারুল বলেন, এই প্রশ্ন আমাকেও অনেকে করে। ভোট হবে বলেই আমরা রোডম্যাপ ঘোষণা করেছি।
রাজনৈতিক দল নিবন্ধন প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রায় সব রিপোর্ট কমিশনের হাতে এসেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে নিবন্ধন প্রক্রিয়ার শেষ ধাপে দলগুলোর নাম নিয়ে আপত্তি জানাতে সুযোগ রাখা হবে।
সংবিধান ও বিদ্যমান আইন নিয়ে বিভ্রান্তি প্রসঙ্গে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রস্তাবিত আরপিও সংশোধনী আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের পরই চূড়ান্ত হবে। অন্য কোনো আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিছু থাকলে তা সমন্বয় করা হবে।
জাতীয়
আমার বাড়ি ভেঙে যদি দেশের শান্তি হয় আমি রাজি: কাদের সিদ্দিকী

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, আমার বাড়ি ভেঙেছে, আরও ভাঙুক। বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বর বাড়িতে যখন গিয়েছিলাম, তখন আমার গাড়ি ভেঙেছিল। আরও ভেঙে যদি দেশে শান্তি স্থাপন হয়, দেশের কল্যাণ হয়, আমি সবসময়ই রাজি আছি।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় টাঙ্গাইল সদরের আকুর টাকুর পাড়ায় তার বাসভবনে বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমার বাড়িতে রাতে হামলা করেছে। কারা করেছে আমরা জানি না। ১০-১২ জন লোক ঢিল ছুড়েছে, গাড়ি ভেঙেছে। আমি মামলা করবো। কোটাবিরোধী ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরে আমরা এই স্বৈরাচারী মনোভাব আশা করিনি। আওয়ামী লীগ যদি স্বৈরশাসক হয় তাহলে আজকের কর্মকাণ্ডকে কী বলে অবহিত করবো?
তিনি আরও বলেন, দেশ হাসিনার সঙ্গে ২৬ বছর রাতদিন সংগ্রাম করেছি। আওয়ামী লীগ আমাদের বহু প্রোগ্রাম করতে দেয়নি। তার পরেও যদি সবাইকে আওয়ামী লীগের দোসর বানানো হয়, তাহলে তো আমি মনে করবো বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে ব্যর্থ ও ধ্বংস করার জন্য এ কোনো ষড়যন্ত্র কি না?
তিনি বলেন, দালালদের হুঁশিয়ার বলছে, আমাদের কিছু আসে যায় না। আমরা জীবনে দালাল ছিলাম না, দালালি করিনি। কিন্তু জয় বাংলা থাকবে কিনা দেশের মানুষ সেটাকে বিচার করবে। আমার কাছে মনে হয় দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা সুযোগ খুঁজছে। সেই সুযোগ অন্তবর্তীকালীন সরকার দিচ্ছে কি না আমি ঠিক বলতে পারবো না। আমার বাড়ি যদি নিরাপদ না থাকে তাহলে সাধারণ গরীব দুঃখী মানুষ নিরাপদ কেমন করে হয়।
তিনি আরও বলেন, আমি সরকারকে সরে আসতে বলবো। চোরাগোপ্তা হামলা বন্ধ করা হোক সরকারের কাছে নিবেদন করছি। দেশবাসীর কাছে নিবেদন আপনারা জাগ্রত হোন ও রুখে দাঁড়ান।
সংবাদ সম্মেলনে কাদের সিদ্দিকীর ছোট ভাই শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয়
নিজ রিসোর্ট থেকে গ্রেপ্তার সাবেক অতিরিক্তি আইজিপি শামসুদ্দোহা

চেক জালিয়াতির অভিযোগে রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি শামসুদ্দোহাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালিত হয় ঢাকার নবাবগঞ্জে তার নিজ রিসোর্ট থেকে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শামসুদ্দোহার বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির মামলা রয়েছে এবং মামলাটির তদন্ত ও গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া অনুসারে অভিযানটি সম্পন্ন করা হয়েছে।
পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (অ্যাডিশনাল আইজিপি) ড. শামসুদ্দোহা খন্দকার এবং তার স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এতে ৬৬ কোটি ৪৮ লাখ ৬৯ হাজার ৯৮১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদক সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম গত বছরের জুলাই মাসে এ চার্জশিট জমা দেন।
দুদকের সূত্রমতে, সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান ছিলেন। চাকরি করার সময় তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অর্থ আয় করেন। এসব অর্থ বিভিন্ন তফশিলি ব্যাংকের হিসাবে সন্দেহজনক উৎসের অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও অস্বাভাবিক লেনদেন করেন। এই প্রক্রিয়ায় তিনি ২১ কোটি ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা ব্যাংক হিসাবে জমার পর বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় তুলে তার অবস্থান প্রকৃতি, উৎস, মালিকানা আড়াল করার চেষ্টা করেছেন।
আরও জানা গেছে, দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে তিনি ৮ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ২২১ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপনসহ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়েছেন। এছাড়া দুদকের অনুসন্ধানে ২ কোটি ৮৭ লাখ ৩ হাজার ৭৮ টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেছে। যে কারণে তার বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ২৭(১) এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এ ছাড়া তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ২৮ কোটি ৪৭ লাখ ৩ হাজার ৮৯১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করা এবং ২৭ কোটি ৪৮ লাখ ৮২ হাজার ৪৯১ টাকার জ্ঞাতআয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
জাতীয়
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিছুটা খারাপ হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে আয়োজিত নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাব তিনি এ কথা বলেন।
দেশের বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এতদিন যেমন ছিল, কিন্তু গত কয়েক দিনের ঘটনায় আমি বলব যে একটুখানি খারাপের দিকে গেছে। এটা যেন সম্পূর্ণ আগের জায়গায় যেন নিয়ে আসতে পারি সে চেষ্টা করব।
রাজবাড়ীতে হঠাৎ করে এমন অস্থিরতা কেন হলো, নির্বাচন বানচাল জন্য আন্তর্জাতিকভাবেও কোনো কাজ করা হচ্ছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, রাজবাড়ীর ঘটনা আমরা তদন্ত করে দেখছি। তদন্ত প্রতিবেদনের পর আমরা এই বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারব। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে, তবে এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত এদের মধ্যে পাঁচজনকে ইতোমধ্যে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি। গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদের পর হয়তো আমরা এই সম্পূর্ণ ঘটনা জানতে পারবো।
যাদের সামনে এবং যাদের গাফিলতির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে সেই ডিসি ও এসপিকে দায়িত্ব রেখে কি সুস্থ তদন্ত সম্ভব?—এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, কাদের অবহেলায় হয়েছে সেটা তো তদন্তের পর বলতে পারব। আমি যদি আগে সবাইকে সরিয়ে দেই তাহলে তো তদন্ত গুরুত্ব দিলাম না। তদন্তের পর কেউ দোষী বা কেউ নির্দোষ প্রমাণিত হবে। কেউ যদি দোষী প্রমাণিত হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। যদি কেউ নির্দোষ হয় তাহলে তো তার অ্যাগেইনস্ট কোনো অ্যাকশন নেওয়া হবে না। এখন তদন্ত না করে আমি কীভাবে বলব যে সেই দোষী।
রাজবাড়ীতে গত কয়েকদিন আগে থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা হুমকি দেওয়া হচ্ছিল তারপরও কেন এই মব ঠেকানো গেল না, এছাড়া গতকাল হাটহাজারীতেও এমন একটা ঘটনা ঘটলো। তাহলে কি আপনার মব ঠেকাতে ব্যর্থ হচ্ছেন?—এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, না আমরা ব্যর্থ হচ্ছি না। যারাই এমনটা করেছে একটি বিষয় আমরা কিন্তু অনেক অসহিষ্ণু হয়ে গেছি। যারা এসব ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা অবশ্যই তাদের আইনে আওতায় নিয়ে আসবো। সবাইকে ধৈর্যশীল হওয়ার জন্য অনুরোধ করব। একটু যদি ধৈর্য না থাকে…, কোনো কিছুতে কারও কোনো ধৈর্য নাই।
এসব পরিস্থিতিতে নির্বাচনের সময় জনগণের অংশগ্রহণ বাধাগ্রস্ত করবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জনগণ যখন নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে তখন সে সময় তাদের কেউ বাধা দিতে পারবে না। জনগণ যখন নির্বাচনের দিকে চলে যাবে তখন তাদের কেউ প্রতিহত করতে পারবে না। তারা ভোট কেন্দ্রের দিকে যেতে পারবে না।
জাতীয়
বদরুদ্দীন উমর আর নেই

লেখক-গবেষক ও বামপন্থী রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমর মারা গেছেন। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর।
বদরুদ্দীন উমর দীর্ঘদিন ধরে বার্ধকব্যজনিত নানা জটিলতায় আক্রান্ত ছিলেন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সকালে তাকে ঢাকার বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সকাল ১০টা ৫ মিনিটে তিনি মারা যান বলে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম গণমাধ্যমে জানান।
বদরুদ্দীন উমর ১৯৩১ সালের ২০ ডিসেম্বর ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির বর্ধমান শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে স্নাতক সম্মান ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ১৯৫৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
বদরুদ্দীন উমর ১৯৬১ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতিতে পিপিই ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরে তিনি ১৯৬৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন এবং শিক্ষাজীবনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
গভর্নর মোনায়েম খানের স্বৈরতান্ত্রিক নীতি ও আচরণের প্রতিবাদে ১৯৬৮ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা ছেড়ে রাজনীতি, গবেষণা ও লেখালেখিতে সম্পূর্ণ মনোনিবেশ করেন। পরে ২০০৩ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল নামে গড়ে তোলেন এবং সভাপতির দায়িত্ব নেন।
বদরুদ্দীন উমরের গবেষণাগ্রন্থ পূর্ব বাংলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতির ওপর এক অগ্রগণ্য ও সমন্বিত গবেষণা হিসেবে স্বীকৃত।